এজেন্ট কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে ভিসা বিক্রি করা
প্রশ্নঃ ২৭৪৪৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বিদেশে লোক পাঠানোর জন্য, যে এজেনের সাথে কাজ করা হয়, এজেন আমার কাছে একটা রেট দিলো আমি যাত্রির কাছে থেকে রেট বারায় দিয়ে ইনকাম করলাম। তাতে কি জায়েজ হবে? মোট কথা আদম ব্যাবসা জায়েজ কিনা।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
সম্মানিত প্রশ্নকারী!
এজেন্ট যদি আপনাকে ভিসার মূল্য নির্ধারণ করে দেয় এবং এর বাইরে আপনার পারিশ্রমিক নির্ধারণ করে দেয় তাহলে সেক্ষেত্রে এজেন্টের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশী মূল্য গ্রহন করতে পারবেন না। কেননা এখন আপনি এজেন্টের পক্ষ থেকে ভিসার বিক্রয় প্রতিনিধি। আর মূল বিক্রেতা যদি কোনো পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় তাহলে তার প্রতিনিধি বিক্রেতা সেই মূ্ল্য বৃদ্ধি করতে পারবে না।
কিন্তু যদি পারিশ্রমিক নির্ধারণ না করে বরং আপনাকে কমিশনে তাদের কাঙ্খিত মূল্যের অধিক বিক্রির অনুমতি দিয়ে দেয় এবং সেই অতিরিক্ত অর্থই আপনার পারিশ্রমিক হিসেবে গণ্য হয় তাহলে তার অবকাশ আছে এবং বিক্রিলব্ধ সেই টাকাও হালাল হবে।
আরও বিস্তারিত জানতে নিচের রেফারেন্স উত্তরটি দেখুন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ২৫২০২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, যদি কোন লোখ কে বিদেশে পাঠাই তাহলে এটা কি জায়েজ হবে?যেমন আমি অন্য জনের থেকে ভিসা আনলাম এক দামে এনে অন্য জনের কাছে কিছু বেশি দামে বিক্রি করতে পারবো বা বিদেশ বেশি দামে লোখ পাঠাতে পারবো? উত্তর দিলে উপক্রিত হতো
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় প্রশ্নকারী ভাই! যেহেতু কিয়ামতের দিন উপার্জনের উৎস সম্পর্কে জবাবদিহি করতে হবে সেহেতু মুমিনের জন্য হালাল উপার্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ( সুনানুত তিরমিযী, হাদীস নং ২৪১৭)
আর ইসলাম কল্যাণকর সকল বস্তুকে মানবজাতির জন্য হালাল করেছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ كُلُواْ مِمَّا فِي ٱلۡأَرۡضِ حَلَٰلٗا طَيِّبا “
হে মানুষ পৃথিবীতে হালাল ও তাইয়্যিব যা রয়েছে তা থেকে আহার কর।”(সূরা বাক্বারা ১৬৮)
সুতরাং আপনার উক্ত কাজের মাঝে যদি মিথ্যাচার, ধোঁকা، প্রতারণা, সুদ-ঘুষের সম্পৃক্ততা, যুলুম, খেয়ানত না থাকে; বরং যদি কাজটা আপনি সততা, আমানতদারিতা, স্বচ্ছতা, আন্তরিকতা, শৃঙ্খলা ও ওয়াদা পালনসহ সম্পাদন করতে পারেন তাহলে এর বিনিময়ে মুনাফা অর্জন আপনার জন্য হালাল হবে। হাদীসে এসেছে,
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ : التَّاجِرُ الصَّدُوقُ الأَمِينُ مَعَ النَّبِيِّينَ وَالصِّدِّيقِينَ وَالشُّهَدَاءِ
‘‘আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সৎ ও আমানতদার ব্যবসায়ী (কিয়ামতের দিন) নবীগণ, সিদ্দিকীন ও শহীদদের সাথে থাকবে।” (সুনানুত তিরমিযী, হাদীস নং ১২০৯)
-শায়েখ উমায়ের কোব্বাদী
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
শিক্ষক, জামিয়া ইসলামিয়া ইবরাহিমিয়া দারুল উলুম মেরাজনগর, কদমতলী, ঢাকা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন