মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১০ টি

হাদীস নং: ৩০১
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩০১। হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, পাক-পবিত্রতা ছাড়া নামায আর নিষিদ্ধ মালের দান কবুল হয় না। —মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ مَا يُوْجِبُ الْوَضُوْءَ
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا تُقْبَلُ صَلَاةُ بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلَا صَدَقَةٌ مِنْ غُلُولٍ» . رَوَاهُ مُسلم
হাদীস নং: ৩০২
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩০২। হযরত আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি এমন ব্যক্তি ছিলাম, যার অতিরিক্ত মযি নির্গত হত; কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর কন্যা আমার গৃহে থাকার কারণে আমি তাঁর নিকট (এ সম্পর্কে কিছু) জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করতাম। এই কারণে আমি মিকদাদ (রাযিঃ)-কে এটা জিজ্ঞেস করার জন্য বললাম। সে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করল। তিনি বললেন, সে ব্যক্তি প্রথমে তার পুরুষাঙ্গ ধৌত করে তারপর অযু করবে। —বুখারী, মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ مَا يُوْجِبُ الْوَضُوْءَ
وَعَن عَليّ قَالَ: كُنْتُ رَجُلًا مَذَّاءً فَكُنْتُ أَسْتَحْيِي أَنْ أَسْأَلَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَكَانِ ابْنَتِهِ فَأَمَرْتُ الْمِقْدَادَ فَسَأَلَهُ فَقَالَ: «يَغْسِلُ ذَكَرَهُ وَيتَوَضَّأ»
হাদীস নং: ৩০৩
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩০৩। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে বলতে শুনেছি, আগুনে রান্না করা খাদ্য আহারের পর তোমরা অজু করবে। -বুখারী, মুসলিম
শায়খ মুহীউস সুন্নাহ বাগাবী (রহ) বলেন, এই হাদীসের হুকুম হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বর্ণিত হাদীস দ্বারা রহিত হয়ে গিয়েছে।
كتاب الطهارة
بَابُ مَا يُوْجِبُ الْوَضُوْءَ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «توضؤوا مِمَّا مَسَّتِ النَّارُ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

قَالَ الشَّيْخُ الإِمَام الْأَجَل محيي السّنة: هَذَا مَنْسُوخ بِحَدِيث ابْن عَبَّاس:
হাদীস নং: ৩০৪
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩০৪। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) বলেছেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বকরীর কাঁধের গোশত ভক্ষণ করলেন। তারপর নামায পড়লেন কিন্তু অজু করলেন না। -বুখারী, মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ مَا يُوْجِبُ الْوَضُوْءَ
قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَكَلَ كَتِفَ شَاةٍ ثُمَّ صلى وَلم يتَوَضَّأ
হাদীস নং: ৩০৫
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩০৫। হযরত জাবের ইবনে সামুরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করল, বকরীর গোশত খেয়ে কি আমরা অজু করব? তিনি বললেন, তোমার মন চাইলে করতে পার। আর মন না চাইলে নাও করতে পার। সে আবার জিজ্ঞেস করল, আমরা উটের গোশত খেয়ে কি অজু করব? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, হ্যাঁ, উটের গোশত আহার করে অজু করবে। সে আবার জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা কি ভেড়ার পালের অবস্থানস্থলে নামায পড়তে পারি? তিনি বললেন, হ্যাঁ, পার। পুনরায় সে জিজ্ঞেস করল, আমরা কি উটের আস্তাবলে নামায পড়তে পারি? তিনি বললেন, না। -মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ مَا يُوْجِبُ الْوَضُوْءَ
وَعَن جَابر بن سَمُرَة أَنَّ رَجُلًا سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَتَوَضَّأُ مِنْ لُحُومِ الْغَنَمِ؟ قَالَ: «إِنْ شِئْتَ فَتَوَضَّأْ وَإِنْ شِئْتَ فَلَا تَتَوَضَّأْ» . قَالَ أَنَتَوَضَّأُ مِنْ لُحُومِ الْإِبِلِ؟ قَالَ: «نَعَمْ فَتَوَضَّأْ مِنْ لُحُومِ الْإِبِلِ» قَالَ: أُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ قَالَ: «نَعَمْ» قَالَ: أُصَلِّي فِي مبارك الْإِبِل؟ قَالَ: «لَا» . رَوَاهُ مُسلم
হাদীস নং: ৩০৬
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩০৬। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ তার পেটের মধ্যে বায়ু অনুভব করে এবং পেটের মধ্য হতে কিছু বের হল নাকি এইরূপ সন্দেহ হয়, তখন সে যেন কোনরূপ শব্দ না শোনা পর্যন্ত বা কোনরূপ দুর্গন্ধ না পাওয়া পর্যন্ত মসজিদ হতে বের না হয়। -মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ مَا يُوْجِبُ الْوَضُوْءَ
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا وَجَدَ أَحَدُكُمْ فِي بَطْنِهِ شَيْئًا فَأَشْكَلَ عَلَيْهِ أَخَرَجَ مِنْهُ شَيْءٌ أَمْ لَا فَلَا يَخْرُجَنَّ مِنَ الْمَسْجِدِ حَتَّى يَسْمَعَ صَوْتًا أَوْ يَجِدَ رِيحًا» . رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩০৭
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩০৭। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দুধ পান করতঃ কুলি করে বললেন, দুধের মধ্যে চর্বি থাকে (তাই কুলি করা উত্তম।) —বুখারী, মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ مَا يُوْجِبُ الْوَضُوْءَ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَرِبَ لَبَنًا فَمَضْمَضَ وَقَالَ: «إِنَّ لَهُ دسما»
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩০৮
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩০৮। হযরত বুরাইদাহ আসলামী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) মক্কা বিজয়ের দিন এক অজু দ্বারা কয়েক ওয়াক্ত নামায পড়লেন এবং নিজ মোজার উপর মাসেহ করলেন। তা দেখে হযরত উমর (রাযিঃ) তাঁকে বললেন, আজ আপনি এমন একটি কাজ করলেন যা পূর্বে কখনও করেন নি। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, উমর! আমি তা ইচ্ছাকৃতই করেছি। -মুসলিম
كتاب الطهارة
بَابُ مَا يُوْجِبُ الْوَضُوْءَ
وَعَنْ بُرَيْدَةَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَلَّى الصَّلَوَات يَوْم الْفَتْح بِوضُوء وَاحِد وَمسح عل خُفَّيْهِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ: لَقَدْ صَنَعْتَ الْيَوْمَ شَيْئًا لَمْ تَكُنْ تَصْنَعُهُ فَقَالَ: «عَمْدًا صَنَعْتُهُ يَا عمر» . رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩০৯
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. প্রথম অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩০৯। হযরত সুওয়াইদ ইবনে নু'মান (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি খায়বার যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সাথে গমন করেছিলেন। তারা যখন খায়বারের অতি নিকটবর্তী ছাহবা নামক স্থানে পৌঁছলেন তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (সকলকে নিয়ে) আছরের নামায আদায় করতঃ খাবার দ্রব্য চাইলেন; কিন্তু ছাতু ছাড়া আর কিছুই ছিল না। তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা পানি দ্বারা ভিজাতে আদেশ করলেন; সুতরাং তা পানি দ্বারা তরল করতঃ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আহার করলেন। আমরাও আহার করলাম। এর পর তিনি মাগরিবের নামায পড়তে দাঁড়ালেন। অতঃপর কুলি করলেন এবং আমরাও কুলি করলাম। এরপর তিনি নামায পড়লেন। কিন্তু অজু করলেন না।
كتاب الطهارة
بَابُ مَا يُوْجِبُ الْوَضُوْءَ
وَعَن سُوَيْد ابْن النُّعْمَان: أَنَّهُ خَرَجَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَامَ خَيْبَرَ حَتَّى إِذَا كَانُوا بالصهباء وَهِي أَدْنَى خَيْبَرَ صَلَّى الْعَصْرَ ثُمَّ دَعَا بِالْأَزْوَادِ فَلَمْ يُؤْتَ إِلَّا بِالسَّوِيقِ فَأَمَرَ بِهِ فَثُرِيَ فَأَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَكَلْنَا ثُمَّ قَامَ إِلَى الْمَغْرِبِ فَمَضْمَضَ وَمَضْمَضْنَا ثمَّ صلى وَلم يتَوَضَّأ. رَوَاهُ البُخَارِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩১০
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩১০। হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, (বাযু নিঃসরণের শব্দ বা (তার) গন্ধ ব্য্তীত (নতুন) অজুর প্রয়ােজন নেই। -আহমেদ, তিরমিযী
كتاب الطهارة
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا وُضُوءَ إِلَّا مِنْ صَوْتٍ أَوْ رِيحٍ» . رَوَاهُ أَحْمد وَالتِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক: