নফল ইবাদতে চাপ প্রয়োগ করা বা শাস্তির বিধান রাখা
প্রশ্নঃ ১৮৩৫৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নফল ইবাদতের জন্য চাপ প্রয়োগ করা জাবে কি না? যেমন, তাহাজ্জুদের নামাজ, শাওয়ালের ছয় রোজা। এবং তাহাজ্জুদের নামাজের প্রমান স্বরুপ ছবি বা ভিডিও করে রাখা যাবে কিনা?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নফল ইবাদত ফরজের পরিপূরক। আল্লাহ তায়ালার নৈকট্য লাভ করা এবং রাসূলুল্লাহ সা. এর ইশক ও মুহাব্বাতের পরিচায়ক। কুরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা তাঁর প্রিয় হাবিবকে রাতের কিয়দাংশে তাহাজ্জুাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন
“রাতের কিছু অংশে তাহাজ্জুদ পড়বে, যা তােমার জন্য এক অতিরিক্ত ' ইবাদত। আশা করা যায় তোমার প্রতিপালক তোমাকে মাকামে মাহমুদ ’ - এ পৌছাবেন।। সুরা বানি ইসরাঈল-৭৯
হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে রাসূলুল্লাহ সা. শেষ রাতে ঘরের অন্যান্য সদস্যদের জাগিয়ে দিতেন। এছাড়াও নফল রোজা, দান সদকা ইত্যাদীর ব্যাপারেও অসংখ্য রেওয়ায়াত বর্ণিত হয়েছে। এতে বোঝা যায় শরিয়তের দৃষ্টিতে ফরজের সাথে সাথে নফলের গুরুত্বও অপরিসীম। কিন্তু নফলের জন্য কাউকে প্রহার করা কিংবা শাস্তি দেওয়া শরীয়তসম্মত নয়। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানে যদি নফল নামাজ-রোজা, জিকির, তেলাওয়াত, তাসবিহাত ইত্যাদীর নিয়মিত রূটিন থাকে এবং কোনো ছাত্র বিনা কারণে কিংবা ঔদ্ধত্য প্রদর্শণপূর্বক সেগুলো আদায় না করে তাহলে এর কারণে যদি তার ওপর শরীয়তের সীমার মধ্যে থেকে কোনো ধরণের প্রাতিষ্ঠানিক শাস্তি প্রয়োগ করা হয় তাহলে তা না জায়েজ হবে না। কেননা এই আমলগুলো মূলত তাদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্যই।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
বাইতুল কুরআন মাদারাসা , মোহাম্মাদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন