মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)
مشكاة المصابيح للتبريزي
২৯- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ
মোট হাদীস ৮ টি
হাদীস নং: ৫৭২১
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির সূচনা ও নবী-রাসূলদের আলোচনা
৫৭২১। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: হযরত যাকারিয়া (আঃ) সুতারমিস্ত্রী ছিলেন। —মুসলিম
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ زَكَرِيَّاء نجارا» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭২২
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির সূচনা ও নবী-রাসূলদের আলোচনা
৫৭২২। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন: আমি দুনিয়া এবং আখেরাতে ঈসা ইবনে মারইয়ামের সবচাইতে বেশী নিকটতম। নবীগণ পরস্পরে 'আল্লাতী ভাই', তাহাদের মা ভিন্ন ভিন্ন এবং তাহাদের দ্বীন এক। আর আমার ও তাঁহার মাঝখানে কোন নবী নাই। – মোত্তাঃ
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أَنَا أَوْلَى النَّاسِ بِعِيسَى بن مَرْيَمَ فِي الْأُولَى وَالْآخِرَةِ الْأَنْبِيَاءُ أُخْوَةٌ مِنْ عَلَّاتٍ وَأُمَّهَاتُهُمْ شَتَّى وَدِينُهُمْ وَاحِدٌ وَلَيْسَ بَيْنَنَا نَبِي» . مُتَّفق عَلَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭২৩
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির সূচনা ও নবী-রাসূলদের আলোচনা
৫৭২৩। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলিয়াছেনঃ প্রতিটি আদম সন্তান জন্মলাভকালে শয়তান অঙ্গুলী দ্বারা তাহার পার্শ্বস্থলে খোঁচা দেয় ঈসা ইবনে মারইয়াম ব্যতীত। শয়তান তাঁহাকে খোঁচা দিতে গেলে তখন শুধু তাঁহার আবরণে খোঁচা দিতে সক্ষম হয় (তাহার শরীরে আঘাত করিতে পারে নাই)। —মোত্তাঃ
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «كُلُّ بَنِي آدَمَ يَطْعَنُ الشَّيْطَانُ فِي جَنْبَيْهِ بِإِصْبَعَيْهِ حِينَ يُوَلَدُ غَيْرَ عِيسَى بْنِ مَرْيَمَ ذَهَبَ يَطْعَنُ فَطَعَنَ فِي الْحِجَابِ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭২৪
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
প্রথম অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির সূচনা ও নবী-রাসূলদের আলোচনা
৫৭২৪। হযরত আবু মুসা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন : পুরুষদের মধ্যে অনেকেই কামেল হইয়াছেন, কিন্তু নারীদের মধ্যে ইমরানের কন্যা মারইয়াম এবং ফেরাউনের স্ত্রী আসিয়া ব্যতীত আর কেহই কামেল হন নাই। তিনি আরও বলিয়াছেন; সকল নারীর উপর আয়েশার মর্যাদা এমন, যেমন সর্ব-রকমের খাদ্য-সামগ্রীর উপর ‘সারীদের মর্যাদা। —মোত্তাঃ আর হযরত আনাসের হাদীস يَا خَيْرَ الْبَرِيَّةِ এবং আবু হোরায়রার হাদীস أَيُّ النَّاسِ أَكْرَمُ আর ইবনে উমরের হাদীস الْكَرِيم بن الْكَرِيمِ মুফাখারাত ও আছা বিয়্যাত অধ্যায়ে উল্লেখ করা হইয়াছে।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْ أَبِي مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَمُلَ مِنَ الرِّجَالِ كَثِيرٌ وَلَمْ يَكْمُلْ مِنَ النساءِ إِلا مريمُ بنتُ عِمْرَانَ وَآسِيَةُ امْرَأَةُ فِرْعَوْنَ وَفَضْلُ عَائِشَةَ عَلَى النِّسَاءِ كَفَضْلِ الثَّرِيدِ عَلَى سَائِرِ الطَّعَامِ» . مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ وَذَكَرَ حَدِيثَ أَنَسٍ: «يَا خَيْرَ الْبَرِيَّةِ» . وَحَدِيثَ أَبِي هُرَيْرَةَ: «أَيُّ النَّاسِ أَكْرَمُ» وَحَدِيثُ ابْن عمر: الْكَرِيم بن الْكَرِيمِ: «. فِي» بَابِ الْمُفَاخَرَةِ وَالْعَصَبِيَّةِ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৩৩
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির সূচনা ও নবী-রাসূলদের আলোচনা
৫৭৩৩। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ (কামেল) মু'মেন আল্লাহর নিকট কোন কোন ফিরিশতা হইতে অধিক মর্যাদাসম্পন্ন। —ইবনে মাজাহ্
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُؤْمِنُ أَكْرَمُ عَلَى اللَّهِ مِنْ بَعْضِ مَلَائِكَتِهِ» . رَوَاهُ ابْنُ مَاجَهْ
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৩৪
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির সূচনা ও নবী-রাসূলদের আলোচনা
৫৭৩৪। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) আমার হাত ধরিয়া বলিলেনঃ আল্লাহ্ তা'আলা যমীন সৃষ্টি করিয়াছেন শনিবারে, পাহাড়-পর্বত সৃষ্টি করিয়াছেন রবিবারে, গাছ-গাছালি সৃষ্টি করিয়াছেন সোমবারে। মন্দ জিনিসসমূহ বানাইয়াছেন মঙ্গলবারে। আলো বা জ্যোতি সৃষ্টি করিয়াছেন বুধবারে, জীব-জন্তু ও প্রাণীজগতকে সৃষ্টি করিয়া গোটা বিশ্বে ছড়াইয়া দিয়াছেন বৃহস্পতিবারে। আর আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করিয়াছেন জুম্আবারে আসরের সময়ের পরে। বস্তুতঃ ইহাই সর্বশেষ সৃষ্টি, দিনের শেষ সময়েই সৃষ্টি করিয়াছেন। অর্থাৎ, আসর ও রাত্রির মধ্যবর্তী সময়ে। —মুসলিম
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْهُ قَالَ: أَخَذَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِيَدَيَّ فَقَالَ: «خلق الله الْبَريَّة يَوْمَ السَّبْتِ وَخَلَقَ فِيهَا الْجِبَالَ يَوْمَ الْأَحَدِ وَخلق الشّجر يَوْم الِاثْنَيْنِ وَخلق الْمَكْرُوه يَوْمَ الثُّلَاثَاءِ وَخَلَقَ النُّورَ يَوْمَ الْأَرْبِعَاءِ وَبَثَّ فِيهَا الدَّوَابَّ يَوْمَ الْخَمِيسِ وَخَلَقَ آدَمَ بَعْدَ الْعَصْرِ مِنْ يَوْمِ الْجُمُعَةِ فِي آخِرِ الْخَلْقِ وَآخِرِ سَاعَةٍ مِنَ النَّهَارِ فِيمَا بَيْنَ الْعَصْرِ إِلى اللَّيْل» . رَوَاهُ مُسلم
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৩৫
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির সূচনা ও নবী-রাসূলদের আলোচনা
৫৭৩৫হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বলেন, একদা আল্লাহর নবী (ﷺ) তাঁহার সাহাবীগণসহ বসা ছিলেন। এমন সময় একখণ্ড মেঘ তাহাদের উপর দিয়া অতিক্রম করিল। তখন নবী (ﷺ) জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমরা কি জান ইহা কি? তাহারা বলিলেন, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল ভাল জানেন। তিনি বলিলেন, ইহা 'আনান', ইহা জমি সেচনকারী। ইহাকে আল্লাহ্ তা'আলা এমন এমন কওমের দিকে হাঁকাইয়া নিয়া যান, যাহারা তাহার শোকর করে না এবং তাঁহাকে ডাকেও না। অতঃপর হুযূর (ﷺ) বলিলেন; তোমরা কি জান, তোমাদের মাথার উপরে কি? তাহারা বলিলেন, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল ভাল জানেন। তিনি বলিলেন, ইহা রকী' (প্রথম আসমান) যাহা সুরক্ষিত ছাদ এবং স্থিরীকৃত। অতঃপর তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমরা কি জান, তোমাদের এবং আসমানের মাঝখানের দূরত্ব কত? তাহারা বলিলেন, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল অধিক জানেন। তিনি বলিলেন, পাঁচ শত বৎসরের ব্যবধান। অতঃপর জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমরা কি জান, উহার উপরে কি আছে ? তাহারা বলিলেন, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল অধিক জ্ঞাত। তিনি বলিলেন, দুইখানা আসমান রহিয়াছে—সেই দুইখানার মাঝখানের দূরত্ব হইল পাঁচ শত বৎসরের রাস্তা। এইভাবে তিনি আসমানের সংখ্যা সাতখানা বর্ণনা করিলেন এবং প্রত্যেক দুই আসমানের মাঝখানের দূরত্ব, আসমান ও যমীনের দূরত্বের সমান (অর্থাৎ, পাঁচ শত বৎসরের রাস্তা)। অতঃপর তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমরা কি জান, উহার উপরে কি আছে ? তাহারা বলিলেন, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল অধিক জানেন। তিনি বলিলেন, উহার উপরে রহিয়াছে আল্লাহর আরশ, আরশ ও আসমানের মাঝখানের ব্যবধান হইল দুই আসমানের মধ্যে দূরত্বের সমান।
অতঃপর তিনি বলিলেন, তোমরা কি জান, তোমাদের নীচে কি? তাহারা বলিলেন, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল অধিক জানেন। তিনি বলিলেন, যমীন। ইহার পর তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমরা কি জান ইহার নীচে কি? তাহারা বলিলেন, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল অধিক জানেন। তিনি বলিলেন, উহার নীচে আরেক যমীন এবং উভয় যমীনের মাঝখানের ব্যবধান হইল পাঁচ শত বৎসর। এমন কি তিনি যমীনের সংখ্যা সাতখানা বর্ণনা করিলেন এবং বলিলেন, প্রত্যেক দুই যমীনের মাঝখানে পাঁচ শত বৎসরের ব্যবধান। অতঃপর তিনি বলিলেন, সেই মহান সত্তার কসম যাঁহার হাতে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর প্রাণ। যদি তোমরা একখানা রশি নীচে যমীনের দিকে ঝুলাইয়া দাও, উহা অবশ্যই আল্লাহর নিকটে যাইয়া পৌঁছিবে। অতঃপর তিনি কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করিলেন— هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شيءٍ عليم (অর্থাৎ, তিনি প্রথম, তিনি শেষ, তিনি প্রকাশ্য, তিনি গোপন)। —আহমদ ও তিরমিযী। ইমাম তিরমিযী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই আয়াতটি পাঠ করিয়া এই কথাটি বুঝাইতে চাহিয়াছেন যে, “নিকট পৌঁছিবে” দ্বারা উদ্দেশ্য হইল, আল্লাহর জ্ঞান, কুদ্রত ও ক্ষমতায় গিয়া পৌঁছিবে। কারণ, আল্লাহর জ্ঞান, তাঁহার ক্ষমতা এবং রাজত্ব সর্বস্থান বেষ্টিত এবং তিনি আরশের উপরেই বিরাজমান। যেমন, তাঁহার পবিত্র কিতাবে তিনি এইভাবেই নিজের পরিচিতি দান করিয়াছেন।
অতঃপর তিনি বলিলেন, তোমরা কি জান, তোমাদের নীচে কি? তাহারা বলিলেন, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল অধিক জানেন। তিনি বলিলেন, যমীন। ইহার পর তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমরা কি জান ইহার নীচে কি? তাহারা বলিলেন, আল্লাহ্ ও তাঁহার রাসূল অধিক জানেন। তিনি বলিলেন, উহার নীচে আরেক যমীন এবং উভয় যমীনের মাঝখানের ব্যবধান হইল পাঁচ শত বৎসর। এমন কি তিনি যমীনের সংখ্যা সাতখানা বর্ণনা করিলেন এবং বলিলেন, প্রত্যেক দুই যমীনের মাঝখানে পাঁচ শত বৎসরের ব্যবধান। অতঃপর তিনি বলিলেন, সেই মহান সত্তার কসম যাঁহার হাতে মুহাম্মাদ (ﷺ)-এর প্রাণ। যদি তোমরা একখানা রশি নীচে যমীনের দিকে ঝুলাইয়া দাও, উহা অবশ্যই আল্লাহর নিকটে যাইয়া পৌঁছিবে। অতঃপর তিনি কুরআনের এই আয়াতটি পাঠ করিলেন— هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شيءٍ عليم (অর্থাৎ, তিনি প্রথম, তিনি শেষ, তিনি প্রকাশ্য, তিনি গোপন)। —আহমদ ও তিরমিযী। ইমাম তিরমিযী বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) এই আয়াতটি পাঠ করিয়া এই কথাটি বুঝাইতে চাহিয়াছেন যে, “নিকট পৌঁছিবে” দ্বারা উদ্দেশ্য হইল, আল্লাহর জ্ঞান, কুদ্রত ও ক্ষমতায় গিয়া পৌঁছিবে। কারণ, আল্লাহর জ্ঞান, তাঁহার ক্ষমতা এবং রাজত্ব সর্বস্থান বেষ্টিত এবং তিনি আরশের উপরেই বিরাজমান। যেমন, তাঁহার পবিত্র কিতাবে তিনি এইভাবেই নিজের পরিচিতি দান করিয়াছেন।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْهُ قَالَ: بَيْنَمَا نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَالِسٌ وَأَصْحَابُهُ إِذْ أَتَى عَلَيْهِمْ سَحَابٌ فَقَالَ نَبِيُّ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «هَلْ تَدْرُونَ مَا هَذَا؟» . قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: «هَذِهِ الْعَنَانُ هَذِهِ رَوَايَا الْأَرْضِ يَسُوقُهَا اللَّهُ إِلَى قَوْمٍ لَا يَشْكُرُونَهُ وَلَا يَدعُونَهُ» . ثمَّ قَالَ: «هَل تَدْرُونَ من فَوْقَكُمْ؟» قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: «فَإِنَّهَا الرَّقِيعُ سَقْفٌ مَحْفُوظٌ وَمَوْجٌ مَكْفُوفٌ» . ثُمَّ قَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ مَا بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهَا؟» قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: «بَيْنَكُمْ وَبَيْنَهَا خَمْسُمِائَةِ عَامٍ» ثُمَّ قَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ مَا فَوْقَ ذَلِكَ؟» . قَالُوا: اللَّهُ ورسولُه أعلمُ. قَالَ: «سماءانِ بُعْدُ مَا بَيْنَهُمَا خَمْسُمِائَةِ سَنَةٍ» . ثُمَّ قَالَ كَذَلِكَ حَتَّى عَدَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ «مَا بَيْنَ كُلِّ سَمَاءَيْنِ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ» . ثُمَّ قَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ مَا فَوْقَ ذَلِكَ؟» قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: «إِنَّ فَوْقَ ذَلِكَ الْعَرْشُ وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ السَّمَاءِ بُعْدُ مَا بَيْنَ السَّماءين» . ثُمَّ قَالَ: «هَلْ تَدْرُونَ مَا تَحْتَ ذَلِكَ؟» . قَالُوا: اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. قَالَ: «إِنَّ تَحْتَهَا أَرْضًا أُخْرَى بَيْنَهُمَا مَسِيرَةُ خَمْسِمِائَةِ سَنَةٍ» . حَتَّى عدَّ سَبْعَ أَرضين بَين كلَّ أَرضين مسيرَة خَمْسمِائَة سنة قَالَ: «وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَوْ أَنَّكُمْ دَلَّيْتُمْ بِحَبْلٍ إِلَى الْأَرْضِ السُّفْلَى لَهَبَطَ عَلَى اللَّهِ» ثُمَّ قَرَأَ (هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شيءٍ عليم) رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالتِّرْمِذِيُّ. وَقَالَ التِّرْمِذِيُّ: قِرَاءَةُ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْآيَةَ تَدُلُّ على أَنه أَرَادَ الهبط عَلَى عِلْمِ اللَّهِ وَقُدْرَتِهِ وَسُلْطَانِهِ وَعِلْمُ اللَّهِ وَقُدْرَتُهُ وَسُلْطَانُهُ فِي كُلِّ مَكَانٍ وَهُوَ عَلَى الْعَرْش كَمَا وصف نَفسه فِي كِتَابه
তাহকীক:
হাদীস নং: ৫৭৩৬
- সৃষ্টির সূচনা ও কিয়ামত পরবর্তী বর্ণনা
তৃতীয় অনুচ্ছেদ - সৃষ্টির সূচনা ও নবী-রাসূলদের আলোচনা
৫৭৩৬। হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ হযরত আদম ছিলেন কায়ায় ষাট হাত লম্বা এবং পার্শ্বে ছিলেন সাত হাত চওড়া।
كتاب أحوال القيامة وبدء الخلق
وَعَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كَانَ طُولُ آدَمَ سِتِّينَ ذِرَاعًا فِي سبع أَذْرع عرضا»
তাহকীক: