و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته

بسم الله الرحمن الرحيم

সম্মানিত প্রশ্নকারী!

আমরা অত্যন্ত দুঃখিত যে, আপনার প্রশ্নটি আরো আগেই আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছিল। কিন্তু রমজানঘনিষ্ট প্রশ্নের অধিক চাপের কারণে এবং আমাদের ব্যক্তিগত আমলের বিবেচনায় এদিকে সময় দিতে পারিনি।

কুরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে,

تَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ

“তোমারা কল্যাণ এবং তাকওয়ার কাজে পরস্পর সহযোগিতা করো। গুনাহ এবং সীমালঙ্ঘনের কাজে সহাযোগিতা করোনা। এমনিভাবে হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে الدَّالَّ عَلَى الْخَيْرِ كَفَاعِلِهِ যে কোনো ভালো কাজের পথ দেখায় সে ওই ভালো কাজ করার সাওয়াব পায়।

প্রিয়ভাই! আপনি আপনার বন্ধুকে যেই কাজে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেছেন তা নিশ্চয়ই একটি গর্হিত ও গুনাহের কাজে। এর মাধ্যমে সে যেই গুনাহ করেছে তার একটা অংশ আপনার ওপরও বর্তাবে।

কাজেই এখন আপনার জন্য করনীয় হলো, ভবিষ্যতে এজাতীয় কাজে নিজেও পা না বাড়ানো এবং কাউকে এইসব কাজে সহাযোগিতা না করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রত্যয়ী হয়ে আল্লাহ তায়ালার দরবারে কায়মনোবাক্যে, একনিষ্ঠভাবে অঙ্গীকার করা এবং অতীত কর্মের ভুল স্বীকার করে তাওবা করা। তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা আপনার অতীতের ওই গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।

আপনি তাকে যেই টাকা দিয়েছিলেন সেটা যেহেতু ধার হিসেবেই দিয়েছেন তাই তার কাছ থেকে ওই টাকা চেয়ে নিতে কিংবা সেচ্ছায় সে ফেরত দিলে আপনার গ্রহন করতে কোনো অসুবিধা নাই।

والله اعلم بالصواب