রিয়াযুস সালিহীন-ইমাম নববী রহঃ

رياض الصالحين من كلام سيد المرسلين

৫. ঘুমানো ও মজলিসের আদব - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস ২০ টি

হাদীস নং: ৮১৩
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পঞ্চম ভাগ: ঘুমানোর আদব
ঘুম আল্লাহ তা'আলার কুদরতের নিদর্শন। কুরআন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে-
وَمِنْ آيَاتِهِ مَنَامُكُمْ بِاللَّيْلِ وَالنَّهَارِ
‘এবং তাঁর নিদর্শনাবলির মধ্যে আছে রাত ও দিনে তোমাদের ঘুম’।(সূরা রূম, আয়াত ২৩)
আল্লাহ তা'আলা মানবদেহ নির্মাণে যে বিস্ময়কর কৌশল অবলম্বন করেছেন, তারই এক স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হল ঘুম। মানুষ শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম করতে থাকলে এক পর্যায়ে তার মস্তিষ্কের কোষগুলো ক্ষয়প্রাপ্ত হয় এবং শরীরযন্ত্র পরিচালনার শক্তি হারিয়ে ফেলে। এ অবস্থায় তার কর্মক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য কোষগুলোর পুনর্গঠন দরকার। সে পুনর্গঠনের জন্যই আল্লাহ তা'আলা ঘুমের ব্যবস্থা দিয়েছেন। ক্লান্ত-অবসন্ন মস্তিষ্ক তখন আপনা-আপনিই ঘুমিয়ে পড়ে। শরীর ও মস্তিষ্কের সে বিশ্রামের ভেতর দিয়ে কোষগুলো পুনর্গঠিত হয়ে যায়। যখন ঘুম ভাঙে, তখন পুনর্গঠিত কোষগুলো পুরোপুরি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে সতেজ-সজীব দেহ নিয়ে মানুষ ফের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে। আবারও দিনমান পরিশ্রমের পর মস্তিষ্ক কোষের ক্ষয়। দেহের ক্লান্তি ও অবসন্নতা। ফের ঘুম, ফের জাগরণ। এ এক নিরবচ্ছিন্ন চক্র। ঘুম ও জাগরণের এ চক্র ততোদিন চলতে থাকে, যতদিন না আখেরী ঘুম মরণ আসে।
ঘুম আল্লাহ তা'আলার এক বিরাট নি'আমত। আল্লাহ তা'আলা বলেন-
وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا
'আর তোমাদের ঘুমকে ক্লান্তি ঘুচানোর উপায় বানিয়েছি।(সূরা নাবা', আয়াত ৯)
ঘুম দ্বারা শরীরে ক্লান্তি দূর হয়। কাজের উদ্দীপনা তৈরি হয়। ক্ষমতা বাড়ে। স্মৃতিশক্তি কার্যকর থাকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানীগণ ঘুমের নানা উপকার তুলে ধরেছেন। ঘুম না হলে কিংবা ঘুম কম হলে কি কি ক্ষতি হয় সে সম্পর্কেও তারা সতর্ক করেছেন। তাই তারা পর্যাপ্ত ঘুমের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এর জন্য ওষুধও আবিষ্কৃত হয়েছে। যাদের ঘুম হয় না বা কম হয়, তারা যাতে অনিদ্রাজনিত রোগ-ব্যাধিতে আক্রান্ত না হয়ে পড়ে, সেজন্য তাদেরকে ঘুমের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়। বোঝাই যাচ্ছে ঘুম অনেক বড় নি'আমত। এটা যেহেতু অনেক বড় নি'আমত, তাই এর জন্য শোকর আদায় করা দরকার। সে শোকরের একটা দিক হল ঘুমের যথোচিত ব্যবহার। এক তো সময়মতো ঘুমানো ও নিয়মমতো ঘুমানো। দ্বিতীয়ত শরী'আত এর জন্য যে নির্দেশনা দিয়েছে তা অনুসরণ করা। ঘুম যেহেতু মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ, তাই শরী'আত এ বিষয়ে তার সামনে সুস্পষ্ট নির্দেশনা পেশ করেছে। সে কখন ঘুমাবে, কখন জাগবে, কীভাবে শোবে, শোওয়ার আগে কী করবে কী পড়বে, ঘুম থেকে জাগার পর কী করণীয়, সবই বলে দেওয়া হয়েছে।
হাদীছ নং: ৮১৩

হযরত বারা' ইবন আযিব রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বিছানায় যেতেন, ডান কাতে শুইতেন। তারপর বলতেন-
اللهم أسلمت نفسي إليك، ووجهت وجهي إليك، وفوضت أمري إليك، وألجأت ظهري إليك، رغبة ورهبة إليك، لا ملجأ، ولا منجى منك إلا إليك، آمنت بكتابك الذي أنزلت، ونبيك الذي أرسلت
হে আল্লাহ! আমি নিজেকে আপনার নিকট সমর্পণ করলাম, আমি নিজ চেহারা আপনার অভিমুখী করলাম, আমি আমার যাবতীয় বিষয় আপনার নিকট ন্যস্ত করলাম এবং আমি আমার পিঠকে আপনার আশ্রয়ে দিলাম- আপনার কাছে আশা ও ভয়ের সাথে। আপনি ছাড়া কোনও আশ্রয়ের জায়গা নেই এবং আপনি ছাড়া নেই নাজাতের কোনও স্থান। আমি ঈমান এনেছি আপনার ওই কিতাবের প্রতি, যা আপনি নাযিল করেছেন এবং আপনার ওই নবীর প্রতি, যাঁকে আপনি পাঠিয়েছেন)। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৬৩১৩; সহীহ মুসলিম: ২৭১০; সুনানে আবু দাউদ: ৫০৪৬; জামে তিরমিযী: ৩৩৯৪; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ৭৪৩; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৬৫২৬; সুনানে দারিমী: ২৭২৫; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা; ১০৫২৭; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৪৪২০; ইবনুস সুন্নী, আমালুল ইয়াওম ওয়াল লায়লা: ৭০৮)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
كتاب آداب النوم
باب مَا يقوله عِنْدَ النوم
813 - عن البَراءِ بن عازِبٍ رضي الله عنهما، قَالَ: كَانَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - إِذَا أوَى إِلَى فِرَاشِهِ نَامَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَن، ثُمَّ قَالَ: «اللَّهُمَّ أسْلَمْتُ نفسي إلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أَمْرِي إلَيْكَ، وَألْجَأتُ ظَهْرِي إلَيْك، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إلَيْكَ، لاَ مَلْجَأ وَلاَ مَنْجا مِنْكَ إِلاَّ إلَيكَ، آمَنْتُ بكِتَابِكَ الَّذِي أنْزَلْتَ، وَنَبِيِّكَ الَّذِي أرْسَلْتَ». رواه البخاري (1) بهذا اللفظ في كتاب الأدب من صحيحه.
হাদীস নং: ৮১৪
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পঞ্চম ভাগ: ঘুমানোর আদব
পরিচ্ছেদ:১ ঘুমের দু'আ
হাদীছ নং: ৮১৪

হযরত বারা' রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেন, তুমি যখন বিছানায় যাবে তখন নামাযের ওযুর মতো ওযু করবে। তারপর ডানকাতে শোবে এবং বলবে- তিনি উপরের দু'আটি উল্লেখ করলেন। তারপর তিনি বললেন, এটিই যেন হয় তোমার সর্বশেষ কথা। -বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী, হাদীছ নং ৬৩১৩; সহীহ মুসলিম, হাদীছ নং ২৭১০; সুনানে আবূ দাউদ, হাদীছ নং ৫০৪৬; জামে' তিরমিযী, হাদীছ নং ৩৩৯৪)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
كتاب آداب النوم
باب مَا يقوله عِنْدَ النوم
814 - وعنه، قَالَ: قَالَ لي رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «إِذَا أتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأ وُضُوءكَ لِلْصَّلاَةِ، ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الأَيْمَن، وَقُلْ ... » وذَكَرَ نَحْوَهُ، وفيه: «وَاجْعَلْهُنَّ آخِرَ مَا تَقُولُ». متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
হাদীস নং: ৮১৫
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পঞ্চম ভাগ: ঘুমানোর আদব
পরিচ্ছেদ:১ ঘুমের দু'আ
ডানকাতে শোওয়া
হাদীছ নং: ৮১৫

উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে এগারো রাকাত নামায পড়তেন। ফজর হয়ে গেলে হালকাভাবে দু'রাকাত নামায পড়তেন। তারপর ডানকাতে শুয়ে থাকতেন, যতক্ষণ না মুআযযিন এসে তাঁকে (জামাতের প্রস্তুতির কথা) জানাতেন।
-বুখারী ও মুসলিম'
(সহীহ বুখারী: ৬২৬; সহীহ মুসলিম: ৭৩৬; সুনানে আবু দাউদ: ১৩৩৬; সুনানে নাসাঈ: ৬৮৫ মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৪৭৬৯; মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ৪৭৮৭; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার: ১৬৮৩; সহীহ ইবনে হিব্বান: ২৪৩১; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ৮৭৭৭; সুনানে দারা কুতনী: ১৫৪৫; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৪৬৭৯)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
كتاب آداب النوم
باب مَا يقوله عِنْدَ النوم
815 - وعن عائشة رضي الله عنها، قالت: كَانَ النبيُّ - صلى الله عليه وسلم - يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ إحْدَى عَشرَةَ رَكْعَةً، فَإذا طَلَعَ الفَجْرُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ، ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَن حَتَّى يَجيءَ الْمُؤَذِّنُ فَيُؤْذِنَهُ. متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
হাদীস নং: ৮১৬
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পঞ্চম ভাগ: ঘুমানোর আদব
পরিচ্ছেদ:১ ঘুমের দু'আ
ঘুমানোর আগের ও পরের দু'আ
হাদীছ নং: ৮১৬

হযরত হুযায়ফা রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে যখন শয্যাগ্রহণ করতেন, তখন তাঁর হাত গালের নিচে রাখতেন। তারপর বলতেন-
اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
‘হে আল্লাহ! আমি তোমার নামে মরি ও বাঁচি’।
তারপর যখন জাগতেন, বলতেন-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانَا بَعْدَمَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُوْرُ
‘সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি আমাদের জীবন দিয়েছেন আমাদের মৃত্যু দেওয়ার পর। আর তাঁরই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন। -বুখারী
(সহীহ বুখারী : ৬৩১৪; জামে তিরমিযী: ৩৪১৭; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা : ১০৬৩০; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা : ২৯২৯৭; খারাইতী, মাকারিমুল আখলাক : ৯৫৬; সহীহ ইবনে হিব্বান : ৫৫৩৯; ইবনুস সুন্নী, আমালুল ইয়াওম ওয়াল লায়লা: ৭০৭: বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান: ৪৩৮৩)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
كتاب آداب النوم
باب مَا يقوله عِنْدَ النوم
816 - وعن حُذَيْفَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ النَّبيُّ - صلى الله عليه وسلم - إِذَا أخَذَ مَضْجَعَهُ مِنَ اللَّيْلِ وَضَعَ يَدَهُ تَحْتَ خَدِّهِ، ثُمَّ يَقُولُ: «اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أمُوتُ وَأحْيَا» وَإِذَا اسْتَيْقَظ قَالَ: «الْحَمْدُ للهِ الَّذِي أحْيَانَا بَعْدَمَا أمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُشُورُ». رواه البخاري. (1)
হাদীস নং: ৮১৭
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পঞ্চম ভাগ: ঘুমানোর আদব
পরিচ্ছেদ:১ ঘুমের দু'আ
উপুড় হয়ে না শোওয়া
হাদীছ নং: ৮১৭

হযরত ইয়া'ঈশ ইবন তিখফা আল-গিফারী রাযি. বলেন, আমার আব্বা বলেছেন যে. আমি মসজিদে উপুড় হয়ে শোওয়া ছিলাম। এ অবস্থায় হঠাৎ এক ব্যক্তি তার পা দিয়ে আমাকে নাড়া দিচ্ছিল। সে বলল, এটা এমন এক শয়ন, যা আল্লাহ অপসন্দ করেন। আমি তাকিয়ে দেখলাম তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। -আবু দাউদ
(সুনানে আবূ দাউদ: ৫০৪০; জামে' তিরমিযী: ২৭৬৮; মুসনাদে আহমাদ: ৮০২৮; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৬৬৮০; মুসনাদুল বাযযার ৭৯৮২; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫৫৪৯; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর ৮২২৭; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান ৪৩৯৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৩৫৯)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
كتاب آداب النوم
باب مَا يقوله عِنْدَ النوم
817 - وعن يَعيشَ بن طِخْفَةَ الغِفَارِيِّ رضي الله عنهما، قَالَ: قَالَ أَبي: بينما أَنَا مُضْطَجِعٌ في الْمَسْجِدِ عَلَى بَطْنِي إِذَا رَجُلٌ يُحَرِّكُنِي برجلِهِ، فَقَالَ: «إنَّ هذِهِ ضجْعَةٌ يُبْغِضُهَا اللهُ»، قَالَ: فَنظَرْتُ، فَإذَا رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم. رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح. (1)
হাদীস নং: ৮১৮
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পঞ্চম ভাগ: ঘুমানোর আদব
পরিচ্ছেদ:১ ঘুমের দু'আ
বৈঠক ও শয়ন-শয্যায় আল্লাহ তা'আলার যিকির করা
হাদীছ নং: ৮১৮

হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোনও বৈঠকে বসল অথচ আল্লাহর যিকির করল না, আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য তা ক্ষতির কারণ হবে। যে ব্যক্তি কোনও স্থানে শুইল অথচ আল্লাহর যিকির করল না, আল্লাহর পক্ষ থেকে তার জন্য তা ক্ষতির কারণ হবে। -আবূ দাউদ
(সুনানে আবূ দাউদ: ৪৮৫৬; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা ১০৫৮৫; তাবারানী, মুসনাদুশ শামিয়‍্যীন: ১৩২৪; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান : ৫৪১)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
كتاب آداب النوم
باب مَا يقوله عِنْدَ النوم
818 - وعن أَبي هريرة - رضي الله عنه - عن رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «مَنْ قَعَدَ مَقْعَدًا لَمْ يَذْكُرِ الله تَعَالَى فِيهِ، كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تَعَالَى تِرَةٌ، وَمَنِ اضْطَجَعَ مَضجَعًا لاَ يَذْكُرُ اللهَ تَعَالَى فِيهِ، كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تِرَةٌ». رواه أَبُو داود بإسنادٍ حسن. (1)
«التِّرَةُ»: بكسر التاء المثناة من فوق، وَهِيَ: النقص، وقِيلَ: التَّبعَةُ.
হাদীস নং: ৮১৯
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:২ সতর খুলে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকলে চিত হয়ে শোওয়া ও এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে রাখার বৈধতা এবং আসন দিয়ে বসা ও দুই হাঁটু খাড়া করে নিতম্বে ভর করে বসার বৈধতা
শোওয়া অবস্থায় সতরের বিষয়ে সচেতন থাকা
হাদীছ নং: ৮১৯

হযরত আব্দুল্লাহ ইবন যায়দ রাযি. থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লর আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মসজিদে এক পায়ের উপর আরেক পা রেখে চিত হয়ে শোওয়া অবস্থায় দেখেছেন।
-বুখারী ও মুসলিম
(৯৭. সহীহ বুখারী: ৪৭৫; সহীহ মুসলিম: ২১০০; সুনানে আবূ দাউদ: ৪৮৬৬; জামে তিরমিযী;২৭৬৫: সুনানে নাসাঈ: ৭২১; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ১১৯৭; মুসনাদুল ইবনিল জা'দ। ২৮৬৫; সুনানে দারিমী: ২৬৯৮; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার: ৬৮৮২; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ২৫১৫; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৩২১০)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب جواز الاستلقاء عَلَى القفا، ووضع إحدى الرِّجلين عَلَى الأخرى إِذَا لم يخف انكشاف العورة، وجواز القعود متربعًا ومحتبيًا
819 - عن عبدِ اللهِ بن زيد رضي الله عنهما: أنَّه رأى رسولَ الله - صلى الله عليه وسلم - مُسْتَلْقِيًا في الْمَسْجِدِ، وَاضِعًا إحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى. متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
হাদীস নং: ৮২০
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:২ সতর খুলে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকলে চিত হয়ে শোওয়া ও এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে রাখার বৈধতা এবং আসন দিয়ে বসা ও দুই হাঁটু খাড়া করে নিতম্বে ভর করে বসার বৈধতা
ফজরের নামাযের পর সূর্যোদয় পর্যন্ত নামাযের স্থানে বসে থাকা
হাদীছ নং: ৮২০

হযরত জাবির ইবন সামুরা রাযি. বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের নামায আদায়ের পর আসন দিয়ে বসে থাকতেন, যতক্ষণ না সূর্য ভালোভাবে উদিত হত। -আবু দাউদ
( সুনানে আবূ দাউদ: ৪৮৫০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৩৫৮)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب جواز الاستلقاء عَلَى القفا، ووضع إحدى الرِّجلين عَلَى الأخرى إِذَا لم يخف انكشاف العورة، وجواز القعود متربعًا ومحتبيًا
820 - وعن جابر بن سَمُرَة - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ النبيُّ - صلى الله عليه وسلم - إِذَا صَلَّى الفَجْرَ تَرَبَّعَ في مَجْلِسِهِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَسْنَاءَ. حديث صحيح، رواه أَبُو داود وغيره بأسانيد صحيحة. (1)
হাদীস নং: ৮২১
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:২ সতর খুলে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকলে চিত হয়ে শোওয়া ও এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে রাখার বৈধতা এবং আসন দিয়ে বসা ও দুই হাঁটু খাড়া করে নিতম্বে ভর করে বসার বৈধতা
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বসার একটি ভঙ্গি
হাদীছ নং: ৮২১

হযরত ইবন উমর রাযি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কা'বার চত্বরে তাঁর দু'হাত দিয়ে এভাবে ইহতিবা অবস্থায় বসে থাকতে দেখেছি। হযরত ইবন উমর রাযি. নিজের দু'হাত দিয়ে 'ইহতিবা'-এর অবস্থায় বসার ধরনটা বুঝিয়ে দেন। এরূপ বসাকে কুরফুসা বলে। -বুখারী
(সহীহ বুখারী : ৬২৭২; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা ৫৯১৪; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৩৫৮; ফাকিহী, আখবারু মাক্কাহ: ৬৮২)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب جواز الاستلقاء عَلَى القفا، ووضع إحدى الرِّجلين عَلَى الأخرى إِذَا لم يخف انكشاف العورة، وجواز القعود متربعًا ومحتبيًا
821 - وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قَالَ: رأيتُ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - بفناءِ الكَعْبَةِ مُحْتَبِيًا بِيَدَيْهِ هكَذا، وَوَصَفَ بِيَدَيْهِ الاحْتِبَاءَ، وَهُوَ القُرْفُصَاءُ (1). رواه البخاري. (2)
হাদীস নং: ৮২২
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:২ সতর খুলে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকলে চিত হয়ে শোওয়া ও এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে রাখার বৈধতা এবং আসন দিয়ে বসা ও দুই হাঁটু খাড়া করে নিতম্বে ভর করে বসার বৈধতা
নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বসার একটি ভঙ্গি
হাদীছ নং: ৮২২

হযরত কায়লা বিনতে মাখরামা রাযি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কুরফুসার ভঙ্গিতে বসা অবস্থায় দেখেছি। আমি যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এমন বিনীত ভঙ্গিতে বসে থাকতে দেখলাম, তখন ভয়ে কেঁপে উঠলাম। -আবু দাউদ ও তিরমিযী
(সুনানে আবূ দাউদ: ৪৮৪৭; জামে' তিরমিযী: ২৮১৫; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর, ২৫ খণ্ড, ৮ পৃষ্ঠা; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৫৯১৫; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৩৫৬)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب جواز الاستلقاء عَلَى القفا، ووضع إحدى الرِّجلين عَلَى الأخرى إِذَا لم يخف انكشاف العورة، وجواز القعود متربعًا ومحتبيًا
822 - وعن قَيْلَةَ بنْتِ مَخْرَمَةَ رضي الله عنها، قالت: رأيتُ النَّبيَّ - صلى الله عليه وسلم - وَهُوَ قَاعِدٌ القُرْفُصَاءَ، فَلَمَّا رَأَيْتُ رسولَ الله المُتَخَشِّعَ في الجِلْسَةِ أُرْعِدْتُ مِنَ الفَرَقِ (1). رواه أَبُو داود والترمذي. (2)
হাদীস নং: ৮২৩
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:২ সতর খুলে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকলে চিত হয়ে শোওয়া ও এক পায়ের উপর আরেক পা তুলে রাখার বৈধতা এবং আসন দিয়ে বসা ও দুই হাঁটু খাড়া করে নিতম্বে ভর করে বসার বৈধতা
ইহুদি সম্প্রদায়ের মতো হওয়ায় বসার যে ভঙ্গিটি পরিত্যাজ্য
হাদীছ নং: ৮২৩

হযরত শারীদ ইবন সুওয়ায়দ রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন আমি এভাবে বসা ছিলাম। আমি আমার বাম হাত আমার পিঠে রেখে আমার ডান হাতের মাংসল স্থানে ভর করে বসা ছিলাম। তিনি বললেন, তুমি অভিশপ্তদের বসার মতো বসেছ।
-আবু দাউদ
(সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৪৮; মুসনাদে আহমাদ: ১৯৪৫৪; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৭৪; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ৭২৪২; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৭৭০৩; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৫৯২০; মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৩০৫৭)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب جواز الاستلقاء عَلَى القفا، ووضع إحدى الرِّجلين عَلَى الأخرى إِذَا لم يخف انكشاف العورة، وجواز القعود متربعًا ومحتبيًا
823 - وعن الشَّريدِ بن سُوَيْدٍ - رضي الله عنه - قَالَ: مَرَّ بي رسولُ الله - صلى الله عليه وسلم - وَأَنَا جَالِسٌ هكَذَا، وَقَدْ وَضَعْتُ يَدِيَ اليُسْرَى خَلْفَ ظَهْرِي، وَاتَّكَأْتُ عَلَى أَليَةِ يَدي، فَقَالَ: «أَتَقْعُدُ قِعْدَةَ المَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ؟!». رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح. (1)
হাদীস নং: ৮২৪
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:৩ মজলিস ও মজলিসের সঙ্গীদের সম্পর্কিত আদব-কায়দা
নিজে বসার জন্য অন্যকে তার স্থান থেকে না ওঠানো ও আগন্তুকের জন্য বসার জায়গা করে দেওয়া
হাদীছ নং: ৮২৪

হযরত আব্দুল্লাহ ইবন উমর রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যেন কোনও ব্যক্তিকে তার বসার জায়গা থেকে উঠিয়ে দিয়ে নিজে সেখানে না বসে। বরং তোমরা (আগন্তুকের জন্য) স্থান প্রশস্ত করে দাও ও জায়গা ফাঁকা করে দাও। হযরত ইবন উমর রাযি.-এর নিয়ম ছিল যে, কোনও ব্যক্তি তাঁর জন্য নিজ স্থান থেকে দাঁড়িয়ে গেলে তিনি সেখানে বসতেন না।-বুখারী ও মুসলিম
(সহীহ বুখারী: ৬২৭০; সহীহ মুসলিম: ২১৭৭; মুসনাদুল হুমায়দী: ৬৭৯; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৫৫৭৬; মুসনাদে আহমাদ: ৬০৬১; মুসনাদুল বাযযার: ৬০৩৫; সহীহ ইবনে হিব্বান: ৫৮৭; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর; ১৩৬৩৭; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা :৫৮৯৮; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৩৩১)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب في آداب المجلس والجليس
824 - عن ابن عمر رضي الله عنهما، قَالَ: قَالَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «لا يُقِيمَنَّ أحَدُكُمْ رَجُلًا مِنْ مَجْلِسِهِ ثُمَّ يَجْلِسُ فِيهِ، وَلكِنْ تَوَسَّعُوا وَتَفَسَّحُوا» وكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا قَامَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ مَجْلِسِهِ لَمْ يَجْلِسْ فِيهِ. متفقٌ عَلَيْهِ. (1)
হাদীস নং: ৮২৫
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:৩ মজলিস ও মজলিসের সঙ্গীদের সম্পর্কিত আদব-কায়দা
কেউ নিজ আসন ছেড়ে চলে যাওয়ার পর ফিরে আসলে সে আসনে তার বসার অধিকার থাকে কি
হাদীছ নং: ৮২৫

হযরত আবূ হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, তোমাদের কেউ যদি নিজ বসার জায়গা থেকে উঠে যায়। তারপর সেখানে ফিরে আসে, তবে সে-ই সে জায়গায় বসার বেশি হকদার। -মুসলিম
(সহীহ মুসলিম: ২১৭৯; সুনানে ইবন মাজাহ ৩৭১৭; জামে' মা'মার ইবন রাশিদ: ১৯৭৯২ মুসনাদে ইবনুল জা'দ : ২৬৭১; মুসনাদে আহমাদ: ৭৭৯৭; সুনানে দারিমী: ২৬৯৬; সহীহ ইবনে খুযায়মা : ১২৮১; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৫৯০২; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ:৩৩৩৪)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب في آداب المجلس والجليس
825 - وعن أَبي هريرة - رضي الله عنه: أنَّ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنْ مَجْلِسٍ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ، فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ». رواه مسلم. (1)
হাদীস নং: ৮২৬
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:৩ মজলিস ও মজলিসের সঙ্গীদের সম্পর্কিত আদব-কায়দা
পরে আসলে পেছনে বসা
হাদীছ নং: ৮২৬

হযরত জাবির ইবন সামুরা রাযি. বলেন, আমরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইছি ওয়াসাল্লামের কাছে আসতাম, তখন আমাদের প্রত্যেকে মজলিসের শেষ সীমায় বসে পড়ত।
-আবু দাউদ ও তিরমিযী
(সুনানে আবু দাউদ: ৪৮২৫; জামে’ তিরমিযী: ২৭২৫; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৬০৬২; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ৫৮৬৮; মুসনাদে আবু ইয়া'লা: ৭৪৫৩; সহীহ ইবনে হিব্বান : ৬৪৩৩; তাবারানী, আল মু'জামুল কাবীর: ১৯৫১; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৫৮৯০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৭০৫)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب في آداب المجلس والجليس
826 - وعن جابر بن سَمُرَة رضي الله عنهما، قَالَ: كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا النَّبيَّ - صلى الله عليه وسلم - جلَسَ أحَدُنَا حَيْثُ يَنْتَهِي. رواه أَبُو داود والترمذي، (1) وقال: «حديث حسن».
হাদীস নং: ৮২৭
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:৩ মজলিস ও মজলিসের সঙ্গীদের সম্পর্কিত আদব-কায়দা
জুমু'আয় যাওয়ার প্রস্তুতি ও বিশেষ কয়েকটি আমল
হাদীছ নং: ৮২৭

হযরত আবু আব্দুল্লাহ সালমান ফারিসী রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে-কোনও ব্যক্তি জুমু'আর দিন গোসল করে, সামর্থ্য অনুযায়ী পাক-পবিত্রতা অর্জন করে, তার কাছে যে তেল থাকে তা ব্যবহার করে কিংবা তার ঘরে যে খুশবু থাকে তা লাগায়, তারপর বের হয়ে পড়ে, (মসজিদে গিয়ে) দু'ব্যক্তিকে দু'দিকে সরিয়ে তাদের মাঝখানে বসে না, তারপর নামায পড়ে, যা তার জন্য নির্ধারিত আছে, তারপর ইমাম যখন কথা বলে তখন সে চুপ থাকে, তার সে জুমু'আ ও অপর জুমু'আর মধ্যবর্তী সময়ের যাবতীয় গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। -বুখারী
(সহীহ বুখারী: ৮৮৩; সুনানে দারিমী: ১৫৮২; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার: ২১৬৯; সহীহ ইবনে হিব্বান : ২৭৭৬; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা: ৫৯৫৬; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ১০৫৮)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب في آداب المجلس والجليس
827 - وعن أَبي عبد الله سَلْمَان الفارسي - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَتَطهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيب بَيْتِهِ، ثُمَّ يَخْرُجُ فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَينِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإمَامُ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ الأُخْرَى». رواه البخاري. (1)
হাদীস নং: ৮২৮
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:৩ মজলিস ও মজলিসের সঙ্গীদের সম্পর্কিত আদব-কায়দা
পাশাপাশি বসা দুই ব্যক্তির মাঝখানে গিয়ে বসা
হাদীছ নং: ৮২৮

আমর ইবন শু’ইয়াইব তার পিতা হতে তার দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনও ব্যক্তির জন্য এটা জায়েয নয় যে, সে দুই ব্যক্তিকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে (অর্থাৎ দুই ব্যক্তিকে দু'দিকে সরিয়ে মাঝখানে ফাঁক সৃষ্টি করবে) তাদের অনুমতি ছাড়া। আবু দাউদের এক বর্ণনায় আছে, দুই ব্যক্তির মাঝখানে তাদের অনুমতি ছাড়া বসবে না।
-আবূ দাউদ ও তিরমিযী
(সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৪৫; জামে' তিরমিযী: ২৭৫৩; মুসনাদে আহমাদ: ৭০০০; খারাইতী, মাসাবিউল আখলাক: ৫১০; বুখারী, আল আদাবুল মুফরাদ: ১১৪২)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب في آداب المجلس والجليس
828 - وعن عمرو بن شُعَيْب، عن أبيهِ، عن جَدِّهِ - رضي الله عنه: أنَّ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «لاَ يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَ اثْنَيْنِ إِلاَّ بإذْنِهِمَا». رواه أَبُو داود والترمذي، (1) وقال: «حديث حسن».


وفي رواية لأبي داود: «لاَ يُجْلسُ بَيْنَ رَجُلَيْنِ إِلاَّ بِإذْنِهِمَا».
হাদীস নং: ৮২৯
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:৩ মজলিস ও মজলিসের সঙ্গীদের সম্পর্কিত আদব-কায়দা
বৃত্তাকারে উপবিষ্ট লোকদের মাঝখানে গিয়ে বসার অবৈধতা
হাদীছ নং: ৮২৯

হযরত হুযায়ফা ইবনুল ইয়ামান রাযি. বলেন, যে ব্যক্তি বৃত্তের মাঝখানে বসে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে লা'নত করেছেন। -আবূ দাউদ
(সুনানে আবু দাউদ: ৪৮২৬; জামে তিরমিযী: ২৭৫৪; বায়হাকী, আস সুনানুল কুবরা : ৫৯০৭: বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৩৩৪; মুসনাদে আবু দাউদ তয়ালিসী: ৪৩৬; মুসনাদুল বাযযার: ২৯৫৭)
হযরত আবু মিজলায় রহ. থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি বৃত্তের মাঝখানে বসল। তা দেখে হযরত হুযায়ফা রাযি. বললেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যবানিতে ওই ব্যক্তি অভিশপ্ত, অথবা বলেছেন, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যবানিতে আল্লাহ তা'আলা ওই ব্যক্তিকে লা'নত করেছেন, যে ব্যক্তি বৃত্তের মাঝখানে বসে।
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب في آداب المجلس والجليس
829 - وعن حذيفة بن اليمان - رضي الله عنه: أنَّ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - لَعَنَ مَنْ جَلَسَ وَسَطَ الحَلْقَةِ. رواه أَبُو داود بإسنادٍ حسن. (1)


وروى الترمذي عن أبي مِجْلَزٍ: أنَّ رَجُلًا قَعَدَ وَسَطَ حَلْقَةٍ، فَقَالَ حُذَيْفَةُ: مَلْعُونٌ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ - صلى الله عليه وسلم - أَوْ لَعَنَ اللهُ عَلَى لِسَانِ مُحَمَّدٍ - صلى الله عليه وسلم - مَنْ جَلَسَ وَسَطَ الحَلْقَةِ. قَالَ الترمذي: «حديث حسن صحيح».
হাদীস নং: ৮৩০
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:৩ মজলিস ও মজলিসের সঙ্গীদের সম্পর্কিত আদব-কায়দা
শ্রেষ্ঠ মজলিস কোনটি
হাদীছ নং: ৮৩০

হযরত আবূ সা'ঈদ খুদরী রাযি. বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, সেই মজলিস সর্বোত্তম, যা বেশি প্রশস্ত। -আবু দাউদ
(সুনানে আবূ দাউদ: ৪৮২০; মুসনাদুল বাযযার: ৬৪৪৭; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ৮৩৬; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ৭৭০৪; বায়হাকী, শু'আবুল ঈমান: ৭৮৯০; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ৩৩৩৩)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب في آداب المجلس والجليس
830 - وعن أَبي سعيدٍ الخدريِّ - رضي الله عنه - قَالَ: سَمِعْتُ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يقول: «خَيْرُ المَجَالِسِ أوْسَعُهَا». رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح عَلَى شرط البخاري. (1)
হাদীস নং: ৮৩১
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:৩ মজলিস ও মজলিসের সঙ্গীদের সম্পর্কিত আদব-কায়দা
মজলিসের শেষে যে দু'আ পড়তে হয়
হাদীছ নং: ৮৩১

হযরত আবু হুরায়রা রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি কোনও মজলিসে বসে আর তাতে বেহুদা কথা বেশি হয়,সেই ব্যক্তি সেই মজলিস থেকে উঠার আগে যদি বলে-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَلَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
‘হে আল্লাহ! তুমি মহান, পবিত্র। তোমারই সমস্ত প্রশংসা। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তুমি ছাড়া কোনও মা'বুদ নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি ও তাওবা করছি, তবে ওই মজলিসে যা-কিছু হয়েছে তার জন্য তা ক্ষমা করে দেওয়া হয়। -তিরমিযী
(জামে' তিরমিযী: ৩৪৩৩; বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ: ১৩৪০; নাসাই, আস সুনানুল কুবরা : ১০১৫৭; তহাবী, শারহু মা'আনিল আছার: ৬৯৫৬; সহীহ ইবনে হিব্বান : ৫৯৪; তাবারানী, আল মু'জামুল আওসাত: ৬৫৮৪; ইবনুস সুন্নী, আমালুল ইয়াওম ওয়াল লায়লা : ৪৪৭)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب في آداب المجلس والجليس
831 - وعن أَبي هريرة - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ جَلَسَ في مَجْلِسٍ، فَكَثُرَ فِيهِ لَغَطُهُ فَقَالَ قَبْلَ أَنْ يَقُومَ مِنْ مَجْلِسِهِ ذَلِكَ: سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أشْهَدُ أَنْ لاَّ إِلهَ إِلاَّ أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إلَيْكَ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ في مَجْلِسِهِ ذَلِكَ». رواه الترمذي، (1) وقال: «حديث حسن صحيح».
হাদীস নং: ৮৩২
ঘুমানো ও মজলিসের আদব
পরিচ্ছেদ:৩ মজলিস ও মজলিসের সঙ্গীদের সম্পর্কিত আদব-কায়দা
মজলিসের শেষে যে দু'আ পড়তে হয়
হাদীছ নং: ৮৩২

হযরত আবূ বারযা রাযি. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষবয়সে যখন মজলিস থেকে ওঠার ইচ্ছা করতেন তখন বলতেন-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ أَشْهَدُ أَلَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
‘হে আল্লাহ! তুমি মহান, পবিত্র। তোমারই সমস্ত প্রশংসা। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি তুমি ছাড়া কোনও মা'বুদ নেই। আমি তোমার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি ও তাওবা করছি’। এক ব্যক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপানি এমন এক কথা বলছেন, যা আপনি অতীতে বলতেন না। তিনি বললেন, এটা মজলিসে যা-কিছু হয় তার কাফফারা। -আবু দাউদ
(সুনানে আবু দাউদ: ৪৮৫৯; মুসনাদে আহমাদ: ১৯৮১২; নাসাঈ, আস সুনানুল কুবরা: ১০১৮৭; মুসান্নাফে ইবন আবী শায়বা: ২৯৩২৫; মুসনাদে আবূ ইয়া'লা: ৭৪২৬; হাকিম, আল মুস্তাদরাক: ১৯৭১; মুসনাদুল বাযযার: ৩৮৪৮; সুনানে দারিমী: ২৭০০)
كتاب آداب النوم والاضطجاع والقعود والمجلس والجليس والرؤيا
باب في آداب المجلس والجليس
832 - وعن أَبي بَرْزَة - رضي الله عنه - قَالَ: كَانَ رسول الله - صلى الله عليه وسلم - يقولُ بأَخَرَةٍ إِذَا أرَادَ أَنْ يَقُومَ مِنَ الْمَجْلِسِ: «سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وبِحَمْدِكَ، أشْهَدُ أَنْ لا إلهَ إِلاَّ أنتَ أسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إليكَ» فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رسولَ الله، إنَّكَ لَتَقُولُ قَوْلًا مَا كُنْتَ تَقُولُهُ فِيمَا مَضَى؟ قَالَ: «ذَلِكَ كَفَّارَةٌ لِمَا يَكُونُ في المَجْلِسِ». رواه أَبُو داود، ورواه الحاكم أَبُو عبد الله في «المستدرك» من رواية عائشة رضي الله عنها وقال: «صحيح الإسناد» (1).