আল মুওয়াত্তা-ইমাম মুহাম্মাদ রহঃ

موطأ الإمام مالك برواية الإمام محمد بن الحسن الشيباني

৯- কুরবানী,জবাই ও শিকারের বিধান - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৬৩৯
- কুরবানী,জবাই ও শিকারের বিধান
একটি পশুতে কতোজন শরীক হতে পারে?
৬৩৯। রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাহাবী আবু আইউব আনসারী (রাযিঃ) বলেন, আমরা একটি বকরী কোরবানী করতাম—তা এক ব্যক্তি নিজের এবং নিজ পরিবারের পক্ষ থেকে যবেহ করতো। এরপর লোকেরা গর্ব-অহংকারে লিপ্ত হয়ে পড়ে এবং কোরবানী করাটা গর্বের বিষয়ে পরিণত হয়ে যায়।
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, দরিদ্র ব্যক্তি নিজের পক্ষ থেকে একটি বকরী কোরবানী করতো, তা নিজে খেতো এবং পরিবারের লোকদেরও খাওয়াতো। কিন্তু একটি বকরী যদি দুই অথবা তিন ব্যক্তির পক্ষ থেকে কোরবানী করা হয় তবে তা জায়েয হবে না। একটি বকরী কেবল এক ব্যক্তির পক্ষ থেকেই যবেহ করা যেতে পারে। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।
كتاب الضحايا وما يجزئ منها
بَابُ: مَا يُجْزِئُ مِنَ الضَّحَايَا عَنْ أَكْثَرَ مِنْ وَاحِدٍ
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا عُمَارَةُ بْنُ صَيَّادٍ، أَنَّ عَطَاءَ بْنَ يَسَارٍ أَخْبَرَهُ، أَنَّ أَبَا أَيُّوبَ، صَاحِبَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخْبَرَهُ، قَالَ: «كُنَّا نُضَحِّي بِالشَّاةِ الْوَاحِدَةِ يَذْبَحُهَا الرَّجُلُ عَنْهُ وَعَنْ أَهْلِ بَيْتِهِ، ثُمَّ تَبَاهَى النَّاسُ بَعْدَ ذَلِكَ، فَصَارَتْ مُبَاهَاةً» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: كَانَ الرَّجُلُ يَكُونُ مُحْتَاجًا فَيَذْبَحُ الشَّاةَ الْوَاحِدَةَ يُضَحِّي بِهَا عَنْ نَفْسِهِ، فَيَأْكُلُ وَيُطْعِمُ أَهْلَهُ، فَأَمَّا شَاةٌ وَاحِدَةٌ تُذْبَحُ عَنِ اثْنَيْنِ، أَوْ ثَلاثَةٍ أُضْحِيَةٌ فَهَذَا لا يُجْزِئُ، وَلا يَجُوزُ شَاةٌ إِلا عَنِ الْوَاحِدِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৬৪০
- কুরবানী,জবাই ও শিকারের বিধান
একটি পশুতে কতোজন শরীক হতে পারে?
৬৪০। জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হুদায়বিয়া নামক স্থানে আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর সাথে প্রতিটি উট সাত ভাগে এবং প্রতিটি গরুও সাত ভাগে কোরবানী করেছি।**
ইমাম মুহাম্মাদ (রাহঃ) বলেন, আমরা এ হাদীসের উপর আমল করি। একটি উট অথবা একটি গরু সাতজনে মিলে কোরবানী করা যেতে পারে। তারা একই পরিবারের লোক হোক অথবা বিভিন্ন পরিবারের (উভয় অবস্থায়ই তা জায়েয)। ইমাম আবু হানীফা (রাহঃ) এবং আমাদের সকল ফিকহবিদের এই মত।
كتاب الضحايا وما يجزئ منها
أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، أَخْبَرَنَا أَبُو الزُّبَيْرِ الْمَكِّيُّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ: «نَحَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِالْحُدَيْبِيَةِ الْبَدَنَةَ عَنْ سَبْعَةٍ، وَالْبَقَرَةَ عَنْ سَبْعَةٍ» ، قَالَ مُحَمَّدٌ: وَبِهَذَا نَأْخُذُ، الْبَدَنَةُ وَالْبَقَرَةُ تُجْزِئُ عَنْ سَبْعَةٍ فِي الأُضْحِيَةِ وَالْهَدْيِ مُتَفَرِّقِينَ كَانُوا، أَوْ مُجْتَمِعِينَ مِنْ أَهْلِ بَيْتٍ وَاحِدٍ، أَوْ غَيْرِهِ، وَهُوَ قَوْلُ أَبِي حَنِيفَةَ، وَالْعَامَّةِ مِنْ فُقَهَائِنَا رَحِمَهُمُ اللَّهُ
tahqiq

তাহকীক: