প্রশ্নঃ ১২৩১৩. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আব্বা, দাদা যদি সুদের করবার আগে করে থাকে, আব্বা এখন নামাজ পরে না। তাহলে সেই সুধের টাকা তো নিশ্চই ব্যাংকে জমা টাকার মধ্যে ঢুকে আছে, আমার বয়স 20 বছর আমি এখন পড়াশোনা করি আর 5 ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। আমার এবাদাদ, দুআ কি আল্লাহর কাছে কবুল হবে ? এই পরিস্থিতিতে কি করা উচিৎ ? দয়া করে উত্তর টা দিবেন।
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
আপনি উপার্জনে সক্ষম না হলে আপনার জন্য বাবার হারাম উপার্জন থেকে আর্থিক সহযোগিতা নিতে কোন সমস্যা নেই। তবে সমর্থ হলে বৈধ হবে না। সর্বাবস্থায় পিতাকে হারাম থেকে বাঁচতে অনুরোধ ও যথাসাধ্য বুঝাতে হবে।
مسألة إذا كان الحرام أو الشبهة في يد أبويه فليمتنع عن مؤاكلتهما فإن كانا يسخطان فلا يوافقهما على الحرام المحض بل ينهاهما فلا طاعة لمخلوق في معصية الله تعالى فإن كان شبهة وكان امتناعه للورع فهذا قد عارضه أن الورع طلب رضاهما بل هو واجب فليتلطف في الامتناع فإن لم يقدر فليوافق وليقلل الأكل بأن يصغر اللقمة ويطيل المضغ ولا يتوسع فإن ذلك عدوان (احياء علوم الدين– 2/147
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ১০৮৯৭. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, কোন কোন অবস্থায় একজন ছেলের জন্য তার বাবার হারাম উপার্জন খাওয়া জায়েজ?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
ছেলে যদি সাবালক হয়,তাহলে ছেলের জন্য বাবার সুদের টাকা থেকে গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না।কেননা সাবালক ছেলের দায়িত্ব তাদের নিজেদের উপর থাকে।তবে ছেলে যদি নাবালক হয়,তাহলে যেহেতু নাবালক সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব পিতার উপর, তাই নাবালক ছেলে বা সাবালক মেয়ে বাবার সুদী বা হারাম টাকা থেকে নিজ প্রয়োজনকে পূর্ণ করতে পারবে।এক্ষেত্রে গোনাহ পিতারই হবে।সন্তানের কোনো প্রকার গোনাহ হবে না। মেয়ে সাবালক হোক বা নাবালক হোক, সর্বাবস্থায় তার লালন-পালনের দায়িত্ব তার অভিভাবকের উপর।
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন