প্রশ্নঃ ৬২৩৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম, হুজুর আমার একটি জানার বিষয় আমরা ইবাদত করার সময় চার ইমামকে অনুসরণ করি, েতমিন েকারআন েতলওয়ােত ও িক েকান কারী /হাফেজ েক অনুসরণ করি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সাত কিরাআত বলতে প্রসিদ্ধ সাত জন কারীর প্রতি সম্পর্কিত কেরাআতকে বুঝায়।
আল্লাহর বাণী পবিত্র কুরআন মাজীদ পৃথক পৃথক সাত কেরাআতে নাজিল হয়েছে। রাসুল (সাঃ) বলেনঃ নিশ্চয় কুরআন মাজীদ সাত হরফে (সাতটি ভিন্ন ভিন্ন কেরআতে) নাজিল হয়েছে। এগুলো থেকে যেটি সহজ মনে হয় তাই তোমরা পড়। (বুখারী শরিফঃ ২৪১৯)
রাসূল (সাঃ) কে জিবরাইল (আঃ) বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কেরআতে কুরআন শুনাতেন। রাসূল (সাঃ) বলেছেন যে, প্রতিটি তেলাওয়াতই সয়ং সম্পুর্ণ। তাই, তিনি তার উম্মতকে যেকোন কেরআতে তেলাওয়াত করার অনুমতি দিয়েছেন। এগুলো সবই (সাত কেরাআতই) আল্লাহর পক্ষ থেকে রাসুল (সাঃ) এর উপর নাজিলকৃত এবং তার পক্ষ থেকে মুতাওয়াতির রেওয়ায়েতে আমাদের কাছে এসেছে। এগুলো সবই কুরআন এটা বিশ্বাস করা জরুরী।
যারা এ কীরাত সমূহকে প্রচার প্রসারে আত্ননিয়োগ করেছিলেন। সে সন্মানিত ব্যক্তিবর্গ হলেনঃ
১.আব্দুল্লাহ ইবনে কাসীর আল-মাক্কী।
২. নাফে ইবনে আবী নাঈম আল-মাদানী।
৩. আব্দুল্লাহ ইবনে আমের আশ-শামী।
৪. আবু আমর ইবনে আলা আল-বাসরী।
৫. আসিম বিন নুজুদ।
৬. হামযাহ বিন হাবিব আল কুফি।
৭. কাসায়ী আল-কুফী।
সাত হরফের ফলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হতে সাহাবা (রাঃ) এর মাধ্যমে যে অনুমোদিত কিরাআতগুলো চালু হয় সেগুলোর ওপর দক্ষতার ভিত্তিতে সাত জন কারী অধিক প্রসিদ্ধ হন, যদিও উনারা ছাড়াও আরো অনেক কারী বিদ্যমান ছিলেন। এই সাত জন কারীর ‘বহুল বর্ণিত বিশ্বস্ত বর্ণনাসূত্রে প্রাপ্ত’ কিরাআতসমূহ পরবর্তিতে সাত কিরাআত বলে প্রসিদ্ধি পায়।
বর্তমান সময়ে সারা পৃথিবীতে সর্বাধিক প্রসিদ্ধ কিরাআত হচ্ছে ‘হাফস’ কিরাআত। এই কিরাআত আমরা যার থেকে পেয়েছি তিনি হলেন: আসিম ইবনে (বাহলাদাহ ইবনে) আবি আন নাজুদ (রহঃ)
মক্কা মদিনাসহ ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশে এই কিরাত চলছে।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন