দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৩ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

আকাশ মেঘাচ্ছন্ন দেখলে পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا اُرْسِلَ بِهٖ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্না না‘ঊযুবিকা মিন শাররি মা উরসিলা বিহি।

অর্থঃ

অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট ঐ সকল অনিষ্ট থেকে পানাহ চাচ্ছি, যাকে এ মেঘ বহন করে এনেছে।

.

বৃষ্টি বর্ষণের পর বলবে

۞ مُطِرْنَا بِفَضْلِ اللهِ وَرَحْمَتِهٖ
উচ্চারণঃ

মুতিরনা বিফাদলিল্লাহি ওয়া রহমাতিহী

অর্থঃ

আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ ও দয়ায় আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে।

.

ঈমান আনয়নের দু‘আ, কালিমায়ে তাইয়্যিবাহ পাঠ করা

۞ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا اللهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللهِ
উচ্চারণঃ

লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।

অর্থঃ

আল্লাহ্‌ ব্যতীত ইবাদত বন্দেগীর উপযুক্ত আর কেউ নেই। হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ) আল্লাহ্‌র প্রেরিত রাসূল।

.

পিতা-মাতার জন্য দু‘আ

۞ رَبِّ ارْحَـمْـهُـمَـا كَـمَـا رَبَّيَانِيْ صَـغِـيْـرًا
উচ্চারণঃ

রব্বির হাম্‌ হুমা কামা রব্বা ইয়ানি সগিরা

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের উভয়ের (পিতা-মাতার) প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।

.

সূরা আল-কাহফ (দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচার দু‘আ)

(প্রথম ১০ আয়াত) ১ الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَنزَلَ عَلَىٰ عَبْدِهِ الْكِتَابَ وَلَمْ يَجْعَل لَّهُ عِوَجًا ۜ ২ قَيِّمًا لِّيُنذِرَ بَأْسًا شَدِيدًا مِّن لَّدُنْهُ وَيُبَشِّرَ الْمُؤْمِنِينَ الَّذِينَ يَعْمَلُونَ الصَّالِحَاتِ أَنَّ لَهُمْ أَجْرًا حَسَنًا ৩ مَّاكِثِينَ فِيهِ أَبَدًا ৪ وَيُنذِرَ الَّذِينَ قَالُوا اتَّخَذَ اللَّهُ وَلَدًا ৫ مَّا لَهُم بِهِ مِنْ عِلْمٍ وَلَا لِآبَائِهِمْ ۚ كَبُرَتْ كَلِمَةً تَخْرُجُ مِنْ أَفْوَاهِهِمْ ۚ إِن يَقُولُونَ إِلَّا كَذِبًا ৬ فَلَعَلَّكَ بَاخِعٌ نَّفْسَكَ عَلَىٰ آثَارِهِمْ إِن لَّمْ يُؤْمِنُوا بِهَٰذَا الْحَدِيثِ أَسَفًا ৭ إِنَّا جَعَلْنَا مَا عَلَى الْأَرْضِ زِينَةً لَّهَا لِنَبْلُوَهُمْ أَيُّهُمْ أَحْسَنُ عَمَلًا ৮ وَإِنَّا لَجَاعِلُونَ مَا عَلَيْهَا صَعِيدًا جُرُزًا ৯ أَمْ حَسِبْتَ أَنَّ أَصْحَابَ الْكَهْفِ وَالرَّقِيمِ كَانُوا مِنْ آيَاتِنَا عَجَبًا ১০ إِذْ أَوَى الْفِتْيَةُ إِلَى الْكَهْفِ فَقَالُوا رَبَّنَا آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَدًا (শেষ ১০ আয়াত) ১ الَّذِينَ كَانَتْ أَعْيُنُهُمْ فِي غِطَاءٍ عَن ذِكْرِي وَكَانُوا لَا يَسْتَطِيعُونَ سَمْعًا ২ أَفَحَسِبَ الَّذِينَ كَفَرُوا أَن يَتَّخِذُوا عِبَادِي مِن دُونِي أَوْلِيَاءَ ۚ إِنَّا أَعْتَدْنَا جَهَنَّمَ لِلْكَافِرِينَ نُزُلًا ৩ قُلْ هَلْ نُنَبِّئُكُم بِالْأَخْسَرِينَ أَعْمَالًا ৪ الَّذِينَ ضَلَّ سَعْيُهُمْ فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا وَهُمْ يَحْسَبُونَ أَنَّهُمْ يُحْسِنُونَ صُنْعًا ৫ أُولَٰئِكَ الَّذِينَ كَفَرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ وَلِقَائِهِ فَحَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فَلَا نُقِيمُ لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَزْنًا ৬ ذَٰلِكَ جَزَاؤُهُمْ جَهَنَّمُ بِمَا كَفَرُوا وَاتَّخَذُوا آيَاتِي وَرُسُلِي هُزُوًا ৭ إِنَّ الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ كَانَتْ لَهُمْ جَنَّاتُ الْفِرْدَوْسِ نُزُلًا ৮ خَالِدِينَ فِيهَا لَا يَبْغُونَ عَنْهَا حِوَلًا ৯ قُل لَّوْ كَانَ الْبَحْرُ مِدَادًا لِّكَلِمَاتِ رَبِّي لَنَفِدَ الْبَحْرُ قَبْلَ أَن تَنفَدَ كَلِمَاتُ رَبِّي وَلَوْ جِئْنَا بِمِثْلِهِ مَدَدًا ১০ قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَىٰ إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَٰهُكُمْ إِلَٰهٌ وَاحِدٌ ۖ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاءَ رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
উচ্চারণঃ

(প্রথম ১০ আয়াত) ১ আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আনযালা ‘আলা ‘আবদিহিল্ কিতা-বা অ লাম্ ইয়াজ্ব‘আল্ লাহূ ‘ইওয়াজ্বা-। ২ ক্বাইয়্যিমাল্ লিয়ুনযিরা বা'সান্ শাদীদাম্ মিল্লাদুনহু অ-য়ুবাশ্ শিরাল্ মুমিনীনাল্লাযীনা ইয়া’মালূনাছ্ ছোয়া-লিহা-তি আন্না লাহুম্ আজ্বরান্ হাসানা-। ৩ মা-কিছীনা ফীহি আবাদা-। ৪ অ-য়ুনযিরাল্লাযিনা ক্ব-লুত্তাখাযাল্লা-হু অলাদা-। ৫ মা-লাহুম্ বিহী মিন্ ‘ইল্মিঁও অলা- লিআ-বা-য়িহিম্; কাবুরত্ কালিমাতান্ তাখরুজু মিন্ আফ্ওয়া-হিহিম্; ইঁইয়াকু লূনা ইল্লা-কাযিবা-। ৬ ফালা‘আল্লাকা বা-খি‘উন্নাফ্সাকা ‘আলা আ-ছা-রিহিম্ ইল্ লাম্ ইয়ুমিনূ বিহা-যাল্ হাদীছি আসাফা-। ৭ ইন্না- জ্বা‘আলনা-মা- ‘আলাল্ র্আদ্বি যীনাতাল্লাহা-লিনাব্লুওয়াহুম্ আইয়্যুহুম্ আহ্সানু ‘আমালা-। ৮ অইন্না-লাজ্বা-‘ইলূনা মা-‘আলাইহা-ছোয়া‘ঈদান্ জুরুযা-। ৯ আম্ হাসিবতা আন্না আছ্হা-বাল্ ক্বহ্ফি অর্রাক্বীমি কা-নূ মিন্ আ-ইয়া-তিনা- ‘আজ্বাবা। ১০ ইয্ আওয়াল্ ফিত্ইয়াতু ইলাল্ কাহ্ফি ফাক্ব-লূ রব্বানা আ-তিনা-মিল্লাদুন্কা রাহমাতাওঁ অহাইয়ি লানা- মিন্ আম্রিনা- রশাদা-। (শেষ ১০ আয়াত) ১ আল্লাযীনা কা-নাত্ ‘আইয়ুনুহুম্ ফী গিত্বোয়া-য়িন্ ‘আন্ যিক্রী অকা-নূ লা- ইয়াস্তাত্বী ‘ঊনা সাম্‘আ-। ২ আফাহাসিবাল্ লাযীনা কাফারূ আইঁ ইয়াত্তাখিযূ ‘ইবা-দী মিন্ দূনী আওলিয়া-য়্; ইন্না ‘আ'তাদ্না-জ্বাহান্নামা লিল্ কা-ফিরীনা নুযুলা-। ৩ কুল্ হাল্ নুনাব্বিয়ুকুম্ বিল্আখ্সারীনা ‘আমা-লা-। ৪ আল্লাযীনা দ্বোয়াল্লা সা’ইয়ুহুম্ ফীল্ হা-ইয়া-তিদ্ দুন্ইয়া-অ হুম্ ইয়াহ্সাবূনা আন্নাহুম্ ইয়ুহ্সিনূনা ছুন্‘আ-। ৫ উলা-য়িকাল লাযীনা কাফারূ বিআ-ইয়া-তি রব্বিহিম্ অলিক্বা-য়িহী ফাহাবিত্বোত আ’মা-লূহুম্ ফালা-নুক্বীমু লাহুম্ ইয়াওমাল্ ক্বিয়া-মাতি অয্না-। ৬ যা-লিকা জ্বাযা-য়ুহুম্ জ্বাহান্নামু বিমা-কাফারূ অত্তাখাযূ আ-ইয়া-তী অরুসুলী হুযুওয়া-। ৭ ইন্নাল্লাযীনা আ-মানূ অ‘আমিলুছ্ ছোয়া-লিহা-তি কা-নাত্ লাহুম্ জ্বান্নাতুল্ ফিরদাউসি নুযুলা-। ৮ খা-লিদীনা ফীহা-লা-ইয়াবগূনা ‘আন্হা-হিওয়ালা-। ৯ কুল্ লাও কা-নাল্ বাহরু মিদা-দাল্ লিকালিমাতি রব্বী লানাফিদাল্ বাহরু ক্বাব্লা আন্ তান্ফাদা কালিমা-তু রব্বী অলাও জ্বিনা-বিমিছ্লিহী মাদাদা-। ১০ কুল্ ইন্নামা আনা-বাশারুম্ মিছ্লুকুম্ ইয়ূহা ইলাইয়্যা আন্নামা ইলা-হুকুম্ ইলাহুঁও ওয়া- হিদুন্ ফামান্ কা-না ইয়ারজু লিক্বা রব্বিহী ফাল্ইয়া’মাল্ ‘আমালান্ ছোয়া-লিহাঁও অলা-ইয়ুশরিকু বি ই’বা-দাতি রব্বিহী আহাদা-।

অর্থঃ

(প্রথম ১০ আয়াত) ১ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর, যিনি তাঁর বান্দার উপর কিতাব নাযিল করেছেন এবং তাতে রাখেননি কোন বক্রতা । ২ সরলরূপে, যাতে সে তাঁর পক্ষ থেকে কঠিন আযাব সম্পর্কে সতর্ক করে এবং সুসংবাদ দেয়, সেসব মুমিনকে, যারা সৎকর্ম করে, নিশ্চয় তাদের জন্য রয়েছে উত্তম প্রতিদান। ৩ তারা তাতে অনন্তকাল অবস্থান করবে। ৪ আর যেন সতর্ক করে তাদেরকে, যারা বলে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন’। ৫ এ ব্যাপারে তাদের কোন জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও না। বড় মারাত্মক কথা, যা তাদের মুখ থেকে বের হয়। মিথ্যা ছাড়া তারা কিছুই বলে না! ৬ হয়তো তুমি তাদের পেছনে পেছনে ঘুরে দুঃখে নিজকে শেষ করে দেবে, যদি তারা এই কথার প্রতি ঈমান না আনে। ৭ নিশ্চয় যমীনের উপর যা রয়েছে, তা আমি শোভা করেছি তার জন্য, যাতে তাদেরকে পরীক্ষা করি যে, কর্মে তাদের মধ্যে কে উত্তম। ৮ আর নিশ্চয় তার উপর যা রয়েছে তাকে আমি উদ্ভিদহীন শুষ্ক মাটিতে পরিণত করব। ৯ তুমি কি মনে করেছ যে, গুহা ও রাকীমের অধিবাসীরা ছিল আমার আয়াতসমূহের এক বিস্ময়? ১০ যখন যুবকরা গুহায় আশ্রয় নিল অতঃপর বলল, ‘হে আমদের রব, আমাদেরকে আপনার পক্ষ থেকে রহমত দিন এবং আমাদের জন্য আমাদের কর্মকাণ্ড সঠিক করে দিন’। (শেষ ১০ আয়াত) ১ আমার স্মরণ থেকে যাদের চোখ ছিল আবরণে ঢাকা এবং যারা শুনতেও ছিল অক্ষম। ২ যারা কুফরী করছে, তারা কি মনে করেছে যে, তারা আমার পরিবর্তে আমার বান্দাদেরকে অভিভাবকরূপে গ্রহণ করবে? নিশ্চয় আমি জাহান্নামকে কাফিরদের আপ্যায়নের জন্য প্রস্তুত করছি। ৩ বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে এমন লোকদের কথা জানাব, যারা আমলের দিক থেকে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত’? ৪ দুনিয়ার জীবনে যাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেছে, অথচ তারা মনে করছে যে, তারা ভাল কাজই করছে’! ৫ ‘তারাই সেসব লোক, যারা তাদের রবের আয়াতসমূহ এবং তাঁর সাথে সাক্ষাতকে অস্বীকার করেছে। ফলে তাদের সকল আমল নিষ্ফল হয়ে গেছে। সুতরাং আমি তাদের জন্য কিয়ামতের দিন কোন ওজনের ব্যবস্থা রাখব না’। ৬ ‘এ জন্যই তাদের প্রতিফল জাহান্নাম। কারণ তারা কুফরী করেছে এবং আমার আয়াতসমূহ ও আমার রাসূলগণকে বিদ্রুপের বিষয় বানিয়েছে’। ৭ নিশ্চয় যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তাদের মেহমানদারির জন্য রয়েছে জান্নাতুল ফেরদাউস। ৮ সেখানে তারা স্থায়ী হবে। তারা সেখান থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তরিত হতে চাইবে না। ৯ বল, ‘আমার রবের কথা লেখার জন্য সমুদ্র যদি কালি হয়ে যায় তবে সমুদ্র নিঃশেষ হয়ে যাবে আমার রবের কথা শেষ হওয়ার আগেই। যদিও এর সাহায্যার্থে অনুরূপ আরো সমুদ্র নিয়ে আসি’। ১০ বল, ‘আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ। আমার নিকট ওহী প্রেরণ করা হয় যে, তোমাদের ইলাহই এক ইলাহ। সুতরাং যে তার রবের সাক্ষাৎ কামনা করে, সে যেন সৎকর্ম করে এবং তার রবের ইবাদাতে কাউকে শরীক না করে’।

.

মজলিসের কাফফারার দু‘আ

۞ سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِه سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَّا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوْبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণঃ

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী সুবহানাকাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদু আল লা-ইলাহা ইল্লা- আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমরা আপনার পবিত্রতা বর্ণনা করছি এবং প্রশংসা ব্যক্ত করছি। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ছাড়া অন্য কোন মা‘বুদ নেই, আমি আপনার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং আপনার দিকেই ধাবিত হচ্ছি।

.

সন্তানের সংশোধনের জন্য দু’আ

رَبِّ أَوْزِعْنِي أَنْ أَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِي أَنْعَمْتَ عَلَيَّ وَعَلَىٰ وَالِدَيَّ وَأَنْ أَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضَاهُ وَ اَصْـلِـحْ لِـىْ فِـي ذُرِّيَّـتِـىْ ج اِنِّـىْ تُـبْـتُ اِلَـيْـكَ وَاِنِّـىْ مِـنَ الْـمُـسْـلِـمِـيْـنَ
উচ্চারণঃ

রাব্বি আওঝি‘নীআন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতীআন‘আমতা ‘আলাইইয়া ওয়া ‘আলা-ওয়া-লিদাইইয়া ওয়া আন আ‘মালা সা-লিহান তারদা-হু ওয়া আছলিহ্ লী ফী যুররিয়্যাতি; ইন্নী তুব্‌তু ইলাইকা ওয়া ইন্নী মিনাল্ মুসলিমীন।

অর্থঃ

হে আমার পালনকর্তা, আমাকে এরূপ ভাগ্য দান কর, যাতে আমি তোমার নেয়ামতের শোকর করি, যা তুমি দান করেছ আমাকে ও আমার পিতা-মাতাকে এবং যাতে আমি তোমার পছন্দনীয় সৎকাজ করি। আমার জন্য আমার সন্তানদের সৎকর্মপরায়ণ করে দিন; আমি অবশ্যই আপনার নিকট তওবা করছি এবং নিশ্চয়ই আমি অনুগত বান্দাদের একজন।

.

সফরকারীদের জন্য বাসিন্দাদের দু‘আ-১

۞ أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِيْنَكَ وَأَمَانَـتَكَ ، وَخَوَاتِيْمَ عَمَلِكَ ۞ أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِيْنَكِ وَأَمَانَـتَكِ ، وَخَوَاتِيْمَ عَمَلِكِ ۞ أَسْتَوْدِعُ اللهَ دِينَكُمْ وَأَمَانَـتَكُمْ ، وَخَوَاتِيْمَ عَمَلِكُمْ
উচ্চারণঃ

একজন পুরুষের জন্য, উচ্চারণ: আসতাওদি-উল্লাহা দিনাকা ও-আমানাতাকা, ও-খাওয়াতিমা আমালিক একজন মহিলার জন্য, উচ্চারণ: আসতাওদি-উল্লাহা দিনাকি ও-আমানাতাকি, ও-খাওয়াতিমা আমালিকি একাধিক পুরুষ/মহিলার জন্য, উচ্চারণ: আসতাওদি-উল্লাহা দিনাকুম ও-আমানাতাকুম, ও-খাওয়াতিমা আমালিকুম

অর্থঃ

আমি তোমাদের ধর্ম, বিশ্বস্ততা এবং উত্তম পরিণতির ব্যাপারে আল্লাহর নিকট সমর্পন করলাম।

.

সফরকালীন পড়ার দু‘আ

۞ سَمِعَ سَامِعٌ بِحَمْدِ اللهِ وَحُسْنِ بَلَائِهٖ عَلَيْنَا ۞ رَبَّـنَا صَاحِبْنَا وَأَفْضِلْ عَلَيْنَا عَائِذًا بِاللهِ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণঃ

ছামিয়া ছামিয়ুন বিহামদিল্লা-হি ওয়া হুসনি বা-লাইহি আলাইনা রব্বানা ছাহিবনা ওয়া আফদিল আলাইনা আ-ইযান বিল্লাহি মিনান্নার।

অর্থঃ

শ্রোতা শ্রবণ করুন আল্লাহর প্রশংসা আমাদের জন্য তার উত্তম দান বখশিশ, কল্যাণ বয়ে এনেছে। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি আমাদের সঙ্গী হন। আমাদের উপর ফযল ও করম করুন। আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নাম থেকে।

১০.

উযূর পর পড়ার দু‘আ-২

۞ اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِي ْ ذَنْبِيْ وَوَسِّعْ لِـيْ فِيْ دَارِيْ وَبَارِكْ لِيْ فِيْ رِزْقِيْ
উচ্চারণঃ

আল্লহুম্মাগফিরলি- যাম্বি- ওয়া ওয়াসসি’লি ফি দা-রি ওয়া বা-রিকলি ফি রিযকি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমার গুনাহ মাফ করে দিন। আমার ঘর প্রশস্ত করে দিন। আমার রিযিক বৃদ্ধি করে দিন।

১১.

দ্বীনের উপর অবিচল থাকার দু‘আ

۞ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلٰى دِيْنِكَ
উচ্চারণঃ

ইয়া মুকাল্লিবাল ক্বুলূ-ব, ছাব্বিত ক্বলবী আ’লা দ্বী-নিকা

অর্থঃ

হে অন্তরের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তুমি তোমার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখ।

১২.

ঈমান সম্বলিত দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُمَّ زَيِّنَّا بِزِيْنَةِ الْإِيْمَانِ وَاجْعَلْنَا هُدَاةً مُّهْتَدِيْنَ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা যাইয়িন্না বিযীনাতিল ঈমান, ওয়াজ‘আলনা হুদাতান মুহতাদীনা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ, তুমি আমাদেরকে ঈমানের অলংকার দ্বারা বিভূষিত কর আর আমাদেরকে বানাও পথ প্রদর্শক ও হেদায়েতের পথিক।

১৩.

কুরআনে বর্ণিত রব্বানা দু‘আ-৮

۞ رَبَّنَا إِنَّكَ جَامِعُ النَّاسِ لِيَوْمٍ لَّا رَيْبَ فِيْهِ ۚ إِنَّ اللهَ لَا يُخْلِفُ الْمِيْعَادَ
উচ্চারণঃ

রাব্বানা ইন্নাকা জা-মি‘উন্না-ছি লিইয়াওমিল্লা-রাইবা ফীহি ইন্নাল্লা-হা লা-ইউখলিফুল মী‘আদ।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! তুমি সমস্ত মানুষকে এমন একদিন একত্র করবে, যে দিনের আগমনে কোন সন্দেহ নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহ ওয়াদার বিপরীত করেন না।

১৪.

ক্বওমার দু‘আ-৩

۞ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُبَارَكًا فِيْهِ
উচ্চারণঃ

হামদান্ কাছী-রান্ তাইয়্যিবান মুবা-রাকান ফি-হি।

অর্থঃ

হে আমাদের প্রতিপালক! আপনার জন্য অগণিত প্রশংসা, যা পবিত্র ও বরকতময়।

১৫.

যে ব্যক্তি ঘুমে ভয় পায় সে এই দু‘আ পড়বে

‏۞ أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ غَضَبِهٖ وَعِقَابِهٖ وَشَرِّ عِبَادِهٖ وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِيْنِ وَأَنْ يَحْضُرُوْنِ
উচ্চারণঃ

আ‘ঊযু বিকালিমা তিল্লা হিত্তাম্মাতি মিন গযাবিহি ওয়া ‘ইক্বা বিহি ওয়া শাররি ‘ইবা দিহি ওয়া মিন হামাযাতিশ শায়া ত্বীনি ওয়া আনইয়াহ যুরূন।

অর্থঃ

আমি আল্লাহ তা‘আলার পূর্ণ বাক্যসমূহ দ্বারা তাঁর ক্রোধ, শাস্তি এবং তাঁর বান্দাদের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাচ্ছি এবং শয়তানের ওয়াসওয়াসা ও তার উপস্থিতি হতে পানাহ চাচ্ছি।

১৬.

বাসিন্দাদের জন্য সফরকারীদের দু‘আ

۞ أَسْتَوْدِعُكَ اللهَ الَّذِيْ لَا تَضِيْعُ وَدَائِعُهٗ ۞ أَسْتَوْدِعُكِ اللهَ الَّذِيْ لَا تَضِيْعُ وَدَائِعُهٗ ۞ أَسْتَوْدِعُكُمُ اللهَ الَّذِيْ لَا تَضِيْعُ وَدَائِعُهٗ
উচ্চারণঃ

একজন পুরুষের জন্য, উচ্চারণ: আসতাওদিউকাল্লাহাল্লাজি লা তাদিয়ু ওয়া দা-ই-য়ুহ। একজন মহিলার জন্য, উচ্চারণ: আসতাওদিউকিল্লাহাল্লাজি লা তাদিয়ু ওয়া দা-ই-য়ুহ। গোষ্ঠীর লোকেদের জন্য, উচ্চারণ: আসতাওদিউকুমুল্লাহাল্লাজি লা তাদিয়ু ওয়া দা-ই-য়ুহ

অর্থঃ

আল্লাহর উপর ভরসা করে তোমাদেরকে রাখলাম। যার উপর ভরসা করলে কখনো বিফলে যাবে না।

১৭.

অনুগত নেক সন্তান প্রার্থনা-১

۞ رَبِّ ه‍ََبۡ لِیۡ مِنۡ لَّدُنۡكَ ذُرِّیَّۃً طَیِّبَۃً اِنَّكَ سَمِیۡعُ الدُّعَآءِ
উচ্চারণঃ

রব্বি হাবলী মিন লাদুনকা যুররিয়্যাতান তইয়্যিবাতান ইন্নাকা সামীউদ দু‘আ

অর্থঃ

হে রব! আমাকে তুমি তোমার নিকট হতে নেক বংশধর দান কর। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী।

১৮.

সচ্চরিত্র লাভের দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الصِّحَّةَ وَالْعِفَّةَ وَالْأَمَانَةَ وَحُسْنَ الْخُلُقِ، وَالرِّضَا بِالْقَدَرِ
উচ্চারণঃ

আল্ল-হুম্মা ইন্নী আস্আলুকাস্ সিহহাতা ওয়াল ’ইফফাতা ওয়াল আমা-নাতা ওয়া হুস্‌নাল খুলুকি ওয়ার্ রিযা- বিল কদার।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে সু–স্বাস্থ্য, নিষ্কলুষ চরিত্র, আমানতদারী, সুন্দর স্বভাব এবং তাকদীরে সন্তুষ্টি প্রার্থনা করছি।

১৯.

ঈমানের প্রতি ভালোবাসা ও এর প্রতিকার থেকে মুক্তি চাওয়া

اَللّٰهُمَّ حَبِّبْ إِلَيْنَا الْإِيمَانَ وَزَيِّنْهُ فِي قُلُوبِنَا، وَكَرِّهْ إِلَيْنَا الْكُفْرَ وَالْفُسُوقَ وَالْعِصْيَانَ، وَاجْعَلْنَا مِنَ الرَّاشِدِيْنَ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা হাব্বিব ইলাইনাল ঈমান, ওয়া ঝাইয়িনহূ ফী কুলূবিনা, ওয়া কাররিহ ইলাইনাল কুফরা ওয়ালফুছূকা ওয়াল ‘ইসইয়া-ন, ওয়া জা‘আলনা মিনার রাশিদীন।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমাদের অন্তরে ঈমানের ভালোবাসা সঞ্চার করুন এবং আমাদের অন্তরে তা (ঈমান) আকর্ষণীয় করুন। আর কুফর, গুনাহ ও অবাধ্যতাকে আমাদের অন্তরে ঘৃণ্য বানিয়ে দিন এবং আমাদেরকে সঠিক পথপ্রাপ্তদের অন্তরভুক্ত করুন।

২০.

শত্রু থেকে হেফাজতের দু’আ

اَللّٰهُمَّ وَاقِيَةً كَوَاقِيَةِ الْوَلِيْدِ
উচ্চারণঃ

আল্লাাহুম্মা ওয়াা ক্বিয়াতান কা ওয়াা ক্বিয়াতিল ওয়ালীদ

অর্থঃ

হে আল্লাহ! নবজাতককে হেফাজত করার মত (আমাদেরকে) হেফাজত করো।