১৬৮৭। হযরত মালেক ইবনে হুবায়রাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ)-কে বলিতে শুনিয়াছি, তিনি বলিয়াছেনঃ যে কোন মুসলমান মরে, আর মুসলমানদের তিন ছফ লোক তাহার জানাযা পড়ে, নিশ্চয় আল্লাহ্ তা'আলা তাহার জন্য (বেহেশত) নির্ধারিত করেন। (পরবর্তী রাবী বলেন,) সুতরাং মালেক ইবনে হুবায়রাহ্ যখন জানাযায় লোক কম দেখিতেন, তাহাদিগকে তিন ছফে ভাগ করিয়া দিতেন—এই হাদীসের কারণে। – আবু দাউদ
তিরমিযীর বর্ণনায় রহিয়াছে, রাবী বলেন, মালেক ইবনে হুবায়রাহ্ যখন কাহারও জানাযা পড়িতে ইচ্ছা করিতেন এবং জানাযায় লোক কম বলিয়া মনে করিতেন, তাহাদিগকে তিন ভাগ করিয়া দিতেন। অতঃপর বলিতেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেন, যে ব্যক্তির উপর তিন ছফ লোক নামায পড়িয়াছে, আল্লাহ্ তাহার জন্য নির্ধারিত করিয়াছেন (বেহেশত)। ইবনে মাজাহ্ ও তাহার অনুরূপ বর্ণনা করিয়াছেন।

১৬৮৮। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবী করীম (ﷺ) হইতে জানাযার নামায সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (ﷺ) উহাতে এইরূপ দো'আ করিতেন, “হে আল্লাহ্! তুমি তাহার প্রতিপালক প্রভু, তুমি তাহাকে সৃষ্টি করিয়াছ, তুমি তাহাকে ইসলামের প্রতি পথ প্রদর্শন করিয়াছ এবং তুমি তাহার প্রাণ সংহার করিয়াছ। (প্রভু হে,) তুমি তাহার গুপ্ত ও ব্যক্ত সকল কিছু জান। আমরা (তোমার নিকট তাহার) সুপারিশকারীরূপে আসিয়াছি, তুমি তাহাকে ক্ষমা কর।” –আবু দাউদ

১৬৮৯। তাবেয়ী সায়ীদ ইবনে মুসাইয়্যাব বলেন, আমি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)-এর পিছনে একটি বালকের জানাযার নামায পড়িয়াছি—যে কখনও গোনাহ্ করে নাই এবং আমি শুনিয়াছি তাহাকে এইরূপ দো'আ করিতে, “আল্লাহ্! তুমি তাহাকে আযাবে কবর হইতে রক্ষা কর।” –মালেক

১৬৯০। ইমাম বুখারী তা'লীকরূপে বর্ণনা করিয়াছেন, হযরত হাসান বসরী (রঃ) শিশুর জানাযায় সূরা ফাতেহা পাঠ করিতেন এবং এইরূপ দো'আ করিতেন, “আল্লাহ্ ! তুমি তাহাকে আমাদের জন্য অগ্রগামীরূপে, ব্যবস্থাপকরূপে, রক্ষিত ভাণ্ডাররূপে এবং শ্রমের প্রতিফলরূপে কর।”

১৬৯১। হযরত জাবের (রাঃ) হইতে বর্ণিত আছে, নবী করীম (ﷺ) বলিয়াছেনঃ শিশুর জানাযা পড়া হইবে না, সে কাহারও উত্তরাধিকারী হইবে না এবং তাহারও কেহ উত্তরাধিকারী হইবে না যদি না সে জন্মিয়া চীৎকার করে। — তিরমিযী ও ইবনে মাজাহ্
কিন্তু ইবনে মাজাহ্ “তাহারও কেহ উত্তরাধিকারী হইবে না”-এর উল্লেখ করেন নাই।

১৬৯২। হযরত আবু মাসউদ আনসারী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) ইমামকে উপরে এবং মোক্তাদীগণকে নীচে দাঁড়াইতে নিষেধ করিয়াছেন। —দারা কুতনী তাঁহার মোজতাবায় জানাযা অধ্যায়ে

১৬৯৪। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর শরীফে একটি লাল চাদর (বিছাইয়া) দেওয়া হইয়াছিল। —মুসলিম

১৬৯৫। তাবে তাবেয়ী সুফিয়ান তামার হইতে বর্ণিত আছে যে, তিনি নবী করীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর শরীফকে উটের পিঠের ন্যায় কুঁজ (মুসান্নাম) দেখিয়াছেন। —বুখারী

১৬৯৬। তাবেয়ী আবুল হাইয়্যাজ আসাদী বলেন, একবার হযরত আলী (রাঃ) আমাকে বলিলেন, আমি কি তোমাকে সেই কাজে পাঠাইব না, যে কাজে আমাকে রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লা আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাঠাইয়াছিলেন? তাহা এই, কোন মূর্তি পাইলে উহা নষ্ট না করিয়া ছাড়িবে না এবং কোন উঁচু কবর দেখিলে উহা সমান না করিয়া রাখিবে না। মুসলিম

১৬৯৭। হযরত জাবের (রাঃ) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করিয়াছেন—কবরে চুনকাম করিতে, উহার উপর ঘর তুলিতে এবং উহার উপর বসিতে। - মুসলিম

১৬৯৮। হযরত আবু মারসাদ গানাবী (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন কবরের উপর বসিও না এবং উহার দিকে ফিরিয়া নামায পড়িও না।— মুসলিম