দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৩ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

আল্লাহর মুহাব্বাত লাভের দু‘আ-৬৫

اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ فِعْلَ الْخَيْرَاتِ وَتَرْكَ الْمُنْكَرَاتِ، وَحُبَّ الْمَسَاكِيْنِ، وَأَنْ تَغْفِرَ لِيْ وَتَرْحَمَنِيْ، وَإِذَاۤ أَرَدْتَ بِقَوْمٍ فِتْنَةً فَتَوَفَّنِيْ غَيْرَ مَفْتُوْنٍ، أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُّحِبُّكَ وَحُبَّ عَمَلٍ يُّقَرِّبُ إِلٰى حُبِّكَ.
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! আমি আপনার কাছে তাওফীক চাই ভালো কাজসমূহ করার এবং মন্দ কাজসমূহ ছাড়ার। তাওফীক চাই অভাবীদের ভালোবাসার। আর আমাকে ক্ষমা করুন ও আমার উপর রহম করুন। আর যখন ইচ্ছা করবেন কোনো জাতিকে বিপদগ্রস্ত করার তো আমাকে তুলে নিয়েন বিপদগ্রস্ত হওয়ার আগেই। আমি আপনার কাছে চাই আপনার ভালোবাসা এবং ঐ ব্যক্তির ভালোবাসা, যে আপনাকে ভালোবাসে। আর ঐ কাজেরও ভালোবাসা, যা আপনার ভালোবাসার নিকটবর্তী করে।৬৫

.

ঘুম থেকে উঠে এই দু‘আ পড়বে-৪

﴿اِنَّ فِيْ خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ وَاخْتِلَافِ الَّيْلِ وَالنَّھَارِ لَاٰيٰتٍ لِّاُولِي الْاَلْبَابِ ١٩٠؁ڌالَّذِيْنَ يَذْكُرُوْنَ اللّٰهَ قِيٰمًا وَّقُعُوْدًا وَّعَلٰي جُنُوْبِھِمْ وَيَتَفَكَّرُوْنَ فِيْ خَلْقِ السَّمٰوٰتِ وَالْاَرْضِ ۚ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هٰذَا بَاطِلًا ۚ سُبْحٰنَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ١٩١؁رَبَّنَآ اِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ اَخْزَيْتَهٗ ۭ وَمَا لِلظّٰلِمِيْنَ مِنْ اَنْصَارٍ ١٩٢؁رَبَّنَآ اِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُّنَادِيْ لِلْاِيْمَانِ اَنْ اٰمِنُوْا بِرَبِّكُمْ فَاٰمَنَّاڰ رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّاٰتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْاَبْرَارِ ١٩٣؁ۚرَبَّنَا وَاٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰي رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيٰمَةِ ۭاِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيْعَادَ ١٩٤؁فَاسْتَجَابَ لَھُمْ رَبُّھُمْ اَنِّىْ لَآ اُضِيْعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِّنْكُمْ مِّنْ ذَكَرٍ اَوْ اُنْثٰى ۚ بَعْضُكُمْ مِّنْۢ بَعْضٍ ۚ فَالَّذِيْنَ ھَاجَرُوْا وَاُخْرِجُوْا مِنْ دِيَارِھِمْ وَاُوْذُوْا فِيْ سَبِيْلِيْ وَقٰتَلُوْا وَقُتِلُوْا لَاُكَفِّرَنَّ عَنْھُمْ سَيِّاٰتِھِمْ وَلَاُدْخِلَنَّھُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِھَا الْاَنْھٰرُ ۚ ثَوَابًا مِّنْ عِنْدِ اللّٰهِ ۭوَاللّٰهُ عِنْدَهٗ حُسْنُ الثَّوَابِ ١٩٥؁لَا يَغُرَّنَّكَ تَقَلُّبُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فِي الْبِلَادِ ١٩٦؁ۭ مَتَاعٌ قَلِيْلٌ ۣ ثُمَّ مَاْوٰىھُمْ جَهَنَّمُ ۭوَبِئْسَ الْمِھَادُ ١٩٧؁لٰكِنِ الَّذِيْنَ اتَّقَوْا رَبَّھُمْ لَھُمْ جَنّٰتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِھَا الْاَنْھٰرُ خٰلِدِيْنَ فِيْھَا نُزُلًا مِّنْ عِنْدِ اللّٰهِ ۭ وَمَا عِنْدَ اللّٰهِ خَيْرٌ لِّلْاَبْرَارِ ١٩٨؁وَاِنَّ مِنْ اَھْلِ الْكِتٰبِ لَمَنْ يُّؤْمِنُ بِاللّٰهِ وَمَآ اُنْزِلَ اِلَيْكُمْ وَمَآ اُنْزِلَ اِلَيْھِمْ خٰشِعِيْنَ لِلّٰهِ ۙ لَا يَشْتَرُوْنَ بِاٰيٰتِ اللّٰهِ ثَـمَنًا قَلِيْلًا ۭ اُولٰۗىِٕكَ لَھُمْ اَجْرُھُمْ عِنْدَ رَبِّھِمْ ۭ اِنَّ اللّٰهَ سَرِيْعُ الْحِسَابِ ١٩٩؁يٰٓاَيُّھَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوا اصْبِرُوْا وَصَابِرُوْا وَرَابِطُوْا ۣوَاتَّقُوا اللّٰهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ ٢٠٠؁ۧ﴾
উচ্চারণঃ

(ইন্না ফী খলকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি ওয়াখতিলা-ফিল লাইলি ওয়ান্নাহা-রি লাআয়া-তিল্ লিউলিল্ আলবা-ব। আল্লাযীনা ইয়াযকুরূনাল্লাহা কিয়া-মাও ওয়াকু‘উদাঁও ওয়া‘আলা জুনূবিহিম ওয়াইয়াতাফাক্কারূনা ফী খলকিস্ সামাওয়াতি ওয়াল আরদি, রববানা মা খালাকতা হাযা বা-তিলান, সুবহানাকা ফাকিনা ‘আযা-বান্ নার। রববানা ইন্নাকা মান তুদখিলিন্ না-রা ফাকাদ আখযাইতাহু, ওয়ামা লিয্যালিমীনা মিন আনসা-র। রববানা ইন্নানা সামি‘না মুনাদিইয়াইয়্যুনা-দী লিলঈমানি আন্ আ-মিনু বিরব্বিকুম ফাআ--মান্না। রব্বানা ফাগফির লানা যুনূবানা ওয়াকাফফির ‘আন্না সায়্যিআ-তিনা ওয়া তাওয়াফ্‌ফানা মা‘আল আবরা-র। রববানা ওয়া আতিনা মা ওয়া‘আদতানা ‘আলা রুসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াওমাল কিয়া-মাতি, ইন্নাকা লা তুখলিফুল মী‘আদ। ফাস্তাজাবা লাহুম রববুহুম আন্নী লা উদী‘উ আমালা ‘আমিলিম মিনকুম মিন যাকারিন ওয়া উনসা বা‘দুকুম মিন বা‘দ, ফাল্লাযীনা হা-জারূ ওয়া উখরিজূ মিন দিয়ারিহিম ওয়া ঊ-যূ ফী সাবীলী ওয়া কা-তালু ওয়া কু-তিলু লাউকাফফিরান্না ‘আনহুম সায়্যিআ-তিহিম ওয়ালাউদখিলান্নাহুম জান্না-তিন তাজরী মিন তাহ-তিহাল আনহারু, ছাওয়া-বাম্ মিন ‘ইনদিল্লাহি, ওয়াল্লা-হু ইনদাহু হুসনুছ ছাওয়া-ব। লা ইয়াগুররান্নাকা তাকল্লুবুল্লাযীনা কাফারূ ফিল্ বিলা-দ। মাতা‘উন কালীলুন ছুম্মা মা’ওয়াহুম জাহান্নামু ওয়া বি’সাল মিহা-দ। লা-কিনিল্লাযীনাত্তাকাও রববাহুম লাহুম জান্না-তুন তাজরী মিন তাহতিহাল আনহারু খা-লিদ্বীনা ফীহা নুযুলাম্ মিন ইনদিল্লাহি ওয়ামা ইনদাল্লাহি খাইরুল লিল্ আবরার। ওয়াইন্না মিন আহলিল কিতাবি লামইয়ূ’মিনু বিল্লাহি ওয়ামা উনযিলা ইলাইকুম ওয়ামা উনযিলা ইলাইহিম খা-শিঈনা লিল্লা-হি লা ইয়াশতারূনা বিআ-য়া-তিল্লাহি ছামানান্ কালীলা। উলা-ইকা লাহুম আজরুহুম ‘ইনদা রববিহিম। ইন্নাল্লাহা সারী‘উল হিসাব। ইয়া আয়্যুহাল্লাযীনা আমানুসবিরূ ওয়াসা-বিরূ ওয়া রা-বিতু ওয়াত্তাকুল্লাহা লা‘আল্লাকুম তুফলিহুন)।

অর্থঃ

নিশ্চয় আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টিতে, রাত ও দিনের পরিবর্তনে নিদর্শনাবলী রয়েছে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদের জন্য। যারা দাঁড়িয়ে, বসে ও শুয়ে আল্লাহ্‌র স্মরণ করে এবং আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি সম্বন্ধে চিন্তা করে, আর বলে, ‘হে আমাদের রব! আপনি এগুলো অনর্থক সৃষ্টি করেননি, আপনি অত্যন্ত পবিত্র, অতএব আপনি আমাদেরকে আগুনের শাস্তি হতে রক্ষা করুন।’ ‘হে আমাদের রব! আপনি কাউকেও আগুনে নিক্ষেপ করলে তাকে তো আপনি নিশ্চয়ই হেয় করলেন এবং যালেমদের কোন সাহায্যকারী নেই।’ ‘হে আমাদের রব, আমরা এক আহ্বায়ককে ঈমানের দিকে আহ্বান করতে শুনেছি, ‘তোমরা তোমাদের রবের উপর ঈমান আন।’ কাজেই আমরা ঈমান এনেছি। হে আমাদের রব! আপনি আমাদের পাপরাশি ক্ষমা করুন, আমাদের মন্দ কাজগুলো দূরীভূত করুন এবং আমাদেরকে সৎকর্মপরায়ণদের সহগামী করে মৃত্যু দিন। ‘হে আমাদের রব! আপনার রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে যা দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তা আমাদেরকে দান করুন এবং কেয়ামতের দিন আমাদেরকে হেয় করবেন না। নিশ্চয় আপনি প্রতিশ্রুতির ব্যতিক্রম করেন না।’ তারপর তাদের রব তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে বলেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদের মধ্যে আমলকারী কোনো নর বা নারীর আমল বিফল করি না; তোমরা একে অপরের অংশ। কাজেই যারা হিজরত করেছে, নিজ ঘর থেকে উৎখাত হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে এবং যুদ্ধ করেছে ও নিহত হয়েছে আমি তাদের পাপ কাজগুলো অবশ্যই দূর করব এবং অবশ্যই তাদেরকে প্রবেশ করাব জান্নাতে, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত। এটা আল্লাহ্‌র কাছ থেকে পুরস্কার; আর উত্তম পুরস্কার আল্লাহ্‌রই কাছে রয়েছে। যারা কুফরী করেছে, দেশে দেশে তাদের অবাধ বিচরণ যেন কিছুতেই আপনাকে বিভ্রান্ত না করে। এ তো স্বল্পকালীন ভোগ মাত্র; তারপর জাহান্নাম তাদের আবাস; আর ওটা কত নিকৃষ্ট বিশ্রামস্থল! কিন্তু যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত, যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা স্থায়ী হবে। এ হচ্ছে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে আতিথেয়তা; আর আল্লাহ্‌র কাছে যা আছে তা সৎকর্মপরায়ণদের জন্য উত্তম। আর নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে এমন লোকও আছে যারা আল্লাহ্‌র প্রতি বিনয়াবনত হয়ে তাঁর প্রতি এবং তিনি যা তোমাদের ও তাদের প্রতি নাযিল করেছেন তাতে ঈমান আনে। তারা আল্লাহ্‌র আয়াত তুচ্ছ মূল্যে বিক্রি করে না। তারাই, যাদের জন্য আল্লাহ্‌র কাছে পুরস্কার রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহ্ দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ কর, ধৈর্যে প্রতিযোগিতা কর এবং সবসময় যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাক, আর আল্লাহ্‌র তাকওয়া অবলম্বন কর; যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার”

.

কুনুত-ই-নাযেলা

"اَللّٰهُمَّ اهْدِنِيْ فِيْمَنْ هَدَيْتَ، وَعَافِنِيْ فِيْمَنْ عَافَيْتَ، وَتَوَلَّنِيْ فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ، وَبَارِكْ لِيْ فِيْمَا أَعْطَيْتَ، وَقِنِيْ شَرَّمَا قَضَيْتَ؛ إِنَّكَ تَقْضِىْ وَلاَ يُقْضَى عَلَيْكَ، وَإنَّهُ لاَ يَذِلُّ مَنْ وَّالَيْتَ، وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ، تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ"
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মাহদিনী ফীমান হাদাইতা ওয়া ‘আ-ফিনী ফীমান ‘আ-ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানী ফীমান তাওয়াল্লাইতা ওয়াবা-রিক লী ফীমা আ‘ত্বাইতা ওয়াক্বিনী শাররা মা ক্বাদাইতা ফাইন্নাকা তাক্ব‌্দ্বী ওয়ালা ইউক্ব্‌দ্বা ‘আলাইকা। ওয়া ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাও ওয়া-লাইতা, ওয়ালা ইয়া‘ইয্যু মান ‘আ-দাইতা। তাবা-রক্‌তা রব্বানা ওয়া তা‘আ-লাইতা)

অর্থঃ

“হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”।

.

বিষাক্ত প্রাণী থেকে বাঁচার দু‘আ

۞ أعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণঃ

আউযুবি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিন সাররি-মা-খলাক।

অর্থঃ

আমি আল্লাহ্‌ তা‘আলার সমস্ত (উপকারী ও শেফাদানকারী) কালিমা দ্বারা তার সমস্ত মাখলূকের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাচ্ছি।

.

মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা

۞  رَبَّـنَـا  اغْـفِـرْلِـىْ  وَلِـوَالِـدَىَّ  وَلِـلْـمُـؤْمِـنِـيْـنَ  يَـوْمَ  يَـقُـوْمُ  الْـحِـسَـابُ
উচ্চারণঃ

রাব্বানাগ্ ফিরলী ওয়া লিওয়ালিদাইয়্যা ওয়ালিল্ মু’মিনীনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল্ হিসাব্।

অর্থঃ

হে আমার প্রতিপালক! যে দিন হিসাব অনুষ্ঠিত হবে সেই দিন আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং মু’মিনগণকে ক্ষমা করো।

.

শত্রুর ভয় পেলে পড়বে

اَللّٰهُمَّ اكْفِنِيهِمْ بِمَا شِئْتَ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মাকফিনীহিম বিমা শি’তা

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি যা ইচ্ছে তা দ্বারাই এদের মোকাবিলায় আমার জন্য যথেষ্ট হোন।

.

বাড়ি থেকে বের হওয়ার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ إنيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أَضِلَّ أَوْ أُضَلَّ ، أَوْ أَزِلَّ أَوْ أُزَلَّ ، أَوْ أَظْلِمَ أَوْ أُظْلَمَ ، أَوْ أَجْهَلَ أَوْ يُجْهَلَ عَلَيَّ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা আন আদ্বিল্লা, আও উদ্বাল্লা, আও আযিল্লা, আও উযাল্লা, আও আযলিমা, আও উযলামা, আও আজহালা, আও ইয়ুজহালা ‘আলাইয়্যা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাই যেন নিজেকে বা অন্যকে পথভ্রষ্ট না করি, অথবা অন্যের দ্বারা পথভ্রষ্ট না হই; আমার নিজের বা অন্যের পদস্খলন না করি, অথবা আমায় যেন পদস্খলন করানো না হয়; আমি যেন নিজের বা অন্যের উপর যুলম না করি অথবা আমার প্রতি যুলম না করা হয়; আমি যেন নিজে মুর্খতা না করি, অথবা আমার উপর মূর্খতা করা না হয়।

.

আল-মাশআর আল-হারামের সন্নিকটে দোয়া করা

لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ أَنْجَزَ وَعْدَهُ وَنَصَرَ عَبْدَهُ وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَهُ.
উচ্চারণঃ

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাযা ওয়াদাহু, ওয়া নাসারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহ।

অর্থঃ

নেই কোন উপাস্য এক আল্লাহ ব্যতীত। তাঁর শরীক নেই। রাজত্ব তাঁর জন্য। প্রশংসা তাঁর জন্য। তিনি সর্ববিষয়ে ক্ষমতাবান। নেই কোন উপাস্য এক আল্লাহ ব্যতীত। তিনি প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করেছেন। তাঁর বান্দাকে সাহায্য করেছেন এবং তিনি একাই সকল দলকে পরাজিত করেছেন।

.

কুরআনে বর্ণিত জ্ঞাণ বৃদ্ধির দু‘আ-২০

۞ رَبِّ زِدْنِـىْ عِـلْـمًـا
উচ্চারণঃ

রাব্বি জিদনি ইলমা।

অর্থঃ

হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।

১০.

মুনাজাত শুরু করার নিয়ম দু‘আ ও মুনাজাত হামদ ও সালাতের মাধ্যমে শুরু করা সুন্নাত। যেমন এভাবেও শুরু করা যেতে পারে-

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ربِّ الْعَالَمِيْنَ، وَالصَّلٰوةُ وَالسَّلَامُ عَلَى سَيِّدِ الْمُرْسَلِيْنَ
উচ্চারণঃ

আলহামদুলিল্লাহি রব্বিল আলামিন, ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আ‘লা সায়্যিদিল মুরসালিন।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহ আল্লাহ তা‘আলার জন্য, যিনি সমগ্র জাহানের প্রতিপালক এবং দরূদ ও সালাম বর্ষিত হোক সাইয়্যিদুল মুরসালীন প্রিয় নবী (ﷺ) এর উপর।

১১.

সফরের দু‘আ

۞ اَللهُ أَكْبَرْ ، اَللهُ أَكْبَرْ ، اَللهُ أَكْبَرْ، سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهٗ مُقْرِنِيْنَ ، وَإِنَّا إِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ ، اَللّٰهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِي سَفَرِنَا هَذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى ، وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى ، اَللّٰهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهٗ ، اَللّٰهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِي السَّفَرِ ، وَالْخَلِيْفَةُ فِي الْأَهْلِ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ وَعْثَاءِ السَّفَرِ ، وَكَآبَةِ الْمَنْظَرِ ، وَسُوْءِ الْمُنْقَلَبِ فِي الْمَالِ وَالْأَهْلِ
উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। সুবহানাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন। ওয়াইন্না ইলা রাবিবনা লামুনক্বালিবূন। আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল বিররা ওয়াত্তাক্বওয়া, ওয়ামিনাল আমালি মা-তারদ্বা। আল্লাহুম্মা হাওওয়িন আলাইনা সাফারানা হা-যা ওয়া আত্বওয়ি আন্না বু‘দাহ। আল্লাহুম্মা আন্তাস সা-হিবু ফিস সাফারি ওয়ালখালীফাতু ফিল আহলি। আল্লাহুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিন ওয়া সা-ইস সাফারি, ওয়াকাআবাতিল মানযারি, ওয়াসূ-ইল মুনক্কালাবি ফিল মা-লি ওয়াল আহলি।

অর্থঃ

আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান। পবিত্র ও মহান যিনি একে আমাদের বশীভূত করে দিয়েছেন। যদিও আমরা একে বশীভূত করতে সমর্থ ছিলাম না। অবশ্যই আমরা আমাদের প্রতিপালকের নিকট প্রত্যাবর্তনকারী। ওগো আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা তোমার কাছে প্রার্থনা করছি আমাদের এই যাত্রায় পুণ্যকর্ম, সংযমশীলতা এবং তোমার সন্তোষজনক কার্যকলাপ। হে আল্লাহ! আমাদের এ যাত্রাকে আমাদের জন্য সহজ করে দাও। আমাদের থেকে ওর দূরত্ব গুটিয়ে নাও। হে আল্লাহ! তুমিই সফরের সঙ্গী। আর পরিবার-পরিজনের জন্য (আমাদের) প্রতিনিধি। হে আল্লাহ! সফরের কষ্ট ও ক্লান্তি থেকে, ভয়ংকর দৃশ্য থেকে এবং বাড়ি ফিরে ধন-সম্পদ, পরিবার ও সন্তান-সন্ততির মধ্যে কোন অপ্রীতিকর দৃশ্য থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

১২.

যানবাহনে আরোহণের দু‘আ-১

۞ بِسْمِ اللهِ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ، سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهٗ مُقْرِنِيْنَ ، وَإِنَّا إِلٰى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ ، اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ، اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ، اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ ، اَللهُ أَكْبَرُ ، اَللهُ أَكْبَرُ ، اَللهُ أَكْبَرُ ، سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ إِنِّيْ ظَلَمْتُ نَفْسِيْ فَاغْفِرْ لِيْ ، فَإِنَّهٗ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহ আলহামদুলিল্লাহি, সুবহানাল্লাযি সাখখারা লানা হাযা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীন, ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনক্বলিবুন। আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। সুবহানাকাল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী ফাগফিরলী, ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

অর্থঃ

আল্লাহর নামে শুরু করছি। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, পবিত্রতা ঘোষণা করছি সেই সত্তার, যিনি এসব কিছুকে আমাদের নিয়ন্ত্রণে এনে দিয়েছেন। নিশ্চয় আমরা আমাদের রবের দিকে প্রত্যাবর্তন করব। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান, আল্লাহ সর্বশক্তিমান।

১৩.

শহরে প্রবেশের দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ رَبَّ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ وَمَا أَظْلَلْنَ ، وَرَبَّ الأَرَاضِيْنَ السَّبْعِ وَمَا أَقْلَلْنَ ، وَرَبّْ الشَّيَاطِيْنِ وَمَا أَضْلَلْنَ ، وَرَبَّ الرِّيَاحِ وَمَا ذَرَيْنَ ، أَسْأَلُكَ خَيْرَ هَذِهِ الْقَرْيَةِ وَخَيْرَ أَهْلِهَا وَخَيْرَ مَا فِيْهَا ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ أَهْلِهَا وَشَرِّ مَا فِيْهَا
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা রব্বাস সামাওয়াতিস সাবয়ি ওমা আদলালনা, ওরব্বাল আরাদিনা-স-সাবয়ী ওয়ামা আকলালনা, ওরব্বাশ-শায়াতিনি ওয়ামা আদলালনা ও রব্বার-রিয়াহি ওয়ামা যারাইনা। আসআলুকা খাইরা হা-যিহিল-করয়াতি ও-খাইরা আহলিহা ও-খাইরা মা ফিহা ও আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া-শাররি আহলিহা ওয়া-শাররি মা ফিহা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি সাত আসমানের এবং তার নীচে যা কিছু আছে তার রব। সাত জমিন এবং সেগুলো যা ধারন করে তার রব। সমস্ত শয়তানগুলো এবং তারা যাদের পথভ্রষ্ট করেছে তাদের রব। বাতাসের এবং বাতাস যা উড়িয়ে নিয়ে যায় তার রব। আমি আপনার নিকট এই গ্রাম এবং এর অধিবাসীদের অকল্যান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।

১৪.

স্ত্রী-সন্তান ও পরিবারের জন্য দু‘আ

۞ رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّا تِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَّاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ إِمَاماً
উচ্চারণঃ

রাব্বানা হাব্ লানা মিন্ আয্ওয়াজ্বিনা ওয়া যুররিইয়্যাতিনা ক্বুরওয়াতা আ’ইউনিওঁ ওয়াজ্ব’আলঅনা লিল্ মুত্তাক্বিনা ইমামা।

অর্থঃ

হে আমাদের রব! তুমি আমাদেরকে এমন স্ত্রী-সন্তান দান কর যাদের দর্শনে আমাদের চক্ষুশীতল হয়ে যাবে। তুমি আমাদেরকে পরহেযগার লোকদের ইমাম (অভিভাবক) বানিয়ে দাও।

১৫.

আয়না দেখার দু‘আ

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ اَللّٰهُمَّ كَمَا حَسَّنْتَ خَلْقِيْ فَحَسِّنْ خُلُقِيْ
উচ্চারণঃ

আলহামদু লিল্লাহি, আল্লাহুম্মা কামা হাসসানতা খলক্বী ফাহাসসিন খুলুক্বী।

অর্থঃ

সকল প্রশংসা আল্লাহর, হে আল্লাহ্‌! আপনি আমাকে যেরূপ সুন্দর চেহারা দান করেছেন তদ্রূপ আমার স্বভাব-চরিত্রকেও সুন্দর করে দিন।

১৬.

রুকাইয়ার দু‘আ-৬

۞ أَعُوْذُ بِوَجْهِ اللّٰهِ الْعَظِيْمِ الَّذِيْ لَا شَيْءَ أَعْظَمُ مِنْهُ ، وَبِكَلِمَاتِهِ التَّامَّاتِ الَّتِيْ لَا يُجَاوِزُهُنَّ بَرٌّ وَلَا فَاجِرٌ ، وَأَسْمَاءِ اللّٰهِ الْحُسْنٰى كُلِّهَا مَا عَلِمْتُ مِنْهَا وَمَا لَمْ أَعْلَمْ ، مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ وَذَرَأَ وَبَرَأَ ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ شَرٍّ لَا أُطِيْقُ شَرَّهٗ، وَمِنْ شَرِّ كُلِّ ذِيْ شَرٍّ أَنْتَ آخِذٌ بِنَاصِيَتِه، إِنَّ رَبِّيْ عَلٰى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيْمٍ،
উচ্চারণঃ

আ‘ঊযু বি-ওয়াজহিল্লা-হিল আযীমিল্লাযী লা- শাইয়া আ‘যামু মিনহু, ওয়া বি-কালিমা-তিহিত তা-ম্মা-তিল্লাতী লা- ইউজা-উযুহুন্না বাররুন ওয়ালা- ফা-জির, ওয়া আসমা-ইল্লা-হিল হুসনা- কুল্লিহা মা- আ’লিম্তু মিনহা- ওয়া মা- লাম আ’লাম, মিন শার্রি মা- খালা-কা ওয়া যারা-আ ওয়া বারা-আ, ওয়া মিন শার্রি কুল্লি যী শাররিল লা- উতীকু শাররাহু, ওয়া মিন শার্রি কুল্লি যী শাররিন আনতা আ-খিযুন বি-না-সিয়্যাতিহি, ইন্না রব্বী আ’লা- সিরাতিম মুস্তা-কিীম।

অর্থঃ

আমি মহান আল্লাহ তায়ালার সুমহান স্বত্বার আশ্রয় প্রার্থনা করি যার চেয়ে বড় আর কিছু নেই এবং আল্লাহ তায়ালার পবিত্র কালেমার মাধ্যমে আশ্রয় চাই যাকে কোন কল্যাণ ও অনিষ্ট অতিক্রম করে না। আর আল্লাহ তায়ালা সুন্দর নামসমূহের মাধ্যমে যা আমি জানি ও যা জানিনা। আর আশ্রয় প্রার্থনা করি সৃষ্টি জগতের সকল প্রকার অনিষ্ট থেকে যা তোমার আয়ত্বাধীন। নিশ্চয় আমার প্রভু সরল সোজা পথেই।

১৭.

শরীরে কোথাও ব্যথা পেলে পড়ার দু‘আ

প্রথমে বিসমিল্লাহ পড়বে, এরপর সাতবার বলবে, ۞ أَعُوْذُ بِاللّٰهِ وَقُدْرَتِه مِنْ شَرِّ مَا أَجِدُ وَأُحَاذِرُ
উচ্চারণঃ

আউযুবিল্লাহি ওয়া ক্বুদরতিহী মিন শাররি মা-আজিদু ওয়া উহা-যিরু।

অর্থঃ

আমি আল্লাহ ও তাঁর কুদরতের কাছে আশ্রয় নিচ্ছি আমি যা অনুভব করছি এবং ভয় করছি তার অকল্যাণ থেকে।

১৮.

দু‘আ-১৩

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظّٰلِمِیْنَۙ۝۸۵ وَ نَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكٰفِرِیْنَ۝۸۶
উচ্চারণঃ

রাব্বানা-লা-তাজ‘আলনা-ফিতনাতাল লিলকাওমিজ্জা-লিমীন। ওয়া নাজজিনা-বিরাহমাতিকা মিনাল কাওমিল কা-ফিরীন।

অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদেরকে জালিম কওমের জুলুমের শিকার কোরেন না এবং নিজ দয়ায় আমাদের জালিম কওমের পাঞ্জা থেকে মুক্ত করুন। (অর্থাৎ আমাদের উপর যতদিন তাদের শাসন নির্ধারিত, ততদিন যেন আমাদের উপর জুলুম করতে না পারে। এরপর তাদের শাসন থেকেই আমাদের নিষ্কৃতি দিন।)১৫

১৯.

দু‘আ-১৯

رَبَّنَاۤ اٰتِنَا مِنْ لَّدُنْكَ رَحْمَةً وَّ هَیِّئْ لَنَا مِنْ اَمْرِنَا رَشَدًا۝۱۰
উচ্চারণঃ

রাব্বানাআ-তিনা-মিল্লাদুনকা রাহমাতাওঁ ওয়া হাইয়ি’ লানা-মিন আমরিনা-রাশাদা-।

অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের দান করুন আপনার নিজের পক্ষ হতে (বিশেষ) রহমত এবং ব্যবস্থা করুন আমাদের জন্য আমাদের কর্মের সফলতার।২১

২০.

দু‘আ-১০২

اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ وَاهْدِنِيْ، وَارْزُقْنِيْ وَعَافِنِيْ، وَاهْدِنِيْ لِمَا اخْتُلِفَ فِيْهِ مِنَ الْحَقِّ بِإِذْنِكَ.
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! আমাকে মাফ করুন, আমাকে হেদায়েত দিন, আমাকে রিযিক দিন, আমাকে আফিয়াত (সুস্থতা ও নিরাপত্তা) দিন এবং যে সত্যের বিষয়ে মতভেদ করা হয়, তাতে আমাকে আপনার দয়ায় সঠিক পথ প্রদর্শন করুন।১০১