মুসনাদে আহমদ- ইমাম আহমদ রহঃ (আল-ফাতহুর রব্বানী)

الفتح الرباني لترتيب مسند الإمام أحمد بن حنبل الشيباني

১. একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ১
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৫৫
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
প্রথম অধ্যায়ঃ একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
প্রথম পরিচ্ছেদ: একত্ববাদ প্রসঙ্গে

(১)পরিচ্ছেদঃ আল্লাহকে জানা, তাঁর একত্বের ঘোষণা দান ও তাঁর অস্তিত্বের স্বীকৃতি দানের আবশ্যকতা প্রসঙ্গে
(১) হযরত ইব্ন আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল (ﷺ) বলেন, আল্লাহ তাআলা, ‘না’মান,’ অর্থাৎ আরাফাত নামক স্থানে আদম (আ) নিকট থেকে (তথা সমগ্র বনী আদমের নিকট থেকে ) একটি বিশেষ প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেন।(প্রতিশ্রুতি গ্রহণের পদ্ধতিটি এইরূপ ছিল যে,) আল্লাহ্ আদম (আ)-এর প্রষ্ঠদেশ থেকে তাঁর প্রতিটি সন্তানকে (অর্থাৎ তাদের রূহকে) বের করে নিয়ে আসেন এবং তাঁর সম্মুখে (লাল) পিপীলিকার ন্যায় ছড়িয়ে দেন।আতঃপর তাদের মুখোমুখি হয়ে সরাসরি কথা বলেন, أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ ...... الْمُبْطِلُونَ অর্থাৎ আমি কি তোমাদের রব নই? তারা বললো, অবশ্যই।আমরা সাহ্মী রইলাম।এ স্বীকৃতি গ্রহণ এজন্য যে, তোমরা যেন কিয়ামতের দিন বলতে না পার, “আমরা এ বিষয়ে গাফিল কিংবা তোমরা যেন না বল, আমাদের পূর্বপুরুষগণই শিরক করেছে আর আমরা তাদের পরবর্তী বংশধর, তবে কি পথভ্রষ্টদের কৃতকর্মের জন্য তুমি আমাদেরকে ধ্বংস করবে?*

*নাসায়ী ও হাকিম।তিনি বলেন, হাদীসটির সনদ সহীহ্, তবে বুখারী ও মুসলিম কেউ তা সংকলন করেন নি, যাহাবী তাঁর এ মত সমর্থন করেছেন।
كتاب التوحيد
القسم الأول من الكتاب: قسم التوحيد وأصول الدين
كتاب التوحيد
(1) باب في وجوب معرفة الله تعالى وتوحيده والاعتراف بوجوده
(1) حدثنا عبد الله حدثني أبي ثنا حسين بن محمد (1) ثنا جرير يعني ابن حازم عن كلثوم بن جبر عن سعيد بن جبير عن ابن عباس (رضي الله عنهما) عن النبي صلى الله عليه وآله وسلم قال أخذ الله الميثاق من ظهر آدم بنعمان (2) يعني عرفة فأخرج من صلبه كل ذرية ذرأها (3) فنثرهم بين يديه كالذر ثم كلمهم قبلا (4) قال [وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِن بَنِي آدَمَ مِن ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّتَهُمْ وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنفُسِهِمْ أَلَسْتُ بِرَبِّكُمْ قَالُواْ بَلَى شَهِدْنَا أَن تَقُولُواْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّا كُنَّا عَنْ هَذَا غَافِلِينَ. أَوْ تَقُولُواْ إِنَّمَا أَشْرَكَ آبَاؤُنَا مِن قَبْلُ وَكُنَّا ذُرِّيَّةً مِّن بَعْدِهِمْ أَفَتُهْلِكُنَا بِمَا فَعَلَ الْمُبْطِلُونَ}.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২
আন্তর্জাতিক নং: ২১২৩২
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(১)পরিচ্ছেদঃ আল্লাহকে জানা, তাঁর একত্বের ঘোষণা দান ও তাঁর অস্তিত্বের স্বীকৃতি দানের আবশ্যকতা প্রসঙ্গে
(২) (যা).* রুফাই আবুল’ আলিয়া বর্ণিত, তিনি উবাই বিন কা‘ব (রা) থেকে বর্ণনা করেন, (বিষয়টি) মহান আল্লাহর বাণী, وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ عَلَى أَنفُسِهِمْ (এখন তোমার প্রভু বনী আদমের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি নিয়েছেলেন….) সম্পর্কিত।তিনি বলেন, আল্লাহ তাআলা তাদেরকে একত্রিত করেন, এবং তাদেরকে আত্মা ও আকৃতি প্রদান করেন।অতঃপর তাদের কথা বলার নির্দেশ দেন।অতঃপর তারা কথা বলে।এরপর তিনি তাদের কাছ থেকে প্রতিশ্রুতি ও মজবুত ওয়াদা গ্রহণ করেন, এবং তাদের সত্তাকে এ ব্যাপারে সাহ্ম্য হিসেবে গ্রহণ করেন এই মর্মে যে, আমি কি তোমাদের প্রভু নই? তিনি আরও বলেন, নিশ্চয় আমি তোমাদের উপর সাহ্ম্য স্থির করেছি সপ্তাকাশ ও সপ্তস্তবক মৃতিকাকে, আরও সাহ্ম্য রাখছি তোমাদের মূল পিতা আদমকে যেন তোমরা কিয়ামতের দিবসে একথা বলতে না পার যে, আমরা এ বিষয়ে আবগত ছিলাম না; জেনে রাখ, আমি ব্যতীত কোন ইলাহ বা উপাস্য নেই; আমি ভিন্ন কোন রব বা প্রভু নেই; সুতরাং তোমরা আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক বা অংশীদার করো না, আমি অবশ্যই তোমাদের কাছে আমার রাসূলগণকে প্রেরণ করবো তাঁরা তোমাদেরকে আমার এই প্রতিশ্রুতি ও ওয়াদার কথা স্মরণ করিয়ে দিবেন।উপরন্তু, আমি তোমাদের উদ্দেশ্যে আমার কিতাবসমূহও অবতীর্ণ করবো।(এতদশ্রবণে) তারা বলেছিল, (আদম সন্তানেরা) আমরা সাহ্ম্য দিচ্ছি যে, আপনি অবশ্যই আমাদের প্রভু ও ইলাহ।আপনি ছাড়া অন্য কোন প্রভু নেই।
كتاب التوحيد
(1) باب في وجوب معرفة الله تعالى وتوحيده والاعتراف بوجوده
(2) ز وعن رفيع أبي العاية عن أبي بن كعبٍ رضي الله عنه في قول الله عز وجل [وَإِذْ أَخَذَ رَبُّكَ مِن بَنِي آدَمَ مِن ظُهُورِهِمْ ذُرِّيَّاتَهُمْ] (1)
[وَأَشْهَدَهُمْ عَلَى أَنفُسِهِمْ] الآية قال جَمَعضهم فجعلهم أرواحاً ثم صورهم فاستنطقهم فتكلموا ثم أخذ عليهم العهدوالميثاق وأشهدهم على أنفسهم ألست بربكم قال فإني أُشهِد عليكم السموات السبع والأرضين السبع وأشهد عليكم أباكم آدم عليه السلام أن تقولوا يوم القيامة لم نعلم بذلك، اعلموا أنه لا إله غيري ولا رب غيري فلا تشركوا بي شيئا، إني سأرسل إليكم رسلي يذكرونكم عهدي وميثاقي وأنزل عليكم كتبي قالوا شهدنا بأنك ربنا وإلهنا لا رب غيرك فأقروا بذلك (1)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৩
আন্তর্জাতিক নং: ১২২৮৯
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(১)পরিচ্ছেদঃ আল্লাহকে জানা, তাঁর একত্বের ঘোষণা দান ও তাঁর অস্তিত্বের স্বীকৃতি দানের আবশ্যকতা প্রসঙ্গে
(৩) আনাস বিন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন যে, কিয়ামতে দিবসে জাহান্নামে শাস্তি প্রাপ্তদের মধ্য থেকে জনৈক ব্যক্তিকে বলা হবে তোমার কী মনে হয়, যদি ভূ-ভাগের উপরিস্থিত সবকিছু তোমার আয়ত্ত্বাধীন করে দেওয়া হয়।তবে, তুমি সবকিছুর বিনিময়ে জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি কামনা করবে? রাসূল (ﷺ) বলেন, তখন সে বলবে, হ্যাঁ অবশ্যই।আল্লাহ বলবেন, আমি (বরং) তোমার কাছে এর চেয়ে অধিক সহজ ও সস্তা (জিনিস) চেয়েছিলাম।আমি তোমার কাছ থেকে আদমের পৃষ্ঠদেশে অবস্থানকালীন সময়ে প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেছিলাম এই মর্মে যে, তুমি আমার সাথে কোন কিছুকে শরীক বা অংশীদার সাব্যস্ত করবে না।(পরবর্তীতে তুমি তা অস্বীকার করলে এবং আমার সাথে শরীক সাব্যস্ত করলে।”(বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
[হাকিম, তিনি বলেন হাদীসটির সনদ সহীহ তবে বুখারী ও মুসলিম কেউ হাদীসটি বর্ণনা করেন নি।যাহাবী তার বক্তব্য সমর্থন করেছেন।আর হাতিম, ইব্ন জারীর ও ইব্ন মারদাওয়াহও তাঁদের তাফসীরে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।]
كتاب التوحيد
(1) باب في وجوب معرفة الله تعالى وتوحيده والاعتراف بوجوده
(3) (2) وعن أنس بن مالك رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وىله وسلم قال يقال للرجل من أهل النار يوم القيامة أرأيت لو كان ما على الأرض من شيء أكنت مفتديا به، قال فيقول نعم، قال فيقول قد أردت منك أهون من ذلك، قد أخذت عليك في ظهر آدم أن لا تشرك بي شيئا فأبيت إلا أن تشرك بي.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৪
আন্তর্জাতিক নং: ২২০৭৩
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(১)পরিচ্ছেদঃ আল্লাহকে জানা, তাঁর একত্বের ঘোষণা দান ও তাঁর অস্তিত্বের স্বীকৃতি দানের আবশ্যকতা প্রসঙ্গে
(৪) আব্দুর রহমান বিন গানাম (রা) থেকে তিনি হচ্ছে সেই সৌভাগ্যশালী ব্যক্তি যাঁকে হযরত উমর ইব্ন খাত্তাব (রা) সিরিয়ায় প্রেরণ করেছিলেন মানুষজনকে ধর্মীয় জ্ঞান শিহ্মা দেয়ার উদ্দেশ্যে, তিনি বলেন, হযরত মুআয বিন জাবাল (রা) তাঁকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর থেকে এরূপ (হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, একদা রাসূল (ﷺ) তাঁর ইয়া’ফূর’ নামক গর্দভের পৃষ্ঠে আরোহণ করেন। এ গর্দভের লাগামটি ছিল খেজুর গাছের থাকার এর তৈরী।তিনি আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, হে মুআয, আরোহণ কর; আমি বললাম, আপনি চলুন, ইয়া রাসূলাল্লাহ।’ কিন্তু তিনি আবার বললেন, আরোহণ কর।
সুতরাং, আমি তাঁর পেছনে উঠে বসলাম। কিন্তু গর্দভ আমাদেরকে আসনসহ ফেলে দিল।আল্লাহর রাসূল (ﷺ) হাসতে হাসতে ওঠে দাঁড়ালেন, আর আমি মনে মনে দুঃখিত হয়ে দণ্ডায়মান হলাম।অতঃপর গর্দভ দ্বিতীয়বার এবং তৃতীয়বারও ঐরূপ করল।এবাদ গর্দভ আমাদেরকে বহন করে নিয়ে চললো।(কিছুহ্মণ পর) রাসূল (ﷺ) তাঁর হাত পেছনের দিকে ফিরিয়ে চাবুক অথবা দ্বারা (যা তাঁর হাতে ছিল) আমার পৃষ্ঠদেশে (মৃদু) আঘাত করলেন এবং বললেন, হে মুআয তুমি কি জান বান্দার উপর আল্লঅহর হক বা অধিকার কী? আমি বললাম আল্লঅহ ও তাঁর রাসূলই ভাল জানেন।তিনি বললেন, বান্দার উপর আল্লাহর অধিকার হচ্ছে যে, তারা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন কিছু শরীক করবে না।হযরত মুআয বলেন, (ইত্যবসরে) আল্লাহর ইচ্ছায় আমরা বেশ কিছুদূর অগ্রসর হলাম।আল্লাহর রাসূল (ﷺ) (পূর্বের ন্যায়) তাঁর হাত পেছনে ফিরিয়ে আমার পৃষ্ঠে (মৃদু) আঘাত করলেন (স্পষ্টতই) বুঝা যায় যে, এইরূপ আঘাতের উদ্দেশ্য হচ্ছে শ্রোতাকে কর্তব্য বিষয়ে আকৃষ্ট করা।) এবং বললেন, মুআয, ওহে মুআযের মায়ের সন্তান (স্নেহমাখা মধুর সম্বোধন), তুমি কি জান, বান্দারা যদি এইরূপ করে, তবে আল্লাহর উপর বান্দার ‘হক’ বা অধিকার কী? আমি বললাম।আল্লাহ ও তদীয় রাসূল সর্বোত্তম জ্ঞাত।তিনি বললেন, বান্দারা যদি ঐরূপ করে, তবে আল্লাহর উপর তাদের অধিকার হচ্ছে যে, তিনি তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।(বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী ও অন্যান্য)
كتاب التوحيد
(1) باب في وجوب معرفة الله تعالى وتوحيده والاعتراف بوجوده
(4) (3) وعن عبد الرحمن بن غَنْمٍ وهو الذي بعثه عمر بن الخطاب (رضي الله عنه) إلى الشام يفقه الناس أن معاذ بن جبل (رضي الله عنه)
حدثه عن النبي صلى الله عليه وآله وسلم أنه ركب يوما على حمار له يقال له يعفور (1) رَسَنُهُ من ليف ثم قال اركب يا معاذ فقلت: سر يا رسول اله فقال اركب فردِفْتُهُ (2) فصُرِع الحمار بنا فقام النبي صلى الله عليه وآله وسلم يضحك وقمت أذكر من نفسي أسفاً ثم فعل ذلك الثانية ثم الثالثة وسار بنا فأخلف يده (3) فضرب ظهري بسوطٍ معه أو عصا ثم قال يا معاذ هل تدري ما حق الله على العباد؟ فقلت الله ورسوله أعلم، قال فإن حق الله على العباد أن يعبدوه ولا يشركوا به شيئا، قال ثم سار ما شاء الله، ثم أخلف يده فضرب ظهري فقال: يا معاذ يا ابن أم معاذ هل تدري ما حق العباد على الله (4) إذا هم فعلوا ذلك؟ قلت الله ورسوله أعلم. قال: إذن حق العباد على الله إذا فعلوا ذلك أن يدخلهم الجنة.
হাদীস নং: ৫
আন্তর্জাতিক নং: ২১৯৯৩
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(১)পরিচ্ছেদঃ আল্লাহকে জানা, তাঁর একত্বের ঘোষণা দান ও তাঁর অস্তিত্বের স্বীকৃতি দানের আবশ্যকতা প্রসঙ্গে
(৫) আনাস বিন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা মুআয বিন জাবাল (রা)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে আরয করলাম, আপনি আমাদেরকে রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর বিরল হাদীসসমূহ থেকে কিছু বর্ণনা করুন।তিনি বললেন, ঠিক আছে।(একদা) আমি রাসূলের (ﷺ) গর্দভের উপর তাঁর পেছনে উপবিষ্ট ছিলাম।এমতাবস্থায় রাসূল (ﷺ) বলেন, হে মুআয, আমি বললাম, লাব্বাইকা ইয়া রাসূলাল্লাহ (আমি হাযির, ইয়া রাসূলাল্লাহ)।তিনি বলেন, তুমি জান কি বান্দার উপর আল্লাহর হক বা অধিকার কী? আমি বললাম, আল্লাহ ও তার রাসূল সর্বোত্তম জ্ঞাত।অতঃপর রাসূল (ﷺ) (উপরোক্ত হাদীসের) অনুরূপ বর্ণনা করেন, তবে পার্থক্য শুধু এতটুকু যে أن يدخلهم الجنة (তাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন)-এর পরিবর্তে أن لا يعذبهم (তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন না) বলেছেন।
অন্য এক বর্ণনায় ভিন্ন সূত্রে অতিরিক্ত এতটুকু বর্ণিত আছে যে, মুআয বলেন (এতদশ্রবণে) আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ) আমি কি লোকদেরকে এ সুসংবাদ প্রদান করবো না? তিনি (উত্তরে) বলেন, ছেড়ে দাও, (প্রয়োজন নেই) তারা (অধিক পরিমাণে) আমল করতে থাকুক।[বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য]
كتاب التوحيد
(1) باب في وجوب معرفة الله تعالى وتوحيده والاعتراف بوجوده
(5) (5) وعن أنس بن مالك رضي الله عنه قال أتينا معاذ بن جبل (رضي الله عنه) فقلنا حدثنا من غرائب حديث رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم قال نعم، كنت رِدْفه على حمار قال فقال يا معاذ بن جبل قلت لبيك يا رسول الله، قال: هل تدري ما حق الله على العباد؟ قلت الله ورسوله أعلم، فذكر مثله إلاأنه قال أن
لا يعذبهم بدل قوله أن يدخلهم الجنة زاد في رواية أخرى من طريق آخرقال: قلت يا رسول الله ألا أبشر الناس قال دعهم يعملوا. (1)
হাদীস নং: ৬
আন্তর্জাতিক নং: ১০৭৯৫
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(১)পরিচ্ছেদঃ আল্লাহকে জানা, তাঁর একত্বের ঘোষণা দান ও তাঁর অস্তিত্বের স্বীকৃতি দানের আবশ্যকতা প্রসঙ্গে
(৬) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিতঃ আল্লাহর রাসূল বলেন, হে আবূ হুরায়রা, তুমি কি জান আল্লাহর উপর মানুষের এবং মানুষের উপর আল্লাহর অধিকার কী? আমি বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলই (ﷺ) সর্বোত্তম জ্ঞাত।তিনি বলেন, মানুষের উপর আল্লাহর অধিকার হচ্ছে যে, তারা আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কোন কিছু শরীক করবে না।যদি তারা তা (সঠিকভাবে) সম্পন্ন করে, তবে তাদেরকে শাস্তি প্রদান না করা আল্লাহর করণীয় হয়ে দাঁড়ায় (অর্থাৎ আল্লাহ দয়াপরবশ হয়ে তাদেরকে অবশ্যম্ভাবীরূপে শাস্তি থেকে মুক্তি প্রদান করেন)।
كتاب التوحيد
(1) باب في وجوب معرفة الله تعالى وتوحيده والاعتراف بوجوده
(6) (2) وعن أبي هريرة رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وآله وسلم قال: يا أبا هريرة هل تدري ما حق الناس على الله وما حق الله على الناس؟ قلت: الله ورسوله أعلم. قال: حق الله على الناس أن يعبدوه ولا يشركوا به شيئا؛ فإذا فعلوا ذلك فحقٌ عليه أن لا يعذبهم.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৭
আন্তর্জাতিক নং: ২০৬৯৪
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(১)পরিচ্ছেদঃ আল্লাহকে জানা, তাঁর একত্বের ঘোষণা দান ও তাঁর অস্তিত্বের স্বীকৃতি দানের আবশ্যকতা প্রসঙ্গে
(৭) রিবয়ী ইব্ন হিরাশ থেকে বর্ণিত তিনি তুফাইল (রা), যিনি হযরত আয়িশা (রা)-এর বৈমাত্রীয় ভাই থেকে বর্ণনা করেন, তিনি একদা, নিদ্রিতাবস্থায় যেভাবে স্বপ্ন দেখে সে রকম দেখেন যে, তিনি ইয়াহুদীদের একটি দলের পাশ দিয়ে যাচ্ছেন।তখন তিনি জিজ্ঞেস করেন, তোমাদের পরিচয় কী? তারা বললো, আমরা ইয়াহুদী।তিনি বলেন, তোমরা (ভাল) সম্প্রদায় যদি না তোমরা বিশ্বাস করতে হযরত উযাইর (আ) আল্লাহর পুত্র।তখন তারা বললো, তোমরাও (ভাল) সম্প্রদায়- যদি না তোমরা বলতে ما شاء الله وشاء محمد অর্থাৎ যা কিছু আল্লাহ চান এবং যা মুহাম্মাদ (ﷺ) চান তা-ই হয়।অতঃপর তিনি নাসারাদের একটি দলের পাশ দিয়ে গমন করেন এবং জিজ্ঞেস করেন তোমাদের পরিচয় কী? তারা বললো, আমরা নাসারা, তখন তিনি বলেন (তোমরা নিঃসন্দেহে (একটি ভাল) সম্প্রদায়- যদি না তোমরা বলতে ‘মাসীহ’ ও ঈসা আল্লাহর পুত্র।প্রতুত্তরে তারা বললো তোমরাও (ভাল) সম্প্রদায় যদি না তোমরা বলতে ما شاء الله وشاء محمد “আল্লাহ যা চান এবং মুহাম্মাদ (ﷺ) যা চান তা-ই হয়।রাত্রি ভোর হলে তিনি (তুফাইল) দু’চার জনকে এ বিষয়ে অবহিত করেন, তিনি এ বিষয়ে অন্য কাউকে কি অবহিত করেছ? তিনি বলেন, হ্যাঁ।অতঃপর রাসূল (ﷺ) যখন সালাত (ফজর) আদায় করেন, তখন উপস্থিত সবাইকে সম্বোধন করেন, আল্লাহর উদ্দেশ্যে প্রসংসা প্রতি (হামদ ও ছানা পাঠ) করেন এবং বলেন, তুফাইল একটি স্বপ্ন দেখেছে এবং তোমাদের মধ্যে কারো কারো কাছে বর্ণনাও করেছ।নিশ্চয় তোমরা এমন একটি কালেমা (كلمة) বা বাক্য উচ্চারণ করে থাক (যা বলা সমীচীন নয়), যা থেকে আমি লজ্জার কারণে তোমাদেরকে বিরত থাকতে বলতে পারিনি।(এবার আমি তোমাদেরকে বলছি) তোমরা (আর কখনো) ما شاء الله وشاء محمد “যা আল্লাহ চান এবং যা মুহাম্মাদ চান তা-ই হয়” বলবে না।[আবূ ইয়া‘লা, বলেছেনঃ এ হাদীসের সনদ উত্তম]
كتاب التوحيد
(1) باب في وجوب معرفة الله تعالى وتوحيده والاعتراف بوجوده
(7) (3) وعن رِبْعِي بن حِراش عن طفيل بن سِخْبَرَةَ أخي عائشة (رضي الله عنهما) لأمها أنه رأى فيما يرى النائم كأنه مر برهط من اليهود فقال من أنتم قالوا نحن اليهود. قال: إنكم أنتم القوم لولا أنكم تزعمون أن عزيراً ابن الله. فقال اليهود: وأنتم القوم لولا أنكم تقولون ما شاء الله وشاء محمد، ثم مر برهط من النصارى، فقال: من أنتم؟ فقالوا: نحن النصارى، فقال: إنكم أنتم القوم لولا أنكم تقولوا المسيح ابن الله، قالوا: وإنكم أنتم الوقم لولا أنكم تقولون ما شاء الله وشاء محمد، فلما أصبح أخبر بها من أخبر، ثم أتى النبي- صلى الله عليه وآله وسلم- فأخبره فقال: هل أخبرت بها أحداً؟ قال: نعم، فلما صلوا خطبهم
فحمد الله وأثنى عليه ثم قال: إن طفيلا رأى رؤيا فأخبر بها من أخبر منكم وإنكم كنتم تقولون كلمة كان يمنعني الحياء منكم أن أنهاكم عنها قال: لا تقولوا ما شاء الله وما شاء محمد صلى الله عليه وآله وسلم.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৮
আন্তর্জাতিক নং: ২৩৩৩৯
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(১)পরিচ্ছেদঃ আল্লাহকে জানা, তাঁর একত্বের ঘোষণা দান ও তাঁর অস্তিত্বের স্বীকৃতি দানের আবশ্যকতা প্রসঙ্গে
(৮) হুযাইফা ইবন আল-য়ামান (রা) থেকে বর্ণিত, একদা জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর নিকট আগমন করে বলেন, আমি নিদ্রিতাবস্থায় (স্বপ্নে) দেখতে পাই যে, আমি আহলে কিতাবের (ইয়াহুদ ও নাসারা) জনৈক লোকের সাথে সাহ্মাৎ করেছি, তিনি বলেন, তোমরা কতইনা চমৎকার একটি সম্প্রদায় যদি না তোমরা বলতে যা কিছু চান আল্লাহ এবং যা চান মুহাম্মাদ (ﷺ) তা-ই হয়।(এতদ শ্রবণে) রাসূল (ﷺ) বললেন, তোমাদের এই কথাটি আমি (মূলত) অপছন্দ করে আসছিলাম।সুতরাং (এখন থেকে) তোমরা বলবে, ما شاء الله ثم محمد যা কিছু আল্লাহ চান এরপর মুহাম্মাদ (ﷺ) তা-ই হয়।
كتاب التوحيد
(1) باب في وجوب معرفة الله تعالى وتوحيده والاعتراف بوجوده
(8) (1) وعن حذيفة بن اليمان رضي الله عنه قال أتى رجلٌ النبي- صلى الله عليه وآله وسلم- فقال: إني رأيت في المنام أني لقيت بعض أهل الكتاب فقال نِعم القوم لولا أنكم تقولون ما شاء الله وشاء محمد، فقال النبي- صلى الله عليه وآله وسلم - قد كنت أكرهها منكم فقولوا ما شاء الله ثم محمد.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৯
আন্তর্জাতিক নং: ১৮৩৯
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(১)পরিচ্ছেদঃ আল্লাহকে জানা, তাঁর একত্বের ঘোষণা দান ও তাঁর অস্তিত্বের স্বীকৃতি দানের আবশ্যকতা প্রসঙ্গে
(৯) আব্দুল্লাহ ইবন্ আব্বাস (রা)-থেকে বর্ণিত, একদা জনৈক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে উদ্দেশ্য করে বলে, “যা কিছু আল্লাহ চান এবং আপনি চান”। এতদশ্রবণে রাসূল (ﷺ) তাকে বলেন, তিনি কি আমাকে এবং আল্লাহকে সমান সমান (বরাবর) করে দিলে? বরং বলবে “যা কিছু একমাত্র আল্লাহ চান”।[আহমাদ আব্দুর রহমান বলেন, আহমদ ছাড়া অন্য কোন গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই।হাদীসটির সনদ ভাল এ হাদীসটি নাসাঈতেও বর্ণিত আছে।সেখানে আছে মহানবী (ﷺ) লোকটির কথা শুনে বললেন, তুমি কি আল্লাহ সাথে আমাকে শরীক করলে?]
كتاب التوحيد
(1) باب في وجوب معرفة الله تعالى وتوحيده والاعتراف بوجوده
(9) (2) وعن ابن عباس رضي الله عنهما أن رجلاً قال للنبي- صلى الله عليه وآله وسلم - ما شاء الله وشئت. فقال له النبي- صلى الله عليه وآله وسلم: أجعلتني والله عِدْلاً (3) بل ما شاء الله وحدَه.
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১০
আন্তর্জাতিক নং: ১৯৫৮৭
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(২) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ মাহাত্ম্য, পরম শক্তি ও তাঁর প্রতি সৃষ্টির নির্ভরশীলতা প্রসঙ্গে
(১০) আবূ মুসা আল আশআরী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ (ﷺ) আমাদের মাঝে (দুই হাতে ভর দিয়ে শক্ত হয়ে) দণ্ডায়মান হলেন এবং বললেন, নিশ্চয় আল্লাহ জাল্লা শানুহু নিদ্রা যান না, এবং নিদ্রা যাওয়া তাঁর জন্য শোভনও নয়।তিনি মীযান, (বা আমল মাপার মানদণ্ড) নীচু করেন এবং উঁচু করেন।দিবসের শুরুতে তাঁর কাছে (সারা) রাত্রির আমলসমূহ (অর্থাৎ বান্দার কৃতকর্মসমূহ) এবং দিবসের আমলসমূহ রাত্রিতে পেশ করা হয়।
(একই বর্ণনাকারী থেকে ভিন্ন ধারায় বর্ণিত আছে) রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা নিদ্রা যান না এবং নিদ্রা যাওয়া তাঁর পহ্মে শোভনও নয়।তিনি ন্যায়দণ্ড নীচু করেন এবং উঁচু করেন।তাঁর হিজাব বা পর্দা হচ্ছে অগ্নি (অন্য বর্ণনায় ‘নূর’ বা জ্যোতি), যদি তিনি তা অপনোদন করেন।তাঁর চেহারার ঔজ্জ্বল্য দৃষ্টি শক্তির আওতাধীন সবকিছু ভষ্মিভূহ করে ফেলবে।অতঃপর আবূ উবায়দা (রা) এই আয়াত পাঠ করেন- فَلَمَّا جَاءهَا نُودِيَ أَن بُورِكَ مَن فِي النَّارِ وَمَنْ حَوْلَهَا وَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ “অতঃপর সে যখন সেখানে আসল তখন ঘোষিত হল, ধন্য সে ব্যক্তি, যে আছে এ অগ্নির মধ্যে এবং যারা আছে এর চতুষ্পার্শ্বে জগতসমূহের প্রতিপালক আল্লাহ পবিত্র ও মহিমান্বিত।” (নামলঃ৮) [মুসলিম ও ইবন মাজাহ।]
كتاب التوحيد
(2) باب في عظمة الله تعالى وكبريائه وكمال قدرته وافتقار الخلق إليه
(10) (4) وعن أبي موسى الأشعري- رضي الله عنه- قال: قام فينا رسول الله- صلى الله عليه وآله وسلم - بأربع فقال: إن الله عز وجل لا ينام ولا ينبغي له أن ينام يخفض القِسط. (5)
ويرفعه يُرفع (1) إليه عمل الليل بالنهار وعمل النهار بالليل، (وعنه من طريق آخر) (2) قال: قال رسول الله- صلى الله عليه وآله وسلم - إن الله لا ينام ولا ينبغي له أن ينام يخفض القسط ويرفعه، حجابه النار (3) لو كشفها لأحرقت سبحات (4) وجهه كل شيء أدركه بصره ثم قرأ أبو عبيدة [فَلَمَّا جَاءهَا نُودِيَ أَن بُورِكَ مَن فِي النَّارِ وَمَنْ حَوْلَهَا وَسُبْحَانَ اللَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ]
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১১
আন্তর্জাতিক নং: ১০৫০০
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(২) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ মাহাত্ম্য, পরম শক্তি ও তাঁর প্রতি সৃষ্টির নির্ভরশীলতা প্রসঙ্গে
(১১) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহর দহ্মিণ হস্ত সর্বদা পরিপূর্ণ; দিবা-নিশির বর্ষার ন্যায় ব্যাপক দান তাতে কোন ঘাটতি সংযোজন করতে পারে না।রাসূল (ﷺ) আরও বলেন, তোমরা কি লহ্ম্য করে দেখ না যে, এই আকাশ ও মৃত্তিকার সৃষ্টিলগ্ন থেকে কী পরিমাণ দান আল্লাহ করেছেন! কিন্তু তাতেও তাঁর দহ্মিণ হস্তের ভাণ্ডার ঘাটতির সম্মুখীন হয়নি।তিনি আরও বলেন, আল্লাহর মহান আরশ হচ্ছে পানির উপর, এবং তাঁর অপর হস্তে রয়েছে মীযান বা মানদণ্ড যা তিনি উঁচু ও নীচু করে থাকেন।(অর্থাৎ তাঁর করুণার ভাণ্ডার অফুরন্ত এবং তাঁর কুদরতের মানদণ্ড সর্বদা ক্রীয়াশীল।) [বুখারী, মুসলিম, বায়হাকী ও অন্যান্য]
كتاب التوحيد
(2) باب في عظمة الله تعالى وكبريائه وكمال قدرته وافتقار الخلق إليه
(11) (5) وعن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله- صلى الله عليه وآله وسلم -
يمين الله ملأى (1) لا يغيضها نفقة سحاء الليل والنهار وقال أرأيتكم ما أنفق (2) منذ خلص السماء والأرض فإنه لم يغض ما في يمينه قال وعرشه في الماء (3) بيده الأخرى الميزان يخفض ويرفع
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১২
আন্তর্জাতিক নং: ৮৮৬৩
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(২) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ মাহাত্ম্য, পরম শক্তি ও তাঁর প্রতি সৃষ্টির নির্ভরশীলতা প্রসঙ্গে
(১২) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে আরও বর্ণিত, রাসূল (ﷺ) বলেন, কিয়ামতের দিবসে আল্লাহ ভূমিকে কব্জা করবেন এবং আকাশকে তাঁর দহ্মিণ হস্তে গুটিয়ে নিবেন।অতঃপর (সদর্পে) ঘোষণা করবেন, আমিই (সার্বভৌম হ্মমতারধর) সম্রাট; (আজ) পৃথিবীর (তথাকথিত) সম্রাটরা কোথায়? [বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য]
كتاب التوحيد
(2) باب في عظمة الله تعالى وكبريائه وكمال قدرته وافتقار الخلق إليه
(12) وعنه أيضاً عن النبي صلي الله عليه وسلم قال يقبض الله الأرض يوم القيامة ويطوي السماء بيمينه (1) ثم يقول أنا الملك أين ملوك الأرض (2)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৩
আন্তর্জাতিক নং: ২১৫১৬
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(২) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ মাহাত্ম্য, পরম শক্তি ও তাঁর প্রতি সৃষ্টির নির্ভরশীলতা প্রসঙ্গে
(১৩) আবূ যর (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেন, আমি এমন কিছু দেখতে পাই যা তোমরা দেখতে পাও না, এবং এমন কিছু শুনতে পাই, যা তোমরা শুনতে পাও না।(আমি দেখতে ও শ্রবণ করতে পাই যে,) আকাশ ফিরিশতাদের পদচারণায় ভারাক্রান্ত।তার ভারাক্রান্ত হওয়াই উচিত।সেখানে চার আঙ্গুল পরিমাণ এমন কোন স্থান নেই, যেখানে একজন করে সিজদারত ফিরিশতা নেই।আমি যা জানি, তা যদি তোমরা জানতে, তবে তোমরা হাসতে কম কাঁদতে বেশী, আর বিছানার উপরে (আরাম করে) নারী সম্ভোগে সময় কাটাতে না; এবং অবশ্যই গ্রহ থেকে বের হয়ে সুউচ্চ রাস্তায় (কিংবা বন-বাগড়ে) ঘুরে বেড়াতে-আল্লাহর সান্নিধ্য ও করুণা প্রাপ্তির অন্বেষায়।’ হযরত আবূ যর (রা) বলেন, আল্লাহর শপথ, আমি মনে-প্রাণে কামনা করছিলাম আমি যদি একটি বৃহ্ম হতে পারতাম যাকে কর্তন করা হবে। [ইবন্ মাজাহ্ ও তিরমিযী তিনি বলেন হাদীসটি হাসান ও গরীব]
كتاب التوحيد
(2) باب في عظمة الله تعالى وكبريائه وكمال قدرته وافتقار الخلق إليه
(13) وعن ابي ذر رضي الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه ويلم إني أري ما لا ترون واسمع ما لا تسمعون أطت (3) السماء وحن لها ان تئط ما فيها يوضع أربع أصابع إلا عليه ملك ساجد، لو علمتم ما أعلم لضحكتم قليلاً ولبكيتم كثيراً ولا تلذذتم بالنساء علي الفرشات ولخرجتم على أعلى
الصعدات (1) تجأرون 'الي الله تعالي قال أبو ذر والله لوددت أني شجره تعضد
হাদীস নং: ১৪
আন্তর্জাতিক নং: ২১৩৬৭
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(২) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ মাহাত্ম্য, পরম শক্তি ও তাঁর প্রতি সৃষ্টির নির্ভরশীলতা প্রসঙ্গে
(১৪) আবূ যর (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেনঃ আল্লাহ জাল্লা শানুহু বান্দাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, হে আমার বান্দারা তোমরা প্রত্যেকেই গোনাহগার, অবশ্য আমি যাকে হ্মমা করে দিয়েছি (সে ব্যতীত)।
সুতরাং, তোমরা আমার কাছে হ্মমা প্রার্থনা কর, আমি তোমাদেরকে হ্মমা করে দেব।আর যে ব্যক্তি (তার বিশ্বাসের কারণে) জানে যে, আমি হ্মমা করার শক্তি সংরহ্মণ করি (আর এ বিশ্বাসে) সে আমার কাছে আমার শক্তিমত্তার সাহায্যে হ্মমা প্রার্থনা করে, তো আমি কারো তোয়াক্কা না করে তাকে হ্মমা করে দেই।আর তোমাদের প্রত্যেকেই পথভ্রষ্ট অবশ্য আমি যাকে পথ প্রদর্শন করি (সে ভিন্ন), সুতরাং তোমরা আমার কাছে সঠিক পথনির্দেশ কামনা কর আমি তোমাদের পথ নির্দেশ করব।আর তোমাদের প্রত্যেকেই হত দরিদ্র, অবশ্য আমি যাকে ধনাঢ্য করি (সে ভিন্ন), সুতরাং তোমরা আমার কাছে ঝাঞ্ঝা কর (ভিহ্মা চাও), আমি তোমাদের ধনাঢ্য করে দেব।
যদি তোমাদের প্রথম ও সর্বশেষ (অন্য বর্ণনায় এসেছে যে, যদি তোমাদের মানবকুল ও জ্বিনকুল তোমাদের ছোট ও বড়, তোমাদের স্ত্রী ও পুরুষকুল), তোমাদের জীবিত ও মৃত তোমাদের দ্রবীভূত ও বিশুদ্ধ (অর্থাৎ পৃথিবীর তাবৎ শক্তি) যদি আমার বান্দার অন্তঃকরণসমূহের মধ্য থেকে সবচেয়ে রুক্ষ্ম ও শক্ত অন্তঃকরণে একত্রিত হয় (এবং আপ্রাণ চেষ্টা চালায়) তবু মাছির পাখার সমান (সামান্যতম) হ্মতিও সাধন করতে পারবে না আমার সার্বভৌম সাম্রাজ্যের।(পহ্মান্তরে) যদি তারা আমার বান্দাদের অন্তঃকরণসমূহের মধ্য থেকে সবচেয়ে পবিত্র অন্তঃকরণে একত্রি হয় (এবং সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায়) তবু তারা আমার সার্বভৌম রাজত্বে মাছির পাখা পরিমাণ বৃদ্ধি করতে পারবে না।
আবার যদি তোমাদের সর্বপ্রথম ও সর্বশেষ (অন্য বর্ণনা মতে যদি তোমাদের মানবকুল, জ্বিনকুল, তোমাদের ছোট ও বড়, তোমাদের স্ত্রী ও পুরুষকুল), তোমাদের জীবিত ও মৃত, তোমাদের সবল ও দুর্বল একত্রিত হয়ে প্রত্যেকেই নিজ নিজ কামনা-বাসনা ও আশানুরূপ আমার কাছে চাহিদা পেশ করে এবং আমি প্রত্যেককে তার আকাহ্মা অনুযায়ী দান করি।(তবুও) আমার ভাণ্ডারে কোনই হ্মতি সাধিত হবে না।
অনুরূপভাবে যদি তোমাদের কেউ সমুদ্রের কিনারা বয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় একটি সূঁচ সমুদ্রের পানিতে ডুবিয়ে তা উঠিয়ে নেয় (তাতে সমুদ্রের পানির যেমন কোন হ্মতি বা ঘাটতি সাধিত হয়না)।তেমনি আমার সার্বভৌম (হ্মমতার) রাজ্যের কোন হ্মতি হয় না।
কারণ, আমি হচ্ছি ‘জাওয়াদ’ বা দয়ার সাগর, “মাজেদ” দয়ার সাগর, “মাজেদ” করুণা ও সম্মানের আধার, সামাদ এবং অমুখাপেহ্মী।আমার দান (করূণা) হচ্ছে ‘কালাম’ বা বাণী এবং আমার শাস্তি হচ্ছে ‘কালাম’ বা বাণী।(অন্য বর্ণনায় এসেছে, আমার দান হচ্ছে আমার কালাম এবং আমার শাস্তি হচ্ছে আমার কালাম)।যখন আমি কোন কিছু সংঘটিত করতে চাই তখন আমি বলি ‘কুন’ ‘হয়ে যাও’, অতঃপর তা হয়ে যায়।
[একই বর্ণনাকারী (অর্থাৎ আবূ যর (রা)) থেকে ভিন্ন সূত্রে বর্ণিত] রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাঁর সহাপ্রভু আল্লাহ থেকে বর্ণনা করেন আল্লাহ বলেনঃ আমি আমার সত্তার উপর এবং আমার বান্দাদের উপর জুলুম বা অবিচার হারাম করে দিয়েছি।অতএব, সাবধান, তোমরা পরস্পর জুলুম (অবিচার) করো না।প্রতিটি আদম সন্তান রাত্রে ও দিবসে ভুল (গুনাহ) করে থাকে, অতঃপর আমার কাছে হ্মমা প্রার্থনা করে, আর আমি তাকে মার্জনাা করে দেই এবং কারো তোয়াক্কা আমি করি না।(আল্লাহ) আরও বলেনঃ হে আদম সন্তানগণ, তোমরা প্রত্যেকেই ছিলে পথভ্রষ্ট, অবশ্য আমি যাকে পথ-নির্দেশনা (হিদায়েত) প্রদান করেছি (সে ভিন্ন); তোমাদের প্রত্যেকেই ছিলে পরিধেয় পরিচ্ছদ বিহীন, অবশ্য আমি যাকে পরিধেয় প্রদান করেছি; তোমাদের প্রত্যেকেই ছিলে অভুক্ত হ্মুধার্থ অবশ্য আমি যাকে খাবার খাইয়েছি, তোমাদের প্রত্যেকেই ছিলে তৃষ্ণার্থ অবশ্য আমি যাকে পান করিয়েছি।সুতরাং, তোমরা আমার কাছে পথ-নির্দেশনা (হিদায়েত) কামনা কর, আমি তোমাদের পথ-নির্দেশনা প্রদান করব; আমার কাছে পরিধেয় প্রার্থনা কর, আমি তোমাদের পরিধেয় (বস্ত্র ও অন্য কিছু) প্রদান করব; আমার কাছে খাবার প্রার্থনা কর আমি তোমাদেরকে খাবার প্রদান করব; আমার কাছে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য পানীয় প্রার্থনা কর, আমি তোমাদেরকে তৃষ্ণা নিবারণী পানীয় প্রদান করব। হে আমার বান্দাগণ, (তোমরা জেনে রাখ) যদি তোমাদের সর্বপ্রথম এবং সর্বশেষ (পূর্বে উল্লেখিত হাদীসের অনুরূপ …..) একত্রিত হয়ে, প্রচেষ্টা চালায় তবু আমার সার্বভৌম (হ্মমতার) রাজ্যের কোনই হ্মতিসাধন করতে পারবে না- যেমন পারে না সূচাগ্র সাগর জলের। [মুসলিম, ইবন্ মাজাহ্]
كتاب التوحيد
(2) باب في عظمة الله تعالى وكبريائه وكمال قدرته وافتقار الخلق إليه
وعن ابي ذر رضل الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم يقول الله عز وجل يا عبادي كلكم مذنب إلا من عافيت فاستغفروني أغفر لكم (2) ومن علم أني أقدر علي المغفرة فاستغفرني بقدرتي عفرت له ولا أبالي، وكلكم ضال إلا من هديت فاستهدوني اهدكم، وكلكم فقير الا من أغنيت، فاسالوني أغنكم، زلز أن أولكم وآخركم (وفي روايه وإنسكم وجنكم وصغيركم وكبيركم وذكركم وانثاكم) وحيكم وميتكمورطبكم ويابسكم اجتمعوا علي اشقي قلب من قلوب عبادي ما نقص في ملكي جناح بعوضة ولو اجتمعوا علي أتقي قلب عبد من عبادي ما زاد في ملكي من جناح بعوضة، ولو أن أولكم وآخركم (وفي رواية - وإنسكم وجنكم وصغيركم وكبيركم وذكركم وأنثاكم) وحيكم وميتكم ورطبكم ويابسكم اجتمعوا فسألني كل سائل منهم ما بلغت أمنيته
فأعطيت كل سائل منهم ما سأل ما نقصني (1) كما لو أن أحدكم مره بشفة البحر فغمس فيها 'برة ثم انتزعها كذلك لا ينقصي من ملكي، ذلك بأني جواد (2) ماجد صمد، عطائي كلام وعذابي كلام (وفي رواية عطائى كلامى وعذابى كلامى) إذا أردت شيئا فانما اقول له كن فيكون (وعنه في أخرى) (3) عن النبي صلى الله عليه وسلم فيما يروى عن ربه عز وجل اني حرمت على نفسى الظلم وعلي عبادي، ألا تظالموا، كل بني آدم يخطئ بالليل والنهار ثم يستغفرنى فأغفر له ولا أبالى، وقال يا بنى آدم كلكم كان ضالا إلا من هديت، وكلكم كان عاريا إلا من كسوت، وكلكم كان جائعا إلا من أطعمت، وكلكم كان ظمآنا إلا من سقيت فاستهدونى أهدكم , واستكسونى أكسكم، واستطعمونى أطعمكم واستسقونى أسقكم، يا عبادى لو أن أولكم وآخركم (فذكر نحو الحديث المتقدم وفيه لم ينقصوا من ملكي شيئا لإلا كما ينقص رأس المخيط من البحر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৫
আন্তর্জাতিক নং: ২৮১২
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(২) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ মাহাত্ম্য, পরম শক্তি ও তাঁর প্রতি সৃষ্টির নির্ভরশীলতা প্রসঙ্গে
(১৫) আব্দুল্লাহ ইবন্ আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যখন গভীর রাতে (মধ্যরাতে) সালাত আদায়ের উদ্দেশ্যে দণ্ডায়মান হতেন তখন এই দোয়া পাঠ করতেন- اللهم لك الحمد، أنت نور السموات والأرض....... انت إلهي لا إله إلا أنت হে আল্লাহ, তোমরা জন্য তাবৎ প্রশংসা, তুমি আকাশসমূহ এবং ভূমণ্ডলের এবং এতদউভয়ের মধ্যস্থিত সবকিছুর জ্যোতি এবং তোমরা তরে তাবৎ প্রশংসা, তুমি আকাশসমূহ ও ভূমণ্ডলের এবং এতদউভয়ের মধ্যস্থিত সবকিছুর নিয়ামক; তোমরা তরে সকল প্রশংসা, তুমি সত্য, তোমরা কথা বা বাণী সত্য, তোমরা প্রতিশ্রুতি সত্য, তোমরা সাহ্মাৎ সত্য, জান্নাত সত্য, জাহান্নাম সত্য, কিয়ামত (প্রলয় দিবসের নির্ধারিত সময়) সত্য।হে আল্লাহ তোমরা তরে আমার শির অবনত (আমি তোমরা ইচ্ছার সম্মুখে ইসলাম গ্রহণ করলাম); তোমরা প্রতি আমি পূর্ণ বিশ্বাস স্থাপন করেছি; তোমরা উপর আমি পূর্ণ ভরসা করেছি; তোমরাই প্রতি আমি আনত; তোমরাই জন্য আমি লড়েছি; তোমরা নির্দেশমত আমি মীমাংসা করেছি।সৃতরাং তুমি আমার ভবিষ্যত, আমার গোপন ও আমার প্রকাশ্য ক্রটিসমূহ হ্মমা কর, আমার অতীত।তুমিই একমাত্র আমার ইলাহ বা উপাস্য, তুমি ভিন্ন অন্য কোন উপাস্য নেই।[বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য]
كتاب التوحيد
(2) باب في عظمة الله تعالى وكبريائه وكمال قدرته وافتقار الخلق إليه
(15) وعن ابن عباس رضي الله عنهما أن رسول الله صلي الله عليه وسلم كان إذا قام إالي الصلاة من حوف الليل يقول اللهم لك الحمد، أنت نور السموات والأرض ومن فيهن ولك الحمد انت قيام (2) السموات والأرض ومن فيهن ولك الحمد: أنت رب السموات والأرض ومن فيهن ولك الحمد، أنت الحق وقولك الحق ووعدك الحق، ولقاؤك حق والجنة حق والنار حق والساعة حق، اللهم لك أسلمت وبك آمنت وعليك توكلت وإليك أنبت وبك خاصمت وإليك حاكمت فاغفر لي ما قدمت وأخرت وأسررت وأعلنت انت إلهي لا إله إلا أنت
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৬
আন্তর্জাতিক নং: ২১২১৯
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(৩) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর গুণাবলী এবং সর্বপ্রকার ক্রটি থেকে তাঁর উর্ধ্বে থাকা প্রসঙ্গে
(১৬) আবুল আলিয়া থেকে বর্ণিত, তিনি উবাই ইবন্ কা‘ব (রা) থেকে বর্ণনা করেন, একদা মুশরিকরা আল্লাহর রাসূল (ﷺ)-কে বললো, হে মুহাম্মাদ, আপনি আমাদের কাছে আপনার প্রভুর বংশ পরিচয় বর্ণনা করুন।তখন আল্লাহ তাবারাকা ওয়া তাআলা (এই আয়াত) অবতীর্ণ করেনঃ বলুন, আল্লাহ এক ও একক।আল্লাহ অমুখাপেহ্মী।তিনি জন্ম দেন না এবং জন্ম গ্রহণও করেননি।এবং তাঁর সমকহ্ম কেউ নেই। (তিরমিযী, ইবন্ জারীর ও ইবন্ আবী হাতিম)
كتاب التوحيد
(3) باب في صفاته عز وجل وتنزيهه عن كل نقص
(16) عن أبي العالية عن أبي بن كعب رضي الله عنه أن المشركين
قالوا للنبي صلي الله عليه وسلم يا محمد انسب لنا ربك فأنزل الله تبارك وتعالي (قل هو الله احد الله الصمد لم يلد ولم يولد ولم يكن له كفوا أحد)
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৭
আন্তর্জাতিক নং: ৮৬১০
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(৩) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর গুণাবলী এবং সর্বপ্রকার ক্রটি থেকে তাঁর উর্ধ্বে থাকা প্রসঙ্গে
(১৭) আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, আল্লাহ জাল্লা শানুহু বলেনঃ আমার বান্দা আমাকে মিথ্যারোপ করে থাকে অথচ তার এরূপ করা সমীচীন নয়।আমাকে গালি দেয়, অথচ তার জন্য তা সমীচীন নয়।আমাকে তার মিথ্যারোপের নমুনা হচ্ছে, (অন্য বর্ণনায় আমাকে তার মিথ্যারোপ হলঃ) সে বলে আমাদেরক যেভাবে (সৃজনের) সূচনা করেছিলেন, সেভাবে আল্লাহ আমাদেরকে কখনই ফিরিয়ে আনতে পারবেন না।আর আমাকে তার গালি দেয়ার প্রক্রিয়া হচ্ছে, সে বলে, আল্লাহ পুত্র সন্তান গ্রহণ করেছেন।অথচ আমি হচ্ছি ‘সামাদ’ অমুখাপেহ্মী যে, কাউকে জন্ম দেই না এবং আমি কারো জাতকও নই; এবং হতে পারে না কেউ আমার সমকহ্ম।
كتاب التوحيد
(3) باب في صفاته عز وجل وتنزيهه عن كل نقص
(17) وعن أبي هريره رضى الله عنه قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم قال الله عز وجل كذبني (1) عبدي ولم يكن له ذلك، وشتكني ولم يكن له ذلك، تكذيبه إياى (وفي رواية فأما تكذيبه إياى) أن يقول فلن يعيدنا كما بدأنا، وأما شتمه إياى يقول إتخذ الله ولداً وأنا الصمد الذي لم ألاد ولم أولد ولم يكن لي كفوا أحد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৮
আন্তর্জাতিক নং: ৭২৪৫
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(৩) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর গুণাবলী এবং সর্বপ্রকার ক্রটি থেকে তাঁর উর্ধ্বে থাকা প্রসঙ্গে
(১৮) একই বর্ণনাকারী থেকে আরও বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূল (ﷺ) বলেন, মহাপ্রভু আল্লাহ বলেন- আদম সন্তান আমাকে পীড়া দেয়।সে ‘কাল’ বা ‘সময়-কে গালি দেয়।অথচ আমিই ‘কাল’ আমার হাতেই নিয়ামক; রাত্রি ও দিবসের পরিবর্তন আমিই ঘটাই। (বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য)
كتاب التوحيد
(3) باب في صفاته عز وجل وتنزيهه عن كل نقص
(18) وعنه أيضا قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم قال اللع عز وجل يؤذيني ابن آدم يسب الدهر (2) وأنا الدهر بيدي الأمر أقلب الليل والنهار
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ১৯
আন্তর্জাতিক নং: ৮৩৭৬
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(৩) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর গুণাবলী এবং সর্বপ্রকার ক্রটি থেকে তাঁর উর্ধ্বে থাকা প্রসঙ্গে
(১৯) একই বর্ণনাকারী থেকে আরও বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, শয়তান তোমাদের কারো কাছে আসে (সংগোপনে) এবং জিজ্ঞাসা করে আকাশ সৃষ্টি করেছে কে? তখন সে বলে, আল্লাহ তাআলা।সে আবার জিজ্ঞাসা করে ভূমণ্ডল সৃষ্টি করেছে কে? সে উত্তর দেয়, আল্লাহ, তারপর সে (শয়তান) জিজ্ঞাসা করে আল্লাহকে সৃষ্টি করেছে কে? তোমাদের মধ্যে যদি কেউ এইরূপ (প্রশ্ন) অনুভব করে সে যেন বলে দেয়, (آمنت بالله ورسله) “আমি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি।” (বুখারী, মুসলিম ও নাসাঈ)
كتاب التوحيد
(3) باب في صفاته عز وجل وتنزيهه عن كل نقص
(19) وعنه أيضا قال قال رسول الله صلي الله عليه وسلم إن الشيطان يأتي أحدكم فيقول من خلق السماء؟ فيقول الله عز وجل: فيقول من خلق الأرض؟ فيقول الله، فيقول من خلق الله، فإذا أحس احدكم بشيء من هذا فليقل آمنت بالله ورسله (1)
হাদীস নং: ২০
আন্তর্জাতিক নং: ২৪৭৫২
একত্ববাদ ও দীনের মূল ভিত্তিসমূহের আলোচনা
(৩) পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর গুণাবলী এবং সর্বপ্রকার ক্রটি থেকে তাঁর উর্ধ্বে থাকা প্রসঙ্গে
(২০) আয়শা (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন লোকজন তাদের অন্তরে অনুভূত ‘ওয়াস্ওয়াসা’ বা কুমন্ত্রণা সম্পর্কে রাসূল্লাহর (ﷺ) কাছে নালিশ করে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ (ﷺ), আমরা (আমাদের অন্তরে) এমন কিছু (সাংঘাতিক) বিষয় পাই যে, সে সম্পর্কে কথা বলার চেয়ে আকাশ থেকে লুটিয়ে পড়াই যেন অধিক কাঙ্ক্ষিত (সহজতর) মনে হয়।অতঃপর আল্লাহর রাসূল (ﷺ) বলেনঃ এটিই হচ্ছে ঈমানের সত্যিকার স্বরূপ। (আল-বাযযার, আবূ ইয়া‘লা, মুসলিম, আবূ দাউদ ও নাসাঈ অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।)
كتاب التوحيد
(3) باب في صفاته عز وجل وتنزيهه عن كل نقص
(20) زعن عائشة رضي الله عنها قالت شكوا إلي رسول الله صلي الله عليه وسلم ما يجدون من الوسوسة وقالوا يا رسول الله انا لنجد شيئاً لو أن أجدنا خر من السماء كان أحب إليه من أن يتكلم به فقال النبي صلي الله عليه وسلم ذلك محض الإيمان (2)
tahqiq

তাহকীক: