প্রশ্নঃ ৩৭৩৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ফরজ নামাজের পর যে সম্মিলিত মোনাজাত করা হয়, এটা কি বিদআত??
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ক) দুআ অনেক বড় ইবাদত। হাদীস শরীফে এসেছে, দুআই ইবাদত। এই দুআ যেমন একা করা যায় তেমনি সম্মিলিতভাবেও করা যায়। সম্মিলিত দুআ সংক্রান্ত এক দুটি দলিল নিম্নে সংক্ষেপে উল্লেখ করা হল-
১. কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
قَالَ قَدْ اُجِیْبَتْ دَّعْوَتُكُمَا.
আল্লাহ তাআলা বললেন, তোমাদের দুজনের দুআ কবুল করা হয়েছে।
-সূরা ইউনুস (১০) : ৮৯
এ আয়াতে তোমাদের দুজনের দুআ বলতে মূসা আ. ও হারূন আ.-এর দুআ বুঝানো হয়েছে। একাধিক সাহাবী ও তাবেয়ী ইমামের সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, হযরত মূসা আ. দুআ করেছেন এবং হারূন আ. আমীন বলেছেন। একেই আল্লাহ তাআলা দুজনের দুআ বলেছেন।
-তাফসীরে ইবনে কাসীর ২/৬৬৫;
আদ্দুররুল মানসূর ৩/৩৪১
তো এটা তাদের দুজনের সম্মিলিত দুআ ছিল, যা আল্লাহ তাআলা কবুল করেছেন এবং খোশখবরি শুনিয়েছেন যে, তোমাদের দুজনের দুআ কবুল করা হয়েছে।
২. একটি দীর্ঘ হাদীসে সাহাবীয়ে রাসূল হযরত হাবীব ইবনে মাসলামা আলফিহরী রা. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তিনি ইরশাদ করেছেন-
لَا يَجْتَمِعُ مَلَأٌ فَيَدْعُو بَعْضُهُمْ وَيُؤَمِّنُ الْبَعْضُ إِلّا أَجَابَهُمُ اللهُ.
কিছু মানুষ যখন কোথাও একত্র হয়ে এভাবে দুআ করে যে, একজন দুআ করে এবং অন্যরা আমীন বলে সেক্ষেত্রে আল্লাহ তাআলা অবশ্যই তাদের দুআ কবুল করেন।
-আলমুজামুল কাবীর, তবারানী, হাদীস ৩৫৩৬;
মুসতাদরাকে হাকেম, হদীস ৫৪৭৮;
মাজমাউয যাওয়ায়েদ, হাদীস ১৭৩৪৭
তবে ফরজ নামাজের পর সম্মিলিত মোনাজাত উচ্চ আওয়াজে করতে গিয়ে মাসবুকদের নামাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করা এবং এই মুনাজাতকে আবশ্যক করে তোলা অনুচিত।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
