প্রশ্নঃ ১৬৪৫৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
হুজুর আযানের জবাব সম্পর্কিত কিছু জানার ইচ্ছে ।
১.. লাইভ মক্কা ইউটিউব চ্যানেল এ যদি আমি আযানের জবাব দেই তাহলে কী আমি সওয়াব পাবো মক্কায় আযানের জবাব এর?
২.. রমজান মাসে আমি দেশে বসে মক্কার মাগরিবের আজান এর জবাব দেওয়াটা অসম্ভবও জাচ্ছেকারণ তখন আমাদের এখানে তারাবির নামাজ অর্থাৎ রাত ৯.৩৪ । তো আমি কি ওই টাইম এ তারাবির নামাজ চলমান অবস্থায় যদি আক্তুসময় নিয়ে আযানের জবাব দেই তারপর আবার আমার না পরা 2 রাকাত তারাবির নামাজ পড়ে যদি নিজে একা পরে আবার জামাতে যোগ দিলে কি কোনো সমস্যা হবে না তো??
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
আজানের জবাবের ক্ষেত্রে মাসয়ালা হলো যদি সরাসরি মুয়াজ্জিনের মুখ থেকে আজান শোনা হয় তাহলে তার জবাব দেওয়া সুন্নত এবং তাতে সাওয়াবও হবে ইনশাআল্লাহ। কিন্তু যদি সরাসরি সম্প্রচার/লাইভ না হয়ে পূর্ব রেকর্ডকৃত আজান হয় তাহলে তার জবাব দেওয়া সুন্নত নয় এবং তাতে সাওয়াব হওয়ার ব্যাপারেও কোনো ওয়াদা নেই। লাইভ চ্যানেলে প্রচারিত আজান যেহেতু সরাসরি সম্প্রচার তাই আপনি তার জবাব দিতে পারেন। এবং ইনশাআল্লাহ সাওয়াবও হবে। (বাদায়েউস সানায়ে : ১/৬৪৬, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ১/১৭০)
2. আজানের জবাবের ব্যাপারে যদিও রাসূলুল্লাহ সা. অনেক গুরুত্বারোপ করেছেন ( বুখারী ৬১১) কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু মানুষ আছে যাদের জন্য আজানের জবাব দেওয়া সুন্নত নয়। তার মধ্যে প্রধান হলো নামাজরত ব্যক্তি। (আদ্দুররুল মুখতার : ১/৩৯৭) কাজেই আপনি যখন নামাজরত থাকবেন তখন কিছুতেই আজানের জবাব দিবেন না। তাহলে আপনার নামাজ ভেঙ্গে যাবে। আর নামাজ বন্ধ রেখে মক্কা-মদিনার আজানের জবাব দেওয়ার অপেক্ষা করাও জায়েজ হবে না। কেননা এর মাধ্যমে নামাজের চেয়ে আজানের জবাব দেওয়াকে অধিক গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে যা শরিয়তসম্মত নয়।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন