ইউটিউবে নারীর তেলাওয়াত আপলোড দেওয়ার বিধান
প্রশ্নঃ ১৩১১৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার প্রশ্ন কোন মেয়ে Youtube এ কুরআন তিলাওয়াত এর চেনেল খুলতে পারে কিনা। সে সহীহ কুরআন তিলাওয়াত করতে পারে এবং একটা চেনেল খুলেছেন।এ-ই বিষয়ে কি বিধান আছে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ফেতনার আশঙ্কা হলে প্রাপ্তবয়স্ক বা প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার কাছাকাছি এমন গাইরে মাহরাম মেয়ের কণ্ঠে কুরআন শোনাও বৈধ হবে না। তবে মাহরামগণ তা শ্রবণ করতে পারবে। ফকীহগণ পরপুরুষের কানে কুরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ পৌঁছতে পারে এজন্য নামাযের মধ্যেও আস্তে আস্তে তিলাওয়াত করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এমনকি কোনো কোনো ফকীহ উচ্চস্বরে তিলাওয়াত করলে নামায ফাসেদ হওয়ার কথাও বলেছেন।
উল্লেখ্য যে, মহিলাদের জন্য আযান দেওয়া, উচ্চস্বরে তালবিয়া পড়া এজন্যই নিষেধ করা হয়েছে, যাতে পরপুরুষের কানে তাদের আওয়াজ না পৌঁছে।
মোটকথা, কুরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রেও ফেতনার আশঙ্কা হলে পরপুরুষের কানে এর আওয়াজ পৌঁছে- এভাবে পড়া থেকে বিরত থাকা কর্তব্য।
প্রকাশ থাকে যে, প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে বা মহিলাদের কণ্ঠে ধারণকৃত অডিও, ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার যে রেওয়াজ এখন চালু হয়েছে তা কোনোক্রমেই বৈধ নয়।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১০০৬০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামু আলাইকুম, হযরত, ইউটিউব এ নিজের স্ত্রীকে পরিপূর্ণ পর্দা করিয়ে ভিডিও বানানো কি জায়েয হবে? দ্বীনের প্রচারের জন্য?(প্রশ্নটা করার কারন,এক ভাইকে দেখলাম উনি প্রায় ইউটিউবে নিজ স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে অল্প সময়ের একটি ভিডিও তৈরি করেন,যা পরবর্তীতে ইউটিউবে আপলোড দেয়।ঔ দম্পতি ভিডিওতে কুরআন বা হাদিসের কথা কিংবা কোনো মহৎ উক্তিগুলো তারা বলে প্রচার করে থাকে।কয়েকজনকে কমেন্ট সেকশনে এই বিষয়ে ঔ দম্পতিকে প্রচুর মন্দ কথা বলতে দেখতে পাওয়া যায়।একজন কমেন্ট এ লিখলেন, পর্দা করে নাকি মেয়েরা সবকিছু করতে পারে।কথাটা নিয়ে ভাবনায় পড়ে গেলাম,এই বিষয়েও আপনার কাছে জানতে চাই। আর উক্ত দম্পতির ঔ কাজ কি শরীয়তে জায়েয হবে? জানালে বোধহয় আমি উপকৃত হব।আর তাদের জানাতে পারলে তারাও উপকৃত হবে ইন শা আল্লহ।)
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
"পর্দা করে মেয়েরা সব কিছু করতে পারে" কথাটি ঠিক, তবে মেয়েদের কণ্ঠ পর্দার অন্তর্ভুক্ত! নিতান্ত প্রয়োজন ব্যতীত পর -পুরুষ তার কন্ঠ শুনলে ওই নারী গুনাহগার হবে! তাই উক্ত ব্যক্তি বোরকা পড়িয়ে তার স্ত্রীর দ্বারা ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করার দ্বারা পর্দার হুকুম লঙ্ঘিত হবে, তাই এভাবে মহিলাদের দ্বারা ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করা জায়েয হবে না!
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শাইখ আবু সাঈদ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, মোহাম্মাদপুর।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন