দু’আ

মোট দু’আ - ৬১৩ টি

সকল দু'আ একত্রে দেখুন

.

দু‘আ-১২২

اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ شُكْرًا، وَلَكَ الْمَنُّ فَضْلًا. اَللّٰهُمَّ إِنِّيْۤ أَسْأَلُكَ التَّوْفِيْقَ لِمَحَآبِّكَ مِنَ الْأَعْمَالِ، وَصِدْقَ التَّوَكُّلِ عَلَيْكَ، وَحُسْنَ الظَّنِّ بِكَ.
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! কৃতজ্ঞতা প্রশংসা আপনারই প্রাপ্য। আর আপনারই দান খাঁটি দয়ার দান।১১৯ ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে তাওফীক চাই ঐসব আমলের, যা আপনার প্রিয় এবং তাওফীক চাই আপনার উপর সত্য ভরসা করার ও আপনার প্রতি সুধারণা পোষণ করার।

.

মুনাজাত শেষ করার নিয়ম দু‘আ-মুনাজাত হামদ, সালাত এবং আমীনের মাধ্যমে শেষ করা সুন্নাত। যেমন এভাবে শেষ করা যেতে পারে-

۞ سُبْحَانَ رَبِّكَ رَبِّ الْعِزَّةِ عَمَّا يَصِفُوْنَ، وَسَلَامٌ عَلَى الْمُرْسَلِيْنَ. وَالْحَمْدُ لِلّٰهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ- اَللّٰهُمَّ اٰمِيْنْ
উচ্চারণঃ

সুবহানা রাব্বিকা রাব্বিল ইযযাতি আম্মা ইয়াসিফুন, ওয়া সালামুন আ‘লাল মুরসালিন, ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন।

অর্থঃ

আপনার প্রতিপালক যিনি সকল ক্ষমতার অধিকারী তিনি পবিত্র ঐ সকল কথা থেকে যা কাফিররা বলে থাকে এবং নবীদের প্রতি সালাম বর্ষিত হোক এবং সমস্ত প্রশংসা বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহ তা‘আলার জন্য।

.

নতুন কাপড় পরিধানের দু‘আ-১

۞ اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ كَسَانِىْ مَا اُوَارِيْ بِهٖ عَوْرَتِـيْ وَاَتَجَمَّلُ بِهٖ فِيْ حَيَاتِيْ
উচ্চারণঃ

আলহামদু লিল্লাহিল্লাযী কাসানী মা উওয়ারী বিহী ‘আউরতী ওয়া আতা জামমালু বিহী ফী হায়াতী।

অর্থঃ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি আমাকে কাপড় পরিধান করিয়েছেন, এই কাপড় দিয়ে আমি আমার সতর ঢাকি এবং তা দিয়ে আমি আমার জিন্দেগিতে সাজসজ্জা হাসিল করি।

.

নতুন কাপড় পরিধানের দু‘আ-২

۞ اَللّٰهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ كَسَوْتَنِيْهِ ، أَسْأَلُكَ مِنْ خَيْرِهٖ وَخَيْرِ مَا صُنِعَ لَهٗ ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ هٖ وَشَرِّ مَا صُنِعَ لَهٗ
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা লাকাল হামদু আংতা কাসাওতানিহি আসআলুকা মিন খাইরিহি ওয়া খাইরি মা ছুনি‘আ লাহু, ওয়া আঊযুবিকা মিন শাররিহি ওয়া শাররি-মা ছুনি‘আ লাহু।

অর্থঃ

হে আল্লাহ! আপনারই সকল প্রশংসা। আপনিই আমাকে এই পোশাকটি পরিধান করিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ প্রর্থনা করছি এবং যে উদ্দেশ্যে এ কাপড় প্রস্তুত করা হয়েছে তার কল্যাণ প্রার্থনা করছি। আর আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি এর অকল্যাণ থেকে এবং যে উদ্দেশ্যে এ কাপড় প্রস্তুত করা হয়েছে তার অকল্যাণ থেকে।

.

কাউকে নতুন পোশাক পরিধান করতে দেখলে-১

۞ تُبْلِيْ وَيُخْلِفُ اللهُ تَعَالٰى
উচ্চারণঃ

তুবলি ওয়া ইয়ুখলিফুল্লাহু তা‘আলা।

অর্থঃ

এই পোশাক তোমার দেহেই পুরাতন ও জীর্ণ হয়ে যাক এবং মহান আল্লাহ এর পরিবর্তে অন্য পোশাক তোমাকে দান করুন।

.

কাউকে নতুন পোশাক পরিধান করতে দেখলে-২

۞ اِلْبَسْ جَدِيْدًا. وَعِشْ حَمِيْدًا. وَمُتْ شَهِيْدًا
উচ্চারণঃ

ইলবাস জাদীদান, ওয়া ‘ঈশ হামীদান, ওয়া মুত শাহী দান।

অর্থঃ

তুমি নতুন কাপড় পরো, প্রশংসিত জীবন লাভ করো এবং শহীদি মৃত্যুবরণ করো। (অর্থাৎ আল্লাহ যেন তোমাকে এ সকল নেয়ামত দান করেন।

.

৩১০ সূরা আল ফাত্‌হ (আয়াত নং: ৪)

۞ هُوَ الَّذِیۡۤ اَنۡزَلَ السَّکِیۡنَۃَ فِیۡ قُلُوۡبِ الْمُؤْمِنِیۡنَ لِیَزْدَادُوۡۤا اِیۡمَانًا مَّعَ اِیۡمَانِہِمْ ؕ وَ لِلّٰهِ جُنُوۡدُ السَّمٰوٰتِ وَ الْاَرْضِ ؕ وَ کَانَ اللہُ عَلِیۡمًا حَکِیۡمًا ۙ﴿۴﴾
অর্থঃ

তিনিই মু’মিনদের অন্তরে প্রশান্তি দান করেন যেন তারা তাদের ঈমানের সঙ্গে ঈমান দৃঢ় করে নেয়, আকাশমণ্ডলী ও পৃথিবীর বাহিনীসমূহ আল্লাহরই এবং আল্লাহ্ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।

.

বদনজরের আয়াত-১

۞ اَمْ یَحْسُدُوۡنَ النَّاسَ عَلٰی مَاۤ اٰتٰہُمُ اللّٰہُ مِنۡ فَضْلِہٖ ۚ فَقَدْ اٰتَیۡنَاۤ اٰلَ اِبْرٰهِيْمَ الْکِتٰبَ وَالْحِكْمَۃَ وَاٰتَیۡنٰہُمۡ مُّلْكًا عَظِیۡمًا ﴿۵۴﴾
অর্থঃ

বরং তারা কি লোকদেরকে হিংসা করে, আল্লাহ স্বীয় অনুগ্রহে তাদেরকে যা দিয়েছেন তার কারণে? তাহলে তো আমি ইবরাহীমের বংশধরকে কিতাব ও হিকমত দান করেছি এবং তাদেরকে দিয়েছি বিশাল রাজত্ব।

.

হাই আসলে পড়বে

۞ لَاحَوْلَ وَلَاقُوَّةَ اِلَّابِاللهِ الْعَلِىِّ الْعَظِيْمِ
উচ্চারণঃ

লা-হাওলা ওয়ালা-কুওয়্যাতা ইল্লা-বিল্লা-হিল্ আলিয়্যিল্ আযীম।

অর্থঃ

কোন শক্তি নেই। কোন সামর্থ্য নেই একমাত্র মহান আল্লাহ ছাড়া।

১০.

হাঁচি দিলে পড়বে

۞ اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ
উচ্চারণঃ

আলহামদুলিল্লাহ

অর্থঃ

সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য।

১১.

যে ব্যক্তি হাঁচি শুনবে সে বলবে

۞ يَرْحَمُكَ اللهُ
উচ্চারণঃ

ইয়ার হামুকাল্লাহ

অর্থঃ

আল্লাহ আপনার প্রতি দয়া করুন।

১২.

এরপর হাঁচিদাতা বলবে

۞ يَهْدِيْكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَالَكُمْ
উচ্চারণঃ

ইয়াহ্‌ দিকুমুল্লহু ওইয়ুছ লিহু বালাকুম

অর্থঃ

আল্লাহ আপনাকে হিদায়াত দান করুন। এবং আপনার অবস্থা ভালো করে দিন।

১৩.

কেউ উপকার করলে তাঁর জন্যে এই বলে দু‘আ করবে

۞ جَزَاكَ اللّٰهُ خَيْرًا
উচ্চারণঃ

জাযাকাল্লাহু খাইরান।

অর্থঃ

আল্লাহ তা’আলা আপনাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন।

১৪.

কাউকে হাসিমুখে দেখলে পড়বে

۞ اَضْحَكَ اللّٰهُ سِنَّكَ
উচ্চারণঃ

আয হাকাল্লাহু সিন্নাকা।

অর্থঃ

আল্লাহ পাক আপনাকে সর্বদা হাসিমুখ রাখুন।

১৫.

যে ব্যক্তি বলবে,আমি আপনাকে আল্লাহ্‌র জন্য ভালোবাসি তার জন্য দু‘আ

۞ أَحَبَّكَ الَّذِيْ أَحْبَبْتَنِيْ لَهٗ
উচ্চারণঃ

আহাব্বাকাল্লাযী আহবাবতানী লাহু

অর্থঃ

যাঁর (আল্লাহর) জন্য আপনি আমাকে ভালোবেসেছেন, তিনি আপনাকে ভালোবাসুন!

১৬.

কেউ বরকতের দু‘আ করলে বলবে

۞ وَفِيْكَ بَارَكَ اللهُ
উচ্চারণঃ

ওয়াফীকা বারাকাল্লাহু

অর্থঃ

আপনাকেও আল্লাহ বরকত দান করুক।

১৭.

দু‘আ-১২৩

اَللّٰهُمَّ افْتَحْ مَسَامِـعَ قَلْبِيْ لِذِكْرِكَ، وَارْزُقْنِيْ طَاعَتَكَ وَطَاعَةَ رَسُوْلِكَ وَعَمَلًا بِۢـكِتَابِكَ.
অর্থঃ

ইয়া আল্লাহ! আমার অন্তরের কানসমূহ খুলে দিন আপনার যিকির (উপদেশ) শোনার জন্য আর আমাকে দান করুন আপনার ফরমাবরদারী, আপনার রাসূলের ফরমাবরদারী ও আপনার কিতাবের উপর আমলের তাওফীক।

১৮.

শাসকের অত্যাচারের ভয় করলে ৩ বার পড়বে

اللَّهُ أَكْبَرُ، اللَّهُ أَعَزُّ مِنْ خَلْقِهِ جَمِيعاً، اللَّهُ أَعَزُّ مِمَّا أَخَافُ وَأَحْذَرُ، أَعُوذُ بِاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ، الْمُمْسِكِ السَّمَوَاتِ السَّبْعِ أَنْ يَقَعْنَ عَلَى الْأَرْضِ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، مِنْ شَرِّ عَبْدِكَ فُلاَنٍ، وَجُنُودِهِ وَأَتْبَاعِهِ وَأَشْيَاعِهِ، مِنْ الْجِنِّ وَالإِنْسِ، اللَّهُمَّ كُنْ لِي جَاراً مِنْ شَرِّهِمْ، جَلَّ ثَنَاؤُكَ وَعَزَّ جَارُكَ، وَتَبَارَكَ اسْمُكَ، وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণঃ

আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হু আ‘আয্যু মিন খালক্বিহী জামী‘আন। আল্লাহু আ‘আয্যু মিম্মা আখা-ফু ওয়া আহযারু। আউযু বিল্লা-হিল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল মুমসিকুস্ সামা-ওয়া-তিস সাব‘ঈ, আন ইয়াকা‘না আলাল্ আরদ্বি ইল্লা বিইযনিহী, মিন শাররি ‘আবদিকা ফুলা-নিন, ওয়া জুনূদিহী ওয়া আতবা‘ইহী ওয়া আশইয়া‘ইহী মিনাল জিন্নি ওয়াল ইনসি। আল্লা-হুম্মা কুন লী জা-রান মিন শাররিহিম, জাল্লা সানা-উকা ওয়া ‘আয্যা জা-রুকা ওয়াতাবা-রকাসমুকা ওয়া লা ইলা-হা গাইরুকা

অর্থঃ

“আল্লাহ সবচেয়ে বড়, আল্লাহ তাঁর সমস্ত সৃষ্টি থেকে মহামর্যাদাবান। আমি যা থেকে ভীত ও শঙ্কিত তার চেয়ে আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী। আমি আল্লাহ্‌র কাছে আশ্রয় চাই, যিনি ছাড়া আর কোনো হক্ব ইলাহ নেই, যিনি সাত আসমানের ধারণকারী, তার অনুমতি ব্যতীত পৃথিবীর উপর পতিত হওয়া থেকে— (আশ্রয় চাই) তাঁর অমুক বান্দা, তার সৈন্য-সামন্ত, তার অনুসারী ও তার অনুগামী জিন ও ইনসানের অনিষ্ট থেকে। হে আল্লাহ! তাদের ক্ষতি থেকে আপনি আমার জন্য আশ্রয়দানকারী হোন। আপনার গুণগান অতি মহান, আপনার আশ্রিত প্রবল শক্তিশালী, আপনার নাম অতি বরকতময়। আর আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।”

১৯.

সাপের ভয় হলে এ দু‘আ পড়বে

۞ اِنَّا نَسْئَلُكَ بِعَهْدِ نُوْحٍ وَبِعَهْدِ سُلَيْمَانَ بْنِ دَاوُوْدَ اَنْ لَّا تُؤْذِيْنَا
উচ্চারণঃ

ইন্না নাসআলুকা বি‘আহদি নূহিন ওয়া বি‘আহদি সুলাই মানাবনি দাউদা আন লা তু’যীনা।

অর্থঃ

ওহে সাপ! আমরা নূহ্ আলাইহিস সালাম এবং সুলাইমান আলাইহিস সালামের অঙ্গীকারের কথা তোদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি। তোরা আমাদের কষ্ট দিস না।

২০.

ধর্ষণে উদ্যত ব্যক্তির শিকার বিপন্ন নারীর দু‘আ

۞ اَللّٰهُمَّ إِنْ كُنْتُ اٰمَنْتُ بِكَ وَبِرَسُوْ لِكَ فَلاَ تُسَلِّطْ عَلَىَّ الْكَافِرَ‏
উচ্চারণঃ

আল্লাহুম্মা ইন কুনতু আমানতু বিকা, ওয়া বিরাসূলিকা, ফালা তুসাল্লিত্ব আলাইয়্যাল কাফির।

অর্থঃ

হে আল্লাহ, আমি যদি আপনার উপর ও আপনার রাসূলের উপর বিশ্বাস স্থাপন করে থাকি, তাহলে এই কাফিরকে আমার উপর চাপিয়ে দিবেন না।