মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
১৯- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
হাদীস নং: ৩৭৩৩
- রাষ্ট্রনীতি ও আদালত-বিচার অধ্যায়
২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - প্রশাসনিক কর্মস্থলে কাজ করা এবং তা গ্রহণের দায়িত্বে ভয় করা
৩৭৩৩। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তিকে মানুষের মধ্যে কাযী (বিচারক) হিসাবে নিয়োগ করা হইল, তাহাকে যেন ছুরি ছাড়াই যবাহ্ করা হইল। —আহমদ, তিরমিযী, আবু দাউদ ও ইবনে মাজাহ্
كتاب الإمارة والقضاء
الْفَصْل الثَّانِي
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مِنْ جُعِلَ قَاضِيًا بَيْنَ النَّاسِ فَقَدْ ذُبِحَ بِغَيْرِ سِكِّينٍ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُدَ وَابْنُ مَاجَهْ
হাদীসের ব্যাখ্যা:
ছুরি ব্যতীত যবাহ্ হওয়ার অর্থ, স্বাভাবিকভাবে যাহা বুঝা যায় সেই যবাহ্ নহে। এক অর্থ হইল, বিচারক তাহার ‘দ্বীন' খোয়ায় ‘দেহ' খোয়ায় না। অথবা উহার অর্থ হইল, ছুরির দ্বারা যবাহ্ হইতে যেই ব্যথা পাওয়া যায়, উহা অল্প সময়ের মধ্যেই শেষ হইয়া যায়; কিন্তু বিচারকের ব্যথাযন্ত্রণা সারা জীবন তথা কিয়ামত পর্যন্ত। আবার কেহ কেহ বলেন, বিচারকের স্বীয় কুপ্রবৃত্তি ও কুচিন্তা ইত্যাদিকে সমূলে খতম করিয়া দিতে হয়, উহাকেই 'ছুরি ব্যতীত যবাহ্' বলিয়া ইংগিত করা হইয়াছে।