প্রশ্নঃ ৫২৫৮. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ইসলামী ব্যাংকে টাকা জমা রেখে লাভ খাওয়া কি যায়েজ কিনা?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইতিমধ্যে এ বিষয়ে উত্তর দেয়া হয়েছে. যে বিষয়ে প্রশ্ন করতে চাচ্ছেন সেটা আগে সার্চ অপশনে খুঁজে দেখুন। উত্তরটি নিচে সংযুক্ত করা হল।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
- মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ৪০৩৬. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, বাংলাদেশর বিভিন্ন ব্যাংক ইসালমী শরীয়াহ মোতাবেক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালন করে (তাহাদের মতে মুদারাবা পদ্ধতি)। তার মধ্যে অন্যতম ইসলামী ব্যাংক। ইসলামিক দৃষ্টিতে তাহা কি বৈধ। মানে তাদের প্রদেয় অর্থ কি সুদ? ইসলাম এ সম্পর্কে কি বলে ইসলামীক দৃষ্টি কোন থেকে ও হক আলেমসমাজের এই ব্যাপারে মতামত কি?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ইসলামিক ব্যাংকিং এর নীতিমালা ও তাদের ঘোষিত পদ্ধতি অনুযায়ী তাদের মুদারাবায় অর্জিত মুনাফা হালাল। কিন্তু বাস্তবতায় মাঠ পর্যায়ে তাদের লেনদেনের অবস্থা আল্লাহ তাআলা ভালো জানেন।
সারমর্ম হল: তাদের প্রদত্ত মুনাফা সন্দেহাতীত হালাল নয়। অকাট্য হারাম বলাও কঠিন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا زَكَرِيَّاءُ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَأَهْوَى النُّعْمَانُ بِإِصْبَعَيْهِ إِلَى أُذُنَيْهِ " إِنَّ الْحَلاَلَ بَيِّنٌ وَإِنَّ الْحَرَامَ بَيِّنٌ وَبَيْنَهُمَا مُشْتَبِهَاتٌ لاَ يَعْلَمُهُنَّ كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ فَمَنِ اتَّقَى الشُّبُهَاتِ اسْتَبْرَأَ لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ وَمَنْ وَقَعَ فِي الشُّبُهَاتِ وَقَعَ فِي الْحَرَامِ كَالرَّاعِي يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يَرْتَعَ فِيهِ أَلاَ وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى أَلاَ وَإِنَّ حِمَى اللَّهِ مَحَارِمُهُ أَلاَ وَإِنَّ فِي الْجَسَدِ مُضْغَةً إِذَا صَلَحَتْ صَلَحَ الْجَسَدُ كُلُّهُ وَإِذَا فَسَدَتْ فَسَدَ الْجَسَدُ كُلُّهُ أَلاَ وَهِيَ الْقَلْبُ " .
নু’মান ইবনু বাশীর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, আমি শুনেছিঃ অর্থাৎ- বলেন, আমি রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে বলতে শুনেছি, রাবী বলেনঃ (এ সময় নু’মান তাঁর আঙ্গুল দ’টি দ্বারা কানের দিকে ইশারা করেন, নিশ্চয়ই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট, আর এ উভয়ের মাঝে রয়েছে সন্দেহজনক বিষয়, অনেক লোকই সেগুলো জানে না। যে ব্যাক্তি এসব সন্দেহজনক বিষয় থেক দূরে থাকে সে তার দ্বীন ও মর্যাদাকে নিরাপদের রাখে, আর যে লোক সন্দেহজনক বিষয়ে পতিত হবে সে হারামের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়বে। যেমন কোন রাখাল সংরক্ষিত চারণভূমির পাশে পশু চরায়, আশংকা রয়েছে সে পশু তার ভেতরে গিয়ে ঘাস খাবে। সাবধান! প্রত্যেক রাজারই সংরক্ষিত এলাকা থাকে, সাবধান! আল্লাহর সংরক্ষিত এলাকা হলো তাঁর হারামকৃত বিষয়গুলো। জেনে রেখো, দেহের মধ্যে এক টুকরা গোশ্ত আছে। যখন তা সুস্থ থাকে তখন সমস্ত দেহই সুস্থ থকে। আর যখন তা নষ্ট হয়ে যায় তখন সমস্ত দেহই নষ্ট হয়ে যায়। স্মরণ রেখো, তা হলো ‘কাল্ব’ হৃদয়।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৩৯৮৬
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন