শ্বাস কষ্টের কারণে তায়াম্মুম করার বিধান
প্রশ্নঃ ৫০০৪২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, একজন এমন রোগে আক্রান্ত যে, উনি যদি পানি দিয়ে অজু করে নামাজ পড়ে। তাহলে উনার আরো সমস্যা হতে পারে। সুতরাং পানি ব্যবহার করতে গেলে সমস্যা হবে। তাহলে কি তায়ামুম করে নামাজ পড়া যাবে।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ওই ব্যক্তি গরম পানি দিয়ে অজু করতে পারে। তাতেও কষ্ট হলে এবং ডাক্তার যদি গরম পানিও ব্যবহার করতে নিষেধ করেন সাথে সাথে বাস্তাবেও গরম পানি ব্যবহার করলেও তার রোগ বেড়ে যেতে পারে তাহলে তার জন্য তায়াম্মুম করার অবকাশ থাকবে। কিন্তু শুধু নিজের ধারণার কারণে অজু বাদ দিয়ে তায়াম্মুম করা জায়েজ হবে না।
وَلَا جُنُبًا إِلَّا عَابِرِي سَبِيلٍ حَتَّىٰ تَغْتَسِلُوا ۚ وَإِن كُنتُم مَّرْضَىٰ أَوْ عَلَىٰ سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَفُوًّا غَفُورًا [٤:٤٣]
আর (নামাযের কাছে যেও না) ফরয গোসলের আবস্থায়ও যতক্ষণ না গোসল করে নাও। কিন্তু মুসাফির অবস্থার কথা স্বতন্ত্র আর যদি তোমরা অসুস্থ হয়ে থাক কিংবা সফরে থাক অথবা তোমাদের মধ্য থেকে কেউ যদি প্রস্রাব-পায়খানা থেকে এসে থাকে কিংবা নারী গমন করে থাকে,কিন্তু পরে যদি পানিপ্রাপ্তি সম্ভব না হয়, তবে পাক-পবিত্র মাটির দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-তাতে মুখমন্ডল ও হাতকে ঘষে নাও। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’আলা ক্ষমাশীল। [সূরা নিসা-৪৩]
أَنَّ عَمْرَو بْنَ العَاصِ: ” أَجْنَبَ فِي لَيْلَةٍ بَارِدَةٍ، فَتَيَمَّمَ وَتَلاَ: {وَلاَ تَقْتُلُوا أَنْفُسَكُمْ إِنَّ اللَّهَ كَانَ بِكُمْ رَحِيمًا} [النساء: 29] فَذَكَرَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَلَمْ يُعَنِّفْ “
বর্ণিত আছে যে,এক শীতের রাতে আমর ইবনুল আস (রা) জুনুবী হয়ে পড়লে তায়াম্মুম করলেন। আর (এ প্রসঙ্গে) তিনি এই আয়াত তিলাওয়াত করলেনঃ তোমরা নিজেদের হত্যা করো না, নিশ্চই আল্লাহ তোমাদের প্রতি পরম দয়ালু। (৮:২৯) [সহীহ বুখারী-১/৪৯]
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
উস্তাজুল ইফতা, জামিয়া ইমাম বুখারী, উত্তরা, ঢাকা।
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন
