রুকাইয়ার দু‘আ-৭
আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতিল্লাতি, লা ইউজায়ুযুহুন্না বার্রুন ওয়া লা ফাজিরুন, মিন শাররি মা খলাক্বা ওয়া যারআ ওয়া বারআ, ওয়া মিন শাররি মা ইয়ানযিলু মিনাস সামাই, ওয়া মিন শাররি মা ইয়া’রুজু ফীহা, ওয়া মিন শাররি মা যারআ ফিল আরদি, ওয়া মিন শাররি মা ইয়াখরুজু মিনহা, ওয়া মিন ফিতানিল্লাইলি ওয়ান্নাহারি, ওয়া মিন ত্বওয়ারিক্বিল্লাইলি ওয়ান্নাহারি, ইল্লা ত্বারিক্বান ইয়াত্বরুক্বু বিখাইরিন ইয়া রহমান।
আমি আল্লাহ্র ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎলোক বা অসৎলোক অতিক্রম করতে পারে না— আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে, যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে তার অনিষ্ট থেকে, দিনে-রাতে সংঘটিত ফেতনার অনিষ্ট থেকে, আর রাত্রিবেলা হঠাৎ করে আগত অনিষ্ট থেকে, তবে রাতে আগত যে বিষয় কল্যাণ নিয়ে আসে তা ব্যতীত; হে দয়াময়!
মুসনাদে আবী ই‘য়ালা, হাদীস নং: ৬৮৪৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং: ১৫৪৬১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবাহ, হাদীস নং: ২৩৬০১
ইয়াহইয়া ইবনে সাঈদ (রাহঃ)-এর রেওয়ায়ত-মিরাজ রজনীতে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) একটি দৈত্য দেখিতে পাইলেন। তাহার হাতে আগুনের লেলিহান শিখা ছিল। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তাহার দিকে দেখিলে মনে হইত যেন সে রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর দিকে ছুটিয়া আসিতেছে। অতঃপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) প্রীয় নবীকে বলিলেন, আমি আপনাকে এমন কতকগুলো শব্দ শিক্ষা দিব কি যাহা পাঠ করিলে এই দৈত্যের আগুন নিভিয়া যাইবে? রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলিলেন, নিশ্চয়ই শিক্ষা দিবেন। অতঃপর জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) বললেন, পড়ুনঃ أَعُوذُ بِوَجْهِ اللَّهِ الْكَرِيمِ وَبِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّاتِ اللاَّتِي لاَ يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلاَ فَاجِرٌ مِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَشَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيهَا وَشَرِّ مَا ذَرَأَ فِي الأَرْضِ وَشَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا وَمِنْ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ وَمِنْ طَوَارِقِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ إِلاَّ طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمَنُ আমি আসমান হইতে আগত ও আসমানের দিকে ধাবিত বস্তুর অমঙ্গল হইতে, মাটিতে সৃষ্ট ও মাটি হইতে বহির্গত বস্তুর অমঙ্গল হইতে, রাত্ৰ-দিনের বালা-মুসিবত হইতে ও রাত্ৰ-দিনের ঘটনাপ্রবাহ হইতে — তবে উত্তম ঘটনা হইতে নয়— হে দয়াময়! (আমি) আল্লাহর সম্মানিত সত্তার ও তাহার সেই পূর্ণ কলেমাসমূহের আশ্রয় প্রার্থনা করিতেছি, যাহা পুণ্যবান ও পাপী কেহই অতিক্রম করিতে পারে না।*
মুওয়াত্তা - ইমাম মালিক, হাদীস নং: ১৭৭২।
দু'আর বিষয়সমূহ
38টি বিষয় পাওয়া গেছে