মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২৮- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫৪৫৪
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের আলামত
৫৪৫৪। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মাহ্দী হইবেন আমার বংশের, উজ্জ্বল চেহারা, উঁচু নাকবিশিষ্ট। তিনি ন্যায় ও ইন্‌সাফ দ্বারা যমীনকে এমনভাবে পরিপূর্ণ করিয়া দিবেন যেমনিভাবে তৎপূর্বে উহা যুলম ও অত্যাচারে পরিপূর্ণ ছিল। আর তিনি সাত বৎসর ক্ষমতার মালিক থাকিবেন। –আবু দাউদ
كتاب الفتن
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمَهْدِيُّ مِنِّي أجلى الْجَبْهَة وأقنى الْأَنْفِ يَمْلَأُ الْأَرْضَ قِسْطًا وَعَدْلًا كَمَا مُلِئَتْ ظُلْمًا وَجَوْرًا يَمْلِكُ سَبْعَ سِنِينَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৪৫৫
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের আলামত
৫৪৫৫। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) ইমাম মাহদীর ঘটনা প্রসঙ্গে বলিয়াছেনঃ জনৈক ব্যক্তি তাঁহার নিকট আসিয়া বলিবে, হে মাহ্দী! আমাকে কিছু দান করুন! আমাকে কিছু দান করুন। নবী (ﷺ) বলিয়াছেন; তখন তিনি তাহাকে নিজের হাতের অঞ্জলি ভরিয়া তাহার কাপড়ের মধ্যে এই পরিমাণ মাল প্রদান করিবেন, যেই পরিমাণ সে বহন করিয়া লইয়া যাইতে পারে। —তিরমিযী
كتاب الفتن
وَعَنْهُ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي قِصَّةِ الْمَهْدِيِّ قَالَ: فَيَجِيءُ إِلَيْهِ الرَّجُلُ فَيَقُولُ: يَا مَهْدِيُّ أَعْطِنِي أَعْطِنِي. قَالَ: فَيَحْثِي لَهُ فِي ثَوْبِهِ مَا اسْتَطَاعَ أَنْ يَحْمِلَهُ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৪৫৬
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের আলামত
৫৪৫৬। হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ (শেষ যমানায়) একজন খলীফার মৃত্যুর সময় (নেতৃস্থানীয়) লোকদের মধ্যে (আর একজন খলীফা নিযুক্তির ব্যাপারে) মতবিরোধ দেখা দিবে। তখন মদীনা হইতে এক ব্যক্তি বাহির হইয়া মক্কার দিকে ছুটিয়া পলায়ন করিবে। এই সময় মক্কাবাসীগণ তাহার নিকট আসিয়া তাহাকে জোরপূর্বক ঘর হইতে বাহির করিয়া আনিবে। কিন্তু সে তাহা পছন্দ করিবে না। (প্রকৃতপক্ষে ইনি হইলেন মাহ্দী; তিনি ফিতনা অথবা নেতৃত্বের ভয়ে পলায়ন করিবেন, কিন্তু তাঁহার কর্মকাণ্ডে এবং চেহারার নূরানী জ্যোতিময় আলোকে লোকেরা চিনিয়া ফেলিবে যে, ইনি ইমাম মাহ্দী।) অতঃপর হাজারে আওয়াদ ও মাকামে ইবরাহীমের মধ্যবর্তী স্থানে লোকেরা তাঁহার কাছে বাইআত গ্রহণ করিবে। ইহার পর সিরিয়া হইতে একটি সৈন্যবাহিনী তাঁহার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য প্রেরণ করা হইবে। কিন্তু মক্কা ও মদীনার মধ্যবর্তী 'বাইদা' নামক স্থানে তাহাদিগকে ভূগর্ভে পুঁতিয়া ফেলা হইবে। অতঃপর যখন চতুর্দিকে এই খবর ছড়াইয়া পড়িবে এবং লোকেরা চাক্ষুষ এই অবস্থা দেখিতে পাইবে, তখন সিরিয়ার আব্দালগণ এবং ইরাকের এক বিরাট জামাত তাঁহার নিকট আসিবে এবং তাঁহার হাতে বাইআত করিবে। অতঃপর কুরাইশের এক ব্যক্তি—যাহার মামার বংশ হইবে 'বনুকালব', সেও ইমামের বিরুদ্ধে একদল সৈন্য পাঠাইবে। ইমামের সেনাবাহিনী তাহাদের উপর বিজয়ী হইবে। ইহাই 'ফিতনায়ে কালব'। ইমাম মানুষের মধ্যে তাহাদের পয়গাম্বর [মুহাম্মাদ (ﷺ)]-এর সুন্নত মোতাবেক কাজ কর্ম পরিচালনা করিবেন এবং পৃথিবীতে ইসলাম পুরাপুরিভাবে প্রতিষ্ঠিত হইবে। তিনি সাত বৎসর এই অবস্থায় অবস্থান করিবেন। অতঃপর ইন্তেকাল করিবেন এবং মুসলমানগণ তাঁহার জানাযা পড়িবেন।—আবু দাউদ
كتاب الفتن
وَعَنْ أُمِّ سَلَمَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَكُونُ اخْتِلَافٌ عِنْدَ مَوْتِ خَلِيفَةٍ فَيَخْرُجُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْمَدِينَةِ هَارِبًا إِلى مكةَ فيأتيه الناسُ من أهل مَكَّة فيخرجوه وَهُوَ كَارِه فيبايعونه بَين الرُّكْن وَالْمقَام يبْعَث إِلَيْهِ بَعْثٌ مِنَ الشَّامِ فَيُخْسَفُ بِهِمْ بِالْبَيْدَاءِ بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِينَةِ فَإِذَا رَأَى النَّاسُ ذَلِكَ أَتَاهُ أَبْدَالُ الشَّامِ وَعَصَائِبُ أَهْلِ الْعِرَاقِ فَيُبَايِعُونَهُ ثُمَّ يَنْشَأُ رَجُلٌ مِنْ قُرَيْشٍ أَخْوَالُهُ كَلْبٌ فَيَبْعَثُ إِلَيْهِمْ بَعْثًا فَيَظْهَرُونَ عَلَيْهِمْ وَذَلِكَ بَعَثُ كلب وَيعْمل النَّاسِ بِسُنَّةِ نَبِيِّهِمْ وَيُلْقِي الْإِسْلَامُ بِجِرَانِهِ فِي الْأَرْضِ فَيَلْبَثُ سَبْعَ سِنِينَ ثُمَّ يُتَوَفَّى وَيُصَلِّي عَلَيْهِ الْمُسلمُونَ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৫৪৫৭
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের আলামত
৫৪৫৭। হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বালা-মুছিবতের কথা আলোচনা করিলেন, যাহা এই উম্মতের শেষ যমানায় আসিয়া পৌঁছিবে। এমন কি কোন ব্যক্তি উহা হইতে আশ্রয়স্থল খুঁজিয়া পাইবে না। এই সময় আল্লাহ্ পাক আমার খান্দান ও আমার পরিবার হইতে এক ব্যক্তিকে দুনিয়াতে প্রেরণ করিবেন। তিনি ন্যায় ও ইনসাফ দ্বারা যমীনকে এমনিভাবে পরিপূর্ণ করিয়া দিবেন যেমনিভাবে উহা ইতিপূর্বে যুলম ও অত্যাচারে পরিপূর্ণ ছিল। তাঁহার কার্যকলাপে আসমান ও যমীনের অধিবাসী সকলেই সন্তুষ্ট হইয়া যাইবে। আকাশ তাহার এক ফোঁটা পানিও অবশিষ্ট রাখিবে না; বরং ব্যাপকভাবে বৃষ্টি বর্ষণ করিবে এবং যমীন তাহার উৎপাদনের কিছুই অবশিষ্ট রাখিবে না; বরং সমস্তই বাহির করিয়া দিবে। (তাঁহার যুগে সম্পদের এই প্রাচুর্য ও সচ্ছলতা দেখিয়া) জীবিত লোকেরা মৃতব্যক্তিদের সম্পর্কে আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করিবে (কতই না উত্তম হইত যদি তাহারাও এই সময় জীবিত থাকিত।) এই অবস্থায় লোকেরা সাত অথবা আট অথবা নয় বৎসর জীবন যাপন করিবে।
كتاب الفتن
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ قَالَ: ذَكَرَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «بَلَاءً يُصِيبُ هَذِهِ الْأُمَّةَ حَتَّى لَا يَجِدَ الرَّجُلُ مَلْجَأً يَلْجَأُ إِلَيْهِ مِنَ الظُّلْمِ فَيَبْعَثُ اللَّهُ رَجُلًا مِنْ عِتْرَتِي وَأَهْلِ بَيْتِي فَيَمْلَأُ بِهِ الْأَرْضَ قِسْطًا وَعَدْلًا كَمَا مُلِئَتْ ظُلْمًا وَجَوْرًا يَرْضَى عَنْهُ سَاكِنُ السَّمَاءِ وَسَاكِنُ الْأَرْضِ لَا تَدَعُ السَّمَاءُ مِنْ قَطْرِهَا شَيْئًا إِلَّا صَبَّتْهُ مِدْرَارًا وَلَا تَدَعُ الْأَرْضُ مِنْ نَبَاتِهَا شَيْئًا إِلَّا أَخْرَجَتْهُ حَتَّى يَتَمَنَّى الْأَحْيَاءُ الْأَمْوَاتَ يَعِيشُ فِي ذَلِكَ سبعَ سِنِين أَو ثمانَ سِنِين أَو تسع سِنِين» . رَوَاهُ
হাদীস নং: ৫৪৫৮
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের আলামত
৫৪৫৮। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ (শেষ যমানায়) নহরের ঐ প্রাপ্ত (তথা বুখারা ও সমরকন্দ প্রভৃতি স্থান) হইতে এক ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটিবে, যিনি 'হারেসে হাররাস' নামে পরিচিত হইবেন (হাররাস অর্থ কৃষক বা চাষী)। তাহার সেনাবাহিনীর অগ্রভাগে, 'মনসূর' নামে এক ব্যক্তি থাকিবেন। তিনি হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর পরিবার-পরিজনকে (বিশেষভাবে ইমাম মাহ্দীকে) এমনভাবে আশ্রয় দান করিবেন যেমনভাবে আশ্রয় দিয়াছিল কুরাইশগণ রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে। তখন সমস্ত ঈমানদারের উপর তাঁহাকে (হারেস অথবা মনসূরকে সাহায্য করা কিংবা হুযূর (ﷺ) বলিয়াছেন, তাঁহার আহ্বানে সাড়া দেওয়া ওয়াজিব হইয়া যাইবে। —আবু দাউদ
كتاب الفتن
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يَخْرُجُ رَجُلٌ مِنْ وَرَاءِ النَّهْرِ يُقَالُ لَهُ: الْحَارِثُ حَرَّاثٌ عَلَى مُقَدِّمَتِهِ رَجُلٌ يُقَالُ لَهُ: مَنْصُورٌ يُوَطِّنُ أَوْ يُمَكِّنُ لِآلِ مُحَمَّدٍ كَمَا مَكَّنَتْ قُرَيْشٌ لِرَسُولِ اللَّهِ وَجَبَ عَلَى كُلِّ مُؤْمِنٍ نَصْرُهُ - أَوْ قَالَ: إِجَابَتُهُ - . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ
হাদীস নং: ৫৪৫৯
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের আলামত
৫৪৫৯। হযরত আবু সাঈদ খুদ্রী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সেই মহান সত্তার কসম যাঁহার হাতে আমার প্রাণ! সেই সময় পর্যন্ত কিয়ামত কায়েম হইবে না যেই পর্যন্ত না পশু মানুষের সহিত কথা বলিবে এবং যেই পর্যন্ত না কাহারও চাবুক তাহার সাথে কথা বলিবে এবং তাহার জুতার ফিতা তাহার সাথে কথা বলিবে। আর তাহার উরু (রান) তাহাকে জানাইয়া দিবে যে, তাহার অনুপস্থিতিতে তাহার স্ত্রী কি (কুকর্ম) করিয়াছে। —তিরমিযী
كتاب الفتن
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَا تَقُومُ السَّاعَةُ حَتَّى تُكَلِّمَ السِّبَاعُ الْإِنْسَ وَحَتَّى تُكَلِّمَ الرَّجُلَ عَذَبَةُ سَوْطِهِ وَشِرَاكُ نَعْلِهِ وَيُخْبِرَهُ فَخِذُهُ بِمَا أَحْدَثَ أَهْلُهُ بَعْدَهُ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৪৬০
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের আলামত
৫৪৬০। হযরত আবু কাতাদাহ্ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের নিদর্শনসমূহ দুই শত বৎসর পর হইতে প্রকাশ হইতে থাকিবে। —ইবনে মাজাহ্
كتاب الفتن
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ
عَنْ أَبِي قَتَادَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْآيَاتُ بَعْدَ الْمِائَتَيْنِ . رَوَاهُ ابْن مَاجَه
হাদীস নং: ৫৪৬১
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের আলামত
৫৪৬১। হযরত সওবান (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যখন তুমি খোরাসানের দিক হইতে কাল পতাকাবাহী ফৌজ আসিতে দেখিবে, তখন তাহাদিগকে অভ্যর্থনা জানাইবে। কেননা, উহার মধ্যে আল্লাহর খলীফা মাহদী থাকিবেন। —আমদ ও বায়হাকী দালায়েল গ্রন্থে
كتاب الفتن
وَعَنْ ثَوْبَانَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِذَا رَأَيْتُمُ الرَّايَاتِ السُّودَ قَدْ جَاءَتْ مِنْ قِبَلِ خُرَاسَانَ فَأْتُوهَا فَإِنَّ فِيهَا خَلِيفَةَ اللَّهِ الْمَهْدِيَّ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالْبَيْهَقِيُّ فِي «دَلَائِل النبوَّة»
হাদীস নং: ৫৪৬২
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - কিয়ামতের আলামত
৫৪৬২। হযরত আবু ইসহাক (রঃ) বলেন, একদা হযরত আলী (রাঃ) স্বীয় পুত্র হাসান (রাঃ)-এর প্রতি তাকাইয়া বলিলেন, নিশ্চয় আমার এই পুত্র একজন সরদার। যেমন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাকে সরদার বলিয়া আখ্যায়িত করিয়াছেন। অদূর ভবিষ্যতে তাহার ঔরসে এমন এক ব্যক্তির আবির্ভাব ঘটিবে, যাহার নাম হইবে তোমাদের নবীর নামানুসারে। তিনি হইবেন তাঁহার (নবীর) চরিত্রের সদৃশ, কিন্তু চেহারা ও শারীরিক গঠনে তাঁহার সদৃশ হইবেন না। অতঃপর হযরত আলী (রাঃ) উক্ত ব্যক্তির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত ঘটনা বর্ণনা করিয়া বলিয়াছেন, তিনি ন্যায় ও ইন্‌সাফ দ্বারা গোটা ভূপৃষ্ঠকে পরিপূর্ণ করিয়া দিবেন। —আবু দাউদ। তবে আবু দাউদ তাঁহার রেওয়ায়তে সংশ্লিষ্ট বিস্তারিত ঘটনাটি বর্ণনা করেন নাই।
كتاب الفتن
وَعَن أبي إِسحاق قَالَ: قَالَ عَلِيٌّ وَنَظَرَ إِلَى ابْنِهِ الْحَسَنِ قَالَ: إِنَّ ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ كَمَا سَمَّاهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَسَيَخْرُجُ مِنْ صُلْبِهِ رَجُلٌ يُسَمَّى بِاسْمِ نَبِيِّكُمْ يُشْبِهُهُ فِي الْخَلْقِ - ثُمَّ ذَكَرَ قِصَّةَ - يَمْلَأُ الْأَرْضَ عَدْلًا. رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَلَمْ يَذْكُرِ الْقِصَّةَ
tahqiq

তাহকীক: