প্রশ্নঃ ১১২৯৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, 
মুহতারাম!
আমার প্রশ্নটি হচ্ছে দোয়াতে আল্লাহর কাছে অনেক সময় এমনভাবে চাওয়া হয়, যা বাহ্যিকভাবে দোয়ার আদব পরিপন্থী মনে হয়। 
যেমন- বুষ্টি হতে বাঁচার দোয়াতে বলা হয়েছে,
আমাদের এখানে বৃষ্টি বর্ষন করবেন না। সেখানে প্রযোজন সেখানে দিন। এটা তো আদেশ হয়ে গেল। 
যে যেখানে প্রয়োজন সেখানে দিন। 
আরো আদবের সাথে বলা যেত, 
হে পরোযার দেগার আমরা বৃষ্টি আর প্রযোজন। দয়া করে আমাদের হতে বৃষ্টি তুলে নিন। গভীর ভালোবাসায় বিনয়াবনত চিত্তে চাওয়া যেত। 
এভাবে আদের ভাষা দোয়াতে ব্যবহার কি সমুচীন হচ্ছে। নাকি দোয়ার   এটি শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজ এটি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
কুরআন সুন্নাহে বর্ণিত প্রতিটি দোয়াতেই মনের মাধুরি মিশিয়ে আল্লাহ তায়ালার কাছে বলা হয়েছে। যারা আরবী ভাষা বুঝেন তারা বিষয়টি সেভাবেই উপলব্ধি করতে পারেন। কিন্তু সমস্যা হলো আমরা যারা আরবি বুঝি না এবং অনুবাদ দেখে দেখে দুয়া বুঝার চেষ্টা করি তাদের জন্য। কেননা যেকোনো ভাষাই অন্যভাষায় রূপান্তর হলে তার মূল আবেদন কিছুটা ক্ষুন্ন হয়। কাজেই আপনি যেভাবেই বলুন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন।
তবে দোয়ার আদব হলো, যখন আমরা দোয়া করবো তখন এটা মনের রাখতে হবে আমি তো আহকামুল হাকিমিন আল্লাহ তায়ালার কাছে ভিক্ষা চাচ্ছি। দুনিয়ার একজন সাধারণ বিক্ষুক যখন নগণ্য কোনো মানুষের কাছে ভিক্ষা চায় তখন সে যেই পরিমাণ অনুনয়-বিনয়ের সাথে চায় আমাকে তার চেয়ে হাজরগুণ বেশী বিনয়াবনত মস্তকে দোয়া করত হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের তাওফিক দান করুন। আমিন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
