মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত শরীফ)

مشكاة المصابيح للتبريزي

২৮- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা - এর পরিচ্ছেদসমূহ

মোট হাদীস টি

হাদীস নং: ৫৪২৬
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবিগ্রহ সম্পৰ্কীয়
৫৪২৬। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে বুসর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ বিশ্বযুদ্ধ ও মদীনার (শহরটির) বিজয়ের মধ্যে ছয় বৎসরের ব্যবধান হইবে এবং সপ্তম বৎসরে দাজ্জালের আবির্ভাব ঘটিবে। — আবু দাউদ এবং তিনি বলিয়াছেন, এই হাদীসটি অধিক সহীহ্ ।
كتاب الفتن
وَعَن عبد الله بن بُسر أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «بَيْنَ الْمَلْحَمَةِ وَفَتْحِ الْمَدِينَةِ سِتُّ سِنِينَ وَيَخْرُجُ الدَّجَّالُ فِي السَّابِعَةِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَقَالَ: هَذَا أصح
হাদীস নং: ৫৪২৭
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবিগ্রহ সম্পৰ্কীয়
৫৪২৭। হযরত ইবনে উমর (রাঃ) বলিয়াছেন, অদূর ভবিষ্যতে মুসলমানগণ মদীনায় অবরুদ্ধ হইবে এবং তাহাদের দূর প্রান্ত-সীমা হইবে সালাহ্ পর্যন্ত। আর ‘সালাহ্” হইল খয়বরের নিকটবর্তী একটি জায়গার নাম। –আবু দাউদ
كتاب الفتن
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: يُوشِكُ الْمُسْلِمُونَ أَنْ يُحَاصَرُوا إِلَى الْمَدِينَةِ حَتَّى يَكُونَ أَبْعَدَ مَسَالِحِهِمْ سَلَاحٌ وَسَلَاحٌ: قَرِيبٌ مِنْ خَيْبَرَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৫৪২৮
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবিগ্রহ সম্পৰ্কীয়
৫৪২৮। হযরত যূমিখবার (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি; অদূর ভবিষ্যতে তোমরা রোমকদের সহিত একটি শান্তি-চুক্তি সম্পাদন করিবে। অতঃপর তোমরা ও তাহারা যৌথভাবে অপর একটি শত্রুদলের মুকাবিলা করিবে। উহাতে (আল্লাহ্ তা'আলার পক্ষ হইতে) তোমাদিগকে সাহায্য করা হইবে, তোমরা গনীমতও লাভ করিবে এবং নিরাপদে থাকিবে। তারপর তোমরা (উভয় দল) প্রত্যাবর্তন করিবে, অবশেষে তোমরা টিলাযুক্ত একটি প্রশস্ত ও সুজলা-সুফলা স্থানে অবতরণ করিবে। সেখানে খৃষ্টানদের এক ব্যক্তি একটি ক্রুশ উত্তোলন করিয়া বলিবে, ক্রুশের বরকতে আমরা বিজয় লাভ করিয়াছি। ইহা শুনিয়া মুসলমানদের এক ব্যক্তি ক্ষুব্ধ হইয়া ক্রুশটি ভাঙ্গিয়া ফেলিবে। ফলে রোমক নাসারাগণ চুক্তি ভঙ্গ করিয়া ফেলিবে এবং ভীষণ যুদ্ধের জন্য বিরাট সেনাবাহিনী একত্রিত করিবে। কোন কোন বর্ণনাকারী অতিরিক্ত বলিয়াছেন, তখন মুসলমানগণ সাথে সাথে আপন অস্ত্রসমূহ ধারণ করিবে এবং যুদ্ধে লিপ্ত হইয়া পড়িবে। অবশেষে আল্লাহ্ তা'আলা এই দলকে শাহাদত দ্বারা সম্মানিত করিবেন। –আবু দাউদ
كتاب الفتن
وَعَن ذِي مِخبَرٍ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: سَتُصَالِحُونَ الرُّومَ صُلْحًا آمِنًا فَتَغْزُونَ أَنْتُمْ وَهُمْ عَدُوًّا مِنْ وَرَائِكُمْ فَتُنْصَرُونَ وَتَغْنَمُونَ وَتَسْلَمُونَ ثُمَّ تَرْجِعُونَ حَتَّى تَنْزِلُوا بِمَرْجٍ ذِي تُلُولٍ فَيَرْفَعُ رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ النَّصْرَانِيَّةِ الصَّلِيبَ فَيَقُولُ: غَلَبَ الصَّلِيبُ فَيَغْضَبُ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ فَيَدُقُّهُ فَعِنْدَ ذَلِكَ تَغْدِرُ الرُّومُ وَتَجْمَعُ لِلْمَلْحَمَةِ وَزَادَ بَعْضُهُمْ: «فَيَثُورُ الْمُسْلِمُونَ إِلَى أَسْلِحَتِهِمْ فَيَقْتَتِلُونَ فيكرم الله تِلْكَ الْعِصَابَة بِالشَّهَادَةِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৪২৯
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবিগ্রহ সম্পৰ্কীয়
৫৪২৯। হযরত আব্দুল্লাহ্ ইবনে আমর (রাঃ) বলেন, নবী (ﷺ) বলিয়াছেনঃ তোমরা হাবশীদের এড়াইয়া চল, যে পর্যন্ত তাহারা তোমাদের উপর আক্রমণ না করে। কেননা, (এমন এক সময় আসিবে) ক্ষুদ্র পা-বিশিষ্ট এক হাবশী ব্যক্তিই কা'বা শরীফের নীচের গুপ্ত সম্পদ বাহির করিবে। –আবু দাউদ
كتاب الفتن
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «اتْرُكُوا الْحَبَشَةَ مَا تَرَكُوكُمْ فَإِنَّهُ لَا يَسْتَخْرِجُ كَنْزَ الْكَعْبَةِ إِلَّا ذُو السُّوَيْقَتَيْنِ مِنَ الْحَبَشَةِ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৫৪৩০
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবিগ্রহ সম্পৰ্কীয়
৫৪৩০। হযরত নবী করীম (ﷺ)-এর জনৈক সাহাবী হইতে বর্ণিত, তিনি বলিয়াছেনঃ হাবশীদেরকে ততক্ষণ পর্যন্ত ছাড়িয়া রাখ, যতক্ষণ পর্যন্ত তাহারা তোমাদের উপর আক্রমণ না করে। আর (অনুরূপভাবে) তুর্কীদেরকেও ছাড়িয়া রাখ, যেই পর্যন্ত না তাহারা তোমাদের প্রতি আক্রমণ করে। –আবু দাউদ ও নাসায়ী
كتاب الفتن
وَعَنْ رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «دَعُوا الْحَبَشَةَ مَا وَدَعُوكُمْ وَاتْرُكُوا التُّرْكَ مَا تَرَكُوكُمْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ وَالنَّسَائِيّ
হাদীস নং: ৫৪৩১
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবিগ্রহ সম্পৰ্কীয়
৫৪৩১। হযরত বোরাইদা (রাঃ) নবী (ﷺ) হইতে বর্ণনা করেন, নবী (ছঃ) এক হাদীসে বলিয়াছেনঃ ক্ষুদ্র চক্ষু বিশিষ্ট একদল তুর্কী তোমাদের সহিত যুদ্ধে লিপ্ত হইবে (তাহারা তিনবার তোমাদের উপর আক্রমণ করিবে। আর) তোমরা তিনবারই তাহাদিগকে ধাওয়া করিবে। অবশেষে তোমরা তাহাদিগকে আরব উপদ্বীপে নিয়া পৌঁছাইয়া দিবে। অতএব, প্রথম ধাওয়ায় যাহারা পলায়ন করিবে, কেবলমাত্র তাহারাই রক্ষা পাইবে। আর দ্বিতীয়বারে কিছুসংখ্যক রক্ষা পাইবে এবং কিছুসংখ্যক ধ্বংস হইবে। আর তৃতীয়বারে (কেহই রক্ষা পাইবে না; বরং) তাহারা সমূলে ধ্বংস হইয়া যাইবে। অথবা হুযূর (ﷺ) যেইরূপ বলিয়াছেন। —আবু দাউদ
كتاب الفتن
وَعَنْ بُرَيْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي حَدِيثٍ: «يُقَاتِلُكُمْ قَوْمٌ صِغَارُ الْأَعْيُنِ» يَعْنِي التّرْك. قَالَ: «تسوقونهم ثَلَاث مَرَّات حَتَّى تلحقوهم بِجَزِيرَة الْعَرَب فَأَما السِّيَاقَةِ الْأُولَى فَيَنْجُو مَنْ هَرَبَ مِنْهُمْ وَأَمَّا الثَّانِيَة فينجو بعض وَيهْلك بعض وَأما الثَّالِثَةِ فَيُصْطَلَمُونَ» أَوْ كَمَا قَالَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৪৩২
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবিগ্রহ সম্পৰ্কীয়
৫৪৩২। হযরত আবু বাকরা (রাঃ) হইতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ (ﷺ) বলিয়াছেনঃ একসময় আমার উম্মতের কতিপয় লোক একটি নীচু ভূমিতে অবতরণ করিবে, উক্ত স্থানটিকে তাহারা 'বসরা' নামে অভিহিত করিবে এবং স্থানটি হইবে 'দাজলা' নামক একটি নদীর নিকটে। নদীর উপরে একটি সেতু হইবে। উক্ত স্থানটিতে অধিবাসীদের সংখ্যা হইবে অত্যধিক। অবশেষে উহা মুসলমানদের শহরসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি শহরে পরিগণিত হইবে। অতঃপর শেষ যমানায় চওড়া মুখমণ্ডল ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চক্ষুবিশিষ্ট 'কানতুরার’ বংশধরগণ উক্ত শহরবাসীদের বিরুদ্ধে লড়াই করিবার জন্য) আসিবে এবং তাহারা উক্ত নদীর পার্শ্বে আসিয়া আস্তানা গাড়িবে। (তাহাদিগকে দেখিয়া) শহরবাসী তিন ভাগে বিভক্ত হইয়া পড়িবে। একভাগ গবাদিপশুর পিছনে মাঠে-ময়দানে আশ্রয় নিবে। (অর্থাৎ, শত্রুর মুকাবিলা এড়াইয়া পশুপালন ও ক্ষেত-খামারের কাজে আত্মনিয়োগ করিবে।) ফলে তাহারা সকলই ধ্বংস হইবে। আর একভাগ ‘কানতুরার আওলাদের' নিকট (আত্মসমর্পণ করিয়া) নিরাপত্তা চাহিবে, তাহারাও ধ্বংস হইবে। আর অবশিষ্ট একভাগ নিজেদের সন্তান-সন্ততি ও পরিবার-পরিজনকে পশ্চাতে রাখিয়া তাহাদের সাথে যুদ্ধ করিবে। ইহারা সকলই শহীদ হিসাবে গণ্য হইবে। –আবু দাউদ
كتاب الفتن
وَعَن أبي بكرَة أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَنْزِلُ أُنَاسٌ مِنْ أُمَّتِي بِغَائِطٍ يُسَمُّونَهُ الْبَصْرَةَ عِنْدَ نَهْرٍ يُقَالُ لَهُ: دِجْلَةُ يَكُونُ عَلَيْهِ جِسْرٌ يَكْثُرُ أَهْلُهَا وَيَكُونُ مِنْ أَمْصَارِ الْمُسْلِمِينَ وَإِذَا كَانَ فِي آخِرِ الزَّمَانِ جَاءَ بَنُو قَنْطُورَاءَ عِرَاضُ الْوُجُوهِ صِغَارُ الْأَعْيُنِ حَتَّى يَنْزِلُوا عَلَى شَطِّ النَّهْرِ فَيَتَفَرَّقُ أَهْلُهَا ثَلَاثَ فِرَقٍ فِرْقَةٌ يَأْخُذُونَ فِي أَذْنَابِ الْبَقَرِ وَالْبَرِّيَّةِ وَهَلَكُوا وَفِرْقَةٌ يَأْخُذُونَ لِأَنْفُسِهِمْ وَهَلَكُوا وَفِرْقَةٌ يَجْعَلُونَ ذَرَارِيَّهُمْ خَلْفَ ظُهُورِهِمْ وَيُقَاتِلُونَهُمْ وَهُمُ الشُّهَدَاءُ . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
হাদীস নং: ৫৪৩৩
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবিগ্রহ সম্পৰ্কীয়
৫৪৩৩। হযরত আনাস (রাঃ) হইতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ্ (ﷺ) তাঁহাকে লক্ষ্য করিয়া বলিলেনঃ হে আনাস! লোকেরা উত্তরোত্তর শহর-নগর গড়িয়া তুলিবে। তন্মধ্যে ‘বসরা' নামেও একটি শহর গড়িয়া উঠিবে। যদি তুমি কখনও উক্ত শহরের নিকট দিয়া অতিক্রম কর কিংবা শহরে প্রবেশ কর, তবে উহার লবণাক্ত ভূমি ও 'কাল্লা' নামক স্থান, উহার খেজুর এবং উহার বাজার ও আমীরদের দ্বার হইতে দূরে থাকিবে এবং শহরের বাহিরে কোথাও পড়িয়া থাকিবে। কেননা, সেই স্থান একসময় ধসিয়া যাইবে, তথায় পাথরের বৃষ্টি বর্ষিত হইবে এবং ভীষণ ভূকম্পন সংঘটিত হইবে। সেখানে এমন এক সম্প্রদায় বসবাস করিবে, যাহারা সহীহ্-সালামতে মানুষরূপে রাত্রি যাপন করিবে, আর ভোরে বানর ও শূকরের আকৃতিতে রূপান্তরিত হইবে। —
كتاب الفتن
وَعَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: يَا أَنَسُ إِنَّ النَّاسَ يمصِّرون أمصاراً فَإِن مِصْرًا مِنْهَا يُقَالُ لَهُ: الْبَصْرَةُ فَإِنْ أَنْتَ مَرَرْتَ بِهَا أَوْ دَخَلْتَهَا فَإِيَّاكَ وَسِبَاخَهَا وَكَلَأَهَا ونخيلها وَسُوقَهَا وَبَابَ أُمَرَائِهَا وَعَلَيْكَ بِضَوَاحِيهَا فَإِنَّهُ يَكُونُ بهَا خَسْفٌ وقذفٌ ورجْفٌ وقومٌ يبيتُونَ ويصبحون قردة وَخَنَازِير رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
tahqiq

তাহকীক:

হাদীস নং: ৫৪৩৪
- ফিতনাসমূহ ও কিয়ামতের আলামতের বর্ণনা
দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - যুদ্ধবিগ্রহ সম্পৰ্কীয়
৫৪৩৪। সালেহ ইবনে দিরহাম (রাঃ) বলেন, একবার আমরা কতিপয় লোক (বসরা হইতে) হজ্জের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইলাম। হঠাৎ এক ব্যক্তির সহিত (তিনি ছিলেন হযরত আবু হোরায়রা) আমাদের সাক্ষাৎ হইল। তিনি আমাদিগকে জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমাদের পার্শ্বে উবুল্লাহ্” নামে কোন একটি জনপদ আছে কি? আমরা বলিলাম, হ্যাঁ। তখন তিনি বলিলেন, তোমাদের মধ্যে আমার জন্য কে এই দায়িত্বটি গ্রহণ করিবে যে, উক্ত শহরের আশশার’ নামক মসজিদে আমার পক্ষ হইতে দুই অথবা চার রাকাআত নফল নামায আদায় করিবে এবং (নামাযের নিয়তে অথবা শেষে) বলিবে, “ইহার সওয়াব আবু হোরায়রার জন্য!” আমি আমার বন্ধু আবুল কাসেম (ﷺ)কে বলিতে শুনিয়াছি; আল্লাহ্ তা'আলা কিয়ামতের দিন আশশার মসজিদ' হইতে কতিপয় শহীদকে উত্থিত করিবেন। বদরের শহীদদের সহিত উহারা ব্যতীত আর কেহই উত্থিত হইবে না। –আবু দাউদ
বর্ণনাকারী বলেন, উবুল্লাহ্' উক্ত মসজিদখানি ইউফ্রেটিস্ (ফোরাত) নদীর নিকটবর্তী কোন এক স্থানে অবস্থিত। অচিরেই আমরা ইনশাআল্লাহ্, ইয়ামন ও সিরিয়ার বর্ণনাস্থলে আবুদ দারদা কর্তৃক বর্ণিত হাদীস إِنَّ فُسْطَاطَ الْمُسْلِمِينَ বর্ণনা করিব।
كتاب الفتن
وَعَن صَالح بن دِرْهَم يَقُولُ: انْطَلَقْنَا حَاجِّينَ فَإِذَا رَجُلٌ فَقَالَ لَنَا: إِلَى جَنْبِكُمْ قَرْيَةٌ يُقَالُ لَهَا: الْأُبُلَّةُ؟ قُلْنَا: نَعَمْ. قَالَ: مَنْ يَضْمَنُ لِي مِنْكُمْ أَنْ يُصَلِّيَ لِي فِي مَسْجِدِ الْعَشَّارِ رَكْعَتَيْنِ أَوْ أَرْبَعًا وَيَقُولُ هَذِهِ لِأَبِي هُرَيْرَةَ؟ سَمِعْتُ خَلِيلِي أَبَا الْقَاسِمِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَبْعَثُ مِنْ مَسْجِدِ الْعَشَّارِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ شُهَدَاءَ لَا يَقُومُ مَعَ شُهَدَاءِ بَدْرٍ غَيْرُهُمْ» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ. وَقَالَ: هَذَا الْمَسْجِدُ مِمَّا يَلِي النَّهْرَ وَسَنَذْكُرُ حَدِيثَ أَبِي الدَّرْدَاءِ: «إِنَّ فُسْطَاطَ الْمُسْلِمِينَ» فِي بَابِ: «ذِكْرِ الْيَمَنِ وَالشَّامِ» . إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى