প্রশ্নঃ ১২৭৫৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
১ আল আদিয়াত সূরা নামাজ এ ( আফালা ইয়া লামু ইজা ) থেকে শুরু করে পড়লে নামাজ হবে কি । ২ হসপিটালে থাকার কারণে নামাজ আদায় করার কোনো সুযোগ না থাকলে কিভাবে নামাজ আদায় করব। এ ক্ষেত্রে কাযা পড়লে সুন্নাত নামাজ ও কি কাযা পড়তে হবে না শুধু ফরজ নামাজ আদায় করলে হবে।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. জি হয়ে যাবে।
২. শরিয়তে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশেষত ফরজ নামাজের ব্যাপারে কুরআন-হাদিসে সুসংবাদ দান এবং অসংখ্য সতর্কবানী বর্ণিত হয়েছে। কাজেই একান্ত অপরগতা ছাড়া নামাজ কাজা করা জায়েজ নাই।
হসপিটাল থাকলেও নামাজ আদায়ের সুযোগ থাকে। নামাজের প্রতি অগ্রহ এবং প্রবল ইচ্ছাই আপনার জন্য পথ খুলে দিবে। তবে একান্ত কারণে শরঈ ওজরের কারণে যদি আদায় না-ই করতে পারেন তাহলে পরবর্তীতে কাজা করে নিতে হবে।
আর কাজা নামাজ সম্পর্কে জানতে নিচের রেফারেন্সউত্তরটি দেখুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১২৬৫৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার বয়স ২২ বছর, আমি একজন নারী, আমাকে ছোট বেলায় সেভাবে কেও ইসলাম সম্পর্কে শিক্ষা দেয়নি, নামাজ পড়া শিখিয়েছে, তবে নামাজের কন্সেপ্ট ক্লিয়ার করে কেও বলেনি,কুরআন পড়া শিখিয়েছে। নামাজে যতটা বলেছিলো অভাবেই পড়ে আসছি। এখন আমি জানতে পেরেছি যে, ৪ রাকাত ফরজ নামাজে ৩য় এবং ৪র্থ রাকাতে সুরা ফাতিহার পরে অন্য সুরা মিলিয়ে পড়ার প্রয়োজন হয়না। কিন্তু আমি এতদিন ৪ রাকাত নামাজ ই সুরা ফাতিহার সাথে অন্য সুরা মিলিয়ে পড়েছি । ১.আমার প্রশ্ন হচ্ছে, আমি তো না জানা অবস্থায় এভাবে নামাজ পড়ছি আর আমার যে ভুল হচ্ছে সেটা বুঝতে না পারার কারনে শুদ্ধ ও করে নিতে পারিনি, তাহলে কি আমার এতদিনের কোনো নামাজই কবুল হবেনা? বা এটার জন্য আমার কি শাস্তি হবে? আর আমি যে এতদিন এই বিষয়ে অজ্ঞাত ছিলাম এর জন্য কি আমার গুনাহ হবে? আমি তো বুঝতেই পারিনি যে আমার ভুল হচ্ছে তাহলে আমি কিভাবে আমার নামাজ শুদ্ধ করে নিতাম! আমি খুবই চিন্তিত এই ব্যপারে। ২.আমার আর একটি প্রশ্ন হচ্ছে, কাযা নামাজ আদায়ের নিয়ম কি? আমাকে যদি ৫ ওয়াক্ত নামাজেরই বিতর সহ কাযা পড়ার নিয়ম টা বলে দেন স্টেপ বাই স্টেপ তাহলে খুব ই উপকৃত হবো।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মানিত প্রশ্নকারী! আল্লাহ তায়ালা আপনাকে কবুল করুন। আলহামদুলিল্লাহ আপনি নামাজ আদায় করতে এবং কুরআন তেলাওয়াত করতে জানেন এটা অত্যন্ত সৌভাগ্যের বিষয়। আল্লাহ তায়ালা আপনাকে তাঁর প্রিয়দের অন্তর্ভূক্ত করুন।
উত্তর-১
ফরয নামাযের ৩য়, ৪র্থ রাকাতে সূরা মিলালে নামায নষ্ট হবে না এবং সাহু সিজদাও ওয়াজিব হবে না। তবে ফরয নামাযের শেষ দুই রাকাতে শুধু সূরা ফাতেহা পড়াই সুন্নত। ইচ্ছাকৃত ফরযের শেষ দুই রাকাতে সূরা মিলানো সুন্নত পরিপন্থী। হাদীস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যোহর এবং আসরের শেষ দুই রাকাতে শুধু সূরা ফাতেহা পড়তেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৪৫১
এছাড়া বহু সাহাবা-তাবেয়ী থেকেও ফরযের শেষ দুই রাকাতে শুধু সূরা ফাতেহা পড়ার কথা বর্ণিত হয়েছে। যেমন ওমর ইবনুল খাত্তাব রা., আলী রা., আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা., আয়েশা রা., জাবের রা., আবু দারদা রা., মুজাহিদ রাহ., ইবনে সিরীন ও হাসান বসরী রাহ. প্রমুখ সাহাবা-তাবেয়ীগণ।
অতএব ফরয নামাযের শেষ দুই রাকাতে কেবল সূরা ফাতেহাই পড়বে। ইচ্ছাকৃত অন্য সূরা পড়বে না। (মাসিক আলকাউসার)
তবে ভুলে করলে নামাজের কোনো ক্ষতি হবে না।
# আরো জানতে নিচের 4116 নং উত্তরটি দেখুন।
উত্তর-২
কাজা নামাজ আদায়ের নির্দিষ্ট বা স্বতন্ত্র কোনো নিয়ম নেই। সাধারণ ওয়াক্তিয়া নামাজের মতই কাজা নামাজও আদায় করতে হয়। সেক্ষেত্রে আপনি প্রথমে ফজরের কাজা দিয়ে শুরু করে ইশা-বিতিরের মাধ্যমে শেষ করতে পারেন।
#আর যদি উমূরী কাজা (বিগত জীবনের দীর্ঘ সময়ের কাজা নামাজ) হয় তাহলে তা সম্পর্কে জানতে নিচের 11938 নং রেফারেন্স উত্তরটি দেখুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন