দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৩ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

সূরা আল ফাত্‌হ (আয়াত নং: ১৮)

۞ لَقَدْ رَضِیَ اللہُ عَنِ الْمُؤْمِنِیۡنَ اِذْ یُبَایِعُوۡنَکَ تَحْتَ الشَّجَرَۃِ فَعَلِمَ مَا فِیۡ قُلُوۡبِہِمْ فَاَنۡزَلَ السَّکِیۡنَۃَ عَلَیۡہِمْ وَ اَثَابَہُمْ فَتْحًا قَرِیۡبًا ﴿ۙ۱۸﴾
অর্থঃ

আল্লাহ্ তো মু’মিনগণের উপর সন্তুষ্ট হলেন যখন তারা বৃক্ষতলে তোমার নিকট বায়‘আত গ্রহণ করল, তাদের অন্তরে যা ছিল তা তিনি অবগত ছিলেন; তাদেরকে তিনি দান করলেন প্রশান্তি এবং তাদেরকে পুরস্কার দিলেন আসন্ন বিজয়।

.

চিন্তামুক্ত সফরের দু‘আ

۞ رَبِّ اَدْخِـلْـنِـىْ مُـدْخَـلَ صِـدْقٍ وَّاَخْـرِجْـنِـىْ مُـخْـرَجَ صِـدْقٍ وَّاجْـعَـلْ لِّـىْ مِـنْ لَّدُنْـكَ سُلْطَانًا نَصِيْرًا
উচ্চারণঃ

রাব্বি আদ্‌খিল্‌নি মুদ্‌খালা সিদক্বিও ওয়া আখ্‌রিযনি মুখ্‌রাজা সিদ্‌কিও ওয়াজা’আল্লি মিল্লাদুন্‌কা সুল্‌তা-নান্ন নাসি-রা।

অর্থঃ

হে আমার প্রতিপালক! আমাকে প্রবেশ করাও কল্যাণের সাথে এবং আমাকে নিষ্ক্রান্ত বাহির করাও কল্যাণের সাথে এবং তোমার নিকট হতে আমাকে দান করো সাহায্যকারী শক্তি।

.

ঘর থেকে বের হওয়ার দু‘আ-১

۞ بِسْمِ اللهِ تَوَكَّلْتُ عَلَى اللهِ. لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহি, লা হাউলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

অর্থঃ

আল্লাহ তা‘আলার নামে (বের হলাম), আমি আল্লাহ তা‘আলার উপর ভরসা করলাম। আল্লাহর তাওফিক ছাড়া গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা বা কোনো নেক কাজ করা সম্ভব নয়।

.

ঘরে প্রবেশ করার সময়ের দু‘আ-১

۞ اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْاَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللهِ وَلَجْنَا وَ بِسْمِ اللهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা খাইরাল মাওলিজি ওয়া খাইরাল মাখরাজি, বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা ওয়া বিসমিল্লাহি খারাজনা ওয়া ‘আলাল্লাহি রব্বিনা তাওয়াক্কালনা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট ভিতরে প্রবেশ করার এবং বের হবার মঙ্গল কামনা করছি। আমরা আল্লাহ তা‘আলার নামে প্রবেশ করলাম এবং আল্লাহর নামে বের হলাম এবং আমরা আমাদের প্রতিপালক আল্লাহর উপর ভরসা করলাম।

.

সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের দু‘আ

۞ اٰئِـبُوْنَ تَائِبُوْنَ عَا بِدُوْنَ لِرَبِّنَا حَامِدُوْنَ
উচ্চারণঃ

আাইবূনা তাইবূনা লিরব্বিনা হামিদূন।

অর্থঃ

আমরা এখন সফর হতে প্রত্যাবর্তন করছি। (নিজেদের গুনাহ হতে) তওবা করছি, (আল্লাহ পাকের) ইবাদতের ইরাদা করছি এবং আমাদের প্রতিপালকের প্রশংসা করছি।

.

সফরকারীদের জন্য বাসিন্দাদের দু‘আ-৩

۞ اَللّٰهُمَّ اطْوِ لَهُ الْبُعْدَ، وَهَوِّنْ عَلَيْهِ السَّفَرَ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মাত্ববি লাহুল বু’দা ওয়াহাওবিন আলাইহিস সাফার।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! তুমি তার পথের দূরত্ব গুটিয়ে দিয়ো এবং তার জন্য সফর আসান করে দিয়ো।

.

সফরকারীদের জন্য বাসিন্দাদের দু‘আ-২

۞ زَوَّدَكَ اللهُ التَّقْوَى ، وَغَفَرَ ذَنْبَكَ ، وَيَسَّرَ لَكَ الْخَيْرَ حَيْثُمَا كُنْتَ
উচ্চারণঃ

যাউওয়াদাকাল্লা-হুত্ তাক্বওয়া, ওয়াগাফারা যামবাকা, ওয়া ইয়াসসারা লাকাল খাইরা হাইসুমা কুন্ত্।

অর্থঃ

আল্লাহ তোমাকে তাকওয়া (সংযমশীলতার-পাথেয়) প্রদান করুন, তোমার গোনাহ মাফ করে দিন, তুমি যেখানেই থাক, আল্লাহ যেন তোমার জন্য কল্যাণ সহজ করে দেন।

.

১১৯. ঘরে প্রবেশ করার সময়ের দু‘আ-২

۞ اَلسَّلَامُ عَلَيْكُمْ وَرَحْمَةُ اللهِ
উচ্চারণঃ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহ্মাতুল্লাহ।

অর্থঃ

আল্লাহর পক্ষ হতে তোমাদের উপর শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হউক।

.

ঘর থেকে বের হওয়ার দু‘আ-২

۞ اَللّٰهُمَّ سَلِّمْنِيْ وَسَلِّمْ مِنِّيْ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা সাল্লিমনি ওয়া সাল্লিম মিন্নি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমাকে নিরাপদ রাখো এবং আমার থেকে (অন্যদেরও) নিরাপদ রাখো।

১০.

উপরে ওঠার সময় পড়বে

۞ اَللّٰهُ اَكْبَرْ
উচ্চারণঃ

আল্লাহু আকবার।

অর্থঃ

আল্লাহ সবচেয়ে বড়।

১১.

নৌযান ও উড়োজাহাজে আরোহণের দু‘আ-২

۞ بِسْمِ اللهِ مَجْرٖهَا وَمُرْسَاهَا. اِنَّ رَبِّـيْ لَغَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ وَمَا قَدَرُوْا اللهَ حَقَّ قَدْرِهٖ وَالْاَرْضُ جَمِيْعًا قَبْضَتُهٗ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَالسَّمٰوٰتُ مَطْوِيَّاتُٗ بِيَمِيْنِهٖ سُبْحَانَهٗ وَتَعَالٰى عَمَّا يُشْرِكُوْنَ
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়া মুরসাহা ইন্না রব্বী লাগাফূরুর রহীম। ওয়ামা ক্বদারুল্লাহা হাক্কা ক্বদরিহী ওয়াল আরযু জামী-‘আন ক্ববযতুহূ ইয়াউমাল ক্বিয়ামাহ, ওয়াস সামাওয়াতু মাত্ববিয়্যাতুম বিইয়ামীনিহ, সুবহানাহু ওয়াতা ‘আালা ‘আম্মা ইয়ুশরিকূন।

অর্থঃ

আল্লাহ তা‘আলার নামেই এর চলা ও অবস্থান করা। নিশ্চয় আমার প্রতিপালক অত্যন্ত ক্ষমাশীল, অতিশয় দয়ালু। তারা আল্লাহর যথোচিত সম্মান করে নাই। কিয়ামতের দিন সমস্ত পৃথিবী তাঁর হাতের মুষ্টিতে থাকবে এবং আকাশমণ্ডলী থাকবে ভাঁজ করা অবস্থায় তাঁর ডান হাতে। পবিত্র ও মহান তিনি। তাদের শিরক থেকে তিনি বহু ঊর্ধ্বে।

১২.

সূরা কাফিরুন, নাসর, ইখলাস, ফালাক্ব, ও নাস এর আমল

১৩.

নব দম্পত্তিকে এই বলে দু‘আ দিবে

۞ بَارَكَ اللهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِىْ خَيْرٍ
উচ্চারণঃ

বারকাল্লাহু লাকা ওয়া বারাকা ‘আলাইকা ওয়া জামা‘আ বাইনাকুমা ফী খইর।

অর্থঃ

আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে বরকতপূর্ণ করুন এবং তোমার উপর বরকত অবতীর্ণ করুন এবং তোমাদের উভয়কে মঙ্গলময় সম্পর্ক দান করুন।

১৪.

স্ত্রীর সাথে প্রথম সাক্ষাতের সময় তার কপালে হাত রেখে এ দু‘আ পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ اِنِّيْ اَسْئَلُكَ مِنْ خَيْرِهَا وَخَيْرِ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ . وَاَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّهَا وَشَرِّ مَا جُبِلَتْ عَلَيْهِ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন্নী আস আলুকা মিন খইরিহা ওয়া খইরি মা জুবিলাত ‘আলাইহি, ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি মা জুবিলাত ‘আলাইহি।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট এ বিবির কল্যাণ এবং যে কল্যাণের উপর তাকে সৃষ্টি করেছেন, তা প্রার্থনা করছি এবং বিবির অনিষ্টতা এবং যে অনিষ্টতার উপর তাকে সৃষ্টি করেছেন তা থেকে পানাহ চাচ্ছি।

১৫.

সহবাসের পূর্বে এই দু‘আ পড়বে

۞ بِسْمِ اللّٰهِ اَللّٰهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
উচ্চারণঃ

বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিবনাশ শাইত্বনা ওয়া জান্নিবিশ শাইত্বনা মা রযাক্বতানা।

অর্থঃ

আল্লাহর নামে (সহবাস) আরম্ভ করছি। হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে শয়তান হতে রক্ষা করুন এবং আপনি আমাদেরকে যে সন্তান দান করবেন তাকে শয়তান হতে রক্ষা করুন।

১৬.

বীর্যপাতের সময় (মনে মনে) এই দু‘আ পড়বে

۞ اَللّٰهُمَّ لَا تَجْعَلْ لِلشَّيْطَانِ فِيْمَا رَزَقْتَنَا نَصِيْبًا
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা লা তাজ‘আল লিশ শাইত্বানি ফী মা রযাক্বতানা নাসীবা।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনি আমাদেরকে যে সন্তান দান করবেন তাতে শয়তানের কোনো অংশ রাখবেন না।

১৭.

৩০৯ সূরা আত তাওবাহ্ (আয়াত নং: ৪০)

۞ إِلَّا تَنْصُرُوْهُ فَقَدْ نَصَرَهُ اللّٰهُ إِذْ أَخْرَجَهُ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا ثَانِيَ اثْنَيْنِ إِذْ هُمَا فِي الْغَارِ إِذْ يَقُوْلُ لِصَاحِبِه لَا تَحْزَنْ إِنَّ اللّٰهَ مَعَنَا فَأَنْزَلَ اللّٰهُ سَكِيْنَتَه عَلَيْهِ وَأَيَّدَه بِجُنُوْدٍ لَمْ تَرَوْهَا وَجَعَلَ كَلِمَةَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا السُّفْلَى وَكَلِمَةُ اللّٰهِ هِيَ الْعُلْيَا وَاللّٰهُ عَزِيْزٌ حَكِيْمٌ ﴿ۙ۴۰﴾
অর্থঃ

যদি তোমরা তাকে সাহায্য না কর, তবে আল্লাহ্ তো তাকে সাহায্য করেছিলেন যখন কাফিররা তাকে বহিষ্কার করেছিল আর সে ছিল দুইজনের দ্বিতীয় জন, যখন তারা উভয়ে গুহার মধ্যে ছিল ; সে তখন তার সঙ্গীকে বলেছিল, ‘বিষণ্ণ হয়ো না, আল্লাহ্ তো আমাদের সঙ্গে আছেন।’ এরপর আল্লাহ্ তাঁর উপর তাঁর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং তাকে শক্তিশালী করেন এমন এক সৈন্যবাহিনী দিয়ে যা তোমরা দেখ নাই; আর তিনি কাফিরদের কথা হেয় করেন। আল্লাহর কথাই সর্বোপরি এবং আল্লাহ্ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

১৮.

সূরা আল ফাত্‌হ (আয়াত নং: ২৬)

۞ إِذْ جَعَلَ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فِيْ قُلُوْبِهِمُ الْحَمِيَّةَ حَمِيَّةَ الْجَاهِلِيَّةِ فَأَنْزَلَ اللّٰهُ سَكِيْنَتَه عَلٰى رَسُوْلِه وَعَلَى الْمُؤْمِنِيْنَ وَأَلْزَمَهُمْ كَلِمَةَ التَّقْوٰى وَكَانُوْا أَحَقَّ بِهَا وَأَهْلَهَا وَكَانَ اللّٰهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيْمًا ﴿ۙ۲۶﴾
অর্থঃ

যখন কাফিররা তাদের অন্তরে পোষণ করত গোত্রীয় অহমিকা-অজ্ঞতার যুগের অহমিকা, তখন আল্লাহ্ তাঁর রাসূল ও মু’মিনদেরকে স্বীয় প্রশান্তি দান করলেন ; আর তাদেরকে তাক্ওয়ার বাক্যে সুদৃঢ় করলেন, এবং তারাই ছিল এটার অধিকতর যোগ্য ও উপযুক্ত। আল্লাহ সমস্ত বিষয়ে সম্যক জ্ঞান রাখেন।

১৯.

নাবালক মাইয়্যেতের জন্য দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ أَعِذْهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হুম্মা আ‘য়িযহু মিন আযা-বিল ক্বাবরি

অর্থঃ

হে আল্লাহ! এ শিশুকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন।

২০.

দু‘আ-৯৫

اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ أَوَّلَ هٰذَا النَّهَارِ صَلَاحًا، وَأَوْسَطَهٗ فَلَاحًا، وَاٰخِرَهٗ نَجَاحًا. أَسْأَلُكَ خَيْرَ الدُّنْيَا وَالْاٰخِرَةِ يَاۤ أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ.
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! এই দিবসের প্রথম অংশ আমার জন্য ‘পুণ্যময়’ করুন। মাঝের অংশ ‘সফল’ ও শেষের অংশ ‘সার্থক’ করুন। হে সকল দয়ালুর বড় দয়ালু! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি দুনিয়া-আখিরাত (উভয়ের) কল্যাণ।৯৬