ডাইনিং টেবিলে খাওয়ার বিধান
প্রশ্নঃ ৬০৫৯. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, ১-ডাইনিং টেবিলে বসে খাওয়া কি নাজায়েজ?
২-যদি জুতা খুলে,দস্তর খানা বিছিয়ে, মাথায় ঘুমটা দিয়ে, দুআ পরে ডাইনিং টেবিলে বসে খাওয়া কি নাজায়েজ হবে? জানালে উপকৃত হবো।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. কাফির-মুশরিকদের সাদৃশ্যতা গ্রহণের জন্য অথবা ফুটানি দেখানোর জন্য ডাইনিং টেবিলে খাওয়া জায়েয হবে না।
এছাড়া সুবিধা বোধ করে বা দেশীয় প্রচলন হিসেবে ডাইনিং টেবিলের ব্যবহার সুন্নতের খেলাফ।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জমিনে দস্তরখানা বিছিয়ে খেতেন। নবীজির সময় মদিনায় ডাইনিং টেবিলের প্রচলন ছিল। নবীজি ও সাহাবায়ে কেরাম সেটি গ্রহণ করেননি। বরং যেভাবে বিনয় ফুটবে সেভাবে খেতেন।
দ্বীনদার ভাই বোনদের উচিত ডাইনিং টেবিল বর্জন করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নত অনুসরণ করা। এতেই আমাদের দুনিয়া আখিরাতের জীবনের সফলতা ও শান্তি রয়েছে। এছাড়া ঝুঁকে ঝুঁকে খাবার গ্রহণ করা স্বাস্থ্যের পক্ষেও কল্যাণকর।
নবীজির প্রতিটি সুন্নতেই রয়েছে স্বাস্থ্যকর উপকারিতা।
عَبْدُ اللهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ يُونُسَ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ مَا أَكَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَلٰى خِوَانٍ وَلاَ فِي سُكْرُجَةٍ وَلاَ خُبِزَ لَه“ مُرَقَّقٌ قُلْتُ لِقَتَادَةَ عَلاَمَ يَأْكُلُونَ قَالَ عَلٰى السُّفَرِ.
আনাস ইবনু মালিক রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখনো ‘খিওয়ান’ (টেবিলের মত উঁচু স্থানে)-এর উপর খাবার রেখে আহার করেননি এবং ছোট ছোট বাটিতেও তিনি আহার করেননি। আর তাঁর জন্য কখনো পাতলা রুটি তৈরী করা হয়নি। ইউনুস বলেন, আমি কাত্বাদাহ্কে জিজ্ঞেস করলামঃ তাহলে তাঁরা কিসের উপর আহার করতেন? তিনি বললেনঃ দস্তরখানের উপর।
টীকা :
প্যাথলজী এর এক প্রফেসার এ রহস্য উদঘাটন করেছেন যে, যদি সকলে মিলে একত্রে খাবার খায় তাহলে সকল খাবার গ্রহণকারীদের জীবাণু মিলিত হয়ে যায়, যা অন্য সকল রোগ জীবাণুকে নিঃশেষ করে দেয়, এভাবে ঐ খাবার দূষণমুক্ত হয়ে যায়। আবার কখনো খাবারে রোগ আরোগ্যের জীবাণু মিলিত হয়ে সমগ্র খাবারকে আরোগ্য বানিয়ে দেয়, যা পাকস্থলীর রোগের জন্য খুবই উপকারী।
সহিহ বুখারী, হাদিস নং ৫৪১৫
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন