ব্যাংক কার্ড দিয়ে লাউঞ্জ সুবিধা গ্রহন করার বিধান
প্রশ্নঃ ২৭০৩০. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমার কিছু বাংকের ক্রেডিট কার্ড আছে। এই কার্ডে কিছু লাউঞ্জ সুবিধা পাওয়া যায়। বিদেশ যাওয়ার আগে এয়ার পোর্ট এই সুবিধা আছে। এইখানে বসে খাওয়া যায়। টাকা দেওয়া লাগে না। এই খাওয়া জায়েজ কি না?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ব্যাংকের কাছে আপনি আপনার টাকা রেখেছেন। এই টাকাগুলো ব্যবহারের সুবিধার জন্য ব্যাংক আপনাকে কার্ড দিয়েছে। এই কার্ড থেকে যেসব সার্ভিস আপনি গ্রহণ করবেন তার বিনিময়ে বাৎসরিক একটি ফি তারা কর্তন করে নিচ্ছে। তাই এই সুবিধা আপনার প্রাপ্য।
এর বাহিরে ব্যাংক আপনাকে কার্ড হোল্ডার হিসেবে লাউঞ্জ সুবিধা দিলে বুঝে নিতে হবে আপনার টাকা তাদের কাছে রেখে অতিরিক্ত সুবিধা ভোগ করছেন। যেটি আপনার মৌলিক প্রাপ্য নয়। আর এটিই সুদ। শরীয়তের মূলনীতি হলো-
كل قرض جر نفعا فهو ربا حرام
ঋণ যেই সুবিধা নিয়ে আসে তা সুদ।
এই মূলনীতির স্বপক্ষে ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ বর্ণিত হাদিসটি উল্লেখযোগ্য।
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَتَيْتُ الْمَدِينَةَ فَلَقِيتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ سَلاَمٍ ـ رضى الله عنه ـ فَقَالَ أَلاَ تَجِيءُ فَأُطْعِمَكَ سَوِيقًا وَتَمْرًا، وَتَدْخُلَ فِي بَيْتٍ ثُمَّ قَالَ إِنَّكَ بِأَرْضٍ الرِّبَا بِهَا فَاشٍ، إِذَا كَانَ لَكَ عَلَى رَجُلٍ حَقٌّ فَأَهْدَى إِلَيْكَ حِمْلَ تِبْنٍ، أَوْ حِمْلَ شَعِيرٍ أَوْ حِمْلَ قَتٍّ، فَلاَ تَأْخُذْهُ، فَإِنَّهُ رِبًا. وَلَمْ يَذْكُرِ النَّضْرُ وَأَبُو دَاوُدَ وَوَهْبٌ عَنْ شُعْبَةَ الْبَيْتَ.
৩৫৪২। সুলাইমান ইবনে হাবর (রাহঃ) ... আবু বুরদা (রাহঃ) বলেন, আমি মদীনায় গেলাম; আব্দুল্লাহ ইবনে সালামের সাথে আমার সাক্ষাত হল। তিনি আমাকে বললেন, তুমি আমাদের এখানে আসবে না? তোমাকে আমি খেজুর ও ছাতু খেতে দেব এবং একটি (মর্যাদাপূর্ণ) ঘরে থাকতে দেব। অতঃপর তিনি বললেন, তুমি এমন স্থানে (ইরাক) বসবাস কর, যেখানে সুদের কারবার অত্যন্ত ব্যাপক। যখন কোন মানুষের নিকট তোমার কোন প্রাপ্য থাকে আর সেই মানুষটি যদি তোমাকে কিছু ঘাস, খড় অথবা খড়ের ন্যায় নগণ্যবস্তুও হাদীয়া পেশ করে তা গ্রহণ করো না, যেহেতু তা সুদের অন্তর্ভুক্ত। নযর (রাহঃ), আবু দাউদ (রাহঃ) ও ওয়াহাব (রাহঃ) শু’বাহ্ (রাহঃ) থেকেبَيْت শব্দটি বর্ণনা করেন নি।
—সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩৫৪২ (আন্তর্জাতিক নং ৩৮১৪)
বর্ণনাকারী: আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম (রাঃ)
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন