দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৩ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

আল্লাহর আনুগত্য প্রার্থনা

۞ اَللّٰهُمَّ اجْعَلْنِيْ أُعْظِمُ شُكْرَكَ وَأُكْثِرُ ذِكْرَكَ وَأَتَّبِعُ نُصْحَكَ وَأَحْفَظُ وَصِيَّتَكَ
উচ্চারণঃ

আল্ল-হুম্মাজ্’আলনী উ’যিমু শুক্‌রাকা ওয়া উকসিরু যিক্‌রাকা ওয়া আত্তাবি’উ নুস্‌হাকা ওয়া আহফাযু ওয়াসিয়্যাতাকা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি আমাকে বেশী পরিমাণে তোমার প্রতি শুকরিয়া প্রকাশকারী, তোমাকে অধিক স্মরণকারী, তোমার নসিহাতের অনুসারী এবং তোমার ওয়াসিয়াত (নির্দেশ) স্মরণকারী বানাও।

.

দু‘আ-২৪

رَبِّ اَنْزِلْنِیْ مُنْزَلًا مُّبٰرَكًا وَّ اَنْتَ خَیْرُ الْمُنْزِلِیْنَ۝۲۹
উচ্চারণঃ

রাব্বি আনঝিলনী মুনঝালাম মুবা-রাকাওঁ ওয়া আনতা খাইরুল মুনঝিলীন

অর্থঃ

পরওয়ারদেগার! আমাকে বরকতময় জায়গায় অবতীর্ণ করুন। আপনি সর্বোত্তম অবতারণকারী।২৬

.

দু‘আ-২১

رَبِّ زِدْنِیْ عِلْمًا۝۱۱۴
উচ্চারণঃ

রাব্বি ঝিদনী ‘ইলমা-।

অর্থঃ

পরওয়ারদেগার! আমার ইলম বাড়িয়ে দিন।২৩

.

দু‘আ-২২

اَنِّیْ مَسَّنِیَ الضُّرُّ وَ اَنْتَ اَرْحَمُ الرّٰحِمِیْنَۚۖ۝۸۳
উচ্চারণঃ

আন্নী মাছছানিয়াদদু ররু ওয়া আনতা আরহামুররা-হিমীন ।

অর্থঃ

(পরওয়ারদেগার!) আমাকে স্পর্শ করেছে কষ্ট। আর আপনি তো সব দয়ালুর বড় দয়ালু। (সুতরাং আমার প্রতি দয়া করুন)।২৪

.

দু‘আ-২৯

رَبِّ اَوْزِعْنِیْۤ اَنْ اَشْكُرَ نِعْمَتَكَ الَّتِیْۤ اَنْعَمْتَ عَلَیَّ وَ عَلٰی وَالِدَیَّ وَ اَنْ اَعْمَلَ صَالِحًا تَرْضٰىهُ وَ اَدْخِلْنِیْ بِرَحْمَتِكَ فِیْ عِبَادِكَ الصّٰلِحِیْنَ۝۱۹
উচ্চারণঃ

রাব্বি আওঝি‘নীআন আশকুরা নি‘মাতাকাল্লাতীআন‘আমতা ‘আলাইইয়া ওয়া ‘আলা-ওয়া-লিদাইইয়া ওয়াআন আ‘মালা সালিহান তারদা-হু ওয়া আদখিলনী বিরাহমাতিকা ফী ‘ইবাদিকাসসা-লিহীন।

অর্থঃ

পরওয়ারদেগার! আমাকে আপনার ঐ নেয়ামতের শোকরগোযারির উপর থাকার তাওফীক দিন, যা আপনি দান করেছেন আমাকে ও আমার পিতামাতাকে এবং তাওফীক দিন ঐ নেক আমলের উপর থাকার, যা হবে আপনার পছন্দের। আর নিজ করুণায় আমাকে শামিল করুন আপনার নেককার বান্দাদের মধ্যে।৩০

.

দু‘আ-৩১

رَبِّ انْصُرْنِیْ عَلَی الْقَوْمِ الْمُفْسِدِیْنَ۠۝۳۰
অর্থঃ

পরওয়ারদেগার! আমাকে ফাসাদকারীদের বিরুদ্ধে বিজয়ী করুন।৩২

.

দু‘আ-৩২

رَبَّنَا وَسِعْتَ كُلَّ شَیْءٍ رَّحْمَةً وَّ عِلْمًا فَاغْفِرْ لِلَّذِیْنَ تَابُوْا وَ اتَّبَعُوْا سَبِیْلَكَ وَ قِهِمْ عَذَابَ الْجَحِیْمِ۝۷
অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আপনার করুণা ও জ্ঞান সবকিছুকে বেষ্টন করে আছে। সুতরাং ক্ষমা করুন তাদের, যারা তাওবা করেছে এবং আপনার পথে চলেছে। আর রক্ষা করুন তাদের জাহান্নামের আযাব থেকে (তাদের তাওবা ও সত্যের অনুসরণ তো আপনার অগোচরে থাকতেই পারে না। উপরন্তু আপনি পরম করুণাময়। সুতরাং নিশ্চয়ই তারা আপনার ক্ষমা থেকে বঞ্চিত হবে না)।৩৩

.

দু‘আ-৩৩

رَبَّنَا وَ اَدْخِلْهُمْ جَنّٰتِ عَدْنِ ِ۟الَّتِیْ وَعَدْتَّهُمْ وَ مَنْ صَلَحَ مِنْ اٰبَآىِٕهِمْ وَ اَزْوَاجِهِمْ وَ ذُرِّیّٰتِهِمْ ؕ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُۙ۝۸ وَ قِهِمُ السَّیِّاٰتِ ؕ وَ مَنْ تَقِ السَّیِّاٰتِ یَوْمَىِٕذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهٗ ؕ وَ ذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِیْمُ۠۝۹
অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! তাদের আপনি দাখিল করুন স্থায়ী আবাসের জান্নাতে, যার প্রতিশ্রুতি আপনি তাদের দিয়েছেন। (তেমনি) তাদের পিতামাতা, স্ত্রী ও সন্তানদের যারা নেককার, তাদেরও দাখিল করুন। (তাদের সাথে এবং তাদের মতো মর্তবা ও মর্যাদায়) নিঃসন্দেহে আপনিই পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়। এবং তাদের রক্ষা করুন সকল অনিষ্ট থেকে। আর সেই দিন (হিসাব- দিবসে) যাকে অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন, তাকে তো (বড়) রহমই করবেন। আর এ-ই হবে বড় কামিয়াবী।৩৪

.

দু‘আ-৩৫

اَنِّیْ مَغْلُوْبٌ فَانْتَصِرْ۝۱۰
অর্থঃ

(পরওয়ারদেগার!) আমি পরাজিত। সুতরাং (আমার পক্ষ হতে) প্রতিশোধ নিন।৩৬

১০.

দু‘আ-৩৬

رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَ لِاِخْوَانِنَا الَّذِیْنَ سَبَقُوْنَا بِالْاِیْمَانِ وَ لَا تَجْعَلْ فِیْ قُلُوْبِنَا غِلًّا لِّلَّذِیْنَ اٰمَنُوْا رَبَّنَاۤ اِنَّكَ رَءُوْفٌ رَّحِیْمٌ۠۝۱۰
অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! ক্ষমা করুন আমাদেরকে এবং আমাদের ঐ ভাইদেরকে, যারা ঈমানের সাথে আমাদের আগে চলে গেছে আর আমাদের অন্তরে ঈমানদারদের প্রতি বিদ্বেষ দিয়েন না। হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আপনি তো দয়াশীল, মেহেরবান। (আমাদের উপর আপনার দয়া ও করুণার ছায়াপাত ঘটিয়ে দিন। তাহলে আমাদের অন্তরগুলোও পরস্পর মিলিত হবে এবং পরস্পরের প্রতি কল্যাণকামিতায় পরিপূর্ণ থাকবে)।৩৭

১১.

দু‘আ-৩৭

رَبَّنَا عَلَیْكَ تَوَكَّلْنَا وَ اِلَیْكَ اَنَبْنَا وَ اِلَیْكَ الْمَصِیْرُ۝۴
অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমরা আপনারই উপর ভরসা করেছি এবং আপনারই দিক রুজু করেছি। আর আপনার কাছেই আমাদের প্রত্যাবর্তন। (অন্য কারো কাছে নয়)।৩৮

১২.

দু‘আ-৩৯

رَبَّنَاۤ اَتْمِمْ لَنَا نُوْرَنَا وَ اغْفِرْ لَنَا ۚ اِنَّكَ عَلٰی كُلِّ شَیْءٍ قَدِیْرٌ۝۸
অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! আমাদের জন্য আমাদের নূর কামিল করে দিন এবং আমাদের মাফ করে দিন। নিশ্চয়ই আপনি সব বিষয়ে শক্তিমান। (আপনি তো ঈমানহীন লোকদেরও ঈমানের আলো দান করতে পারেন। তাহলে যাদের আপনি ঈমানের নূর দান করেছেন, তাদের এই নূর পরিপূর্ণ করে দিন।)৪০

১৩.

দু‘আ-৪০

رَبِّ اغْفِرْ لِیْ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِمَنْ دَخَلَ بَیْتِیَ مُؤْمِنًا وَّ لِلْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ ۠۝۲۸
অর্থঃ

পরওয়ারদেগার! ক্ষমা করুন আমাকে ও আমার পিতামাতাকে। আর যে আমার ঘরে মুমিন হয়ে প্রবেশ করেছে তাকে এবং সকল মুমিন পুরুষ ও নারীকে।৪১

১৪.

দু‘আ-২৫

رَبِّ اَعُوْذُ بِكَ مِنْ هَمَزٰتِ الشَّیٰطِیْنِۙ۝۹۷ وَ اَعُوْذُ بِكَ رَبِّ اَنْ یَّحْضُرُوْنِ۝۹۸
উচ্চারণঃ

রাব্বি আ‘ঊযুবিকা মিন হামাঝা-তিশশাইয়া-তীন। ওয়া আ‘ঊযুবিকা রাব্বি আইঁ ইয়াহদু রূন।

অর্থঃ

পরওয়ারদেগার! আমি আশ্রয় নিচ্ছি শয়তানকুলের ওয়াসওয়াসা থেকে। আরো আশ্রয় নিচ্ছি, পরওয়ারদেগার! আমার কাছে তাদের উপস্থিতি থেকে।২৭

১৫.

দু‘আ-২৩

رَبِّ لَا تَذَرْ نِیْ فَرْدًا وَّ اَنْتَ خَیْرُ الْوٰرِثِیْنَۚۖ۝۸۹
উচ্চারণঃ

রাব্বি লা-তাযারনী ফারদাওঁ ওয়া আনতা খাইরুল ওয়ারিছীন।

অর্থঃ

পরওয়ারদেগার! আমাকে একা (নিঃসন্তান) অবস্থায় রাখবেন না। আর আপনিই তো সকল ওয়ারিছের শ্রেষ্ঠ ওয়ারিছ।২৫

১৬.

দু‘আ-২৭

رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖۗ اِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًاۗۖ۝۶۵
উচ্চারণঃ

রাব্বানাসরিফ ‘আন্না-‘আযা-বা জাহান্নামা ইন্না ‘আযা-বাহাকা-না গারা-মা-।

অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! জাহান্নামের আযাবকে আমাদের থেকে দূরে সরিয়ে দিন। জাহান্নামের আযাব তো পূর্ণ বরবাদী। (যা আমাদের সহনক্ষমতার অতীত)।২৮

১৭.

দু‘আ-৩০

رَبِّ اِنِّیْ لِمَاۤ اَنْزَلْتَ اِلَیَّ مِنْ خَیْرٍ فَقِیْرٌ۝۲۴
উচ্চারণঃ

রাব্বি ইন্নী লিমাআনঝালতা ইলাইইয়া মিন খাইরিন ফাকীর।

অর্থঃ

পরওয়ারদেগার! আপনি আমার জন্য যে কল্যাণ অবতীর্ণ করবেন, আমি তার মুখাপেক্ষী।৩১

১৮.

দু‘আ-৩৪

وَ اَصْلِحْ لِیْ فِیْ ذُرِّیَّتِیْ ؕۚ اِنِّیْ تُبْتُ اِلَیْكَ وَ اِنِّیْ مِنَ الْمُسْلِمِیْنَ۝۱۵
অর্থঃ

আর আমার জন্য আমার সন্তানদের মাঝেও (কল্যাণের) যোগ্যতা স্থাপন করুন। আমি তো আপনার দিকে রুজু করেছি এবং আমি ফরমাবরদারদের একজন।৩৫

১৯.

দু‘আ-৩৮

رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلَّذِیْنَ كَفَرُوْا وَ اغْفِرْ لَنَا رَبَّنَا ۚ اِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِیْزُ الْحَكِیْمُ۝۵
অর্থঃ

হে আমাদের পরওয়ারদেগার! যারা কুফর করেছে, তাদের জুলুমের লক্ষ্যবস্তু আমাদের কোরেন না এবং হে পরওয়ারদেগার! আপনি আমাদের মাফ করে দিন। নিশ্চয়ই আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।৩৯

২০.

দু‘আ-৪১

اَللّٰهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَايَ بِمَآءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ، وَنَقِّ قَلْبِيْ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ، وَبَاعِدْ بَيْنِيْ وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ.
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! বরফ ও শিলার পানি দ্বারা আমার গুনাহসমূহ ধুয়ে দিন এবং আমার অন্তরকে গুনাহ থেকে এমন পরিষ্কার করুন, যেমন সাদা কাপড়ের ময়লা পরিষ্কার করা হয় আর আমার ও আমার গুনাহসমূহের মাঝে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করুন যেমন দূরত্ব আপনি সৃষ্টি করেছেন পূর্ব-পশ্চিমের মাঝে।৪২