মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

৯- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায় - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ২১৬৬
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬৬। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ নামাযে কোরআন পড়া নামাযের বাহিরে কোরআন পড়া অপেক্ষা উত্তম, নামাযের বাহিরে কোরআন পড়া তসবীহ্ ও তকবীর পড়া অপেক্ষা উত্তম, তসবীহ্ ও তকবীর পড়া দান করা অপেক্ষা উত্তম, দান করা (নফল) রোযা রাখা অপেক্ষা উত্তম এবং রোযা হইতেছে দোযখের আগুনের পক্ষে ঢালস্বরূপ।
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «قِرَاءَةُ الْقُرْآنِ فِي الصَّلَاةِ أَفْضَلُ مِنْ قِرَاءَةِ الْقُرْآنِ فِي غَيْرِ الصَّلَاةِ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ فِي غَيْرِ الصَّلَاةِ أَفْضَلُ مِنَ التَّسْبِيحِ وَالتَّكْبِيرِ وَالتَّسْبِيحُ أَفْضَلُ مِنَ الصَّدَقَةِ وَالصَّدَقَةُ أَفْضَلُ مِنَ الصَّوْمِ وَالصَّوْمُ جُنَّةٌ مِنَ النَّارِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
হাদীস নং: ২১৬৭
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬৭। (তাবেয়ী) হযরত ওসমান ইবনে আব্দুল্লাহ্ ইবনে আওস সাকাফী তাঁহার দাদা সাহাবী হযরত আওস (রাঃ) হইতে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কোন ব্যক্তির মাসহাফ ব্যতীত মুখস্থ কোরআন পড়া এক হাযার মর্যাদা রাখে, আর উহা মাসহাফে পড়া মুখস্থ পড়ার দুই গুণ — দুই হাজার পর্যন্ত মর্যাদা রাখে।
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَوْسٍ الثَّقَفِيِّ عَنْ جَدِّهِ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «قِرَاءَةُ الرَّجُلِ الْقُرْآنَ فِي غَيْرِ الْمُصْحَفِ أَلْفُ دَرَجَةٍ وَقِرَاءَتُهُ فِي الْمُصحف تضعف عل ذَلِك إِلَى ألفي دَرَجَة» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
হাদীস নং: ২১৬৮
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬৮। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন; এই অন্তরসমূহে মরিচা ধরে যেভাবে লোহায় মরিচা ধরে, যখন উহাতে পানি লাগে। তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করা হইল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! উহার পরিষ্কারকরণ কী ? হুযূর বলিলেন, বেশী বেশী মৃত্যুর স্মরণ এবং কোরআন তেলাওয়াত। —উপরোক্ত হাদীস চারটি বায়হাকী শো আবুল ঈমানে বর্ণনা করিয়াছেন।
كتاب فضائل القرآن
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ هَذِهِ الْقُلُوبَ تَصْدَأُ كَمَا يَصْدَأُ الْحَدِيدُ إِذَا أَصَابَهُ الْمَاءُ» . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا جِلَاؤُهَا؟ قَالَ: «كَثْرَةُ ذِكْرِ الْمَوْتِ وَتِلَاوَةِ الْقُرْآنِ» . رَوَى الْبَيْهَقِيُّ الْأَحَادِيثَ الْأَرْبَعَةَ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২১৬৯
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৬৯। হযরত আইফা ইবনে আব্দ কালায়ী (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্। কোরআনের কোন্ সূরা অধিকতর মর্যাদাবান ? তিনি বলিলেনঃ কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ। সে পুনরায় জিজ্ঞাসা করিল, কোরআনের কোন আয়াত অধিকতর মর্যাদাবান ? তিনি বলিলেন, আয়াতুল কুরসী – “আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কাইয়্যূম।” সে আবার জিজ্ঞাসা করিল! ইয়া নবিয়্যাল্লাহ্! কোরআনের কোন আয়াত এমন, যাহার বরকত আপনার এবং আপনার উম্মতের প্রতি পৌছিতে আপনি ভালবাসেন? তিনি বলিলেন, সূরা বাকারার শেষের দিক। কেননা, আল্লাহ্ তা'আলা তাঁহার আরশের নীচের ভাণ্ডার হইতে উহা এই উম্মতকে দান করিয়াছেন। দুনিয়া ও আখেরাতের এমন কোন কল্যাণ নাই যাহা ইহাতে নাই। —দারেমী
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ أَيْفَعَ بْنِ عَبْدٍ الْكَلَاعِيِّ قَالَ: قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيُّ سُورَةِ الْقُرْآنِ أَعْظَمُ؟ قَالَ: (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ)

قَالَ: فَأَيُّ آيَةٍ فِي الْقُرْآنِ أَعْظَمُ؟ قَالَ: آيَةُ الْكُرْسِيِّ (اللَّهُ لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ)

قَالَ: فَأَيُّ آيَةٍ يَا نَبِيَّ اللَّهِ تُحِبُّ أَنْ تُصِيبَكَ وَأُمَّتَكَ؟ قَالَ: «خَاتِمَةُ سُورَةِ الْبَقَرَةِ فَإِنَّهَا مِنْ خَزَائِنِ رَحْمَةِ اللَّهِ تَعَالَى مِنْ تَحْتِ عَرْشِهِ أَعْطَاهَا هَذِهِ الْأُمَّةَ لَمْ تتْرك خيرا من يخر الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ إِلَّا اشْتَمَلَتْ عَلَيْهِ» . رَوَاهُ الدَّارِمِيُّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২১৭০
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৭০। (তাবেয়ী) আব্দুল মালিক ইবনে ওমায়র (রঃ) মুরসালরূপে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সূরা ফাতেহায় (শারীরিক ও মানসিক) সকল রোগের আরোগ্য রহিয়াছে। — দারেমী। আর বায়হাকী শোআবুল ঈমানে।
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ مُرْسَلًا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «فِي فَاتِحَةِ الْكِتَابِ شِفَاءٌ مِنْ كُلِّ دَاءٍ» . رَوَاهُ الدَّارمِيّ وَالْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২১৭১
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৭১। হযরত ওসমান ইবনে আফফান (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি রাতে সূরা আলে ইমরানের শেষের দিক পড়িবে, তাহার জন্য পূর্ণ রাত্রি নামাযে কাটানোর সওয়াব লেখা হইবে।
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: مَنْ قَرَأَ آخِرَ آلِ عِمْرَانَ فِي لَيْلَة كتب لَهُ قيام لَيْلَة. رَوَاهُ الدَّارمِيّ
হাদীস নং: ২১৭২
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৭২। (তাবেয়ী) হযরত মাকহুল (রঃ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তি জুমুআর দিনে সূরা আলে ইমরান পড়িবে, ফিরিশতাগণ তাহার জন্য রাত পর্যন্ত দো'আ করিতে থাকিবেন। উক্ত হাদীস দুইটি দারেমী রেওয়ায়ত করিয়াছেন।
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ مَكْحُولٍ قَالَ: مَنْ قَرَأَ سُورَةَ آلِ عِمْرَانَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ صَلَّتْ عَلَيْهِ الْمَلَائِكَةُ إِلَى اللَّيْل. رَوَاهُ الدَّارمِيّ
হাদীস নং: ২১৭৩
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৭৩। (তাবেয়ী) জুবায়র ইবনে নুফায়র (রঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা সূরা বাকারাকে এমন দুইটি আয়াত দ্বারা সমাপ্ত করিয়াছেন, যাহা আমাকে আল্লাহর আরশের নীচের ভাণ্ডার হইতে দান করা হইয়াছে। সুতরাং তোমরা উহা শিক্ষা করিবে এবং তোমাদের নারীদিগকেও উহা শিক্ষা দিবে। কেননা, উহাতে রহিয়াছে ক্ষমা-প্রার্থনা, আল্লাহর নৈকট্য লাভের উপায় ও দোআ। —দারেমী — মুরসালরূপে
كتاب فضائل القرآن
وَعَن جُبَير بن نفير رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ اللَّهَ خَتَمَ سُورَةَ الْبَقَرَةِ بِآيَتَيْنِ أُعْطِيتُهُمَا مِنْ كَنْزِهِ الَّذِي تَحْتَ الْعَرْشِ فَتَعَلَّمُوهُنَّ وَعَلِّمُوهُنَّ نِسَاءَكُمْ فَإِنَّهَا صَلَاةٌ وقربان وَدُعَاء» . رَوَاهُ الدِّرَامِي مُرْسلا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২১৭৪
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৭৪। হযরত কা'ব ইবনে মালেক (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ জুমুআবারে সূরা হুদ পড়িবে। —দারেমী
كتاب فضائل القرآن
وَعَن كَعْب رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى الله عَلَيْهِ وَسلم قَالَ: «اقرؤوا سُورَة هود يَوْم الْجُمُعَة» . رَوَاهُ الدِّرَامِي مُرْسلا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২১৭৫
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৭৫। হযরত আবু সায়ীদ খুদরী (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি জুমুআবারে সূরা কাফ পড়িবে, তাহার (ঈমানের) নূর এ জুমুআ হইতে ঐ জুমুআ পর্যন্ত চমকিতে থাকিবে। —বায়হাকী দা'ওয়াতুল কবীরে
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «من قَرَأَ سُورَة الْكَهْف فِي يَوْم الْجُمُعَة أَضَاء لَهُ النُّور مَا بَيْنَ الْجُمْعَتَيْنِ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي الدَّعَوَاتِ الْكَبِير
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২১৭৬
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৭৬। (তাবেয়ী) খালেদ ইবনে মা'দান (রঃ) বলেন, পড় তোমরা মুক্তিদানকারী সূরা। উহা হইল ‘সূরা আলিফ-লাম-মীম তানযীল' (অর্থাৎ, সূরা সজদা)। কেননা, বিশ্বস্ত সূত্রে আমার নিকট এ কথা পৌঁছিয়াছে যে, এক ব্যক্তি উহা পড়িত এবং উহা ছাড়া অপর কিছু পড়িত না। আর সে ছিল বড় গোনাহগার ব্যক্তি। উক্ত সূরা তাহার উপর ডানা বিস্তার করে এবং বলিতে থাকে যে, হে পরওয়ারদেগার তাহাকে মাফ কর। কেননা, সে আমাকে বেশী বেশী পড়িত। সুতরাং পরওয়ারদেগারে আলম তাহার সম্পর্কে উহার শাফাআত কবুল করেন এবং বলেন যে, তাহার প্রত্যেক গোনাহর স্থলে এক একটি নেকী লেখ এবং তাহার মর্যাদা বুলন্দ কর।
তিনি ইহাও বলেন যে, উক্ত সূরা কবরে উহার পাঠকের জন্য আল্লাহর নিকট আর্জি করিয়া বলিবে, হে আল্লাহ্! আমি যদি তোমার কিতাবের অংশ হইয়া থাকি, তাহা হইলে তাহার ব্যাপারে তুমি আমার শাফাআত কবূল কর, আর যদি আমি তোমার কিতাবের অংশ না হইয়া থাকি, তবে আমাকে উহা হইতে মুছিয়া ফেল! (অপর বর্ণনায়) তিনি বলেন, উহা পক্ষীর ন্যায় হইয়া তাহার উপর আপন পাখা বিস্তার করিবে এবং তাহার জন্য সুপারিশ করিবে। ফলে তাহাকে কবরের আযাব হইতে রক্ষা করিবে।
তিনি ‘সূরা তাবারাকাল্লাযী' সম্পর্কেও এইরূপ বলিয়াছেন। (পরবর্তী রাবী বলেন,) খালেদ এই সূরা দুইটি না পড়িয়া শুইতেন না। তাবেয়ী তাউস বলেন, এই দুই সূরাকে কোরআনের প্রত্যেক সূরা অপেক্ষা ষাট গুণ অধিক নেকী লাভের মর্যাদা দান করা হইয়াছে। —দারেমী—মুরসালরূপে
كتاب فضائل القرآن
وَعَن خَالِد بن معدان قَالَ: اقرؤوا المنجية وَهِي (آلم تَنْزِيل)

فَإِن بَلَغَنِي أَنَّ رَجُلًا كَانَ يَقْرَؤُهَا مَا يَقْرَأُ شَيْئًا غَيْرَهَا وَكَانَ كَثِيرَ الْخَطَايَا فَنَشَرَتْ جَنَاحَهَا عَلَيْهِ قَالَتْ: رَبِّ اغْفِرْ لَهُ فَإِنَّهُ كَانَ يُكْثِرُ قِرَاءَتِي فَشَفَّعَهَا الرَّبُّ تَعَالَى فِيهِ وَقَالَ: اكْتُبُوا لَهُ بِكُلِّ خَطِيئَةٍ حَسَنَةٍ وَارْفَعُوا لَهُ دَرَجَةً . وَقَالَ أَيْضًا: إِنَّهَا تُجَادِلُ عَنْ صَاحِبِهَا فِي الْقَبْرِ تَقُولُ: اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتُ مِنْ كِتَابِكَ فَشَفِّعْنِي فِيهِ وَإِنْ لَمْ أَكُنْ مِنْ كِتَابِكَ فَامْحُنِي عَنْهُ وَإِنَّهَا تَكُونُ كَالطَّيْرِ تَجْعَلُ جَنَاحَهَا عَلَيْهِ فَتَشْفَعُ لَهُ فَتَمْنَعُهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْر وَقَالَ فِي (تبَارك)

مثله. وَكَانَ خَالِد لَا يَبِيتُ حَتَّى يَقْرَأَهُمَا. وَقَالَ طَاوُوسُ: فُضِّلَتَا عَلَى كُلِّ سُورَةٍ فِي الْقُرْآنِ بِسِتِّينَ حَسَنَةً. رَوَاهُ الدَّارمِيّ
হাদীস নং: ২১৭৭
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৭৭। (তাবেয়ী) হযরত আতা ইবনে আবু রাবাহ্ (রঃ) বলেন, আমার নিকট বিশ্বস্ত সূত্রে একথা পৌঁছিয়াছে যে, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি দিনের প্রথম দিকে 'সূরা ইয়াসীন' পড়িবে, তাহার সমস্ত হাজত পূর্ণ হইবে। —দারেমী—মুরসালরূপে
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ قَالَ: بَلَغَنِي أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قَرَأَ (يس)

فِي صَدْرِ النَّهَارِ قضيت حَوَائِجه» رَوَاهُ الدَّارمِيّ مُرْسلا
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২১৭৮
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৭৮। (সাহাবী) হযরত মা'কেল ইবনে ইয়াসার মুযানী (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে শুধু আল্লাহর সন্তোষ লাভের উদ্দেশ্যে 'সূরা ইয়াসীন' পড়িবে, তাহার পূর্ববর্তী (সগীরা) গোনাহসমূহ মাফ করা হইবে, সুতরাং তোমরা তোমাদের মৃত ব্যক্তিদের নিকট উহা পড়িবে। —বায়হাকী শোআবুল ঈমানে
كتاب فضائل القرآن
وَعَن معقل بن يسَار الْمُزنِيّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قَرَأَ (يس)

ابْتِغَاءَ وَجْهِ اللَّهِ تَعَالَى غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنبه فاقرؤوها عِنْدَ مَوْتَاكُمْ» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيُّ فِي شُعَبِ الْإِيمَانِ
হাদীস নং: ২১৭৯
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৭৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাসউদ (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলিয়াছেন, প্রত্যেক জিনিসের একটি শীর্ষস্থান রহিয়াছে, আর কোরআনের শীর্ষস্থান হইল সূরা বাকারা এবং প্রত্যেক জিনিসের একটি সার রহিয়াছে, আর কোরআনের সার হইল 'মুফাসসাল’ সূরাসমূহ। —দারেমী
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ قَالَ: إِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ سَنَامًا وَإِنَّ سَنَامَ الْقُرْآنِ سُورَةُ الْبَقَرَةِ وَإِنَّ لِكُلِّ شَيْءٍ لُبَابًا وَإِنَّ لباب الْقُرْآن الْمفصل. رَوَاهُ الدَّارمِيّ
হাদীস নং: ২১৮০
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৮০। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, প্রত্যেক জিনিসের একটি শোভা রহিয়াছে, আর কোরআনের শোভা হইল 'সূরা আররহমান।'
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم يَقُول: «لكل شَيْء عروس وعروس الْقُرْآن الرَّحْمَن» . رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
হাদীস নং: ২১৮১
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৮১। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে সূরা ওয়াকেআ পড়িবে, কখনও সে দারিদ্র্যে পতিত হইবে না। (পরবর্তী রাবী বলেন,) হযরত (আব্দুল্লাহ্) ইবনে মাসউদ তাঁহার মেয়েদিগকে প্রত্যেক রাতে উহা পড়িতে বলিতেন। —উক্ত হাদীস দুইটি বায়হাকী শো'আবুল ঈমানে বর্ণনা করিয়াছেন।
كتاب فضائل القرآن
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ قَرَأَ سُورَةَ الْوَاقِعَةِ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ لَمْ تُصِبْهُ فَاقَةٌ أَبَدًا» . وَكَانَ ابْنُ مَسْعُودٍ يَأْمُرُ بَنَاتَهُ يَقْرَأْنَ بهَا فِي كل لَيْلَة. رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
হাদীস নং: ২১৮২
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৮২। হযরত আলী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই সূরা সাব্বিহিসমা রাব্বিকাল আ'লাকে ভালবাসিতেন। – আহমদ
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عَلَيْهِ وَسلم يجب هَذِهِ السُّورَةَ (سَبِّحِ اسْمِ رَبِّكَ الْأَعْلَى)

رَوَاهُ أَحْمد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২১৮৩
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৮৩। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, এক ব্যক্তি নবী করীম (ﷺ)-এর নিকট আসিয়া বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমাকে কিছু শিখাইয়া দিন। তিনি বলিলেনঃ 'আলিফ-লাম-রা'-ওয়ালা সূরাসমূহের মধ্য হইতে তিনটি সূরা পড়িও! সে বলিল, হুযূর, আমি বৃদ্ধ হইয়া গিয়াছি এবং আমার অন্তর কঠিন ও জিহ্বা শক্ত হইয়া গিয়াছে। তখন তিনি বলিলেন, তবে তুমি 'হা-মীম'-ওয়ালা সূরাসমূহ হইতে তিনটি পড়িও! সে পূর্বের ন্যায় উত্তর দিল। অতঃপর বলিল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্, আমাকে ব্যাপক অর্থযুক্ত একটি সূরা শিখাইয়া দিন! তখন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাহাকে সূরা ইযা যুল যিলাত্‌' শেষ পর্যন্ত পড়াইয়া দিলেন। এবার সে বলিল, তাঁহার কসম, যিনি আপনাকে সত্য সহকারে পাঠাইয়াছেন— আমি ইহার উপর কখনও কিছু বাড়াইব না। অতঃপর সে প্রস্থান করিল, আর রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) দুইবার বলিলেন, লোকটি কৃতকার্য হইল, লোকটি কৃতকার্য হইল। —আহমদ ও আবু দাউদ
كتاب فضائل القرآن
وَعَن عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ أَقْرِئْنِي يَا رَسُولَ اللَّهِ فَقَالَ: اقْرَأْ ثَلَاثًا مِنْ ذَوَاتِ (ألر)

فَقَالَ: كَبُرَتْ سِنِّي وَاشْتَدَّ قَلْبِي وَغَلُظَ لِسَانِي قَالَ: فَاقْرَأْ ثَلَاثًا مِنْ ذَوَاتِ (حم)

فَقَالَ مِثْلَ مَقَالَتِهِ. قَالَ الرَّجُلُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقْرِئْنِي سُورَةً جَامِعَةً فَأَقْرَأَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ (إِذَا زُلْزِلَتْ الأَرْض)

حَتَّى فَرَغَ مِنْهَا فَقَالَ الرَّجُلُ: وَالَّذِي بَعَثَكَ بِالْحَقِّ لَا أَزِيد عَلَيْهَا أبدا ثمَّ أدبر الرَّجُلُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

أَفْلَحَ الرُّوَيْجِلُ مَرَّتَيْنِ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَأَبُو دَاوُدَ
হাদীস নং: ২১৮৪
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৮৪। হযরত ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, একদিন রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিলেনঃ তোমাদের মধ্যে কেহ কি প্রত্যহ হাযার আয়াত পড়িতে পারে না ? সাহাবীগণ বলিলেন, কে প্রত্যহ হাযার আয়াত পড়িতে পারিবে? তখন তিনি বলিলেন, তবে কি তোমাদের কেহ প্রত্যহ সূরা 'আলহা-কুমুততাকাছুর' পড়িতে পারে না ? —বায়হাকী শো'আবুল ঈমানে
كتاب فضائل القرآن
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَلَا يَسْتَطِيعُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ أَلْفَ آيَةٍ فِي كُلِّ يَوْمٍ؟» قَالُوا: وَمَنْ يَسْتَطِيعُ أَنْ يَقْرَأَ أَلْفَ آيَةٍ فِي كل يَوْم؟ قَالَ: أَمَا يَسْتَطِيعُ أَحَدُكُمْ أَنْ يَقْرَأَ: (أَلْهَاكُمُ التكاثر)

؟)

رَوَاهُ الْبَيْهَقِيّ فِي شعب الْإِيمَان
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ২১৮৫
- কুরআনের ফাযাঈল অধ্যায়
তৃতীয় অনুচ্ছেদ
২১৮৫। (তাবেয়ী) হযরত সায়ীদ ইবনে মুসাইয়্যাব মুরসালরূপে নবী করীম (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলিয়াছেনঃ যে দশবার 'কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ' পড়িবে, তাহার জন্য বেহেশতে একটি বালাখানা তৈয়ার করা হইবে, যে বিশবার পড়িবে তাহার জন্য বেহেশতে দুইটি বালাখানা তৈয়ার করা হইবে, আর যে ত্রিশবার পড়িবে তাহার জন্য বেহেশতে তিনটি বালাখানা তৈয়ার করা হইবে। ইহা শুনিয়া হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলিলেন, খোদার কসম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! তবে তো আমরা বহু বালাখানা লাভ করিব। হুযূর (ﷺ) বলিলেন, আল্লাহর রহমত ইহা অপেক্ষাও অধিক প্রশস্ত। (ইহাতে বিস্ময়ের কিছুই নাই হে ওমর!) —দারেমী
كتاب فضائل القرآن
وَعَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ مُرْسَلًا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «مَنْ قَرَأَ (قل هُوَ الله أحد)

عشر مَرَّات بني لَهُ بِهَا قَصْرٌ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْ قَرَأَ عِشْرِينَ مَرَّةً بُنِي لَهُ بِهَا قَصْرَانِ فِي الْجَنَّةِ وَمَنْ قَرَأَهَا ثَلَاثِينَ مَرَّةً بُنِيَ لَهُ بِهَا ثَلَاثَةُ قُصُورٍ فِي الْجَنَّةِ» . فَقَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ: وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذَا لَنُكَثِّرَنَّ قُصُورَنَا. فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «اللَّهُ أَوْسَعُ من ذَلِك» . رَوَاهُ الدَّارمِيّ