যিনাকারী যিনা করার সময় মু’মিন থাকে না
প্রশ্নঃ ১০৬৪০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, যিনায় লিপ্ত থাকা অবস্থায় দুআ কবুল হয়না, এইখানে যিনা বলতে কী শারীরিক সম্পর্ককে বুঝানো হয়? নাকি চোখের যিনা হাতের যিনা ইত্যাদি ছোট যিনাকেও ধরা হয়?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
যিনায় লিপ্ত থাকা অবস্থায় দোয়া কবুল হয় না। কথা শুধু এটুকুই নয়। বরং হাদীসে আরো কঠোর শব্দ এসেছে। হাদীসের ভাষ্য হলো, যিনায় লিপ্ত থাকা অবস্থায় সে মুমিন থাকে না। তার ঈমান সরে পড়ে।
آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ الأَعْمَشِ عَنْ ذَكْوَانَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لاَ يَزْنِي الزَّانِي حِينَ يَزْنِي وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَسْرِقُ حِينَ يَسْرِقُ وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَلاَ يَشْرَبُ حِينَ يَشْرَبُهَا وَهُوَ مُؤْمِنٌ وَالتَّوْبَةُ مَعْرُوضَةٌ بَعْدُ.
আবূ হুরাইরাহ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ যিনাকারী যিনা করার সময় মু’মিন থাকে না। চোর চু্রি করার সময় মু’মিন থাকে না। মদপানকারী মদ পানের সময় মু’মিন থাকে না। তবে তারপরও তাওবাহ উন্মুক্ত।
—সহিহ বুখারী, হাদীস নং ৬৮১০
যিনার কয়েকটি পর্যায় রয়েছে। ভিন্ন হাদীসে চোখের যিনা, হাতের যিনা, বিভাজন করা হয়েছে। সেই হিসেবে যার ঈমান থাকবে সে কোন ধরনের যিনায় লিপ্ত হওয়ার কথা নয়। যেহেতু সে কোন এক প্রকারের যিনায় লিপ্ত হওয়ার মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার হুকুম লংঘন করেছে, নিশ্চয়ই সেই মুহূর্তে তার ঈমানের শক্তি ও পাওয়ার তার থেকে দূরেই ছিল। নতুবা সে এই অন্যায় কিভাবে সংঘটিত করল?
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে ঈমানের সাথে রাখেন। ঈমানের দাবিতে সমস্ত গোনাহ থেকে দূরে থাকার তৌফিক নসীব করেন। আমীন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন