মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৪- পাক-পবিত্রতার অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৪ টি

হাদীস নং: ৩১৮
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩১৮। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই অজু তার উপর ওয়াজিব, যে শুয়ে কাত হয়ে ঘুমিয়েছে। কারণ কেউ কাত হয়ে ঘুমালে তার শরীরের বন্ধন ঢিলা হয়ে যায়। -তিরমিযী, আবু দাউদ
كتاب الطهارة
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الْوُضُوءَ عَلَى مَنْ نَامَ مُضْطَجِعًا فَإِنَّهُ إِذَا اضْطَجَعَ اسْتَرْخَتْ مفاصله. رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَأَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩১৯
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩১৯। সাহাবী হযরত বুসরা বিনতে ছাফওয়ান (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ইরশাদ করেছেন,* তোমাদের কেউ যখন পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করবে তখন সে যেন অজু করে। -মালেক, আহমদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ, দারেমী

*পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করায় অজু ভঙ্গ হওয়াব ব্যাপাবে উলামায়ে কিরামের মতভেদ রয়েছে।
(১) ইমাম শাফেয়ী, ইমাম মালিক ও ইমাম আহমদ (রহ) এর এক মতে কোনো আবরণ ছাড়া পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে অজু ভঙ্গ হয়ে যাবে। তাদের দলীল উল্লিখিত হাদীস।
(২) ইমাম আজম আবু হানিফা (বহ) এর মতে কোনো অবস্থাতেই পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করলে অজু বিনষ্ট হবে না। দলীলঃ হযরত ত্বালাক বিন আলী হতে বর্ণিত হাদীস যা নিম্নে পেশ করা হলঃ
عن طلق بن علي رضي الله عنه قال شيل رسول الله صلى الله عليه وسلم عن من الرجل ذكرة بعدما يتوضأقال وهل هو إلا بضعة منه অর্থাৎ হযরত ত্বালাক ইবন আলী (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) কে জিজ্ঞেস করা হলো, অজু করার পর পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করা সম্পর্কে। রাসূল (ﷺ) উত্তরে বললেন- ওটাতো তার একটি টুকরো। হযরত ইমাম তাহাবী (রহ) বলেন, হযবত ত্বালক্ব (রাযিঃ)-এর হাদীস বুসরাব হাদীস হতে অধিকতর নির্ভরযোগ্য।
كتاب الطهارة
وَعَن بسرة قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا مَسَّ أَحَدُكُمْ ذَكَرَهُ فَلْيَتَوَضَّأْ» . رَوَاهُ مَالِكٌ وَأَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَه والدارمي
হাদীস নং: ৩২০
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩২০। হযরত তালক ইবনে আলী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, কোন ব্যক্তির অজু করার পর পুরুষাঙ্গ স্পর্শ করা সম্পর্কে (হুকুম কি)? তিনি বললেন, তা তো তারই একটি টুকরো? (অর্থাৎ তা স্পর্শ করলে অজু ভঙ্গ হবে না)। -আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী
শায়খ মুহীউস সুন্নাহ বলেন যে, তালকের হাদীসটি মনসুখ (রহিতকৃত)। কেননা হযরত আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) তালকের মদীনা আসার পরপরেই মুসলমান হয়েছেন।
كتاب الطهارة
وَعَن طلق بن عَليّ قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ مَسِّ الرَّجُلِ ذَكَرَهُ بَعْدَمَا يَتَوَضَّأُ. قَالَ: «وَهَلْ هُوَ إِلَّا بَضْعَةٌ مِنْهُ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَرَوَى ابْنُ مَاجَهْ نَحوه قَالَ الشَّيْخُ الْإِمَامُ مُحْيِي السُّنَّةِ رَحِمَهُ اللَّهُ: هَذَا مَنْسُوخٌ لِأَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ أَسْلَمَ بَعْدَ قدوم طلق
হাদীস নং: ৩২১
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩২১। আর আবু হুরায়রাহ (রাযিঃ) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) হতে বর্ণনা করেছেন, তিনি ইরশাদ করেছেন, যখন তোমাদের কেউ তার পুরুষাঙ্গের দিকে হাত বাড়াবে এবং হাত ও পুরুষাঙ্গের মাঝে কাপড় বা অন্যকিছু থাকবে না, তখন সে যেন অজু করে। —শাফেয়ী, দারা কুতনী
كتاب الطهارة
وَقد روى أَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ الله صلى الله عَلَيْهِ وَسلم: عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِذَا أَفْضَى أَحَدُكُمْ بِيَدِهِ إِلَى ذَكَرِهِ لَيْسَ بَيْنَهُ وَبَيْنَهَا شَيْءٌ فَلْيَتَوَضَّأْ» . رَوَاهُ الشَّافِعِيُّ والدراقطني
হাদীস নং: ৩২২
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩২২। নাসায়ী (রহঃ) বুসরাহ্ (রাঃ)থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন, তবে তিনি ’’হাত ও পুরুষাঙ্গের মধ্যে কোন আবরণ নেই’’- এ শব্দগুলো বর্ণনা করেননি।
كتاب الطهارة
وَرَوَاهُ النَّسَائِيُّ عَنْ بُسْرَةَ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يذكر: «لَيْسَ بَينه بَينهَا شَيْء»
হাদীস নং: ৩২৩
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩২৩। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর কোন স্ত্রীকে (আয়েশা রাঃ) চুম্বন করে নামায পড়তেন অথচ অজু করতেন না। -আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ
ইমাম তিরমিযী (রহ) বলেন, আমাদের হাদীস শাস্ত্র বিশারদদের মতে হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে ওরওয়ার অথবা ইবরাহীম তাইমীর বর্ণনা কোনো অবস্থাতেই বিশুদ্ধ হতে পারে না। আর ইমাম আবু দাউদ (রহ) বলেছেন, এটা মুরসাল হাদীস, আর হযরত ইবরাহীম তাইমী হযরত আয়েশা (রাযিঃ) হতে শুনেননি।
كتاب الطهارة
وَعَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُقَبِّلُ بَعْضَ أَزْوَاجِهِ ثُمَّ يُصَلِّي وَلَا يَتَوَضَّأُ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالتِّرْمِذِيُّ وَالنَّسَائِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: لَا يَصِحُّ عِنْدَ أَصْحَابِنَا بِحَالٍ إِسْنَادُ عُرْوَةَ عَنْ عَائِشَةَ وَأَيْضًا إِسْنَادُ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ عَنْهَا

وَقَالَ أَبُو دَاوُدَ: هَذَا مُرْسل وَإِبْرَاهِيم التَّيْمِيّ لم يسمع من عَائِشَة
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২৪
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩২৪। হযরত ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, একবার রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (ছাগলের) কাঁধের গোশত আহার করলেন। অতঃপর তাঁর হাত তাঁর পায়ের তলায় মুছে নিয়ে নামাযে দাঁড়ালেন এবং নামায পড়ালেন। -আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ
كتاب الطهارة
وَعَن ابْن عَبَّاس قَالَ: أَكَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَتِفًا ثُمَّ مَسَحَ يَده بِمِسْحٍ كَانَ تَحْتَهُ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد وَابْن مَاجَه وَأحمد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২৫
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩২৫। উম্মুল মু'মিনীন হযরত উম্মে সালামা (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর সামনে পাঁজরের ভুনা গোশত পেশ করলাম। তিনি তার কিছু খেয়ে নামায পড়তে দাঁড়িয়ে গেলেন। অথচ (নতুন) অজু করলেন না। -আহমদ
كتاب الطهارة
وَعَن أم سَلمَة أَنَّهَا قَالَتْ: قَرَّبْتُ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَنْبًا مَشْوِيًّا فَأَكَلَ مِنْهُ ثُمَّ قَامَ إِلَى الصَّلَاةِ وَلَمْ يَتَوَضَّأْ. رَوَاهُ أَحْمَدُ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২৬
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩২৬। হযরত আবু রাফে' (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর জন্য বকরীর পেটের গোশত ভুনা করে দিতাম এবং তিনি তা খেয়ে নামায পড়তেন অথচ অজু করতেন না। -মুসলিম
كتاب الطهارة
عَن أبي رَافع قَالَ: أَشْهَدُ لَقَدْ كُنْتُ أَشْوِي لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَطْنَ الشَّاةِ ثُمَّ صلى وَلم يتَوَضَّأ. رَوَاهُ مُسلم
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২৭
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩২৭। হযরত আবু রাফে' (রাযিঃ) বলেন, একদা তাকে বকরী হাদিয়া দেওয়া হল। তিনি তা (পাক করে) ডেকচিতে রাখলেন। এমন সময় রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এসে বললেন, ডেকচিতে আবু রাফে' এগুলো কি? তিনি বললেন, একটি বকরী আমাদেরকে হাদিয়া দেয়া হয়েছে ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বললেন, আমাকে তার একটি বাহু দাও হে আবু রাফে। তখন আমি তাঁকে একটি বাহু দিলাম। এর পর তিনি আবার বললেন, আমাকে আর একটি বাহু দাও। তখন আমি তাঁকে আর একটি বাহু দিলাম। এর পর তিনি পুনরায় বললেন, আমাকে আরও একটি বাহু দাও! তখন আবু রাফে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! একটি বকরীর বাহুতো মাত্র দুটিই হয়। রাসূলে পাক (ﷺ) বললেন, আহা। তুমি যদি চুপ থাকতে তাহলে আমাকে একটার পর একটা বাহু দিতে পারতে যখন পর্যন্ত তুমি চুপ থাকতে। এর পর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) পানি চেয়ে কুলি করলেন এবং তার অঙ্গুলিসমূহের মাথা ধুয়ে ফেললেন। এর পর নামাযের জন্য দাঁড়িয়ে নামায আদায় করলেন। (অথচ অজু করলেন না) এর পর তিনি তাদের নিকট পুনরায় ফিরে এলেন। (তখন) তিনি তাদের কাছে ঠাণ্ডা গোশত পেলেন। তিনি তা ভক্ষণ করলেন। তারপর মসজিদে প্রবেশ করে নামায পড়লেন কিন্তু পানি স্পর্শ করলেন না। -আহমদ, দারেমী
كتاب الطهارة
وَعَنْهُ قَالَ: أُهْدِيَتْ لَهُ شَاةٌ فَجَعَلَهَا فِي الْقِدْرِ فَدَخَلَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ مَا هَذَا يَا أَبَا رَافِعٍ فَقَالَ شَاةٌ أُهْدِيَتْ لَنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ فَطَبَخْتُهَا فِي الْقِدْرِ قَالَ نَاوِلْنِي الذِّرَاعَ يَا أَبَا رَافِعٍ فَنَاوَلْتُهُ الذِّرَاعَ ثُمَّ قَالَ نَاوِلْنِي الذِّرَاعَ الْآخَرَ فَنَاوَلْتُهُ الذِّرَاعَ الْآخَرَ ثُمَّ قَالَ ناولني الذِّرَاع الآخر فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّمَا لِلشَّاةِ ذِرَاعَانِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَا إِنَّكَ لَوْ سَكَتَّ لَنَاوَلْتَنِي ذِرَاعًا فَذِرَاعًا مَا سَكَتُّ ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ فَتَمَضْمَضَ فَاهُ وَغَسَلَ أَطْرَافَ أَصَابِعِهِ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى ثُمَّ عَادَ إِلَيْهِمْ فَوَجَدَ عِنْدَهُمْ لَحْمًا بَارِدًا فَأَكَلَ ثُمَّ دَخَلَ الْمَسْجِدَ فَصَلَّى وَلَمْ يَمَسَّ مَاءً. رَوَاهُ أَحْمد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২৮
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩২৮। ইমাম দারিমী (রহঃ) আবু উবায়দ (রাঃ)হতে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, কিন্তু ’’তিনি (ﷺ) পানি চাইলেন হতে শেষ পর্যন্ত’’ বর্ণনা করেননি।
كتاب الطهارة
وَرَوَاهُ الدَّارِمِيُّ عَنْ أَبِي عُبَيْدٍ إِلَّا أَنَّهُ لَمْ يَذْكُرْ: ثُمَّ دَعَا بِمَاءٍ إِلَى آخِرِهِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩২৯
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩২৯। হযরত আনাস ইবনে মালেক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আমি, উবাই ইবনে কা'ব ও আবু তালহা একস্থানে বসে গোশত ও রুটি ভক্ষণ করলাম। তারপর আমি অজুর পানি চাইলাম। তাতে তারা দু'জন বললেন, অজু করবে কেন? আমি বললাম, এই খানার জন্য, যা আমরা খেলাম। তারা বললেন, পাক পবিত্র বস্তু খেয়েও কি অজু করবে? অথচ তোমার তুলনায় বহুগুণে উত্তম ব্যক্তিও তো (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ (ﷺ)) খানা খেয়ে অজু করেন নি। -আহমদ
كتاب الطهارة
وَعَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: كُنْتُ أَنَا وَأَبِي وَأَبُو طَلْحَةَ جُلُوسًا فَأَكَلْنَا لَحْمًا وَخُبْزًا ثُمَّ دَعَوْتُ بِوَضُوءٍ فَقَالَا لِمَ تَتَوَضَّأُ فَقُلْتُ لِهَذَا الطَّعَامِ الَّذِي أَكَلْنَا فَقَالَا أَتَتَوَضَّأُ مِنَ الطَّيِّبَاتِ لَمْ يَتَوَضَّأْ مِنْهُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْك. رَوَاهُ أَحْمد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩০
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩৩০। হযরত ইবনে উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলতেন, কারো তার স্ত্রীকে চুম্বন করা বা হাত দ্বারা স্পর্শ করা “লমস" (সহবাসের অন্তর্ভুক্ত); সুতরাং যে তার স্ত্রীকে চুম্বন করবে বা হাত দ্বারা স্পর্শ করবে তার প্রতি অজু করা ওয়াজিব। -মালেক, শাফেয়ী
كتاب الطهارة
وَعَن ابْن عمر كَانَ يَقُولُ: قُبْلَةُ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ وَجَسُّهَا بِيَدِهِ مِنَ الْمُلَامَسَةِ. وَمَنْ قَبَّلَ امْرَأَتَهُ أَوْ جَسَّهَا بِيَدِهِ فَعَلَيهِ الْوضُوء. رَوَاهُ مَالك وَالشَّافِعِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩৩১
- পাক-পবিত্রতার অধ্যায়
১. তৃতীয় অনুচ্ছেদ - যে কারণে উযূ করা ওয়াজিব হয়
৩৩১। হযরত ইবনে মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলতেন, নিশ্চয়ই স্ত্রীকে চুম্বন করার কারণে তাকে অজু করতে হবে। -মালেক
كتاب الطهارة
وَعَن ابْن مَسْعُود كَانَ يَقُولُ: مِنْ قُبْلَةِ الرَّجُلِ امْرَأَتَهُ الْوُضُوءُ. رَوَاهُ مَالك
tahqiq

তাহকীক: