মুসনাদে ইমাম আযম আবু হানীফা রহঃ
مسند الامام الأعظم أبي حنيفة رحـ برواية الحصكفي
১৮. ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ১১ টি
হাদীস নং: ৩৫৪
ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
নবী করীম (ﷺ)-এর ফযীলত ও সম্মান
হাদীস নং- ৩৫৪
হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তেষট্টি বছর বয়সে ইনতিকাল করেন আর হযরত আবু বকর (রাযিঃ) এবং হযরত উমর (রাযিঃ)-ও তেষট্টি বছর বয়সে ইনতিকাল করেন।
হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তেষট্টি বছর বয়সে ইনতিকাল করেন আর হযরত আবু বকর (রাযিঃ) এবং হযরত উমর (রাযিঃ)-ও তেষট্টি বছর বয়সে ইনতিকাল করেন।
كتاب الفضائل والشمائل
عَنِ الْهَيْثَمِ، وَرَبِيعَةَ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قُبِضَ، وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَقُبِضَ أَبُو بَكْرٍ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ، وَقُبِضَ عُمَرُ وَهُوَ ابْنُ ثَلَاثٍ وَسِتِّينَ»
হাদীস নং: ৩৫৫
ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
নবী করীম (ﷺ)-এর ফযীলত ও সম্মান
হাদীস নং- ৩৫৫
হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চল্লিশ বছর বয়সে রিসালত লাভ করেন। অতঃপর দশ বছর মক্কায় এবং দশ বছর মদীনায় অবস্থান করেন। যখন তাঁর ইনতিকাল হয়, তখন তাঁর দাঁড়ি ও মাথার বিশটি চুলও সাদা হয়নি।
হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) চল্লিশ বছর বয়সে রিসালত লাভ করেন। অতঃপর দশ বছর মক্কায় এবং দশ বছর মদীনায় অবস্থান করেন। যখন তাঁর ইনতিকাল হয়, তখন তাঁর দাঁড়ি ও মাথার বিশটি চুলও সাদা হয়নি।
كتاب الفضائل والشمائل
عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «بُعِثَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى رَأْسِ أَرْبَعِينَ سَنَةً، فَأَقَامَ بِمَكَّةَ عَشْرًا، وَبِالْمَدِينَةِ عَشْرًا، وَتُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، وَمَا فِي لِحْيَتِهِ وَرَأْسِهِ عِشْرُونَ شَعْرَةً بَيْضَاءَ»
হাদীস নং: ৩৫৬
ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
নবী করীম (ﷺ)-এর ফযীলত ও সম্মান
হাদীস নং- ৩৫৬
হযরত জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন রাতে আগমণ করতেন, তখন তাঁর পবিত্র দেহের সুঘ্রাণ দ্বারা তাঁকে চেনা যেত।
হযরত জাবির (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ) যখন রাতে আগমণ করতেন, তখন তাঁর পবিত্র দেহের সুঘ্রাণ দ্বারা তাঁকে চেনা যেত।
كتاب الفضائل والشمائل
عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْرَفُ بِرِيحِ الطِّيبِ إِذَا أَقْبَلَ بِاللَّيْلِ »
হাদীস নং: ৩৫৭
ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
নবী করীম (ﷺ)-এর ফযীলত ও সম্মান
হাদীস নং- ৩৫৭
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে যখন মসজিদে গমন করতেন, তখন পবিত্র সুগন্ধি দ্বারা তাঁকে চেনা যেত।
হযরত আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রাতে যখন মসজিদে গমন করতেন, তখন পবিত্র সুগন্ধি দ্বারা তাঁকে চেনা যেত।
كتاب الفضائل والشمائل
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: «أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ يُعْرَفُ بِاللَّيْلِ إِذَا أَقْبَلَ إِلَى الْمَسْجِدِ بِرِيحِ الطِّيبِ»
হাদীস নং: ৩৫৮
ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
নবী করীম (ﷺ)-এর ফযীলত ও সম্মান
হাদীস নং- ৩৫৮
হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আমার কিছু পাওনা ছিল। তিনি তা আদায় করেন এবং আমাকে আরো কিছু অতিরিক্ত প্রদান করেন।
হযরত ইব্ন উমর (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আমার কিছু পাওনা ছিল। তিনি তা আদায় করেন এবং আমাকে আরো কিছু অতিরিক্ত প্রদান করেন।
كتاب الفضائل والشمائل
عَنْ مُحَارِبٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، قَالَ: «كَانَ لِي عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَيْنٌ فَقَضَانِي، وَزَادَنِي»
হাদীস নং: ৩৫৯
ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
নবী করীম (ﷺ)-এর ফযীলত ও সম্মান
হাদীস নং- ৩৫৯
হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ) বলেন, আমি কোন খায্ (উল এবং রেশমের তৈরী এক প্রকার কাপড়) অথবা রেশম স্পর্শ করিনি যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র হাত থেকে অধিক নরম ও কোমল।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে কেউ কখনো দেখেনি যে, তিনি একত্রে উপবিষ্ট সাথীদের থেকে হাঁটু সামনে দিয়ে আগে বসেছেন।
হযরত আনাস ইব্ন মালিক (রাযিঃ) বলেন, আমি কোন খায্ (উল এবং রেশমের তৈরী এক প্রকার কাপড়) অথবা রেশম স্পর্শ করিনি যা রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র হাত থেকে অধিক নরম ও কোমল।
অন্য এক রিওয়ায়েতে আছে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে কেউ কখনো দেখেনি যে, তিনি একত্রে উপবিষ্ট সাথীদের থেকে হাঁটু সামনে দিয়ে আগে বসেছেন।
كتاب الفضائل والشمائل
عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «مَا مَسَسْتُ بِيَدِي خَزًّا وَلَا حَرِيرًا أَلْيَنَ مِنْ كَفِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ» ، وَفِي رِوَايَةٍ:«مَا رُؤِيَ رَسُولُ اللَّهُ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَادًّا رُكْبَتَيْهِ بَيْنَ جَلِيسٍ لَهُ قَطُّ»
হাদীস নং: ৩৬০
ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
নবী করীম (ﷺ)-এর ফযীলত ও সম্মান
হাদীস নং- ৩৬০
হযরত মাসরুক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আখলাক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে তিনি বলেন, তোমরা কি কুরআন পাঠ করনি?
হযরত মাসরুক (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি হযরত আয়েশা (রাযিঃ)-এর নিকট রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর আখলাক সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। উত্তরে তিনি বলেন, তোমরা কি কুরআন পাঠ করনি?
كتاب الفضائل والشمائل
عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَسْرُوقٍ، أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا عَنْ خُلُقِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَتْ: «أَمَا تَقْرَأُ الْقُرْآنَ؟ !»
তাহকীক:
হাদীস নং: ৩৬১
ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
নবী করীম (ﷺ)-এর ফযীলত ও সম্মান
হাদীস নং- ৩৬১
হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-গোলামের দাওয়াত কবুল করতেন, রোগীর সেবা করতেন এবং গাধার উপর আরোহণ করতেন।
হযরত আনাস (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-গোলামের দাওয়াত কবুল করতেন, রোগীর সেবা করতেন এবং গাধার উপর আরোহণ করতেন।
كتاب الفضائل والشمائل
عَنْ مُسْلِمٍ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: «كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُجِيبُ دَعْوَةَ الْمَمْلُوكِ، وَيَعُوْدُ الْمَرِيْضَ، وَيَرْكَبُ الْحِمَارَ»
হাদীস নং: ৩৬২
ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
নবী করীম (ﷺ)-এর ফযীলত ও সম্মান
হাদীস নং- ৩৬২
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি যেন এখনো রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র পা-এর শুভ্রতা দেখছি, এ অবস্থায়, যখন তিনি অসুস্থ অবস্থায় নামাযের জন্য মসজিদে গমন করছেন।
হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, আমি যেন এখনো রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র পা-এর শুভ্রতা দেখছি, এ অবস্থায়, যখন তিনি অসুস্থ অবস্থায় নামাযের জন্য মসজিদে গমন করছেন।
كتاب الفضائل والشمائل
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، قَالَتْ: «كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى بَيَاضِ قَدَمَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، حَيْثُ أَتَى الصَّلَاةَ فِي مَرَضِهِ»
হাদীস নং: ৩৬৩
ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
নবী করীম (ﷺ)-এর ফযীলত ও সম্মান
হাদীস নং- ৩৬৩
উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) যখন মৃত্যু রোগে আক্রান্ত, তখন তিনি উম্মুল মুমিনীনগণের নিকট আমার ঘরে থাকার জন্য অনুমতি চাইলেন। সবাই ঐকমত্য হয়ে অনুমতি প্রদান করেন। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, যখন আমি এটা শুনলাম, তখন দ্রুত ঘর ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলাম। কেননা আমার কাছে কোন খাদিম ছিল না এবং আঁ হযরত (ﷺ)-এর জন্য এমন বিছানা বিছালাম যার কনুই রাখার বালিশের মধ্যে ইযখির ঘাস ভর্তি ছিল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু'জন লোকের সাহায্য নিয়ে (আমার ঘরে) আগমণ করেন এবং তারা তাঁকে আমার বিছানায় বসিয়ে দেন।
উম্মুল মু'মিনীন হযরত আয়েশা (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (ﷺ) যখন মৃত্যু রোগে আক্রান্ত, তখন তিনি উম্মুল মুমিনীনগণের নিকট আমার ঘরে থাকার জন্য অনুমতি চাইলেন। সবাই ঐকমত্য হয়ে অনুমতি প্রদান করেন। হযরত আয়েশা (রাযিঃ) বলেন, যখন আমি এটা শুনলাম, তখন দ্রুত ঘর ঝাড়ু দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করলাম। কেননা আমার কাছে কোন খাদিম ছিল না এবং আঁ হযরত (ﷺ)-এর জন্য এমন বিছানা বিছালাম যার কনুই রাখার বালিশের মধ্যে ইযখির ঘাস ভর্তি ছিল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দু'জন লোকের সাহায্য নিয়ে (আমার ঘরে) আগমণ করেন এবং তারা তাঁকে আমার বিছানায় বসিয়ে দেন।
كتاب الفضائل والشمائل
عَنْ حَمَّادٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الْأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: " أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمَّا مَرِضَ الْمَرَضَ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ، اسْتَحَلَّ أَنْ يَكُونَ فِي بَيْتِي، فَأَحْلَلْنَ لَهُ، قَالَتْ: فَلَمَّا سَمِعْتُ ذَلِكَ قُمْتُ مُسْرِعَةً فَكَنَسْتُ بَيْتِي، وَلَيْسَ لِي خَادِمٌ، وَفَرَشْتُ لَهُ فِرَاشًا حَشْوُ مِرْفَقَتِهِ الْإِذْخِرُ، فَأَتَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، يُهَادِي بَيْنَ رَجُلَيْنِ، حَتَّى وُضِعَ عَلَى فِرَاشِي "
হাদীস নং: ৩৬৪
ফযীলত ও সম্মানের বর্ণনা
নবী করীম (ﷺ)-এর ফযীলত ও সম্মান
হাদীস নং- ৩৬৪
হযরত আনাস (রাযিঃ) বর্ণিত, হযরত আবু বকর (রাযিঃ) যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে একটু সুস্থ দেখতে পেলেন, তখন আনসারের বাগানে অবস্থানরত স্বীয় স্ত্রী বিনতে খারিজার নিকট যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। অথচ এ সুস্থতা অত্যন্ত সাধারণ ছিল কিন্তু এটা তিনি উপলব্ধি করতে পারেন নি। নবী করীম (ﷺ) তাঁকে অনুমতি দান করেন এবং ঐ রাতেই তিনি ইনতিকাল করেন। ভোর হওয়ার পর লোকজন হুযুর (ﷺ)-এর বাড়ির দিকে জমা হতে লাগলেন। হযরত আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর গোলামকে সঠিক খবর শুনে তাকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দান করেন। হযরত আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, আমি লোকজনকে এ কথা বলতে শুনছি যে, হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) ইনতিকাল করেছেন। তখন হযরত আবু বকর (রাযিঃ) এটা বলে দ্রুত রওয়ানা হলেন, হায় আফসোস! কোমর ভেঙ্গে গেল। হযরত আবু বকর (রাযিঃ) তখনও মসজিদে নববীতে পৌঁছেননি, ফলে লোকজন ধারণা করলেন যে, তিনি এখনো সংবাদ পাননি। মুনাফিকের দল এ কথা ছড়াতে লাগল যে, হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) যদি নবী হতেন তা হলে ইনতিকাল করতেন না।
এ সংবাদ শুনে হযরত উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি যেন কাউকে এটা বলতে না শুনি যে, হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) ইনতিকাল করেছেন। অন্যথায় তাকে আমি তলোয়ার দিয়ে হত্যা করব। তাঁর এ কথায় মুনাফিকের দল থেমে যায়।।
অতঃপর যখন হযরত আবু বকর (রাযিঃ) আগমণ করেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র দেহ কাপড় দ্বারা আবৃত ছিল। হযরত আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর পবিত্র চেহারা থেকে কাপড় সরিয়ে কপালে চুমো খেলেন এবং বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা দু'টি মৃত্যুর তিক্ততা বা কষ্ট আপনাকে আস্বাদন করাবেন না। আপনি আল্লাহর নিকট এর চেয়েও অধিক সম্মানিত (এ কথার দ্বারা হযরত উমরের কথার বিরোধিতা করাও উদ্দেশ্য ছিল)। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) বাইরে এসে বললেন, হে লোক সকল! যে ব্যক্তি মুহাম্মাদের ইবাদত করত (তোমরা জেনে রাখ), তিনি ইনতিকাল করেছেন এবং যারা মুহাম্মাদের রবের ইবাদত করত (তোমরা জেনে রাখ), কখনো মুহাম্মাদের রব ইনতিকাল করবেন না। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ
“মুহাম্মাদ একজন রাসূল ব্যতীত আর কেউ নন। নিশ্চয়ই তার পূর্বেও অনেক রাসূল পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। যদি তিনি ইনতিকাল করেন অথবা নিহত হন, তাহলে কি তোমরা ফিরে যাবে? যে ব্যক্তি ফিরে যাবে (স্বীয় দল থেকে), তারা আল্লাহর কিছুই অনিষ্ট করতে পারবে না। অচিরেই আল্লাহ তা'আলা তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দাদেরকে পুরস্কার প্রদান করবেন।" (৩:১৪৪)
হযরত উমর (রাযিঃ) বলেন, মনে হয় আমরা যেন এর পূর্বে কখনো এ আয়াত তিলাওয়াত করিনি। অতঃপর লোকজন হযরত আবু বকর (রাযিঃ)-এর কথার মত বলতে লাগলেন এবং একই আয়াত পাঠ করতে লাগলেন। সোমবার রাতে আঁ হযরত (ﷺ) ইনতিকাল করেন এবং দু'দিন ও দু'রাত অতিবাহিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবারে তাঁর দাফন কাজ সম্পন্ন হয়। (গোসলের সময়) হযরত উসামা ইব্ন যায়দ ও হযরত আউস ইব্ন খাওলা (রাযিঃ) পানি ঢালেন এবং হযরত আলী ও হযরত ফযল ইব্ন 'আব্বাস (রাযিঃ) হুযুর (ﷺ)-কে গোসল দিয়েছেন।
হযরত আনাস (রাযিঃ) বর্ণিত, হযরত আবু বকর (রাযিঃ) যখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-কে একটু সুস্থ দেখতে পেলেন, তখন আনসারের বাগানে অবস্থানরত স্বীয় স্ত্রী বিনতে খারিজার নিকট যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করেন। অথচ এ সুস্থতা অত্যন্ত সাধারণ ছিল কিন্তু এটা তিনি উপলব্ধি করতে পারেন নি। নবী করীম (ﷺ) তাঁকে অনুমতি দান করেন এবং ঐ রাতেই তিনি ইনতিকাল করেন। ভোর হওয়ার পর লোকজন হুযুর (ﷺ)-এর বাড়ির দিকে জমা হতে লাগলেন। হযরত আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর গোলামকে সঠিক খবর শুনে তাকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দান করেন। হযরত আবু বকর (রাযিঃ) বলেন, আমি লোকজনকে এ কথা বলতে শুনছি যে, হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) ইনতিকাল করেছেন। তখন হযরত আবু বকর (রাযিঃ) এটা বলে দ্রুত রওয়ানা হলেন, হায় আফসোস! কোমর ভেঙ্গে গেল। হযরত আবু বকর (রাযিঃ) তখনও মসজিদে নববীতে পৌঁছেননি, ফলে লোকজন ধারণা করলেন যে, তিনি এখনো সংবাদ পাননি। মুনাফিকের দল এ কথা ছড়াতে লাগল যে, হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) যদি নবী হতেন তা হলে ইনতিকাল করতেন না।
এ সংবাদ শুনে হযরত উমর (রাযিঃ) বলেন, আমি যেন কাউকে এটা বলতে না শুনি যে, হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) ইনতিকাল করেছেন। অন্যথায় তাকে আমি তলোয়ার দিয়ে হত্যা করব। তাঁর এ কথায় মুনাফিকের দল থেমে যায়।।
অতঃপর যখন হযরত আবু বকর (রাযিঃ) আগমণ করেন, তখন রাসূলুল্লাহ (ﷺ)-এর পবিত্র দেহ কাপড় দ্বারা আবৃত ছিল। হযরত আবু বকর (রাযিঃ) তাঁর পবিত্র চেহারা থেকে কাপড় সরিয়ে কপালে চুমো খেলেন এবং বললেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা দু'টি মৃত্যুর তিক্ততা বা কষ্ট আপনাকে আস্বাদন করাবেন না। আপনি আল্লাহর নিকট এর চেয়েও অধিক সম্মানিত (এ কথার দ্বারা হযরত উমরের কথার বিরোধিতা করাও উদ্দেশ্য ছিল)। এরপর আবু বকর (রাযিঃ) বাইরে এসে বললেন, হে লোক সকল! যে ব্যক্তি মুহাম্মাদের ইবাদত করত (তোমরা জেনে রাখ), তিনি ইনতিকাল করেছেন এবং যারা মুহাম্মাদের রবের ইবাদত করত (তোমরা জেনে রাখ), কখনো মুহাম্মাদের রব ইনতিকাল করবেন না। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেনঃ
وَمَا مُحَمَّدٌ إِلَّا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ
“মুহাম্মাদ একজন রাসূল ব্যতীত আর কেউ নন। নিশ্চয়ই তার পূর্বেও অনেক রাসূল পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন। যদি তিনি ইনতিকাল করেন অথবা নিহত হন, তাহলে কি তোমরা ফিরে যাবে? যে ব্যক্তি ফিরে যাবে (স্বীয় দল থেকে), তারা আল্লাহর কিছুই অনিষ্ট করতে পারবে না। অচিরেই আল্লাহ তা'আলা তাঁর কৃতজ্ঞ বান্দাদেরকে পুরস্কার প্রদান করবেন।" (৩:১৪৪)
হযরত উমর (রাযিঃ) বলেন, মনে হয় আমরা যেন এর পূর্বে কখনো এ আয়াত তিলাওয়াত করিনি। অতঃপর লোকজন হযরত আবু বকর (রাযিঃ)-এর কথার মত বলতে লাগলেন এবং একই আয়াত পাঠ করতে লাগলেন। সোমবার রাতে আঁ হযরত (ﷺ) ইনতিকাল করেন এবং দু'দিন ও দু'রাত অতিবাহিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবারে তাঁর দাফন কাজ সম্পন্ন হয়। (গোসলের সময়) হযরত উসামা ইব্ন যায়দ ও হযরত আউস ইব্ন খাওলা (রাযিঃ) পানি ঢালেন এবং হযরত আলী ও হযরত ফযল ইব্ন 'আব্বাস (রাযিঃ) হুযুর (ﷺ)-কে গোসল দিয়েছেন।
كتاب الفضائل والشمائل
عَنْ يَزِيدَ، عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، " أَنَّ أَبَا بَكْرٍ رَأَى مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خِفَّةً، فَاسْتَأْذَنَهُ إِلَى امْرَأَتِهِ بِنْتِ خَارِجَةَ، وَكَانَتْ فِي حَوَائِطِ الْأَنْصَارِ، وَكَانَ ذَلِكَ رَاحَةَ الْمَوْتِ وَلَا يَشْعُرُ، فَأَذِنَ، ثُمَّ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِلْكَ اللَّيْلَةَ، فَأَصْبَحَ، فَجَعَلَ يَرَى النَّاسَ يَتَرَامَوْنَ، فَأَمَرَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ غُلَامًا يَسْتَمِعُ، ثُمَّ يُخْبِرُهُ، فَقَالَ: أَسْمَعُهُمْ يَقُولُونَ: مَاتَ مُحَمَّدٌ، فَاشْتَدَّ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَهُوَ يَقُولُ: وَاقَطْعَ ظَهْرَاهُ، فَمَا بَلَغَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ الْمَسْجِدَ، حَتَّى ظَنُّوا أَنَّهُ لَمْ يَبْلُغْ، وَأَرْجَفَ الْمُنَافِقُونَ، فَقَالُوا: لَوْ كَانَ مُحَمَّدٌ نَبِيًّا لَمْ يَمُتْ، فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: لَا أَسْمَعُ رَجُلًا يَقُولُ: مَاتَ مُحَمَّدٌ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، إِلَّا ضَرَبْتُهُ بِالسَّيْفِ.
فَكَفُّوا لِذَلِكَ، فَلَمَّا جَاءَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسَجًّى، كَشَفَ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ، ثُمَّ جَعَلَ يَلْثَمُهُ، فَقَالَ: مَا كَانَ اللَّهُ لِيُذِيقَكَ الْمَوْتَ مَرَّتَيْنِ، أَنْتَ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، مَنْ كَانَ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ رَبَّ مُحَمَّدٍ فَإِنَّ رَبَّ مُحَمَّدٍ لَا يَمُوتُ، ثُمَّ قَرَأَ: {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ} [آل عمران: 144] .
قَالَ: فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: لَكَأَنَّا لَمْ نَقْرَأْهَا قَبْلَهَا قَطُّ، فَقَالَ النَّاسُ مِثْلَ مَقَالَةِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَقِرَاءَتِهِ.
وَمَاتَ لَيْلَةَ الْإِثْنَيْنِ، فَمَكَثَ لَيْلَتَيْنِ وَيَوْمَيْنِ، وَدُفِنَ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ، فَكَانَ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَأَوْسُ بْنُ خَوْلِيٍّ يَصُبَّانِ عَلَيْهِ الْمَاءَ وَعَلِيٌّ وَالْفَضْلُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا يُغَسِّلَانِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "
فَكَفُّوا لِذَلِكَ، فَلَمَّا جَاءَ أَبُو بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، وَالنَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُسَجًّى، كَشَفَ الثَّوْبَ عَنْ وَجْهِهِ، ثُمَّ جَعَلَ يَلْثَمُهُ، فَقَالَ: مَا كَانَ اللَّهُ لِيُذِيقَكَ الْمَوْتَ مَرَّتَيْنِ، أَنْتَ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْ ذَلِكَ، فَقَالَ: يَا أَيُّهَا النَّاسُ، مَنْ كَانَ يَعْبُدُ مُحَمَّدًا فَإِنَّ مُحَمَّدًا قَدْ مَاتَ، وَمَنْ كَانَ يَعْبُدُ رَبَّ مُحَمَّدٍ فَإِنَّ رَبَّ مُحَمَّدٍ لَا يَمُوتُ، ثُمَّ قَرَأَ: {وَمَا مُحَمَّدٌ إِلا رَسُولٌ قَدْ خَلَتْ مِنْ قَبْلِهِ الرُّسُلُ أَفَإِنْ مَاتَ أَوْ قُتِلَ انْقَلَبْتُمْ عَلَى أَعْقَابِكُمْ وَمَنْ يَنْقَلِبْ عَلَى عَقِبَيْهِ فَلَنْ يَضُرَّ اللَّهَ شَيْئًا وَسَيَجْزِي اللَّهُ الشَّاكِرِينَ} [آل عمران: 144] .
قَالَ: فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: لَكَأَنَّا لَمْ نَقْرَأْهَا قَبْلَهَا قَطُّ، فَقَالَ النَّاسُ مِثْلَ مَقَالَةِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَقِرَاءَتِهِ.
وَمَاتَ لَيْلَةَ الْإِثْنَيْنِ، فَمَكَثَ لَيْلَتَيْنِ وَيَوْمَيْنِ، وَدُفِنَ يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ، فَكَانَ أُسَامَةُ بْنُ زَيْدٍ وَأَوْسُ بْنُ خَوْلِيٍّ يَصُبَّانِ عَلَيْهِ الْمَاءَ وَعَلِيٌّ وَالْفَضْلُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا يُغَسِّلَانِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ "