আগেরকার নবীদের নামাজ
প্রশ্নঃ ২৪২৮৪. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
আমার প্রশ্ন হচ্ছে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জামানার আগে যেসব নবী রাসুলরা ছিলেন তাদের কি নামাজ পড়ার হুকুম ছিল, যদি থেকে থাকে তাহলে কয় রাকাত অথবা কি রকম ছিল? জানালে খুব উপকৃত হতাম, অগ্রিম ধন্যবাদ।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নামায এমন একটি ইবাদত,যা “সকল” নবী-রাসূলগণ এবং তাঁদের উম্মাত পালন করতেন। যেমন কুরআনের সূরা মারইয়ামের ৫৫ নম্বর আয়াতে আল্লাহ ইসমাঈল আলাইহিস সালামের কথা উল্লেখ করেছেন এভাবে,
• “তিনি তাঁর পরিবারবর্গকে নামায ও যাকাত আদায়ের নির্দেশ দিতেন এবং তিনি তাঁর পালনকর্তার কাছে পছন্দনীয় ছিলেন।”
এখন প্রশ্ন হল,তাঁদের নামায কী রকম ছিল? ফরয কত রাকআত ছিল,আর নফলই বা কয় রাকআত ছিল?
এর উত্তর হল,ভাই,আমরা জানি না। কুরআন বা হাদীসের মাধ্যমে আমাদের এ বিষয়ে কিছু জানানো হয় নাই।
সম্মানিত প্রশ্নকারীর কাছে আমার খুব জানতে ইচ্ছে করে যে তিনি কেনো এখন এই বিষয়টি জানতে চান!! এটা কবরের কয় নম্বর প্রশ্ন? কবরে, হাশরে, মিজানে, পুরসিরাতে, জান্নাতের দরজায়, জাহান্নামের গেইটে কি এসম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে? দৈনন্দিন জীবনের ইসলাম পালনে, নামাজ, রোজা, হজ,যাকাত, কুরবানী, বিবাহ-শাদী, ব্যবসা বানিজ্য, আবাস-প্রবাস, পড়া-শোনা , চাকুরী-বাকরি ইত্যাদীর কোথায়ও কি এই প্রশ্নের সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পাওয়া যাবে? নিশ্চয়ই না!! তাহলে কেনো এজাতীয় একটি বিষয় যা সর্বসাধারণের জানার প্রয়োজন নেই তা তার জানতে ইচ্ছে করে? আমাদের রূহ কবজা করার সময় কি অবস্থা হবে ; এবং সেখানে উত্তরণের পথ কি হবে সেটা কি আমাদের জানা আছে। আমরা কি এই একটি প্রশ্ন ছাড়া আমাদের জীবনের সব সমস্যার সমাধান করে নিয়েছি? সম্মানিত ভাই! দয়া করে দরকারী প্রশ্ন করুন। অনর্থক বিষয় পরিহার করে চলুন। এজাতীয় বিষয় জানার সাথে আমাদের আমলী জিন্দেগীর কোনো সম্পর্ক নাই। বরং হাদিসে এজতীয় অনর্থক বিষয় পরিহার করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাসূলুল্লাহ সা. ইরশাদ করেন, مِنْ حُسْنِ إِسْلَامِ الْمَرْءِ تَرْكُهُ مَا لَا يَعْنِيهِ. رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ، وقَالَ: حَسَنٌ. কোনো ব্যক্তির ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য হলো অর্থহীন কথা বা কাজ ত্যাগ করা।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩১৮)। কাজেই আমাদের উচিত অর্থক বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান লাভের আগে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে যে সকল বিষয় গুরুত্ব পূর্ণ সেগুলো জানার চেষ্টা করা। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন