অমুসলিমের দান গ্রহন করা
প্রশ্নঃ ২৪৫১২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, শায়খ মসজিদ নির্মাণের জন্য কি কোনো গায়ার মুসলিমের কাছে টাকা নেওয়া যাবে,
চাঁদা করে বা সে যদি নিজে ইচ্ছাকৃত দিয়ে থাকে,
কুরআন ও হাদীসের আলোকে জানাবেন খুব উপকৃত হবো?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নিচের রেফারেন্স দুটি দেখুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১১৯৮০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মসজিদ নির্মাণ কাজে হিন্দুদের টাকা ব্যয় করা যাবে কিনা?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. মসজিদের যে কোনো কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে সবার আগে যে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে তা হলো- মসজিদ আল্লাহর ঘর। অতি পবিত্র জায়গা। এমন কোন আচরণ-উচ্চারণ, কাজ-কর্ম করা যাবে না যাতে করে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হয়। সেই হিসেবে-
১ হারাম পথে উপার্জিত একটি পয়সাও মসজিদের জন্য গ্রহণ করা যাবে না। যিনি দান করছেন তার ভাব-গতি দেখে যদি নিশ্চত হওয়া যায়, দাতার মাঝে ইখলাসের অভাব আছে কিংবা জাগতিক কোনো উদ্দেশ্য অথবা স্বার্থ লুকিয়ে আছে- এমন ব্যক্তির হালাল পয়সাও মসজিদের জন্য নেওয়া জায়েজ নেই বলে মনে করেন অধিকাংশ ফকিহ।
২. অমুসলিমদের দানের ব্যাপারে ফকিহদের বক্তব্য হলো, মসজিদের প্রয়োজনে অমুসলিমদের থেকে সহযোগিতা চাওয়া মসজিদের মর্যাদার খেলাফ। একান্তই বাধ্য না হলে অমুসলিমদের কাছে মসজিদের জন্য সাহায্য চাওয়া উচিত নয়।
৩. অমুসলিমরা যদি স্বেচ্ছায় মসজিদে দান করতে চায় এবং তারা যদি এটিকে ভালো কাজ মনে করে তাহলে তাদের সহযোগিতা নেওয়াতে কোন অসুবিধা নেই। এক্ষেত্রে দেখতে হবে, এমন ব্যক্তির আয়ের উৎস সুস্পষ্ট কোনো হারামের সঙ্গে জড়িত কিনা। যেমন তিনি মূর্তি অথবা মদের ব্যবসা কিংবা রাষ্ট্রকর্তৃক অবৈধ কোনো ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করেছেন কি না ইত্যাদি। কেননা এমন ব্যক্তির দান মসজিদের জন্য নেওয়া জায়েজ নেই। কোন মুসলিমও যদি এ দোষে দোষী হয়- তার দানও মসজিদের জন্য নেওয়া জায়েজ নয়।
এছাড়াও নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
১- এরকম দান তাদের বিশ্বাস অনুপাতে পূণ্যের কাজ হতে হবে।
২- পরবর্তীতে অর্থ ফিরিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা ফিকির করবে না এ নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
৩- অর্থদানের পর মসজিদে নিজের কর্তৃত্ব স্থাপনের চেষ্টা না করার নিশ্চয়তা না করতে হবে।
৪- অর্থদানের পর মসজিদটি তার দানের টাকায় বলে মুসলমানদের ঠাট্টা-অপমান করার মানসিকতা না থাকতে হবে।
উল্লেখিত শর্তসাপেক্ষে মসজিদ বা ঈদগাহে অমুসলিমের দানকৃত টাকা বা ওয়াকফকৃত সম্পদ নেয়া জায়েজ আছে।
বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন- আদদুররুল মুখতার, ২য় খন্ড, ৪৩১ পৃষ্ঠা; বাদায়েউস সানায়ে, ৭ম খন্ড, ৩৪১ পৃষ্ঠা; ফতোয়ায়ে আলমগিরি, ৬ষ্ঠ খন্ড, ১৩১ পৃষ্ঠা।
(সংগৃহীত)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
প্রশ্নঃ ১৪২৭৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, মাদ্রাসা কাজের জন্য হিন্দু বাড়ি থেকে টাকা চেয়ে নেওয়া যাবে
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কয়েকটি শর্ত সাপেক্ষে নেয়া যাবে। যথা-
১- এরকম দান তাদের বিশ্বাস অনুপাতে পূণ্যের কাজ হতে হবে।
২- পরবর্তীতে অর্থ ফিরিয়ে নেয়ার জন্য চেষ্টা ফিকির করবে না এ নিশ্চয়তা থাকতে হবে।
৩- অর্থদানের পর মসজিদে/ মাদরাসায় নিজের কর্তৃত্ব স্থাপনের চেষ্টা না করার নিশ্চয়তা করতে হবে।
৪- অর্থদানের পর মসজিদ/মাদরাসা তার দানের টাকায় বলে মুসলমানদের ঠাট্টা-অপমান করার মানসিকতা না থাকতে হবে।
উল্লেখিত শর্তসাপেক্ষে মসজিদ/ মাদরাসায় অমুসলিমের দানকৃত টাকা বা ওয়াকফকৃত সম্পদ নেয়া জায়েজ আছে।
وَجُمْلَةُ الْكَلَامِ فِي وَصَايَا أَهْلِ الذِّمَّةِ أَنَّهَا لَا تَخْلُو إمَّا إنْ كَانَ الْمُوصَى بِهِ أَمْرًا، هُوَ قُرْبَةٌ عِنْدَنَا وَعِنْدَهُمْ، أَوْ كَانَ أَمْرًا هُوَ قُرْبَةٌ عِنْدَنَا لَا عِنْدَهُمْ وَأَمَّا إنْ كَانَ أَمْرًا هُوَ قُرْبَةٌ عِنْدَهُمْ لَا عِنْدَنَا.
فَإِنْ كَانَ الْمُوصَى بِهِ شَيْئًا هُوَ قُرْبَةٌ عِنْدَنَا وَعِنْدَهُمْ بِإِنْ أَوْصَى بِثُلُثِ مَالِهِ أَنْ يَتَصَدَّقَ بِهِ عَلَى فُقَرَاءِ الْمُسْلِمِينَ أَوْ عَلَى فُقَرَاءِ أَهْلِ الذِّمَّةِ، أَوْ بِعِتْقِ الرِّقَابِ، أَوْ بِعِمَارَةِ الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى وَنَحْوِ ذَلِكَ جَازَ فِي قَوْلِهِمْ جَمِيعًا؛ لِأَنَّ هَذَا مِمَّا يَتَقَرَّبُ بِهِ الْمُسْلِمُونَ وَأَهْلُ الذِّمَّةِ. (بدائع الصنائع، مكتبة زكريا- كتاب الوصايا، وصايا اهل الذمة-6/439، الفتاوى الهندية، كتاب الوصايا، الباب الثامن فى وصية الذمى والحربى-6/132، رد المحتار، كتاب الوقف، مطلب قد يثبت الوقف بالضرورة-6/524
والله اعلم بالصواب
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন