রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ
رياض الصالحين من كلام سيد المرسلين
৩. আহার-পানীয় গ্রহণের আদব - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ২০ টি
হাদীস নং: ৭২৭
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
তৃতীয় ভাগ : খাওয়ার আদব
পরিচ্ছেদ : ১ খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা
পরিচ্ছেদ : ১ খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা
খাওয়ার তিনটি আদব
হাদীছ নং: ৭২৭
হযরত উমর ইবন আবূ সালামা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, বিসমিল্লাহ বলো, ডান হাতে খাও এবং তোমার কাছে যা আছে তা থেকে খাও। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৫৩৭৬; সহীহ মুসলিম: ২০২২; সুনানে ইবন মাজাহ ৩২৬৭; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা : ৬৬২৬; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪৪৪১; মুসনাদে আবূ দাউদ তয়ালিসী: ১৪৫৫; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার ১৫৮; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৮২৯৮)
হাদীছ নং: ৭২৭
হযরত উমর ইবন আবূ সালামা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, বিসমিল্লাহ বলো, ডান হাতে খাও এবং তোমার কাছে যা আছে তা থেকে খাও। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৫৩৭৬; সহীহ মুসলিম: ২০২২; সুনানে ইবন মাজাহ ৩২৬৭; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা : ৬৬২৬; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪৪৪১; মুসনাদে আবূ দাউদ তয়ালিসী: ১৪৫৫; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার ১৫৮; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৮২৯৮)
كتاب أدب الطعام
كتاب أدب الطعام
باب التسمية في أوله والحمد في آخره
باب التسمية في أوله والحمد في آخره
727 - وعن عُمَرَ بنِ أبي سَلمة رضي الله عنهما، قَالَ: قَالَ لي رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «سَمِّ اللهَ، وَكُلْ بِيَمِينكَ، وكُلْ مِمَّا يَليكَ». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭২৮
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
১ খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা
খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ না বলা হলে
হাদীছ নং: ৭২৮
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন খাবে, তখন যেন আল্লাহ তা'আলার নাম নেয়। যদি শুরুতে আল্লাহ তা'আলার নাম নিতে ভুলে যায় তবে যেন বলে- بِسْمِ الله أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ (এর শুরুতে এবং শেষে আল্লাহর নামে)। -আবূ দাউদ ও তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ১৮৫৮; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৭; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ১৬৭১; মুসনাদে ইসহাক ইবন রাহুয়াহ: ১২৮৮; সুনানে দারিমী ২০৬৩; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৭১৫৩; সহীহ ইবনে হিব্বান ৫২১৪; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৭০৮৭)
হাদীছ নং: ৭২৮
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যখন খাবে, তখন যেন আল্লাহ তা'আলার নাম নেয়। যদি শুরুতে আল্লাহ তা'আলার নাম নিতে ভুলে যায় তবে যেন বলে- بِسْمِ الله أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ (এর শুরুতে এবং শেষে আল্লাহর নামে)। -আবূ দাউদ ও তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ১৮৫৮; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৭; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ১৬৭১; মুসনাদে ইসহাক ইবন রাহুয়াহ: ১২৮৮; সুনানে দারিমী ২০৬৩; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৭১৫৩; সহীহ ইবনে হিব্বান ৫২১৪; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৭০৮৭)
كتاب أدب الطعام
باب التسمية في أوله والحمد في آخره
728 - وعن عائشة رضي الله عنها، قالت: قَالَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا أكَلَ أحَدُكُمْ فَلْيَذْكُرِ اسْمَ اللهِ تَعَالَى، فإنْ نَسِيَ أَنْ يَذْكُرَ اسْمَ اللهِ تَعَالَى في أوَّلِهِ، فَلْيَقُلْ: بِسم اللهِ أوَّلَهُ وَآخِرَهُ». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح». (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭২৯
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
১ খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা
গৃহে প্রবেশকালে এবং খানা খাওয়ার সময় বিসমিল্লাহ বলার ফায়দা ও না বলার ক্ষতি
হাদীছ নং: ৭২৯
হযরত জাবির রাযি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যখন কোনও ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশ করে আর প্রবেশকালে এবং খানা খাওয়ার সময় আল্লাহর নাম নেয়, তখন শয়তান তার সঙ্গীদের বলে, তোমাদের জন্য এ ঘরে রাত কাটানোর সুযোগ নেই এবং রাতের খাবারও নেই। পক্ষান্তরে যখন প্রবেশ করে এবং প্রবেশকালে আল্লাহর নাম না নেয়, তখন শয়তান বলে, তোমরা রাত কাটানোর জায়গা পেয়ে গেলে। আর যখন খানা খাওয়ার সময় আল্লাহর নাম না নেয়, তখন বলে, তোমরা রাত কাটানোর জায়গা পেয়ে গেলে এবং রাতের খাবারও। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০১৮; সুনানে আবূ দাউদ: ৩৭৬৫; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৮৮৭; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৬৭২৪; মুসনাদে আহমাদ: ১৪৭২৯; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৮১৯; হাকিম, আল মস্তাদরাক: ৩৫১৫; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা ১৪৬০৭; শু'আবুল ঈমান: ৫৪৪৩)
হাদীছ নং: ৭২৯
হযরত জাবির রাযি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, যখন কোনও ব্যক্তি তার ঘরে প্রবেশ করে আর প্রবেশকালে এবং খানা খাওয়ার সময় আল্লাহর নাম নেয়, তখন শয়তান তার সঙ্গীদের বলে, তোমাদের জন্য এ ঘরে রাত কাটানোর সুযোগ নেই এবং রাতের খাবারও নেই। পক্ষান্তরে যখন প্রবেশ করে এবং প্রবেশকালে আল্লাহর নাম না নেয়, তখন শয়তান বলে, তোমরা রাত কাটানোর জায়গা পেয়ে গেলে। আর যখন খানা খাওয়ার সময় আল্লাহর নাম না নেয়, তখন বলে, তোমরা রাত কাটানোর জায়গা পেয়ে গেলে এবং রাতের খাবারও। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০১৮; সুনানে আবূ দাউদ: ৩৭৬৫; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৮৮৭; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৬৭২৪; মুসনাদে আহমাদ: ১৪৭২৯; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৮১৯; হাকিম, আল মস্তাদরাক: ৩৫১৫; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা ১৪৬০৭; শু'আবুল ঈমান: ৫৪৪৩)
كتاب أدب الطعام
باب التسمية في أوله والحمد في آخره
729 - وعن جابرٍ - رضي الله عنه - قَالَ: سَمِعْتُ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يقولُ: «إِذَا دَخَلَ الرَّجُلُ بَيْتَهُ، فَذَكَرَ اللهَ تَعَالَى عِنْدَ دُخُولِهِ، وَعِنْدَ طَعَامِهِ، قَالَ الشَّيْطَانُ لأَصْحَابِهِ: لاَ مَبِيتَ لَكُمْ وَلاَ عَشَاءَ، وَإِذَا دَخَلَ فَلَمْ يَذْكُرِ اللهَ تَعَالَى عِنْدَ دُخُولِهِ، قَالَ الشَّيْطَانُ: أدْرَكْتُمُ المَبِيتَ؛ وَإِذَا لَمْ يَذْكُرِ اللهَ تَعَالَى عِنْدَ طَعَامِهِ، قَالَ: أدْرَكْتُم المَبيتَ وَالعَشَاءَ». رواه مسلم. (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৩০
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
১ খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে রাখা খাদ্যে শয়তানের শরীক হতে চাওয়া এবং তাঁর কর্তৃক তাকে ব্যর্থ করে দেওয়া
হাদীছ নং: ৭৩০
হযরত হুযায়ফা রাযি. বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে খাবারে উপস্থিত হতাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যতক্ষণ না শুরু করতেন এবং খাবারে হাত রাখতেন, ততক্ষণ আমরা হাত দিতাম না। একবার আমরা তাঁর সঙ্গে খাবারে উপস্থিত হলাম। এ অবস্থায় একটি বালিকা আসল। তাকে যেন তাড়িয়ে আনা হচ্ছিল। সে খাদ্যে হাত রাখতে যাচ্ছিল। অমনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে ফেললেন। তারপর এক বেদুঈন আসল। তাকেও যেন তাড়িয়ে আনা হচ্ছিল। তিনি তার হাতও ধরে ফেললেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, খাদ্যে আল্লাহর নাম না নেওয়া হলে শয়তান তা হালাল করে নেয়। সে এ বালিকাটিকে নিয়ে এসেছিল, যাতে এর দ্বারা নিজের জন্য খাদ্য হালাল করে নিতে পারে। আমি তার হাত ধরে ফেলি। তারপর সে এ বেদুঈনকে নিয়ে আসে, তাকে দিয়ে হালাল করার জন্য। আমি তার হাতও ধরে ফেলি। যাঁর হাতে আমার প্রাণ তার কসম! এ দু'জনের হাতের সঙ্গে তার হাতও আমার হাতের মধ্যে রয়েছে। তারপর তিনি আল্লাহর নাম নিলেন এবং খাবার খেলেন। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০১৭; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৬; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৬৭২১: মুসনাদে আহমাদ: ২৩২৪৯; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার: ১০৭৭)
হাদীছ নং: ৭৩০
হযরত হুযায়ফা রাযি. বলেন, আমরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে খাবারে উপস্থিত হতাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যতক্ষণ না শুরু করতেন এবং খাবারে হাত রাখতেন, ততক্ষণ আমরা হাত দিতাম না। একবার আমরা তাঁর সঙ্গে খাবারে উপস্থিত হলাম। এ অবস্থায় একটি বালিকা আসল। তাকে যেন তাড়িয়ে আনা হচ্ছিল। সে খাদ্যে হাত রাখতে যাচ্ছিল। অমনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে ফেললেন। তারপর এক বেদুঈন আসল। তাকেও যেন তাড়িয়ে আনা হচ্ছিল। তিনি তার হাতও ধরে ফেললেন। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, খাদ্যে আল্লাহর নাম না নেওয়া হলে শয়তান তা হালাল করে নেয়। সে এ বালিকাটিকে নিয়ে এসেছিল, যাতে এর দ্বারা নিজের জন্য খাদ্য হালাল করে নিতে পারে। আমি তার হাত ধরে ফেলি। তারপর সে এ বেদুঈনকে নিয়ে আসে, তাকে দিয়ে হালাল করার জন্য। আমি তার হাতও ধরে ফেলি। যাঁর হাতে আমার প্রাণ তার কসম! এ দু'জনের হাতের সঙ্গে তার হাতও আমার হাতের মধ্যে রয়েছে। তারপর তিনি আল্লাহর নাম নিলেন এবং খাবার খেলেন। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০১৭; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৬; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৬৭২১: মুসনাদে আহমাদ: ২৩২৪৯; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার: ১০৭৭)
كتاب أدب الطعام
باب التسمية في أوله والحمد في آخره
730 - وعن حُذَيْفَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: كُنَّا إِذَا حَضَرْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ - صلى الله عليه وسلم - طَعَامًا، لَمْ نَضَعْ أيدِينَا حَتَّى يَبْدَأَ رَسُولُ الله - صلى الله عليه وسلم - فَيَضَعَ يَدَهُ، وَإنَّا حَضَرْنَا مَعَهُ مَرَّةً طَعَامًا، فَجَاءَتْ جَارِيَةٌ كَأنَّهَا تُدْفَعُ، فَذَهَبَتْ لِتَضَعَ يَدَهَا في الطَّعَامِ، فَأَخَذَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم - بِيَدِهَا، [ص:236] ثُمَّ جَاءَ أَعْرَابِيّ كأنَّمَا يُدْفَعُ، فَأخَذَ بِيَدهِ، فَقَالَ رَسُولُ اللهِ - صلى الله عليه وسلم: «إنَّ الشَّيْطَانَ يَسْتَحِلُّ الطَّعَامَ أَنْ لا يُذْكَرَ اسمُ اللهِ تَعَالَى عَلَيْهِ، وَإنَّهُ جَاءَ بهذِهِ الجارية لِيَسْتَحِلَّ بِهَا، فأَخَذْتُ بِيَدِهَا، فَجَاءَ بهذا الأعرَابيّ لِيَسْتَحِلَّ بِهِ، فَأخذْتُ بِيَدِهِ، والَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إنَّ يَدَهُ في يَدِي مَعَ يَدَيْهِمَا» ثُمَّ ذَكَرَ اسْمَ اللهِ تَعَالَى وَأكَلَ. رواه مسلم. (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৩১
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
১ খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা
বিসমিল্লাহ বলায় শয়তানের বমি করা
হাদীছ নং: ৭৩১
হযরত উমায়্যা ইবন মাখশী রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসা ছিলেন এবং এক ব্যক্তি খাচ্ছিল। সে আল্লাহর নাম নেয়নি। তার খাবার মাত্র এক লোকমা অবশিষ্ট ছিল। সেই লোকমাটি যখন মুখে তুলল, তখন বলল- بِسْمِ الله أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ (এর শুরুতে এবং শেষে আল্লাহর নামে)। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে দিলেন। তিনি বললেন, শয়তান তার সঙ্গে খেয়ে যাচ্ছিল। যেই না সে আল্লাহর নাম নিল, অমনি সে তার পেটে যা ছিল সব বমি করে দিল।-আবু দাউদ ও নাসাঈ
(সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৮; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর ৮৫৫; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান: ৫৪৪৬; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ৬৭২৫; মুসনাদে আহমাদ: ১৮৯৬৩)
হাদীছ নং: ৭৩১
হযরত উমায়্যা ইবন মাখশী রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসা ছিলেন এবং এক ব্যক্তি খাচ্ছিল। সে আল্লাহর নাম নেয়নি। তার খাবার মাত্র এক লোকমা অবশিষ্ট ছিল। সেই লোকমাটি যখন মুখে তুলল, তখন বলল- بِسْمِ الله أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ (এর শুরুতে এবং শেষে আল্লাহর নামে)। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেসে দিলেন। তিনি বললেন, শয়তান তার সঙ্গে খেয়ে যাচ্ছিল। যেই না সে আল্লাহর নাম নিল, অমনি সে তার পেটে যা ছিল সব বমি করে দিল।-আবু দাউদ ও নাসাঈ
(সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৮; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর ৮৫৫; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান: ৫৪৪৬; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ৬৭২৫; মুসনাদে আহমাদ: ১৮৯৬৩)
كتاب أدب الطعام
باب التسمية في أوله والحمد في آخره
731 - وعن أُمَيَّةَ بن مَخْشِيٍّ الصحابيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم - جَالِسًا، وَرَجُلٌ يَأكُلُ، فَلَمْ يُسَمِّ اللهَ حَتَّى لَمْ يَبْقَ مِنْ طَعَامِهِ إِلاَّ لُقْمَةٌ، فَلَمَّا رَفَعَهَا إِلَى فِيهِ، قَالَ: بِسْمِ اللهِ أوَّلَهُ وَآخِرَهُ، فَضَحِكَ النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم - ثُمَّ قَالَ: «مَا زَالَ الشَّيْطَانُ يَأكُلُ مَعَهُ، فَلَمَّا ذَكَرَ اسمَ اللهِ اسْتَقَاءَ مَا فِي بَطْنِهِ». رواه أَبُو داود والنسائي. (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৩২
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
১ খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা
খাওয়ায় বিসমিল্লাহ না বলার কুফল
হাদীছ নং: ৭৩২
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ছয়জন সাহাবীর সঙ্গে খানা খাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় এক বেদুঈন আসল। সে দু' লোকমাতেই তা খেয়ে ফেলল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, শোনো! সে যদি আল্লাহর নাম নিত, তবে এ খানা তোমাদের সকলের জন্য যথেষ্ট হতো।-তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ১৮৫৮; সুনানে ইবন মাজাহ ৩২৬৪; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ১৬৭১; মুসনাদে ইসহাক ইবন রাহুয়াহ: ১২৮৮; সুনানে দারিমী ২০৬৩; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ১০০৪০; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার: ১০৮৪; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫২১৪)
হাদীছ নং: ৭৩২
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ছয়জন সাহাবীর সঙ্গে খানা খাচ্ছিলেন। এ অবস্থায় এক বেদুঈন আসল। সে দু' লোকমাতেই তা খেয়ে ফেলল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, শোনো! সে যদি আল্লাহর নাম নিত, তবে এ খানা তোমাদের সকলের জন্য যথেষ্ট হতো।-তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ১৮৫৮; সুনানে ইবন মাজাহ ৩২৬৪; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ১৬৭১; মুসনাদে ইসহাক ইবন রাহুয়াহ: ১২৮৮; সুনানে দারিমী ২০৬৩; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ১০০৪০; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার: ১০৮৪; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫২১৪)
كتاب أدب الطعام
باب التسمية في أوله والحمد في آخره
732 - وعن عائشة رضي الله عنها، قالت: كَانَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم - يَأكُلُ طَعَامًا في سِتَّةٍ مِنْ أَصْحَابِهِ، فَجَاءَ أعْرَابِيٌّ، فَأكَلَهُ بلُقْمَتَيْنِ. فَقَالَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم: «أما إنَّهُ لَوْ سَمَّى لَكَفَاكُمْ». رواه الترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح». (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৩৩
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
১ খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা
দস্তরখান তোলার দু‘আ
হাদীছ নং: ৭৩৩
হযরত আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দস্তরখান উঠাতেন তখন বলতেন- الْحَمْدُ الله حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ غَيْرَ مَكْفِيٍّ وَلَا مُوَدَّعٍ وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبُّنَا (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। প্রভৃত, পবিত্র ও বরকতপূর্ণ প্রশংসা। হে আমাদের প্রতিপালক! এর প্রতি আমাদের প্রয়োজন নিঃশেষ হয়ে যায়নি। একে আমরা বিদায় জানাচ্ছি না। এর প্রতি আমরা অনপেক্ষ নই)। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৫৪৫৮; সুনানে আবূ দাউদ: ৩৮৪৯; জামে তিরমিযী: ৩৭৫৯; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩২৮৪; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৬৮৯৭; মুসনাদে আহমাদ: ২২১৬৮; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫২১৭; সুনানে দারিমী ২০৬৬; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৭৪৬৯)
হাদীছ নং: ৭৩৩
হযরত আবু উমামা রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দস্তরখান উঠাতেন তখন বলতেন- الْحَمْدُ الله حَمْدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيهِ غَيْرَ مَكْفِيٍّ وَلَا مُوَدَّعٍ وَلَا مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبُّنَا (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। প্রভৃত, পবিত্র ও বরকতপূর্ণ প্রশংসা। হে আমাদের প্রতিপালক! এর প্রতি আমাদের প্রয়োজন নিঃশেষ হয়ে যায়নি। একে আমরা বিদায় জানাচ্ছি না। এর প্রতি আমরা অনপেক্ষ নই)। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৫৪৫৮; সুনানে আবূ দাউদ: ৩৮৪৯; জামে তিরমিযী: ৩৭৫৯; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩২৮৪; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৬৮৯৭; মুসনাদে আহমাদ: ২২১৬৮; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫২১৭; সুনানে দারিমী ২০৬৬; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৭৪৬৯)
كتاب أدب الطعام
باب التسمية في أوله والحمد في آخره
733 - وعن أَبي أُمَامَة - رضي الله عنه: أنَّ النبيَّ - صلى الله عليه وسلم - كَانَ إِذَا رَفَعَ مَائِدَتَهُ، قَالَ: «الْحَمْدُ للهِ حَمدًا كَثِيرًا طَيِّبًا مُبَاركًا فِيهِ، غَيْرَ مَكْفِيٍّ، وَلاَ مُوَدَّعٍ، وَلاَ مُسْتَغْنًى عَنْهُ رَبَّنَا». رواه البخاري. (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৩৪
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
১ খাওয়ার শুরুতে বিসমিল্লাহ ও শেষে আলহামদুলিল্লাহ বলা
খাওয়ার পরের দু'আ
হাদীছ নং: ৭৩৪
হযরত মু‘আয ইবন আনাস রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি খাবার খায়, তারপর বলে- ،الحمدُ للهِ الذي أطعَمَني هذا ورَزَقَنيه من غيرِ حولٍ مِنِّي ولا قوةٍ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে এ খাবার খাওয়ালেন এবং আমাকে রিযিক দিলেন আমার কোনওরূপ চেষ্টা ও ক্ষমতা ছাড়াই), তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। -আবু দাউদ ও তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ৩৪৫৮; সুনানে আবু দাউদ: ৪০২৩; সুনানে ইবন মাজাহ ৩২৮৬; মুসনাদে আহমাদ: ১৫৬৩২; সুনানে দারিমী: ৩৭৩২; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ১৪৮৮; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৩৮৯; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ১৮৭০; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান: ৫৮৭২)
হাদীছ নং: ৭৩৪
হযরত মু‘আয ইবন আনাস রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি খাবার খায়, তারপর বলে- ،الحمدُ للهِ الذي أطعَمَني هذا ورَزَقَنيه من غيرِ حولٍ مِنِّي ولا قوةٍ (সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাকে এ খাবার খাওয়ালেন এবং আমাকে রিযিক দিলেন আমার কোনওরূপ চেষ্টা ও ক্ষমতা ছাড়াই), তার অতীতের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। -আবু দাউদ ও তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ৩৪৫৮; সুনানে আবু দাউদ: ৪০২৩; সুনানে ইবন মাজাহ ৩২৮৬; মুসনাদে আহমাদ: ১৫৬৩২; সুনানে দারিমী: ৩৭৩২; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ১৪৮৮; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৩৮৯; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ১৮৭০; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান: ৫৮৭২)
كتاب أدب الطعام
باب التسمية في أوله والحمد في آخره
734 - وعن معاذِ بن أنسٍ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رسولُ اللهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ أكَلَ طَعَامًا، فَقال: الحَمْدُ للهِ الَّذِي أَطْعَمَنِي هَذَا، وَرَزَقنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّي وَلاَ قُوَّةٍ، غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: «حديث حسن». (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৩৫
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদ : ২ খাদ্যের দোষত্রুটি না ধরা ও তার প্রশংসা করা
হাদীছ নং: ৭৩৫
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও খাদ্যের দোষত্রুটি ধরতেন না। আগ্রহ হলে তা খেতেন। অপসন্দ হলে খেতেন না। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৩৫৬৩; সহীহ মুসলিম: ২০৬৪; জামে তিরমিযী: ২০৩১; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৩; মুসনাদে আহমাদ: ৯৫০৭; মুসনাদুল বাযযার ৯২৭৭; মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ৬২১৪; সহীহ ইবনে হিব্বান ৬৪৩৬; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা ১৪৬২১; শু'আবুল ঈমান : ৫৪৮০)
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনও খাদ্যের দোষত্রুটি ধরতেন না। আগ্রহ হলে তা খেতেন। অপসন্দ হলে খেতেন না। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৩৫৬৩; সহীহ মুসলিম: ২০৬৪; জামে তিরমিযী: ২০৩১; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৩; মুসনাদে আহমাদ: ৯৫০৭; মুসনাদুল বাযযার ৯২৭৭; মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ৬২১৪; সহীহ ইবনে হিব্বান ৬৪৩৬; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা ১৪৬২১; শু'আবুল ঈমান : ৫৪৮০)
كتاب أدب الطعام
باب لا يَعيبُ الطّعام واستحباب مَدحه
735 - وعن أَبي هُريرة - رضي الله عنه - قَالَ: مَا عَابَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم - طَعَامًا قَطُّ، إن اشْتَهَاهُ أكَلَهُ، وَإنْ كَرِهَهُ تَرَكَهُ. متفقٌ عَلَيْهِ. (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৩৬
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
২ খাদ্যের দোষত্রুটি না ধরা ও তার প্রশংসা করা
হাদীছ নং: ৭৩৬
হযরত জাবির রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিবার- পরিজনের কাছে ব্যঞ্জন চাইলেন। তারা বলল, আমাদের কাছে সিরকা ছাড়া কিছু নেই। তিনি তাই আনতে বললেন। তারপর এই বলে খেতে শুরু করলেন যে, সিরকা বেশ ভালো ব্যঞ্জন। সিরকা বেশ ভালো ব্যঞ্জন। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০৫২; সুনানে আবু দাউদ: ৩৮২০; জামে তিরমিযী: ১৯৪৫; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৩১৭; সুনানে নাসাঈ ৩৭৯৬; মুসনাদে আহমাদ: ১৪৮০৭)
হযরত জাবির রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিবার- পরিজনের কাছে ব্যঞ্জন চাইলেন। তারা বলল, আমাদের কাছে সিরকা ছাড়া কিছু নেই। তিনি তাই আনতে বললেন। তারপর এই বলে খেতে শুরু করলেন যে, সিরকা বেশ ভালো ব্যঞ্জন। সিরকা বেশ ভালো ব্যঞ্জন। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০৫২; সুনানে আবু দাউদ: ৩৮২০; জামে তিরমিযী: ১৯৪৫; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৩১৭; সুনানে নাসাঈ ৩৭৯৬; মুসনাদে আহমাদ: ১৪৮০৭)
كتاب أدب الطعام
باب لا يَعيبُ الطّعام واستحباب مَدحه
736 - وعن جابر - رضي الله عنه: أنَّ النَّبيَّ - صلى الله عليه وسلم - سَأَلَ أهْلَهُ الأُدْمَ، فقالوا: مَا عِنْدَنَا إِلاَّ خَلٌّ، فَدَعَا بِهِ، فَجَعَلَ يَأكُلُ، ويقول: «نِعْمَ الأُدْمُ الخَلُّ، نِعْمَ الأُدْمُ الخَلُّ». رواه مسلم (1).

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৩৭
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদ : ৩ রোযা অবস্থায় দাওয়াতের খাবারে যদি উপস্থিত হয় আর রোযা ভাঙতে না চায়, তবে যা বলবে
হাদীছ নং: ৭৩৭
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের কাউকে যখন দাওয়াত করা হয়, সে যেন তা গ্রহণ করে। সে রোযাদার হলে দাওয়াতদাতার জন্য দু'আ করবে। আর যদি রোযাদার না হয়, তবে আহার করবে। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ১৪২৯; সুনানে আবূ দাউদ: ২৪৬০; জামে তিরমিযী: ৭৮০; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৩২৫৭; সুনানে ইবন মাজাহ ১৭৫০; মুসনাদে আহমাদ: ৭৭৩৬; মুসনাদুল বাযযার: ৯৮৪৪; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৬০৩৬; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার: ১৫২৮)
হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের কাউকে যখন দাওয়াত করা হয়, সে যেন তা গ্রহণ করে। সে রোযাদার হলে দাওয়াতদাতার জন্য দু'আ করবে। আর যদি রোযাদার না হয়, তবে আহার করবে। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ১৪২৯; সুনানে আবূ দাউদ: ২৪৬০; জামে তিরমিযী: ৭৮০; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৩২৫৭; সুনানে ইবন মাজাহ ১৭৫০; মুসনাদে আহমাদ: ৭৭৩৬; মুসনাদুল বাযযার: ৯৮৪৪; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৬০৩৬; তহাবী, শারহু মুশকিলিল আছার: ১৫২৮)
كتاب أدب الطعام
باب مَا يقوله من حضر الطعام وهو صائم إِذَا لَمْ يفطر
737 - وعن أَبي هريرة - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا دُعِيَ أحَدُكُمْ فَلْيُجِبْ، فَإنْ كَانَ صَائِمًا فَلْيُصَلِّ، وَإنْ كَانَ مُفْطِرًا فَلْيَطْعَمْ». رواه مسلم. (1)
قَالَ العلماءُ: معنى «فَلْيُصَلِّ»: فَلْيَدْعُ، ومعنى «فَلْيطْعَمْ»: فَلْيَأْكُلْ.
قَالَ العلماءُ: معنى «فَلْيُصَلِّ»: فَلْيَدْعُ، ومعنى «فَلْيطْعَمْ»: فَلْيَأْكُلْ.

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৩৮
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদ: ৪ যাকে দাওয়াত দেওয়া হয় তার সঙ্গে অন্য কেউ এসে গেলে যা বলবে
হাদীছ নং: ৭৩৮
হযরত আবু মাস‘উদ রাযি. বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য খাবার তৈরি করে তাতে তাঁকে সহ পাঁচজনকে দাওয়াত করল। অপর এক ব্যক্তি তাদের সঙ্গে চলে আসল। বাড়ির দরজায় পৌঁছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে এসেছে। তুমি চাইলে তাকে অনুমতি দিতে পার। আর যদি না চাও, সে ফিরে যাবে। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি বরং তাকে অনুমতিই দিচ্ছি। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ২০৮১; সহীহ মুসলিম: ২০৩৬; সহীহ ইবনে হিব্বান ৫৩০০; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর ৫৩০; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা ১৪৫৪৩; সুনানে দারিমী: ২১১২; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ২৩২০)
হযরত আবু মাস‘উদ রাযি. বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য খাবার তৈরি করে তাতে তাঁকে সহ পাঁচজনকে দাওয়াত করল। অপর এক ব্যক্তি তাদের সঙ্গে চলে আসল। বাড়ির দরজায় পৌঁছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে এসেছে। তুমি চাইলে তাকে অনুমতি দিতে পার। আর যদি না চাও, সে ফিরে যাবে। সে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি বরং তাকে অনুমতিই দিচ্ছি। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ২০৮১; সহীহ মুসলিম: ২০৩৬; সহীহ ইবনে হিব্বান ৫৩০০; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর ৫৩০; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা ১৪৫৪৩; সুনানে দারিমী: ২১১২; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ২৩২০)
كتاب أدب الطعام
باب مَا يقوله من دُعي إِلَى طعام فتبعه غيره
738 - عن أَبي مسعود البَدْريِّ - رضي الله عنه - قَالَ: دعا رَجُلٌ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - لِطَعَامٍ صَنعَهُ لَهُ خَامِسَ خَمْسَةٍ، فَتَبِعَهُمْ رَجُلٌ، فَلَمَّا بَلَغَ البَابَ، قَالَ النَّبيّ - صلى الله عليه وسلم: «إنَّ هَذَا تَبِعَنَا، فَإنْ شِئْتَ أَنْ تَأْذَنَ لَهُ، وَإنْ شِئْتَ رَجَعَ» قَالَ: بل آذَنُ لَهُ يَا رَسُولَ الله. متفقٌ عَلَيْهِ (1).

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৩৯
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদ : ৫ নিজের সম্মুখ থেকে খাওয়া এবং যে ব্যক্তি পানাহারের আদব রক্ষা করে না, তাকে উপদেশ ও শিক্ষাদান করা
হাদীছ নং: ৭৩৯
হযরত উমর ইবন আবূ সালামা রাযি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিপালনাধীন এক বালক ছিলাম। আমার হাত খাবারপাত্রে ঘোরাফেরা করত। (তা দেখে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ওহে খোকা! আল্লাহর নাম নাও, ডান হাতে খাও এবং তোমার কাছে যা আছে তা থেকে খাও। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৫৩৭৬; সহীহ মুসলিম: ২০২২; জামে' তিরমিযী: ১৮৫৭; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৭৭; সুনানে ইবনে মাজাহ ৩২৬৭; মুসনাদে আহমাদ: ১৬৩৩০; সহীহ ইবনে হিব্বান: ১৬৩৩৭; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ৬৭২৬; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা : ২৪৪৪১)
হযরত উমর ইবন আবূ সালামা রাযি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিপালনাধীন এক বালক ছিলাম। আমার হাত খাবারপাত্রে ঘোরাফেরা করত। (তা দেখে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ওহে খোকা! আল্লাহর নাম নাও, ডান হাতে খাও এবং তোমার কাছে যা আছে তা থেকে খাও। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৫৩৭৬; সহীহ মুসলিম: ২০২২; জামে' তিরমিযী: ১৮৫৭; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৭৭; সুনানে ইবনে মাজাহ ৩২৬৭; মুসনাদে আহমাদ: ১৬৩৩০; সহীহ ইবনে হিব্বান: ১৬৩৩৭; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ৬৭২৬; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা : ২৪৪৪১)
كتاب أدب الطعام
باب الأكل مِمَّا يليه ووعظه وتأديبه من يسيء أكله
739 - عن عمر بن أَبي سَلمَة رضي الله عنهما، قَالَ: كُنْتُ غُلامًا في حِجْرِ رسولِ الله - صلى الله عليه وسلم - وَكَانَتْ يَدِي تَطِيشُ في الصَّحْفَةِ، فَقَالَ لي رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم: «يَا غُلامُ، سَمِّ اللهَ تَعَالَى، وَكُلْ بِيَمينِكَ، وَكُلْ مِمَّا يَلِيكَ». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
قَوْله: «تَطِيشُ» بكسرِ الطاء وبعدها ياءٌ مثناة من تَحْت، معناه: تتحرك وتمتد إِلَى نَوَاحِي الصَّحْفَةِ.
قَوْله: «تَطِيشُ» بكسرِ الطاء وبعدها ياءٌ مثناة من تَحْت، معناه: تتحرك وتمتد إِلَى نَوَاحِي الصَّحْفَةِ.

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৪০
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদ : ৫ নিজের সম্মুখ থেকে খাওয়া এবং যে ব্যক্তি পানাহারের আদব রক্ষা করে না, তাকে উপদেশ ও শিক্ষাদান করা
হাদীছ নং: ৭৪০
হযরত সালামা ইবনুল আকওয়া‘ রাযি. বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বসে বাম হাতে খেল। তিনি বললেন, ডান হাতে খাও। সে বলল, আমি পারি না। তিনি বললেন, তুমি যেন নাই পার। তাকে বাধা দিয়েছিল কেবলই তার অহংকার। হযরত সালামা রাযি. বলেন, সে তা আর তার মুখের দিকে তুলতে পারেনি। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০২১; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৮; সহীহ ইবন হিব্বান : ৬৫১৩; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬১১; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪৪৪৫; সুনানে দারিমী: ২০৭৫)
হযরত সালামা ইবনুল আকওয়া‘ রাযি. বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বসে বাম হাতে খেল। তিনি বললেন, ডান হাতে খাও। সে বলল, আমি পারি না। তিনি বললেন, তুমি যেন নাই পার। তাকে বাধা দিয়েছিল কেবলই তার অহংকার। হযরত সালামা রাযি. বলেন, সে তা আর তার মুখের দিকে তুলতে পারেনি। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০২১; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৮; সহীহ ইবন হিব্বান : ৬৫১৩; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬১১; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪৪৪৫; সুনানে দারিমী: ২০৭৫)
كتاب أدب الطعام
باب الأكل مِمَّا يليه ووعظه وتأديبه من يسيء أكله
740 - وعن سلمةَ بن الأَكْوَع - رضي الله عنه: أنَّ رَجُلًا أَكَلَ عِنْدَ رَسُولِ الله - صلى الله عليه وسلم - بِشِمَالِهِ، فَقَالَ: «كُلْ بِيَمِينِكَ» قَالَ: لا أسْتَطِيعُ. قَالَ: «لاَ اسْتَطَعْتَ»! مَا مَنَعَهُ إِلاَّ الكِبْرُ! فَمَا رَفَعَهَا إِلَى فِيهِ. رواه مسلم. (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৪১
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদ: ৬ দলবদ্ধভাবে খাওয়ার সময় সঙ্গীদের অনুমতি ছাড়া খেজুর ও অনুরূপ খাদ্য একসঙ্গে দু’টো করে খাওয়ার প্রতি নিষেধাজ্ঞা
হাদীছ নং: ৭৪১
জাবালা ইবন সুহায়ম রহ. বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়রের সঙ্গে এক বছর আমরা দুর্ভিক্ষকবলিত হলাম। আমাদেরকে খেজুর দেওয়া হত। আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাযি. আমাদের নিকট দিয়ে যেতেন। তখন আমরা আহাররত থাকলে তিনি বলতেন, একত্রে দু’টো করে খেয়ো না। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একত্রে দু’টো করে খেতে নিষেধ করেছেন। তারপর বলতেন, অবশ্য কোনও ব্যক্তি যদি তার ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে নেয়, তবে ভিন্ন কথা। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ২৪৫৫; সহীহ মুসলিম: ২০৪৫; সুনানে আবূ দাউদ: ৩৮৩৪; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৩৩১; জামে' তিরমিযী: ১৯১৭; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ৬৬৯৪; মুসনাদে আহমাদ: ৫০৩৭; সহীহ ইবনে হিব্বান ৫২৩১; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪৪৯২)
জাবালা ইবন সুহায়ম রহ. বলেন, আব্দুল্লাহ ইবন যুবায়রের সঙ্গে এক বছর আমরা দুর্ভিক্ষকবলিত হলাম। আমাদেরকে খেজুর দেওয়া হত। আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাযি. আমাদের নিকট দিয়ে যেতেন। তখন আমরা আহাররত থাকলে তিনি বলতেন, একত্রে দু’টো করে খেয়ো না। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একত্রে দু’টো করে খেতে নিষেধ করেছেন। তারপর বলতেন, অবশ্য কোনও ব্যক্তি যদি তার ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে নেয়, তবে ভিন্ন কথা। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ২৪৫৫; সহীহ মুসলিম: ২০৪৫; সুনানে আবূ দাউদ: ৩৮৩৪; সুনানে ইবন মাজাহ : ৩৩৩১; জামে' তিরমিযী: ১৯১৭; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ৬৬৯৪; মুসনাদে আহমাদ: ৫০৩৭; সহীহ ইবনে হিব্বান ৫২৩১; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৪৪৯২)
كتاب أدب الطعام
باب النّهي عن القِرَانِ بين تمرتين ونحوهما إِذَا أكل جماعة إِلاَّ بإذن رفقته
741 - عن جَبَلَة بن سُحَيْم، قَالَ: أصَابَنَا عَامُ سَنَةٍ مَعَ ابن الزُّبَيْرِ؛ فَرُزِقْنَا تَمْرًا، وَكَانَ عبدُ الله بن عمر رضي الله عنهما يَمُرُّ بنا ونحن نَأكُلُ، فَيقُولُ: لاَ تُقَارِنُوا، فإنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - نَهَى عنِ القِرَانِ، ثُمَّ يَقُولُ: إِلاَّ أَنْ يَسْتَأذِنَ الرَّجُلُ أخَاهُ. متفقٌ عَلَيْهِ. (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৪২
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদ: ৭ যে ব্যক্তি খায় কিন্তু তৃপ্ত হয় না, সে কী বলবে ও কী করবে
হাদীছ নং: ৭৪২
হযরত ওয়াহশী ইবন হারব রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা খাই, অথচ তৃপ্ত হই না! তিনি বললেন, তোমরা সম্ভবত ভিন্ন ভিন্ন খাও! তারা বললেন, হাঁ। তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের খাবার সম্মিলিতভাবে খাবে এবং আল্লাহর নাম নেবে। তাতে তোমাদের খাবারে বরকত হবে। -আবু দাউদ
(সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৪; সুনানে ইবন মাজাহ ৩২৮৬; মুসনাদে আহমাদ: ১৬০৭৮: সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫২২৪; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর ৩৬৮; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ২৫০০; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১০৩৫৯)
হযরত ওয়াহশী ইবন হারব রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা খাই, অথচ তৃপ্ত হই না! তিনি বললেন, তোমরা সম্ভবত ভিন্ন ভিন্ন খাও! তারা বললেন, হাঁ। তিনি বললেন, তোমরা তোমাদের খাবার সম্মিলিতভাবে খাবে এবং আল্লাহর নাম নেবে। তাতে তোমাদের খাবারে বরকত হবে। -আবু দাউদ
(সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৪; সুনানে ইবন মাজাহ ৩২৮৬; মুসনাদে আহমাদ: ১৬০৭৮: সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫২২৪; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর ৩৬৮; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ২৫০০; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১০৩৫৯)
كتاب أدب الطعام
باب مَا يقوله ويفعله من يأكل وَلاَ يشبع
742 - عن وَحْشِيِّ بن حرب - رضي الله عنه: أنَّ أصحابَ رسولِ الله - صلى الله عليه وسلم - قالوا: يَا رسولَ اللهِ، إنَّا نَأكُلُ وَلاَ نَشْبَعُ؟ قَالَ: «فَلَعَلَّكُمْ تَفْتَرِقُونَ» قالوا: نَعَمْ. قَالَ: «فَاجْتَمِعُوا عَلَى طَعَامِكُمْ، وَاذْكُرُوا اسْمَ اللهِ، يُبَارَكْ لَكُمْ فِيهِ». رواه أَبُو داود. (1)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৪৩
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদ: ৮ পাত্রের কিনারা থেকে খাওয়ার আদেশ এবং মাঝখান থেকে খেতে মানা
এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী রয়েছে- এবং তোমার কাছ থেকে খাও। -বুখারী ও মুসলিম
উল্লেখ্য, এ হাদীছটি ৭২৭ ক্রমিক নম্বরে গত হয়েছে। সেখানে এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।
এ বিষয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী রয়েছে- এবং তোমার কাছ থেকে খাও। -বুখারী ও মুসলিম
উল্লেখ্য, এ হাদীছটি ৭২৭ ক্রমিক নম্বরে গত হয়েছে। সেখানে এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য।
হাদীছ নং: ৭৪৩
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, বরকত খাবারের মাঝখানে অবতীর্ণ হয়। সুতরাং তোমরা খাদ্যের পাশ থেকে খাবে, মাঝখান থেকে খাবে না। -আবু দাউদ ও তিরমিযী
(জামে তিরমিযী: ১৮০৫; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৭২; মুসনাদে আহমাদ: ৩৪৩৯; মুসনাদুল বাযযার: ৫০৬৩; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫২৪৫; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৭১১৮)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, বরকত খাবারের মাঝখানে অবতীর্ণ হয়। সুতরাং তোমরা খাদ্যের পাশ থেকে খাবে, মাঝখান থেকে খাবে না। -আবু দাউদ ও তিরমিযী
(জামে তিরমিযী: ১৮০৫; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৭২; মুসনাদে আহমাদ: ৩৪৩৯; মুসনাদুল বাযযার: ৫০৬৩; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫২৪৫; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৭১১৮)
كتاب أدب الطعام
باب الأمر بالأكل من جانب القصعة والنهي عن الأكل من وسطها
فِيهِ: قَوْله - صلى الله عليه وسلم: «وَكُلْ مِمَّا يَلِيكَ» (1) متفق عَلَيْهِ كما سبق.
فِيهِ: قَوْله - صلى الله عليه وسلم: «وَكُلْ مِمَّا يَلِيكَ» (1) متفق عَلَيْهِ كما سبق.
743 - وعن ابن عباس رضي الله عنهما، عن النبيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «البَرَكَةُ تَنْزِلُ وَسَطَ الطعَامِ؛ فَكُلُوا مِنْ حَافَتَيْهِ، وَلاَ تَأكُلُوا مِنْ وَسَطِهِ». رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: «حديث حسن صحيح». (2)

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৪৪
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদ: ৮ পাত্রের কিনারা থেকে খাওয়ার আদেশ এবং মাঝখান থেকে খেতে মানা
হাদীছ নং: ৭৪৪
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন বুসর রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি পাত্র ছিল। সেটিকে গারা বলা হত। চারজন লোক সেটি বহন করত।(একদিনকার কথা) যখন চাশতের সময় হল এবং লোকজন চাশতের নামায পড়ল, তখন সেই পাত্রটি আনা হল। তার মধ্যে তৈরি করা ছারীদ ছিল। সকলে সেটির চারপাশে বসে গেল। লোকজন বেশি হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন। এক বেদুঈন বলল, এটা কেমন বসা? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তা'আলা আমাকে ভদ্র বান্দা বানিয়েছেন। আমাকে উদ্ধত সীমালঙ্ঘনকারী বানাননি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা পাত্রের চারপাশ থেকে খাও। তার চূড়া (মাঝখানটা) রেখে দাও। তাতে বরকত নাযিল করা হয়। -আবু দাউদ
(সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৭৩; সুনানে ইবন মাজাহ ৩২৬৩; মুসনাদে আহমাদ: ১৭৬৭৮; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ৬৭৩০; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬৫৩; শুআবুল ঈমান : ৫৪৬১)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবন বুসর রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি পাত্র ছিল। সেটিকে গারা বলা হত। চারজন লোক সেটি বহন করত।(একদিনকার কথা) যখন চাশতের সময় হল এবং লোকজন চাশতের নামায পড়ল, তখন সেই পাত্রটি আনা হল। তার মধ্যে তৈরি করা ছারীদ ছিল। সকলে সেটির চারপাশে বসে গেল। লোকজন বেশি হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন। এক বেদুঈন বলল, এটা কেমন বসা? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহ তা'আলা আমাকে ভদ্র বান্দা বানিয়েছেন। আমাকে উদ্ধত সীমালঙ্ঘনকারী বানাননি। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা পাত্রের চারপাশ থেকে খাও। তার চূড়া (মাঝখানটা) রেখে দাও। তাতে বরকত নাযিল করা হয়। -আবু দাউদ
(সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৭৩; সুনানে ইবন মাজাহ ৩২৬৩; মুসনাদে আহমাদ: ১৭৬৭৮; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ৬৭৩০; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ১৪৬৫৩; শুআবুল ঈমান : ৫৪৬১)
كتاب أدب الطعام
باب الأمر بالأكل من جانب القصعة والنهي عن الأكل من وسطها
744 - وعن عبد الله بن بُسْرٍ - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ للنَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَصْعَةٌ يُقَالُ لَهَا: الغَرَّاءُ يَحْمِلُهَا أرْبَعَةُ رجالٍ؛ فَلَمَّا أَضْحَوْا وَسَجَدُوا الضُّحَى أُتِيَ بِتِلْكَ الْقَصْعَةِ؛ يعني وَقَدْ ثُردَ [ص:239] فِيهَا، فَالتَفُّوا عَلَيْهَا، فَلَمَّا كَثُرُوا جَثَا رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم. فَقَالَ أعرابيٌّ: مَا هذِهِ الجِلْسَةُ؟ فَقَالَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم: «إنَّ اللهَ جَعَلَنِي عَبْدًا كَريمًا، وَلَمْ يَجْعَلْنِي جَبَّارًا عَنِيدًا»، ثُمَّ قَالَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم: «كُلُوا مِنْ حَوَالَيْهَا، وَدَعُوا ذِرْوَتَها يُبَارَكْ فِيهَا». رواه أَبُو داود بإسنادٍ جيد. (1)
«ذِرْوَتها»: أعْلاَهَا بكسر الذال وضمها.
«ذِرْوَتها»: أعْلاَهَا بكسر الذال وضمها.

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৪৫
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদ : ৯ হেলান দিয়ে আহার করা মাকরূহ
হাদীছ নং: ৭৪৫
হযরত আবূ জুহায়ফা ওয়াহব ইবন আব্দুল্লাহ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি হেলান দিয়ে খাই না। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৫৩৯৮; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৯; জামে' তিরমিযী: ১৮৩০; সুনানে ইবন মাজাহ: ২৬২; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ১১৪৩; মুসনাদুল হুমায়দী: ৯১৫; সুনানে দারিমী: ২১১৫; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৮৮৪; তহাবী শারহু মা'আনিল আছার : ৬৮৫৫)
(খাত্তাবী রহ. বলেন, এখানে হেলান দেওয়া অর্থ নিচে কোনওকিছু রেখে তার উপর ঠেস দিয়ে বসা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বোঝাতে চাচ্ছেন তিনি কোলবালিশ বা অন্য কোনও হেলানের বস্তুতে বসেন না, যেমনটা বেশি খেতে ইচ্ছুক ব্যক্তি করে থাকে। বরং তিনি সোজা হয়ে বসেন; কোনওকিছুতে হেলান দিয়ে আরামে নয়। তিনি ক্ষুধা মেটা পরিমাণ খান। কেউ কেউ বলেন, এখানে হেলান দেওয়া বলতে একপাশে ঝুঁকে বসা বোঝানো হয়েছে।)
হযরত আবূ জুহায়ফা ওয়াহব ইবন আব্দুল্লাহ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আমি হেলান দিয়ে খাই না। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৫৩৯৮; সুনানে আবু দাউদ: ৩৭৬৯; জামে' তিরমিযী: ১৮৩০; সুনানে ইবন মাজাহ: ২৬২; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ১১৪৩; মুসনাদুল হুমায়দী: ৯১৫; সুনানে দারিমী: ২১১৫; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৮৮৪; তহাবী শারহু মা'আনিল আছার : ৬৮৫৫)
(খাত্তাবী রহ. বলেন, এখানে হেলান দেওয়া অর্থ নিচে কোনওকিছু রেখে তার উপর ঠেস দিয়ে বসা। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বোঝাতে চাচ্ছেন তিনি কোলবালিশ বা অন্য কোনও হেলানের বস্তুতে বসেন না, যেমনটা বেশি খেতে ইচ্ছুক ব্যক্তি করে থাকে। বরং তিনি সোজা হয়ে বসেন; কোনওকিছুতে হেলান দিয়ে আরামে নয়। তিনি ক্ষুধা মেটা পরিমাণ খান। কেউ কেউ বলেন, এখানে হেলান দেওয়া বলতে একপাশে ঝুঁকে বসা বোঝানো হয়েছে।)
كتاب أدب الطعام
باب كراهية الأكل متكئًا
745 - عن أَبي جُحَيْفَةَ وَهْبِ بن عبد الله - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم: «لاَ آكُلُ مُتَّكِئًا». رواه البخاري. (1)
قَالَ الخَطَّابِيُّ: المُتَّكئُ هاهُنَا: هُوَ الجالِسُ مُعْتَمِدًا عَلَى وِطَاءٍ تحته، قَالَ: وأرادَ أنَّهُ لا يَقْعُدُ عَلَى الوِطَاءِ وَالوَسَائِدِ كَفِعْل مَنْ يُريدُ الإكْثَارَ مِنَ الطَّعَام، بل يَقْعُدُ مُسْتَوفِزًا لاَ مُسْتَوطِئًا، وَيَأكُلُ بُلْغَةً. هَذَا كلامُ الخَطَّابيِّ (2)، وأشارَ غَيْرُهُ إِلَى أنَّ الْمُتَّكِئَ هُوَ المائِلُ عَلَى جَنْبِه، والله أعلم.
قَالَ الخَطَّابِيُّ: المُتَّكئُ هاهُنَا: هُوَ الجالِسُ مُعْتَمِدًا عَلَى وِطَاءٍ تحته، قَالَ: وأرادَ أنَّهُ لا يَقْعُدُ عَلَى الوِطَاءِ وَالوَسَائِدِ كَفِعْل مَنْ يُريدُ الإكْثَارَ مِنَ الطَّعَام، بل يَقْعُدُ مُسْتَوفِزًا لاَ مُسْتَوطِئًا، وَيَأكُلُ بُلْغَةً. هَذَا كلامُ الخَطَّابيِّ (2)، وأشارَ غَيْرُهُ إِلَى أنَّ الْمُتَّكِئَ هُوَ المائِلُ عَلَى جَنْبِه، والله أعلم.

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যাহাদীস নং: ৭৪৬
 আহার-পানীয় গ্রহণের আদব
পরিচ্ছেদ : ৯ হেলান দিয়ে আহার করা মাকরূহ
হাদীছ নং: ৭৪৬
হযরত আনাস রাযি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দুই হাঁটু খাড়া করে নিতম্বে ভর করে বসা অবস্থায় খেজুর খেতে দেখেছি। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০৪৪)
হযরত আনাস রাযি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে দুই হাঁটু খাড়া করে নিতম্বে ভর করে বসা অবস্থায় খেজুর খেতে দেখেছি। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২০৪৪)
كتاب أدب الطعام
باب كراهية الأكل متكئًا
746 - وعن أنس - رضي الله عنه - قَالَ: رَأَيْتُ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - جَالِسًا مُقْعِيًا يَأكُلُ تَمْرًا. رواه مسلم. (1)
«المُقْعِي»: هُوَ الَّذِي يُلْصِقُ أَلْيَتَيْهِ بالأرض، وَيَنْصِبُ سَاقَيْهِ.
«المُقْعِي»: هُوَ الَّذِي يُلْصِقُ أَلْيَتَيْهِ بالأرض، وَيَنْصِبُ سَاقَيْهِ.

তাহকীক:
 হাদীসের ব্যাখ্যা
হাদীসের ব্যাখ্যা