প্রশ্নঃ ৪৫৪২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আস সালামু আলাইকুম। প্রিয় ভাই! নামাজের ভিতরে আমার অন্তরে মারাত্মক ধরনের খারাপ ধারনা আসে। এটা আসলে কি করনিয়। আমি কি ওই সময় অন্তরে ইস্তেগফার অথবা অন্যকিছু কি পড়তে পারবো? দ্বিতীয় প্রশ্ন হল বাতরুমে গিয়ে প্রকাশ্যে অথবা অন্তরে আল্লাহর নাম অথবা অন্যকিছু কি পড়ত পাড়বো? আর বাতরুমে ফরজ গোসল অথবা সাভাবিক গোসল কি উলন্ঙ হয়ে করা যাবে কি? ফরজ গোসল অবস্হায় সরিরে নাপাক কাপুর থাকা অবস্হায় গোসল করা যাবে কি? থাকলে কি করনিয়
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. নামাযে একাগ্রতা আনার জন্য কয়েকটি বিষয়ে করণীয়।
ভালোভাবে পবিত্রতা অর্জন করা। সুন্নত তরিকায় অজু করা। সর্বদা হালাল খাদ্য খাওয়া। নামাযের পূর্বে এই দোয়াটি পড়া
أعوذ بالله العظيم و بوجهه الكريم و سلطانه القديم من الشيطان الرجيم
উচ্চারণ : আউযুবিল্লাহিল আযীম, ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম, ওয়া সুলতানিহিল ক্বদীম, মিনাশ শাইত্বনির রজীম।
ধীরেসুস্থে নামায পড়া। নামাযের তাকবীরে তাহরীমা থেকে সালাম পর্যন্ত প্রতিটি কালিমা সহীহভাবে উচ্চারণ করা এবং সম্ভব হলে অর্থের দিকে খেয়াল করা। এরপরেও ওয়াসওয়াসা এসে গেলে
أعوذ بالله من الشيطان الرجيم
আউযুবিল্লাহি মিনাশ শাইত্বনির রজীম পড়া
২. বাথরুম দুর্গন্ধ মুক্ত হলে, ফ্লোরে বা দেয়ালে নাপাক না থাকলে, কমোডে ঢাকনা দেয়া থাকলে বাথরুমে দোয়া কালাম পড়া যাবে।
৩. বাথরুমের বাহির থেকে কেউ দেখে ফেলার ভয় না থাকলে উলঙ্গ হয়ে গোসল করতে নিষেধ নেই। তবে উত্তম নয়।
৪. ফরয গোসল করার সুন্নত তরিকা দেখে নিন আমাদের এই অ্যাপে মাসালা বিভাগে। পাক-নাপাক অথবা গোসল অংশে গিয়ে পাবেন।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন