মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ১৫ টি

হাদীস নং: ৫৫৯২
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৯২। হযরত সওবান (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমার হাউয আদন হইতে বালকার ওম্মানের মধ্যবর্তী দূরত্ব পরিমাণ হইবে। উহার পানি দুগ্ধ অপেক্ষা সাদা ও মধুর চাইতে মিষ্টি এবং উহার পানপাত্রের সংখ্যা আকাশের নক্ষত্রের ন্যায় অগণিত। যে উহা হইতে এক ঢোক পান করিবে, সে আর কখনও পিপাসার্ত হইবে না। উক্ত হাউযের কাছে সর্বপ্রথম ঐ সমস্ত গরীব মুহাজেরীনগণ আসিবে, যাহাদের মাথার চুল অবিন্যস্ত, পরনের কাপড়-চোপড় ময়লা, সম্ভ্রান্ত পরিবারের মহিলাগণকে যাহাদের সহিত বিবাহ দেওয়া হয় না এবং তাহাদের জন্য (গৃহের) দরওয়াজা খোলা হয় না। – আহমদ, তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্ । এবং তিরমিযী বলেন, হাদীসটি গরীব।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
الْفَصْل الثَّانِي
عَن ثَوْبَانَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «حَوْضِي مِنْ عَدَنٍ إِلَى عُمَّانَ الْبَلْقَاءِ مَاؤُهُ أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ وَأَكْوَابُهُ عَدَدُ نُجُومِ السَّمَاءِ مَنْ شَرِبَ مِنْهُ شَرْبَةً لَمْ يَظْمَأْ بَعْدَهَا أَبَدًا أَوَّلُ النَّاسِ وُروداً فقراءُ المهاجرينَ الشُّعثُ رؤوساً الدُّنْسُ ثِيَابًا الَّذِينَ لَا يَنْكِحُونَ الْمُتَنَعِّمَاتِ وَلَا يُفْتَحُ لَهُمُ السُّدَدُ» . رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ وَابْنُ مَاجَهْ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ
হাদীস নং: ৫৫৯৩
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৯৩। হযরত যায়েদ ইবনে আরকাম (রাঃ) বলেন, একবার আমরা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-এর সঙ্গে কোন এক সফরে ছিলাম। এক মঞ্জিলে আমরা অবস্থান করিলাম। তখন তিনি উপস্থিত লোকদিগকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ হাউযে কাওসারে যেই সমস্ত লোকেরা আমার নিকটে উপস্থিত হইবে, তোমাদের সংখ্যা উহাদের লক্ষ ভাগের এক ভাগও নহে। লোকেরা যায়েদ ইবনে আরকামকে জিজ্ঞাসা করিল, সেই দিন আপনাদের সংখ্যা কত ছিল? তিনি বলিলেন, সাত শত অথবা আট শত। –আবু দাউদ
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ: كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَزَلْنَا منزلا فَقَالَ: «مَا أَنْتُمْ جُزْءٌ مِنْ مِائَةِ أَلْفِ جُزْءٍ مِمَّنْ يَرِدُ عَلَى الْحَوْضِ» . قِيلَ: كَمْ كُنْتُمْ يَوْمَئِذٍ؟ قَالَ: سَبْعَمِائَةٍ أَوْ ثَمَانِمِائَةٍ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৫৯৪
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৯৪। হযরত সামুরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ জান্নাতে প্রত্যেক নবীর এক একটি হাউয হইবে এবং নবীগণ নিজেদের হাউয লইয়া গর্ব করিবেন যে, কাহার হাউযে আগমনকারীর সংখ্যা বেশী। কিন্তু আমি আশা রাখি যে, আমার হাউযে আগমনকারীর সংখ্যা হইবে তাহাদের সকলের অপেক্ষা অধিক। — তিরমিযী। এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَن سَمُرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ حَوْضًا وَإِنَّهُمْ لَيَتَبَاهَوْنَ أَيُّهُمْ أَكْثَرُ وَارِدَةً وَإِنِّي لَأَرْجُو أَنْ أَكُونَ أَكْثَرَهُمْ وَارِدَةً» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৫৯৫
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৯৫। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, আমি নবী (ﷺ)-এর খেদমতে আরয করিলাম, কিয়ামতের দিন আপনি অনুগ্রহপূর্বক আমার জন্য বিশেষভাবে শাফা'আত করিবেন। তিনি বলিলেনঃ আচ্ছা, আমি তাহা করিব। আমি বলিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্ ! আমি আপনাকে কোথায় খোঁজ করিব? তিনি বলিলেন; সর্বপ্রথম তুমি আমাকে পুলসিরাতের উপর খোঁজ করিবে। বলিলাম, যদি আমি আপনাকে পুলসিরাতে সাক্ষাৎ না পাই? তিনি বলিলেন; তখন তুমি আমাকে মীযানের (আমলনামা ওজনের) নিকটে খোঁজ করিবে। বলিলাম, যদি আমি আপনাকে মীযানের কাছে সাক্ষাৎ না পাই? তিনি বলিলেন; তখন তুমি আমাকে হাউয়ে কাওসারের কাছে খোঁজ করিবে। স্মরণ রাখ, আমি এই তিন জায়গা হইতে অনুপস্থিত থাকিব না। —তিরমিযী। এবং তিনি বলিয়াছেন, হাদীসটি গরীব।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَن أنس قا ل سَأَلْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنْ يَشْفَعَ لِي يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقَالَ: «أَنَا فَاعِلٌ» . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَأَيْنَ أَطْلُبُكَ؟ قَالَ اطْلُبْنِي أَوَّلَ مَا تَطْلُبُنِي عَلَى الصِّرَاطِ . قُلْتُ فَإِنْ لَمْ أَلْقَكَ عَلَى الصِّرَاطِ؟ قَالَ: «فَاطْلُبْنِي عِنْدَ الْمِيزَانِ» قُلْتُ فَإِنْ لَمْ أَلْقَكَ عِنْدَ الْمِيزَانِ؟ قَالَ: «فَاطْلُبْنِي عِنْدَ الْحَوْضِ فَإِنِّي لَا أُخطىءُ هَذِه الثلاثَ المواطن» رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وقا لهَذَا حَدِيث غَرِيب
হাদীস নং: ৫৫৯৬
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৯৬। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলিয়াছেন, একদা তাঁহাকে জিজ্ঞাসা করা হইল; (আল্লাহর ওয়াদাকৃত) 'মাকামে মাহমুদ' কি ? তিনি বলিলেনঃ উহা এমন এক দিন যেই দিন আল্লাহ্ তা'আলা তাঁহার কুরসীতে অবতরণ করিবেন এবং তাহা এমনভাবে কড়মড় করিবে, যেমন সংকীর্ণতার কারণে কড়মড় করিয়া থাকে চামড়ার তৈয়ারী নূতন গদি। সেই কুরসীর প্রশস্ততা হইবে আসমান ও যমীনের মধ্যবর্তী ব্যবধানের পরিমাণ। অতঃপর তোমাদিগকে বস্ত্রবিহীন, খালি পদযুগলে ও খত্নাবিহীন অবস্থায় উপস্থিত করা হইবে। সেই দিন যাহাদিগকে পোশাক পরিধান করান হইবে, তাহাদের মধ্যে সর্বপ্রথম ব্যক্তি হইবেন হযরত ইবরাহীম (আঃ)। আল্লাহ্ তা'আলা ফিরিশতাদিগকে নির্দেশ দিবেন আমার বন্ধু ইবরাহীমকে তোমরা পোশাক পরাইয়া দাও। তখন জান্নাতের কোমল রশমী ধবধবে সাদা দুইখানা কাপড় আনা হইবে এবং উহা তাঁহাকে পরিধান করান হইবে। অতঃপর পোশাক পরিধান করান হইবে আমাকে। তারপর আমি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের ডান পার্শ্বে এমন এক মাকামে দণ্ডায়মান হইব, যাহা দেখিয়া পূর্বের ও পরের (অর্থাৎ, সমস্ত মানুষ) আমার প্রতি ঈর্ষা পোষণ করিবে। – দারেমী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قا ل: قيل لَهُ مَا الْمقَام الْمَحْمُود؟ قا ل: ذَلِكَ يَوْمَ يَنْزِلُ اللَّهُ تَعَالَى عَلَى كُرْسِيِّهِ فَيَئِطُّ كَمَا يئطُّ الرحلُ الْجَدِيد من تضايقه بِهِ وَهُوَ كَسَعَةِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ وَيُجَاءُ بِكُمْ حُفَاةً عُرَاةً غُرْلًا فَيَكُونُ أَوَّلُ مَنْ يُكْسَى إِبراهيم يَقُول الله تَعَالَى: أُكسوا خليلي بِرَيْطَتَيْنِ بَيْضَاوَيْنِ مِنْ رِيَاطِ الْجَنَّةِ ثُمَّ أُكْسَى عَلَى أَثَرِهِ ثُمَّ أَقُومُ عَنْ يَمِينِ اللَّهِ مقَاما يغبطني الْأَولونَ وَالْآخرُونَ . رَوَاهُ الدَّارمِيّ
হাদীস নং: ৫৫৯৭
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৯৭। হযরত মুগীরা ইবনে শো'বা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ কিয়ামতের দিন পুলসিরাতের উপর মু'মেনীনদের পরিচিতি হইবে— “রাব্বে সাল্লেম, সাল্লেম”। (অর্থাৎ, আয় রব! আমাকে নিরাপদে রাখ, আমাকে নিরাপদে রাখ । ) —তিরমিযী। এবং তিনি বলেন, হাদীসটি গরীব।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَن الْمُغيرَة بن شُعْبَة قا ل: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شِعَارُ الْمُؤْمِنِينَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ عَلَى الصِّرَاطِ: رَبِّ سَلِّمْ سَلِّمْ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَقَالَ: هَذَا حَدِيثٌ غَرِيب
হাদীস নং: ৫৫৯৮
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৯৮। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমার উম্মতের কবীরা গোনাকারীগণই বিশেষভাবে আমার শাফা'আত লাভ করিবে (অন্য উম্মতের কবীরা গোনাহকারী শাফা'আত লাভ করিতে পারিবে না)। —তিরমিযী ও আবু দাউদ।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قا ل: «شَفَاعَتِي لِأَهْلِ الْكَبَائِرِ مِنْ أُمَّتِي» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَأَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৫৫৯৯
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৫৯৯। আর ইবনে মাজাহ হযরত জাবের (রাঃ) হইতে হাদীসটি বর্ণনা করিয়াছেন।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
اَلْفصْلُ الثَّنِفْ (بَاب الْحَوْض والشفاعة )
وَرَوَاهُ ابْن مَاجَه عَن جَابر
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬০০
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৬০০। হযরত আওফ ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমার পরয়ারদিগারের নিকট হইতে একজন আগমনকারী (ফিরিশতা) আসিলেন এবং তিনি (আল্লাহর পক্ষ হইতে) আমাকে এই দুইয়ের মধ্যে একটির এখতিয়ার প্রদান করিলেন, হয়তো আমার উম্মতের অর্ধেক সংখ্যা জান্নাতে প্রবেশ করুক অথবা আমি (উম্মতের জন্য) শাফা'আতের সুযোগ গ্রহণ করিয়া নেই ? অতঃপর আমি শাফা'আত গ্রহণ করিলাম। অতএব, উহা ঐ সকল লোকের জন্য, যাহারা আল্লাহর সহিত শিরক না করিয়া মৃত্যুবরণ করিয়াছে, তাহাদের জন্য আমার শাফাআত কার্যকরী হইবে। —তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَتَانِي آتٍ مِنْ عِنْدِ رَبِّي فَخَيَّرَنِي بَيْنَ أَنْ يُدْخِلَ نِصْفَ أُمَّتِي الْجَنَّةَ وَبَيْنَ الشَّفَاعَةِ فَاخْتَرْتُ الشَّفَاعَةَ وَهِيَ لِمَنْ مَاتَ لَا يُشْرِكُ بِاللَّهِ شَيْئًا» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ وَابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬০১
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৬০১। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আবুল জাদ'আ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি, আমার উম্মতের এক ব্যক্তির সুপারিশে বনী তামীম গোত্রের লোক সংখ্যা অপেক্ষা অধিক মানুষ জান্নাতে প্রবেশ করিবে। —তিরমিযী, দারেমী ও ইবনে মাজাহ
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَن عبدِ الله بن أبي الجَدعاءِ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «يَدْخُلُ الْجَنَّةَ بِشَفَاعَةِ رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَكْثَرُ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ والدارمي وَابْن مَاجَه
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬০২
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৬০২। হযরত আবু সাঈদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ আমার উম্মতের কোন ব্যক্তি এমন হইবে, যে বিরাট একটি দলের জন্য সুপারিশ করিবে, কেহ একটি গোত্রের জন্য সুপারিশ করিবে। আবার কেহ আপন আত্মীয়-স্বজনের জন্য সুপারিশ করিবে, আবার কেহ শুধু একটি লোকের জন্য সুপারিশ করিবে। অবশেষে আমার সমস্ত উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করিবে। —তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «إِنَّ مِنْ أُمَّتِي مَنْ يَشْفَعُ لِلْقَبِيلَةِ وَمِنْهُمْ مَنْ يَشْفَعُ لِلْعُصْبَةِ وَمِنْهُمْ مَنْ يَشْفَعُ لِلرَّجُلِ حَتَّى يَدْخُلُوا الْجَنَّةَ» رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ
হাদীস নং: ৫৬০৩
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৬০৩। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্ আমাকে এই প্রতিশ্রুতি দিয়াছেন যে, তিনি আমার উম্মতের চার লক্ষ ব্যক্তি বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করাইবেন। তখন হযরত আবু বকর (রাঃ) বলিলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমাদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করুন। তখন তিনি বলিলেন, এই পরিমাণ—এই বলিয়া তিনি উভয় উভয় হাত একত্রিত করিয়া অঞ্জলি একত্রিত করিলেন। হযরত আবু বকর (রাঃ) বলিলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করুন। এইবারও হুযূর (ﷺ) অনুরূপ অঞ্জলি একত্র করিয়া দেখাইয়া বলিলেন, আরও এই পরিমাণ। তখন হযরত উমর (রাঃ) বলিলেন, হে আবু বকর! আমাদিগকে নিজ নিজ অবস্থায় থাকিতে দাও। (অর্থাৎ, আমাদিগকে আমল করিতে দাও।) তখন আবু বকর (রাঃ) বলিলেন, হে উমর! ইহাতে তোমার কি ক্ষতি যদি আল্লাহ্ তা'আলা আমাদের সকলকে জান্নাতে প্রবেশ করাইয়া দেন? জবাবে উমর (রাঃ) বলিলেন, যদি মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ্ ইচ্ছা করেন, তবে তাঁহার সমস্ত সৃষ্ট মাখলুককে তিনি এক অঞ্জলিতেই জান্নাতে প্রবেশ করাইতে পারেন। এই কথা শুনিয়া তখন নবী (ﷺ) বলিলেন ; উমর সত্যই বলিয়াছে। —শরহে সুন্নাহ্
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وعَدَني أَن يدْخل الجنةَ من أُمتي أربعمائةِ أَلْفٍ بِلَا حِسَابٍ» . فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ زِدْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ وَهَكَذَا فَحَثَا بِكَفَّيْهِ وَجَمَعَهُمَا فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: زِدْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ: وَهَكَذَا فَقَالَ عُمَرُ دَعْنَا يَا أبكر. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: وَمَا عَلَيْكَ أَنْ يُدْخِلَنَا اللَّهُ كُلَّنَا الْجَنَّةَ؟ فَقَالَ عُمَرُ: إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ إِنْ شَاءَ أَنْ يُدْخِلَ خَلْقَهُ الْجَنَّةَ بِكَفٍّ وَاحِدٍ فَعَلَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «صَدَقَ عُمَرُ» رَوَاهُ فِي شرح السّنة
হাদীস নং: ৫৬০৪
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৬০৪। হযরত আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ জাহান্নামীগণ সারিবদ্ধভাবে দাঁড়াইবে, তখন জান্নাতী এক ব্যক্তি তাহাদের নিকট দিয়া অতিক্রম করিবে। এই সময় জাহান্নামীদের সারি হইতে এক ব্যক্তি বলিবে, হে অমুক! তুমি কি আমাকে চিনিতে পার নাই? আমি সেই ব্যক্তি যে একদিন তোমাকে পান করাইয়াছিলাম। আর একজন বলিবে, আমি সেই ব্যক্তি যে একদিন তোমাকে অযুর জন্য পানি দিয়াছিলাম। তখন সে বেহেশতী ব্যক্তি তাহার জন্য সুপারিশ করিবে এবং জান্নাতে লইয়া যাইবে। —ইবনে মাজাহ্
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: يُصَفُّ أَهْلَ النَّارِ فَيَمُرُّ بِهِمُ الرَّجُلُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَيَقُولُ الرَّجُلُ مِنْهُمْ: يَا فُلَانُ أَمَا تَعْرِفُنِي؟ أَنَا الَّذِي سَقَيْتُكَ شَرْبَةً. وَقَالَ بَعْضُهُمْ: أَنَا الَّذِي وَهَبْتُ لَكَ وَضُوءًا فَيَشْفَعُ لَهُ فَيُدْخِلُهُ الْجَنَّةَ . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَه
হাদীস নং: ৫৬০৫
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৬০৫। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ জাহান্নামীদের মধ্য হইতে দুই ব্যক্তি খুব শোর-চিৎকার করিতে থাকিবে। তাহাদের চিৎকার শুনিয়া মহান রব ফিরিশতাদিগকে বলিবেনঃ এই ব্যক্তিদ্বয়কে দোযখ হইতে বাহির করিয়া আন। যখন তাহাদিগকে উপস্থিত করা হইবে আল্লাহ্ জিজ্ঞাসা করিবেন, কি কারণে তোমরা দুই জন এত শোর-চিৎকার করিতেছ ? তাহারা বলিবে, আমরা এইরূপ করিয়াছি যাহাতে আপনি আমাদের প্রতি রহম করেন। তখন আল্লাহ্ বলিবেনঃ তোমাদের উভয়ের প্রতি আমার অনুগ্রহ এই যে, জাহান্নামের যেই স্থানে তোমরা অবস্থানরত ছিলে এখন সেখানে চলিয়া যাও এবং সেই স্থানেই তোমরা নিজেদেরকে স্বেচ্ছায় নিক্ষেপ কর। এই নির্দেশ শুনিয়া উভয়ের একজন স্বেচ্ছায় নিজেকে দোযখে নিক্ষেপ করিবে। তখন আল্লাহ্ দোযখের আগুনকে তাহার জন্য শীতল ও আরামদায়ক করিয়া দিবেন। কিন্তু দ্বিতীয় ব্যক্তিটি দাঁড়াইয়া থাকিবে, সে নিজেকে উহাতে নিক্ষেপ করিবে না। তখন পরওয়ারদিগার তাহাকে বলিবেনঃ যেইভাবে তোমার সাথী নিজেকে দোযখে নিক্ষেপ করিয়াছে, কিসে তোমাকে অনুরূপভাবে নিক্ষেপ করা হইতে বিরত রাখিল ? তখন সে বলিবে, হে আমার রব! আমি এই আশা রাখি যে, যেই জায়গা হইতে তুমি একবার আমাকে বাহির করিয়াছ, পুনরায় সেখানে তুমি আমাকে ফেরত পাঠাইবে না। অতঃপর রাব্বুল আলামীন বলিবেনঃ তুমি যেই আশা পোষণ করিয়াছ, তাহা পূরণ করা হইল। তখন আল্লাহ্ তা'আলা তাঁহার বিশেষ অনুগ্রহে তাহাদের দুই জনকে জান্নাতে প্রবেশ করাইবেন। —তিরমিযী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِنَّ رَجُلَيْنِ مِمَّنْ دَخَلَ النَّارَ اشْتَدَّ صِيَاحُهُمَا فَقَالَ الرَّبُّ تَعَالَى: أَخْرِجُوهُمَا. فَقَالَ لَهُمَا: لِأَيِّ شَيْءٍ اشْتَدَّ صِيَاحُكُمَا؟ قَالَا: فَعَلْنَا ذَلِكَ لِتَرْحَمَنَا. قَالَ: فَإِنَّ رَحْمَتِي لَكُمَا أَنْ تَنْطَلِقَا فَتُلْقِيَا أَنْفُسَكُمَا حَيْثُ كُنْتُمَا مِنَ النَّارِ فَيُلْقِي أَحَدُهُمَا نَفْسَهُ فَيَجْعَلُهَا اللَّهُ بَرْدًا وَسَلَامًا وَيَقُومُ الْآخَرُ فَلَا يُلْقِي نَفْسَهُ فَيَقُولُ لَهُ الرَّبُّ تَعَالَى: مَا مَنَعَكَ أَنْ تُلْقِيَ نَفْسَكَ كَمَا أَلْقَى صَاحِبُكَ؟ فَيَقُولُ: رَبِّ إِنِّي لَأَرْجُو أَنْ لَا تُعِيدَنِي فِيهَا بَعْدَ مَا أَخْرَجْتَنِي مِنْهَا. فَيَقُولُ لَهُ الرَّبُّ تَعَالَى: لَكَ رَجَاؤُكَ. فَيُدْخَلَانِ جَمِيعًا الْجَنَّةَ بِرَحْمَةِ اللَّهِ . رَوَاهُ التِّرْمِذِيّ
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৬০৬
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - হাওযে কাওসার ও শাফাআতের বর্ণনা
৫৬০৬। হযরত ইবনে মাসউদ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ সমস্ত মানুষ (পুলসিরাত অতিক্রমের সময়) জাহান্নামে উপস্থিত হইবে এবং আমলের অনুপাতে নাজাত পাইবে। তাহাদের মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম লোক সকলের আগে বিদ্যুতের গতিতে চলিয়া যাইবে। কেহ প্রচণ্ড বাতাসের বেগে, কেহ দ্রুতগামী ঘোড়ার গতিতে, কেহ উটের গতিতে, কেহ মানুষের দৌড়ের গতিতে, অতঃপর পায়ে হ্যাঁটার গতিতে। —তিরমিযী ও দারেমী
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «يَرِدُ النَّاسُ النَّارَ ثمَّ يصدون مِنْهَا بِأَعْمَالِهِمْ فَأَوَّلُهُمْ كَلَمْحِ الْبَرْقِ ثُمَّ كَالرِّيحِ ثُمَّ كَحُضْرِ الْفَرَسِ ثُمَّ كَالرَّاكِبِ فِي رَحْلِهِ ثُمَّ كَشَدِّ الرَّجُلِ ثُمَّ كَمَشْيِهِ» . رَوَاهُ التِّرْمِذِيُّ وَالدَّارِمِيُّ