দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৩ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

রুকাইয়ার দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُ اَكْبَرُ كَبِيْرًا وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ كَثِيْرًا وَسُبْحَانَ اللّٰهِ بُكْرَةً وَّأَصِيْلًا أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ مِنْ نَفْخِه وَنَفْثِه وَهَمْزِه
উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবারু কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আল্লাহু আকবার কাবীরান, আলহামদুলিল্লাহি কাছীরান, আলহামদুলিল্লাহি কাছীরান ওয়া সুব্হানাল্লাহে বুকরাতাও ওয়া আসীলা (তিনবার বলেন), আউযু বিল্লাহি মিনাশ–শায়তানির রাজীমি মিন নাফখিহী ওয়া নাফসিহী ওয়া হামযিহী।

.

রুকাইয়ার দু‘আ-৫

۞ اَللّٰهُمَّ اشْفِ عَبْدَكَ يَنْكَأُ لَكَ عَدُوًّا ، أَوْ يَمْشِيْ لَكَ إِلٰى صَلَاةٍ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মাশফি আ’বদাকা ইয়ানকাউ লাকা আদুওয়ান, আউ ইয়ামশী লাকা ইলা সালাতিন।

অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! আপনি আপনার বান্দাকে রোগমুক্ত করুন, যে আপনার দুশমনকে যখম করবে এবং আপনার সন্তুষ্টি লাভের জন্য কোন (মৃতের) জানাযার সাথে চলবে।

.

ঘুমানোর সময় পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَرَبَّ الْأَرْضِ، وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيْمِ، رَبَّنَا وَرَبَّ كُلِّ شَيْءٍ، فَالِقَ الْحَبِّ وَالنَّوَى، وَمُنْزِلَ التَّوْرَاةِ وَالْإِنْجِيْلِ وَالْفُرْقَانِ، أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ شَيْءٍ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِهٖ،
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা রাব্বাস সামাওয়াতিস সাবয়ি ওয়ারাব্বাল আরদি ওয়ারাব্বাল আরশিল আজিমি, রাব্বানা ওয়ারাব্বা কুল্লি শাইয়িন, ফালিকাল হাব্বি ওয়ান নাওয়া, ওয়ামুনযিলাত তাওরাতি ওয়াল ইঞ্জিলি ওয়াল ফুরকানি, আউজুবিকা মিন শাররি কুল্লি শাইয়িন, আনতা আখিযুম বিনাসিয়াতিহী।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! হে সপ্ত আকাশের রব্ব, যমিনের রব্ব, মহান ‘আরশের রব্ব, আমাদের রব্ব ও প্রত্যেক বস্তুর রব্ব, হে শস্য-বীজ ও আঁটি বিদীর্ণকারী, হে তাওরাত, ইনজীল ও কুরআন নাযিলকারী, আমি প্রত্যেক এমন বস্তুর অনিষ্ট থেকে আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করি, যাকে আপনি নিয়ন্ত্রণ করছেন।

.

সচ্চরিত্র লাভের দু‘আ-৩

۞ اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ سَرِيْرَتِيْ خَيْرًا مِنْ عَلَانِيَتِيْ وَاجْعَلْ عَلَانِيَتِيْ صَالِحَةً اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ مِنْ صَالِحِ مَا تُؤْتِي النَّاسَ مِنَ الْأَهْلِ وَالْمَالِ وَالْوَلَدِ غَيْرِ الضَّالِّ وَلَا الْمُضِلِّ
উচ্চারণঃ

আল্ল-হুম্মাজ্’আল সারীরতী খয়রান মিন্ ’আলা-নিয়াতী ওয়াজ্’আল ’আলা-নিয়াতী স-লিহাতান, আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকা মিন্ স-লিহি মা- তু’তিন্না-সা মিনাল আহলি ওয়াল মা-লি ওয়াল ওয়ালাদি গয়রিয্ য-ল্লি ওয়ালা-ল মুযিল্লি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি আমার গোপনকে আমার প্রকাশ্য থেকে উত্তম বানিয়া দিন আর আমার বাহিরকেও সৎ করে দিন। হে আল্লাহ! তুমি মানুষকে যে ধন সম্পদ, পরিবার–পরিজন, সন্তান–সন্তুতি দিয়েছ এর ভাল ও সৎ বস্তু আমাকে দাও। নিজেও যেন গুমরাহ না হয় এবং অন্যকেও যেন গুমরাহ না করে।

.

৩০৮ সূরা আত তাওবাহ্ (আয়াত নং: ২৬)

۞ ثُمَّ أَنْزَلَ اللّٰهُ سَكِيْنَتَه عَلٰى رَسُوْلِه وَعَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ وَأَنْزَلَ جُنُوْدًا لَمْ تَرَوْهَا وَعَذَّبَ الَّذِيْنَْ كَفَرُوْا وَ ذَٰلِكَ جَزَاءُ الْكَافِرِيْنَ ﴿ۙ۲۶﴾
অর্থঃ

অতঃপর আল্লাহ্ তাঁর নিকট থেকে তাঁর রাসূল ও মু’মিনদের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং এমন এক সৈন্যবাহিনী অবতীর্ণ করেন যা তোমরা দেখতে পাও নাই আর তিনি কাফিরদেরকে শাস্তি প্রদান করেন; এটাই কাফিরদের কর্মফল।

.

বদনজরের আয়াত-৫

۞ اَلَّذِيْ خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا مَا تَرٰى فِيْ خَلْقِ الرَّحْمٰنِ مِنْ تَفَاوُتٍ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرٰى مِنْ فُطُوْرٍ ﴿ۙ۳﴾ ثُمَّ ارْجِعِ الْبَصَرَ كَرَّتَيْنِ يَنْقَلِبْ إِلَيْكَ الْبَصَرُ خَاسِئًا وَهُوَ حَسِيْرٌ ﴿ۙ۴﴾
অর্থঃ

যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোন অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি? অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।

.

রুকাইয়ার দু‘আ-৩

۞ رَبُّنَا اللّٰهُ الَّذِيْ فِي السَّمَاءِ تَقَدَّسَ اِسْمُكَ، أَمْرُكَ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، كَمَا رَحْمَتُكَ فِي السَّمَاءِ فَاجْعَلْ رَحمَتَكَ فِي الْأَرْضِ، وَاغْفِرْ لَنَا حُوْبَنَا وَخَطَايَانَا، أَنْتَ رَبُّ الطَّيِّبِيْنَ أَنْزِلْ رَحْمَةً مِّنْ رَحْمَتِكَ وَشِفَاءً مِّنْ شِفَائِكَ عَلٰى كُلِّ وَجَعٍ،
উচ্চারণঃ

রাব্বুনাল্লাহুল্লাযি ফিস সামাই তাকাদ্দাসা ইসমুকা, আমরুকা ফিস সামাই ওয়াল আরদি, কামা রাহমাতুকা ফিস সামায়ি, ফাজআ'ল রাহমাতাকা ফিল আরদি, ইগফির লানা হুবানা ওয়া খাতায়ানা আনতা রাব্বুত–তায়্যিবীন, আনযিল রাহমাতাম মিন রাহমাতিকা ওয়া শিফায়ান মিন শিফায়িকা আলা হাজাল ওয়াজা’ই।

অর্থঃ

আমাদের রব্ব আল্লাহ্ যিনি আসমানে আছেন। হে রব্ব! তোমার নাম পবিত্র। তোমার নির্দেশ আসমান যমীন উভয়ে প্রযোজ্য – যেভাবে আসমানে তোমার অশেষ রহমত রহিয়াছে, সেভাবে তুমি যমীনেও অশেষ রহমত বিস্তার কর। হে রব! তুমি ক্ষমা কর আমাদের ইচ্ছাকৃত অপরাধ ও অনিচ্ছাকৃত অপরাধসমূহ। তুমি পবিত্র লোকদের রব্ব। প্রেরণ কর তুমি তোমার রহমতসমূহ থেকে বিশেষ রহমত এবং তোমার আরোগ্যসমূহ থেকে বিশেষ আরোগ্য এই বেদনার প্রতি।

.

রুকাইয়ার দু‘আ-৪

۞ اَللّٰهُمَّ رَبَّ النَّاسِ أَذْهِبِ الْبَاْسَ اِشْفِ وَأَنْتَ الشَّافِيْ لَا شِفَاءَ إِلَّا شِفَاؤُكَ شِفَاءً لَّا يُغَادِرُ سَقَمًا
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা রাব্বান নাসি, আযহিবিল বাসা, ইশফি, ওয়া আনতাশ শাফি, লা শিফাআ ইল্লা শিফাউকা, শিফাআন লা ইউগাদিরু সাক্বমা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! মানুষের পালনকর্তা, যন্ত্রণা নিবারণ করুন, সুস্থতা দান করুন, আপনিই সুস্থতা প্রদানকারী, আপনার দেয়া সুস্থতাই প্রকৃত সুস্থতা, এমন সুস্থতা দান করুন যাতে কোন রোগই বাকি না থাকে। (৩বার)

.

রুকাইয়ার দু‘আ-৭

۞ أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللّٰهِ التَّامَّاتِ الَّتِيْ لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَنْزِلُ مِنَ السَّمَاءِ وَمِنْ شَرِّ مَا يَعْرُجُ فِيْهَا ، وَمِنْ شَرِّ مَا ذَرَأَ فِى الْأَرْضِ ، وَمِنْ شَرِّ مَا يَخْرُجُ مِنْهَا ، وَمِنْ فِتَنِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، وَمِنْ طَوَارِقِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ، إِلَّا طَارِقًا يَطْرُقُ بِخَيْرٍ يَا رَحْمٰنُ
উচ্চারণঃ

আউযু বিকালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতিল্লাতি, লা ইউজায়ুযুহুন্না বার্রুন ওয়া লা ফাজিরুন, মিন শাররি মা খলাক্বা ওয়া যারআ ওয়া বারআ, ওয়া মিন শাররি মা ইয়ানযিলু মিনাস সামাই, ওয়া মিন শাররি মা ইয়া’রুজু ফীহা, ওয়া মিন শাররি মা যারআ ফিল আরদি, ওয়া মিন শাররি মা ইয়াখরুজু মিনহা, ওয়া মিন ফিতানিল্লাইলি ওয়ান্নাহারি, ওয়া মিন ত্বওয়ারিক্বিল্লাইলি ওয়ান্নাহারি, ইল্লা ত্বারিক্বান ইয়াত্বরুক্বু বিখাইরিন ইয়া রহমান।

অর্থঃ

আমি আল্লাহ্‌র ঐ সকল পরিপূর্ণ বাণীসমূহের সাহায্যে আশ্রয় চাই যা কোনো সৎলোক বা অসৎলোক অতিক্রম করতে পারে না— আল্লাহ যা সৃষ্টি করেছেন, অস্তিত্বে এনেছেন এবং তৈরি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, আসমান থেকে যা নেমে আসে তার অনিষ্ট থেকে, যা আকাশে উঠে তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবীতে তিনি সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, যা পৃথিবী থেকে বেরিয়ে আসে তার অনিষ্ট থেকে, দিনে-রাতে সংঘটিত ফেতনার অনিষ্ট থেকে, আর রাত্রিবেলা হঠাৎ করে আগত অনিষ্ট থেকে, তবে রাতে আগত যে বিষয় কল্যাণ নিয়ে আসে তা ব্যতীত; হে দয়াময়!

১০.

অপমৃত্যু থেকে বাঁচা ও বিভিন্ন মুসীবত থেকে নিরাপত্তার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِيْ دِيْنِيْ وَدُنْيَايَ وَأَهْلِيْ وَمَالِيْ. اَللّٰهُمَّ اسْتُرْ عَوْرَاتِيْ وَاۤمِنْ رَوْعَاتِيْ. اَللّٰهُمَّ احْفَظْنِيْ مِنْۢ بَيْنِ يَدَيَّ وَمِنْ خَلْفِيْ، وَعَنْ يَّمِيْنِيْ وَعَنْ شِمَالِيْ وَمِنْ فَوْقِيْ، وَأَعُوْذُ بِعَظَمَتِكَ أَنْ أُغْتَالَ مِنْ تَحْتِيْ.
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আ’ফওয়া ওয়াল আ’ফিয়াতা ফি দিনি ওয়া দুনইয়ায়া, ওয়া আহলি ওয়া মালি, আল্লাহুম্মাসতুর আ’ওরাতি, ওয়া আমিন রাওআ’তি, আল্লাহুম্মাহ’ফাযনি মিন বাইনি ইয়াদাইয়া ওয়া মিন খালফি, ওয়া আ’ই ইয়ামিনি ওয়া আ’ন শিমালি, ওয়া মিন ফাওক্বি, ওয়া আউ’যু বিআ’যমাতিকা আন উগতালা মিন তাহ’তি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতে ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ক্ষমা এবং নিরাপত্তা চাচ্ছি আমার দ্বীন, দুনিয়া, পরিবার ও অর্থ-সম্পদের। হে আল্লাহ! আপনি আমার গোপন ত্রুটিসমূহ ঢেকে রাখুন, আমার উদ্বিগ্নতাকে রূপান্তরিত করুন নিরাপত্তায়। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হেফাযত করুন আমার সামনের দিক থেকে, আমার পিছনের দিক থেকে, আমার ডান দিক থেকে, আমার বাম দিক থেকে এবং আমার উপরের দিক থেকে। আর আপনার মহত্ত্বের অসিলায় আশ্রয় চাই আমার নিজ থেকে হঠাৎ আক্রান্ত হওয়া থেকে।

১১.

মৃত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ وَاَلْحِقْنِيْ بِالرَّفِيْقِ الْاَعْلٰى
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ার হামনী ওয়া আলহিক্বনী বিররফী-ক্বিল আ‘লা

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার উপর রহমত ও দয়া বর্ষণ করুন এবং আমাকে রফিকে আ’লা (নবী ও সালেহগণ)-এর সাথে মিলিত করে দিন।

১২.

মৃত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ-২

۞ لٓاَ إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ إِنَّ لِلْمَوْتِ سَكَرَاتٌ
উচ্চারণঃ

লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, ইন্না লিল মাওতি সাকারাত

অর্থঃ

আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, নিশ্চয় মৃত্যুর রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ভয়াবহ কষ্ট।

১৩.

মুমূর্ষু ব্যক্তিকে তালকীন (পড়ে শোনানো) করবে

۞ لٓاَ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ
উচ্চারণঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।

অর্থঃ

একমাত্র আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত অন্য কোনো মা’বূদ নেই এবং মুহাম্মদ (ﷺ) আল্লাহ তা’আলার রাসূল।

১৪.

মৃত ব্যক্তির চোখ বন্ধ করানোর সময় এ দু‘আ পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِفُلاَنٍ (بِاسْمِهٖ) وَارْفَعْ دَرَجَتَهٗ فِي الْمَهْدِيِّيْنَ، وَاخْلُفْهٗ فِي عَقِبِهٖ فِي الْغَابِرِيْنَ، وَاغْفِرْ لَنَا وَلَهٗ يَا رَبَّ الْعَالَمِيْنَ، وَافْسَحْ لَهٗ فِي قَبْرِ هٖ، وَنَوِّرْ لَهٗ فِيْهِ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মাগফির লিফুলা-নিন (মৃতের নাম বলবে) ওয়ারফা‘ দারাজাতাহু ফিল মাহদিয়্যীন, ওয়াখলুফহু ফী ‘আক্বিবিহী ফিল গা-বিরীন, ওয়াগফির লানা ওয়ালাহু ইয়া রব্বাল আ-লামীন। ওয়াফসাহ্‌ লাহু ফী ক্বাবরিহী ওয়া নাউওয়ীর লাহু ফী-হি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি অমুককে (মৃত ব্যক্তির নাম ধরে) ক্ষমা করুন; যারা হেদায়াত লাভ করেছে, তাদের মাঝে তার মর্যাদা উঁচু করে দিন; যারা রয়ে গেছে তাদের মাঝে তার বংশধরদের ক্ষেত্রে আপনি তার প্রতিনিধি হোন। হে সৃষ্টিকুলের রব! আমাদের ও তার গুনাহ মাফ করে দিন। তার জন্য তার কবরকে প্রশস্ত করে দিন এবং তার জন্য তা আলোকময় করে দিন।

১৫.

কবরে মাটি দেওয়ার সময়ে পড়ার দু‘আ

কোনো মুসলমানের লাশ দাফনের সময় কবরে তিনবার মাটি দেওয়া মুস্তাহাব। উচ্চারণ ও অর্থ: প্রথমবার মাটি দেওয়ার সময় বলবে- مِنْهَا خَلَقْنَاكُمْ (মিনহা খলাক্বনাকুম) এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছি। দ্বিতীয়বার বলবে- وَفِيْهَا نُعِيْدُكُمْ (ওয়া ফী হা নু‘ঈ দুকুম) এ মাটির মধ্যেই তোমাদেরকে ফিরিয়ে দিব। তৃতীয়বার বলবে- وَمِنْهَا نُخْرِجُكُمْ تَارَةً اُخْرٰى (ওয়া মিনহা নুখরিজুকুম তা-রতান উখরা) এ মাটি থেকেই আমি তোমাদেরকে পুনরায় উঠাবো।

১৬.

জানাযা নামাযের দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِحَيِّنَا وَمَيِّتِنَا. وَشَاهِدِنَا وَغَائِبِنَا. وَصَغِيْرِنَا وَكَبِيْرِنَا، وَذَكَرِنَا وَاُنْثَانَا اَللّٰهُمَّ مَنْ اَحْيَيْتَهٗ مِنَّا فَاَحْيِهٖ عَلَی الْاِسْلَامِ. وَمَنْ تَوَفَّيْتَهٗ مِنَّا فَتَوَفَّهٗ عَلَى الْاِيْمَانِ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মাগফির লিহাইয়্যিনা ওয়া মায়্যিতিনা ওয়া শাহিদিনা ওয়া গা ইবিনা ওয়া সগীরিনা ওয়া কাবীরিনা ওয়া যাকারিনা ওয়া উনসানা, আল্লাহুম্মা মান আহইয়াইতাহূ মিন্না ফা আহইহী ‘আলাল ইসলাম, ওয়া মানতাওয়াফ ফাইতাহূ মিন্না ফাতা ওয়াফফাহূ ‘আলাল ঈমান।

অর্থঃ

হে আল্লাহ, আমাদের জীবিত ও মৃত, উপস্থিত ও অনুপস্থিত, ছোট ও বড় এবং পুরুষ ও নারী – সকলকে ক্ষমা করে দিন। হে আল্লাহ, আপনি আমাদের মধ্য থেকে যাঁদেরকে জীবিত রেখেছেন ইসলামের উপর জীবিত রাখেন আর যাদেরকে মৃত্যু দান করেছেন তাদেরকে ঈমানের সাথেই মৃত্যু দান করেন।

১৭.

মৃত্যু নিকটবর্তী অনুভব হলে পড়ার দু‘আ-৩

۞ لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَاللّٰهُ أَكْبَرُ، لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ، لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ لَهُ المُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ، لٓاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَلاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللّٰهِ
উচ্চারণঃ

লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু, আল্লা-হু আকবার, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু, লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়ালা হাউলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ

অর্থঃ

আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহ মহান। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই। আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, যাবতীয় রাজত্ব তাঁরই, তার জন্যই সকল প্রশংসা, আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই, আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি নেই।

১৮.

কবরে লাশকে ডান কাত করে রাখার সময় এ দু‘আ পড়বে

۞ بِاسْمِ اللهِ وَعَلٰى مِلَّةِ رَسُوْلِ اللهِ ﷺ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি ওয়া ‘আলা মিল্লাতি রসূলিল্লাহ।

অর্থঃ

আল্লাহ তা‘আলার নামের সাথে এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের তরীকার উপর আমরা তাকে দাফন করছি।

১৯.

শোকার্তদের সান্ত্বনায় বলবে

۞ أَعْظَمَ اللّٰهُ أَجْرَكَ، وَأَحْسَنَ عَزَاءَكَ، وَغَفَرَ لِمَيِّتِكَ
উচ্চারণঃ

আ‘যামাল্লাহু আজরাকা, ওয়া আহসানা ‘আযা-’আকা, ওয়াগাফারা লিমাইয়্যিতিকা।

অর্থঃ

আল্লাহ আপনার সওয়াব বর্ধিত করুন, আপনার (শোকার্ত মনে) সুন্দর ধৈর্য ধরার তাওফীক দিন, আর আপনার মৃতকে ক্ষমা করে দিন।

২০.

হজরে আসওয়াদকে চুমু দিয়ে বা ইশারা করে তাওয়াফ শুরু করার দু‘আ

۞ اَللّٰهُ أَكْبَرْ
উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবার।

অর্থঃ

আল্লাহ সবার চেয়ে বড়।