তাওয়াফের দু‘আ
প্রশ্নঃ ১০১২৯০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, রাসূল ﷺ তাওয়াফের সাত চক্করে কি কি দু‘আ করেছেন?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
তাওয়াফের সময় যার যেটা মনে চায় একান্তভাবে আল্লাহ তা‘আলার সামনে পেশ করতে পারে। তবে হযরত আতা রহ. বলেন, আবু হুরায়রা রাযি. আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ ﷺ–কে বলতে শুনেছেন,...যে ব্যক্তি সাতবার বায়তুল্লাহ্ তাওয়াফ করে এবং কোন কথা না বলে নিম্নোক্ত দু‘আ পড়ে سُبْحَانَ اللّٰهِ وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ وَلَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلَّا بِاللّٰهِ তার দশটি গুনাহ মুছে যাবে। তার জন্য দশটি নেকী লেখা হবে এবং তার মর্যাদা দশগুণ বর্ধিত করা হবে। আর যে ব্যক্তি তাওয়াফ করে এবং এ অবস্থায় কথা বলে, (উপরোক্ত জিকির করে বা অন্য কোনো মাসনুন জিকির করে।) সে তার পদদ্বয় কেবল রহমতের মধ্যে ডুবিয়ে রাখে; যেমন কারো পদদ্বয় পানিতে ডুবিয়ে রাখে। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং: ২৯৫৭
এই হাদিসেরই প্রথম অংশে উত্তম কথা ছাড়া কোনো কথা না বলতে নির্দেশ করা হয়েছে। তাছাড়া যেহেতু বিধানগতভাবে তাওয়াফও আংশিক নামাযের অন্তর্ভুক্ত তাই তাতে উত্তম কথা (জিকির, তিলাওয়াত এবং সৎকাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ ছাড়া) অন্য কোনো কাজ/কথা বলা উচিত নয়।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া
খতীব, নবোদয় সি ব্লক জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
ইমাম, বায়তুল ওয়াহহাব জামে মসজিদ, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন