প্রশ্নঃ ৬৩৯৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আসসালামুআলাইকুম
১,আমাদের ৫ ওয়াক্ত সালাত এ ৩ ওয়াক্ত সালাত এ কেরাত উচ্চস্বরে বলা হয়,এবং ২ ওয়াক্ত মনে মনে.এটা কেন করা হয়? সঠিক বিশ্লেষণ জানতে চাই,
২,আমি গান শুনা ছেড়ে দিয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু আমার রুমমেট গান সিনেমা দেখে এবং শুনে আমি বারণ করলে সাময়িক কিছু সময় অফ করে,আমর প্রশ্ন হচ্ছে আমি ত শুনতে চাইনা আমার কানে চলে আসে সেক্ষেত্রে কী আমি গুনাহগার হব?
৩,রোজা অবস্থা, ওযুর সময় যখন আমি মুখে বা নাকে পানি দেই মুখের কুলি করা অবশিষ্ট পানি যদি অনিচ্ছুক ভিতরে চলে যায়,তাহলে কী রোজা সমস্যা হবে?
আশা করি উওরগুলো রিপলে পাবো।ধন্যবাদ
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
১. আল্লাহ তাআলা বিশেষ হিকমতের কারণে এভাবে বিধান দিয়েছেন। এর গূঢ় রহস্য সম্পর্কে আল্লাহ ভাল জানেন। অবশ্য একটি প্রেক্ষাপট ছিল, দিনের বেলায় কাফির-মুশরিকরা ওৎপেতে থাকত। তাই নিঃশব্দে কিরাআত পড়তে হুকুম করা হয়েছে। ফজর, মাগরিব ও ইশার সময় ওরা গাফিল থাকতো। তাই সে সময় সশব্দে কিরাত পড়তে বলা হয়েছে।
২. যতটুকু আপনার সাধ্যের মধ্যে আছে আপনি বাধা দিয়ে যাবেন। আপনার বাধা উপেক্ষা করে কেউ গান বাধ্য করলো। আর সেই শব্দ আপনার কানে চলে আসলো। এতে আপনি গুনাহগার হবেন না ইনশাআল্লাহ।
৩. রোযা অবস্থায় কুলি করে মুখ থেকে পানিগুলো ভালো ভাবে ফেলে দিয়েছেন। এরপর মুখের ভিতরে যে আর্দ্রতা এবং শীতলতা অনুভব হয়, এতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন