দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৩ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

সায়্যিদুল ইস্তিগফার

۞ اَللّٰهُمَّ أَنْتَ رَبِّيْ  لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِيْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلٰى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوْءُ لَكَ بِذَنْبِيْ فَاغْفِرْ لِي ْ فَإِنَّهٗ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্কতানী ওয়া আনা আ’বদুকা ওয়া আনা আ’লা- আ’হ্‌দিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত্ব’তু আ’উযুবিকা মিন শার্‌রি মা ছা’নাতু আবূ-উলাকা বিনি’মাতিকা আ’লাইয়্যা ওয়া আবূ-উলাকা বিযানবী ফাগ্‌ফির্‌লী ফাইন্নাহু- লা-ইয়াগফিরুয্‌যুনূবা ইল্লা- আনতা

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি আমার রব। তুমি ছাড়া আর কোনো সত্য মা‘বূদ নাই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার বান্দা। আমি তোমার ওয়াদা ও অঙ্গীকারের উপর সাধ্যানুযায়ী প্রতিষ্ঠিত। আমি অনিষ্টকর যা কিছু করেছি তা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। আমার উপর তোমার যে নিয়ামত আছে তার স্বীকৃতি দিচ্ছি। তোমার নিকট আমার গুনাহের স্বীকৃতি দিচ্ছি। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও; কেননা তুমি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।

.

আয়াতে শেফা (রোগ মুক্তির ৬ টি আয়াত)

পবিত্র কুরআনে কারীমের ৬ টি আয়াত আয়াতে শেফা বা রোগ মুক্তির আয়াত নামে পরিচিত। এগুলো পড়ার পূর্বে সূরা ফাতিহা পড়ে নেয়া উত্তম। ۞ وَيَشْفِ صُدُوْرَ قَوْمٍ مُّؤْمِنِيْنَ ১. ۞ وَشِفَآءٌ لِّمَا فِی الصُّدُوۡرِ وَهُدًى وَّرَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ ২. ۞ یَخۡرُجُ مِنۡۢ بُطُوۡنِہَا شَرَابٌ مُّخۡتَلِفٌ اَلۡوَانُہٗ فِیۡہِ شِفَآءٌ لِّلنَّاسِ ৩. ۞ وَنُنَزِّلُ مِنَ الۡقُرۡاٰنِ مَا هُوَ شِفَآءٌ وَّرَحۡمَۃٌ لِّلۡمُؤۡمِنِیۡنَ ৪. ۞ وَإِذَا مَرِضْتُ فَهُوَ يَشْفِيْنِ ৫. ۞ قُلْ هُوَ لِلَّذِيْنَ آمَنُوْا هُدًى وَّشِفَاءٌ ৬.
উচ্চারণঃ

১. ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম মু’মিনি-ন। ২. ওয়া শিফাউ’ল লিমা- ফিচ্ছুদু-রি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল মু’মিনি-ন। ৩. ইয়াখরুঝু মিমবুতু-নিহা- শারা-বুম মুখতালিফুন, আলওয়ানুহু- ফি-হি শিফা-উ লিন্না-সি। ৪. ওয়া নুনাজ্জিলু মিনাল ক্বুরআ’নি মা হুয়া শিফাউও ওয়া রাহমাতুল লিলমু’মিনি-ন। ৫. ওয়া ইজা মারিদতু ফা হুয়া ইয়াশফি-নি। ৬. কুল হুওয়া লিল্লাযীনা আ-মানূ হুদাওঁ ওয়া শিফাউন।

অর্থঃ

১. এবং আল্লাহ মু’মিনদের (মুসলমানদের) অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন। ২. এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। ৩. তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। ৪. আমি কুরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। ৫. এবং যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন তিনিই আরোগ্য দান করেন ৬. বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য হেদায়েত ও রোগের প্রতিকার

.

ঈমান রক্ষার দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ أَنْ أُشْرِكَ بِكَ وَأَنَا أَعْلَمُ، وَأَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَاۤ أَعْلَمُ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়াআনা আ’লামু ওয়া আস্তাগফিরুকা লিমা লা আ’লামু। (৩বার)

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি জ্ঞাতসারে আপনার সাথে কাউকে শরিক করা থেকে। আর আপনার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি ঐ সকল বিষয়ে, যা আমি জানি না।

.

মসজিদে যাওয়ার সময়ে পড়ার দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ فِيْ قَلْبِيْ نُوْرًا، وَفِيْ لِسَانِيْ نُوْرًا، وَ فِيْ سَمْعِيْ نُوْرًا، وَفِيْ بَصَرِيْ نُوْرًا، وَمِنْ فَوْقِيْ نُوْرًا، وَمِنْ تَحْتِيْ نُوْرًا، وَعَنْ يَمِيْنِيْ نُوْرًا، وَعَنْ شِمَالِيْ نُوْرًا، وَمِنْ أَمَامِيْ نُوْرًا، وَمِنْ خَلْفِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْ فِيْ نَفْسِيْ نُوْرًا، وَأَعْظِمْ لِيْ نُوْرًا، وَعَظِّمْ لِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْ لِّيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْنِيْ نُوْرًا، اَللّٰهُمَّ أَعْطِنِيْ نُوْرًا، وَاجْعَلْ فِيْ عَصَبِيْ نُوْرًا، وَفِيْ لَحْمِيْ نُوْرًا، وَفِيْ دَمِيْ نُوْرًا، وَفِي ْشَعْرِيْ نُوْرًا، وَفِيْ بَشَرِيْ نُوْرًا اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ لِيْ نُوْرًا فِيْ قَبْرِيْ وَنُوْرًا فِيْ عِظَامِيْ وَزِدْنِيْ نُوْرًا، وَزِدْنِيْ نُوْرًا، وَزِدْنِيْ نُوْرًا وَهَبْ لِيْ نُوْرًا عَلٰى نُوْرٍ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মাজ‘আল ফী ক্বালবী নূরান, ওয়া ফী লিসানী নূরান, ওয়া ফী সাম্‘য়ী নূরান, ওয়া ফী বাসারী নূরান, ওয়া মিন ফাওকী নূরান, ওয়া মিন তাহ্‌তী নূরান, ওয়া ‘আন ইয়ামীনী নূরান, ওয়া ‘আন শিমালী নূরান, ওয়া মিন আমামী নূরান, ওয়া মিন খলফী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী নাফ্‌সী নূরান, ওয়া আ‘যিম লী নূরান, ওয়া ‘আয্‌যিম লী নূরান, ওয়াজ‘আল্ লী নূরান, ওয়াজ‘আলনী নূরান; আল্লা-হুম্মা আ‘তিনী নূরান, ওয়াজ‘আল ফী ‘আসাবী নূরান, ওয়া ফী লাহ্‌মী নূরান, ওয়া ফী দামী নূরান, ওয়া ফী শা‘রী নূরান, ওয়া ফী বাশারী নূরান। আল্লা-হুম্মাজ‘আল লী নূরান ফী কাবরী, ওয়া নূরান ফী ‘ইযামী ওয়া যিদ্‌নী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান, ওয়া যিদনী নূরান ওয়া হাবলী নূরান ‘আলা নুর

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমার অন্তরে নূর বা আলো দান করুন, আমার যবানে নূর দান করুন, আমার শ্রবণশক্তিতে নূর দান করুন, আমার দর্শনশক্তিতে নূর দান করুন, আমার উপরে নূর দান করুন, আমার নিচে নূর দান করুন, আমার ডানে নূর দান করুন, আমার বামে নূর দান করুন, আমার সামনে নূর দান করুন, আমার পেছনে নূর দান করুন, আমার আত্মায় নূর দান করুন, আমার জন্য নূরকে বড় করে দিন, আমার জন্য নূর বাড়িয়ে দিন, আমার জন্য নূর নির্ধারণ করুন, আমাকে আলোকময় করুন। হে আল্লাহ! আমাকে নূর দান করুন, আমার পেশীতে নূর প্রদান করুন, আমার গোশ্‌তে নূর দান করুন, আমার রক্তে নূর দান করুন, আমার চুলে নূর দান করুন ও আমার চামড়ায় নূর দান করুন। হে আল্লাহ! আমার জন্য আমার কবরে নূর দিন, আমার হাড়সমূহেও নূর দিন”, “আমাকে নূর বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূর বৃদ্ধি করে দিন, আমাকে নূর বৃদ্ধি করে দিন” “আমাকে নূরের উপর নূর দান করুন।

.

দাওয়াত খাওয়ার দু‘আ-২

۞ اَللّٰهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِيْ ، وَاسْقِ مَنْ سَقَانِيْ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মা আত্ব‘ইম মান আত্ব‘আমানী ওয়াসক্বি মান সাক্বা-নী

অর্থঃ

হে আল্লাহ! যে আমাকে আহার করাবে আপনি তাকে আহার করান এবং যে আমাকে পান করাবে আপনি তাকে পান করান।

.

দুধ পান করার সময় পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা বারিক-লানা ফীহি ওয়াযিদনা মিনহ্‌।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি এই দুধের মধ্যে বরকত দান করুন এবং অধিক পরিমাণে দান করুন।

.

ঘুম থেকে উঠে এই দু‘আ পড়বে-৩

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ عَافَانِيْ فِيْ جَسَدِيْ، وَرَدَّ عَلَيَّ رُوْحِيْ، وَأَذِنَ لِيْ بِذِكْرِه
উচ্চারণঃ

আল্হামদু লিল্লা-হিল্লাযী ‘আ-ফা-নী ফী জাসাদী, ওয়ারদ্দা ‘আলাইয়্যা রূহী ওয়া আযিনা লী বিযিকরিহী।

অর্থঃ

সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য, যিনি আমার দেহকে নিরাপদ করেছেন, আমার রূহকে আমার নিকট ফেরত দিয়েছেন এবং আমাকে তাঁর যিকির করার অনুমতি (সুযোগ) দিয়েছেন।

.

সূরা কুরাইশ

لِإِيلَافِ قُرَيْشٍ إِيلَافِهِمْ رِحْلَةَ الشِّتَاءِ وَالصَّيْفِ فَلْيَعْبُدُوا رَبَّ هَٰذَا الْبَيْتِ الَّذِي أَطْعَمَهُم مِّن جُوعٍ وَآمَنَهُم مِّنْ خَوْفٍ
উচ্চারণঃ

লিঈলা-ফি কুরাইশ। ঈলা-ফিহিম রিহলাতাশশিতাই ওয়াসসাঈফ। ফালইয়া‘বুদূরাব্বা হা-যাল বাঈত। আল্লাযীআতা‘আমাহুম মিন জূ‘ইওঁ ওয়া আ-মানাহুম মিন খাওফ।

.

সূরা আল-মাঊন

أَرَأَيْتَ الَّذِي يُكَذِّبُ بِالدِّينِ فَذَٰلِكَ الَّذِي يَدُعُّ الْيَتِيمَ وَلَا يَحُضُّ عَلَىٰ طَعَامِ الْمِسْكِينِ فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَ الَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَ الَّذِينَ هُمْ يُرَاءُونَ وَيَمْنَعُونَ الْمَاعُونَ
উচ্চারণঃ

আরাআইতাল্লাযী ইউকাযযি বুবিদ্দীন। ফাযা-লিকাল্লাযী ইয়াদু‘‘উল ইয়াতীম। ওয়ালা-ইয়াহুদ্দু‘আলা-তা‘আ-মিল মিছকীন। ফাওয়াইঁলুলিলল মুসাল্লীন। আল্লাযীনাহুম ‘আন সালা-তিহিমি ছা-হূন। আল্লাযীনা হুম ইউরাঊনা। ওয়া ইয়ামনা‘ঊনাল মা-‘ঊন।

১০.

সূরা আল-কাফিরুন

قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
উচ্চারণঃ

কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন। লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন। ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। ওয়ালা আনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম, ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ। লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।

১১.

দু‘আ-৮৬

اَللّٰهُمَ اجْعَلْنِيْ صَبُوْرًا وَّ اجْعَلْنِيْ شَكُوْرًا، وَاجْعَلْنِيْ فِيْ عَيْنِيْ صَغِيْرًا وَّفِيْۤ أَعْيُنِ النَّاسِ كَبِيْرًا.
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! আমাকে বড় সবরকারী বানিয়ে দিন এবং শোকরকারী বানিয়ে দিন। (যেন সকল বিপদে সবর করি এবং সকল নেয়ামতের শোকর করি) আর আমাকে আমার দৃষ্টিতে ছোট ও মানুষের দৃষ্টিতে বড় বানিয়ে দিন।৮৯

১২.

সূরা আল-লাহাব

تَبَّتْ يَدَا أَبِي لَهَبٍ وَتَبّ مَا أَغْنَىٰ عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ سَيَصْلَىٰ نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ
উচ্চারণঃ

তাব্বাত ইয়াদাআবী লাহাবিওঁ ওয়া তাবব। মাআগনা-‘আনহু মা-লুহূওয়ামা-কাছাব। ছাইয়াসলা-না-রান যা-তা লাহাব। ওয়ামরাআতুহূ; হাম্মা-লাতাল হাতাব। ফী জীদিহা-হাবলুম মিম মাছাদ।

১৩.

শত্রু বা যালিমের সম্মুখীন হলে পড়বে–২

۞ حَسْبُنَا اللّٰهُ وَنِعْمَ الْوَكِيْلُ
উচ্চারণঃ

হাসবুনাল্লা-হু ওয়া নি‘মাল ওয়াকীল

অর্থঃ

আল্লাহই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর তিনি কতই না উত্তম কর্মবিধায়ক।

১৪.

বদনজরের দোয়া,-

اَللّٰهُمَّ ذَا السُّلْطَانِ الْعَظِيْمِ، ذَا الْمَنِّ الْقَدِيْمِ، وَذَا الْوَجْهِ الْكَرِيْمِ ، وَلِيِّ الْكَلِمَاتِ التَّامَّاتِ وَالدَّعَوَاتِ الْمُسْتَجَابَاتِ ، عَافِنَا مِنْ أَنْفُسِ الْجِنِّ ، وَأَعْيُنِ الْإِنْسِ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মা যা-সুলতানিল আযীম, যাল মান্নিল কাদীম, ওয়া যা-লিওয়াজহিল কারীম, ওয়ালিয়্যিল কালিমা-তিত তা-ম্মা-তি ওয়াদ্দা‘ওয়া-তিল মুসতাজা-বা-ত, ‘আ-ফিনা- মিন আনফুসিল জিন্নি, ওয়া আ‘ইয়ুনিল ইন্স।

অর্থঃ

হযরত আলি রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার নবীজি (সা) এর পেরেশান অবস্থায় জিবরাইল আ. আসলেন। তিনি জিগ্যেস করেন হে মুহাম্মাদ! আপনি চিন্তিত কেন? আপনার চিন্তার ফুটেজ চেহারায় ভেসে উঠেছে? তিনি বলেন হাসান ও হুসাইনের বদ নজর লেগেছে। সে (জিবরাইল) বলে আপনি বদ নজর সম্পর্কে সত্য বলেছেন। কারণ নজর লাগা সত্য। জিবরাইল বলে আমি কি আপনাকে এমন কিছু কালিমা শিক্ষা দিব না? যার মাধ্যমে তাদের আরোগ্য লাভ করা সম্ভব? তিনি (সা) বললেন সেগুলো কি? সে (জিবরাইল) বলে তা হলো, اللَّهُمَّ ذَا السُّلْطَانِ الْعَظِيمِ , ذَا الْمَنِّ الْقَدِيمِ , ذَا الْوَجْهِ الْكَرِيمِ , وَلِيَ الْكَلِمَاتِ التَّامَّاتِ وَالدَّعَوَاتِ الْمُسْتَجَابَاتِ , عَافِ الْحَسَنَ وَالْحُسَيْنَ مِنْ نَفْسِ الْجِنِّ وَأَعْيُنِ الْإِنْسِ ফলে উভয়ে সুস্থ হয়ে নবীজির সামনে খেলা করেন। নবীজি সা এর মাধ্যমে উম্মতকে শিফা লাভের আদেশ দেন।

১৫.

সূরা আল আনআম ( আয়াত নং - ১২৮ )

وَیَوۡمَ یَحۡشُرُہُمۡ جَمِیۡعًا ۚ یٰمَعۡشَرَ الۡجِنِّ قَدِ اسۡتَکۡثَرۡتُمۡ مِّنَ الۡاِنۡسِ ۚ وَقَالَ اَوۡلِیٰٓؤُہُمۡ مِّنَ الۡاِنۡسِ رَبَّنَا اسۡتَمۡتَعَ بَعۡضُنَا بِبَعۡضٍ وَّبَلَغۡنَاۤ اَجَلَنَا الَّذِیۡۤ اَجَّلۡتَ لَنَا ؕ قَالَ النَّارُ مَثۡوٰىکُمۡ خٰلِدِیۡنَ فِیۡہَاۤ اِلَّا مَا شَآءَ اللّٰہُ ؕ اِنَّ رَبَّکَ حَکِیۡمٌ عَلِیۡمٌ
উচ্চারণঃ

ওয়া ইয়াওমা ইয়াহশুরুহুম জামী‘আন- ইয়া-মা‘শারাল জিন্নি কাদিছতাকছারতুম মিনাল ইনছি ওয়া কা-লা আওলিয়াউহুম মিনাল ইনছি রাব্বানাছ তামতা‘আ বা‘দুনা ব্বিা‘দিওঁ ওয়া বালাগনাআজালানাল্লাযীআজ্জালতা লানা- কা-লান না-রু মাছওয়াকুম খা-লিদীনা ফীহা-ইল্লা-মা-শাআল্লা-হু ইন্না রাব্বাকা হাকীমুন ‘আলীম।

অর্থঃ

যেদিন তিনি তাদের সকলকে একত্র করবেন আর বলবেন, ‘হে জিন সম্প্রদায়! তোমরা তো অনেক লোককে তোমাদের অনুগামী করেছিলে’ এবং মানব সমাজের মধ্যে তাদের বন্ধুগণ বলবে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের মধ্যে কতক অপরকে দিয়ে লাভবান হয়েছে আর তুমি আমাদের জন্যে যে সময় নির্ধারণ করেছিলে এখন আমরা তাতে উপনীত হয়েছি।’ সেদিন আল্লাহ্ বলবেন, ‘জাহান্নামই তোমাদের বাসস্থান, তোমরা সেখানে স্থায়ী হবে,’ যদি না আল্লাহ্ অন্য রকম ইচ্ছা করেন। তোমার প্রতিপালক অবশ্যই প্রজ্ঞাময়, সবিশেষ অবহিত।

১৬.

সূরা আল আনফাল ( আয়াত নং - ৫০ )

وَلَوۡ تَرٰۤی اِذۡ یَتَوَفَّی الَّذِیۡنَ کَفَرُوا ۙ الۡمَلٰٓئِکَۃُ یَضۡرِبُوۡنَ وُجُوۡہَہُمۡ وَاَدۡبَارَہُمۡ ۚ وَذُوۡقُوۡا عَذَابَ الۡحَرِیۡقِ
উচ্চারণঃ

ওয়া লাও তারা ইয ইয়াতাওয়াফফাল্লাযীনা কাফারুল মালাইকাতু ইয়াদরিবূনা উজূহাহুম ওয়া আদবা-রাহুম ওয়া যূকূ‘আযা-বাল হারীক।

অর্থঃ

আর যদি তুমি দেখ, যখন ফেরেশতারা কাফেরদের জান কবজ করে; প্রহার করে, তাদের মুখে এবং তাদের পশ্চাদদেশে আর বলে, জ্বলন্ত আযাবের স্বাদ গ্রহণ কর।

১৭.

সূরা ইব্রাহীম ( আয়াত নং ১৫-১৭ )

{وَاسْتَفْتَحُوا وَخَابَ كُلُّ جَبَّارٍ عَنِيدٍ (15) مِنْ وَرَائِهِ جَهَنَّمُ وَيُسْقَى مِنْ مَاءٍ صَدِيدٍ (16) يَتَجَرَّعُهُ وَلَا يَكَادُ يُسِيغُهُ وَيَأْتِيهِ الْمَوْتُ مِنْ كُلِّ مَكَانٍ وَمَا هُوَ بِمَيِّتٍ وَمِنْ وَرَائِهِ عَذَابٌ غَلِيظٌ (17)} [إبراهيم: 15 - 17]
উচ্চারণঃ

ওয়াছতাফতাহূওয়াখা-বা কুল্লুজাব্বা-রিন ‘আনীদ। মিওঁ ওয়ারাইহী জাহান্নামু ওয়া ইউছকা-মিম মাইন সাদীদ । ইয়াতাজাররা‘উহূ ওয়ালা-ইয়া-কা-দূ ইউছীগুহূ ওয়া ইয়া’তীহিল মাওতু মিন কুল্লি মাকা-নিওঁ ওয়ামা-হুওয়া বিমাইয়িতিওঁ ওয়ামিওঁ ওয়ারাইহী ‘আযা-বুন গালীজ।

অর্থঃ

এরা বিজয় কামনা করল এবং প্রত্যেক উদ্ধত স্বৈরাচারী ব্যর্থমনোরথ হল। এদের প্রত্যেকের জন্যে পরিণামে জাহান্নাম রয়েছে এবং পান করানো হবে গলিত পুঁজ; যা সে অতি কষ্টে একেক ঢোক করে গলাধঃকরণ করবে এবং তা গলাধঃকরণ করা প্রায় সহজ হবে না। সর্বদিক হতে তার নিকট আসবে মৃত্যুযন্ত্রণা, কিন্তু তার মৃত্যু ঘটবে না এবং এটার পর কঠোর শাস্তি ভোগ করতেই থাকবে।

১৮.

সূরা ইব্রাহীম ( আয়াত নং ৪৯ - ৫০ )

{وَتَرَى الْمُجْرِمِينَ يَوْمَئِذٍ مُقَرَّنِينَ فِي الْأَصْفَادِ (49) سَرَابِيلُهُمْ مِنْ قَطِرَانٍ وَتَغْشَى وُجُوهَهُمُ النَّارُ (50)} [إبراهيم: 49، 50]
উচ্চারণঃ

ওয়া তারাল মুজরিমীনা ইয়াওমাইযিম মুকাররানীনা ফিল আসফা-দ । ছারা-বীলুহুম মিন কাতিরা-নিওঁ ওয়া তাগশা-উজূহাহুমুন্না-র।

অর্থঃ

সেই দিন তুমি অপরাধীদেরকে দেখবে শৃংখলিত অবস্থায়, তাদের জামা হবে দাহ্য আলকাতরার এবং তাদের মুখমন্ডলকে আগুন আচ্ছন্ন করে ফেলবে।

১৯.

সূরা মারইয়াম ( আয়াত নং - ৪ )

قَالَ رَبِّ اِنِّیۡ وَہَنَ الۡعَظۡمُ مِنِّیۡ وَاشۡتَعَلَ الرَّاۡسُ شَیۡبًا وَّلَمۡ اَکُنۡۢ بِدُعَآئِکَ رَبِّ شَقِیًّا
উচ্চারণঃ

কা-লা রাব্বি ইন্নী ওয়াহানাল ‘আজমু মিন্নী ওয়াশতা‘আলার রা’ছু শাইবাওঁ ওয়ালাম আকুম বিদু‘আইকা রাব্বি শাকিইইয়া-।

অর্থঃ

সে বলেছিল, ‘হে আমার রব! আমার অস্থি দুর্বল হয়েছে, বার্ধক্যে আমার মস্তক শুভ্রোজ্জ্বল হয়েছে; হে আমার প্রতিপালক! তোমাকে আহ্বান করে আমি কখনও ব্যর্থকাম হই নাই।

২০.

সূরা হাজ্জ্ব ( আয়াত নং ১৯ - ২২ )

ہٰذٰنِ خَصْمٰنِ اخْتَصَمُوۡا فِیۡ رَبِّہِمْ ۫ فَالَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا قُطِّعَتْ لَہُمْ ثِیَابٌ مِّنۡ نَّارٍ ؕ یُصَبُّ مِنۡ فَوْقِ رُءُوۡسِہِمُ الْحَمِیۡمُ (19) يُصْهَرُ بِهِ مَا فِي بُطُونِهِمْ وَالْجُلُودُ (20) وَلَهُمْ مَقَامِعُ مِنْ حَدِيدٍ (21) كُلَّمَا أَرَادُوا أَنْ يَخْرُجُوا مِنْهَا مِنْ غَمٍّ أُعِيدُوا فِيهَا وَذُوقُوا عَذَابَ الْحَرِيقِ (22)} [الحج: 19 - 22]
উচ্চারণঃ

হা-যা-নি খাছমা-নিখ তাছামূ ফী রাব্বিহিম ফাল্লাযীনা কাফারূ কুত্তি‘আত লাহুম ছিয়া-বুম মিন্না-রিইঁ ইউসাব্বু মিন ফাওকি রুঊছিহিমুল হামীম। ইউসহারু বিহী মা-ফী বুতূনিহিম ওয়াল জুলূদ। ওয়া লাহুম মাকা-মি‘উ মিন হাদীদ। কুল্লামা আরা-দূ আইঁ ইয়াখরুজুমিনহা-মিন গাম্বিন উ‘ঈদূফীহা- ওয়া যূকূ‘আযাবাল হারীক।

অর্থঃ

এরা দুইটি বিবদমান পক্ষ, তারা তাদের প্রতিপালক সম্বন্ধে বিতর্ক করে ; যারা কুফরী করে তাদের জন্যে প্রস্তুত করা হয়েছে আগুনের পোশাক, তাদের মাথার ওপর ঢালিয়া দেওয়া হবে ফুটন্ত পানি, যা দিয়ে এদের উদরে যা আছে তা এবং এদের চর্ম বিগলিত করা হবে। এবং এদের জন্যে থাকবে লৌহমুদগর। যখনই এরা যন্ত্রণাকাতর হয়ে জাহান্নাম হতে বের হতে চাইবে তখনই তাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে এতে; এদেরকে বলা হবে, ‘আস্বাদন কর দহন-যন্ত্রণা।’